লেখক: এম, কে, জামান (দলছুট)
ইমেইল:m_kzaman111@hotmail.com
শেষ পর্বঃ
গ্রামে আজান শুনতে যে এত মধুর লাগে সেটা রাহি এর আগে কোন দিন বুঝে নি। আজ মগরীবের আজান শোনার পর তাঁর কাছে মনে হলো এর চেয়ে মিষ্টি মধুর আর কোন সুর হয় না। তাই তো আজানের সুরে বিমুগ্ধ হয়ে কবি কায়কোবাদ লিখেছিলেন তাঁর মহান “আজান” কবিতাটি।
“কে ঐ শোনাল মোরে আজানের ধ্বনি
মর্মে মর্মে বাজিল কি সুমধুর
আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী
কে ঐ শোনাল মোরে ...
বাংলা স্পেল চেকার দিয়ে বানান চেক করে পোষ্ট দিলাম। আশা করি বানান বিড়ম্বনা কম হবে।
পর্ব-৩:
সন্দেহ এমন এক জিনিস যা দেখা যায় না, ধরা যায়না, ছোঁয়া যায় না, তবু এর বৃদ্ধি আছে, গাছের মত ডালপালা ছড়ায়, মনের গভীরে শিকড় পোক্ত করে আঁক্ড়ে থাকে। যতই মন থেকে একে সরানোর চেষ্টা করা হোক সেটা সহজে সরেনা। কিছুটা বেহেয়ার মত যতই না বলবেন ততই আপনার পিছু নিবে। আপনি বকে, ধম্কাইয়া থামাতে পারবেন না। রাহির মনে ...
প্রথম পর্বে বাংলা টাইপিং ও ফন্টের কারনে কিছু বানান ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। ২য় পর্বে এই সমস্যা আশা করি সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আপনাদের মন্তব্য, সাজেশন, পরামর্শ আমাকে লেখাটা শেষ করার প্রেরণা যুগিয়েছে। আশা করি ২য় পর্বটা পড়বেন এবং মূল্যবান মন্তব্য প্রদান করবেন।
পর্ব-২
রাত ১২টা নিঝুম চারিপাশ। গ্রামের শান্ত পরিবেশ। দূর থেকে শিয়ালের হাক শুনা ...
রাহির ভক্সি নোয়া মাইক্রোবাসটা গায়ের ইটের উচু নীচু ভাংগা রাস্তায় ৩০ কিঃমি/ঘন্টা বেগে এগিয়ে যাচ্ছে মদনপুরের দিকে। ঢাকা থেকে মাত্র৪০ কিলোমিটার রাস্তা কিন্ত আসতে সময় লাগে প্রায় ২ঘন্টার বেশী। মদনপুরের শেষ মাথায় গাছ গাছালিতে ঘেরা এক আদর্শ গ্রাম্য আবহে চতুর দিকে দেয়ালে ঘেরা সিরাজুল হক সাহেবের বাড়ি। গ্রামের শান্ত শ্যামল ছায়া ঘেরা অপরুপা পরিবেশটা এই বাড়িতে সম্পূর্ন বিরাজমান। সির...
নাস্তা করতে এসে পাওলো কোয়েলো এমন খাঁসা গল্পের কাঁচা মালের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। ভাগ্যই বলতে হবে। তবে এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা অন্তর দৃষ্টিতে দেখলেই গল্প হয়না। তার জন্য আলাদা একটা আরতি থাকতে হয়। সেটা না থাকলে নিঁখুত পর্যবেক্ষণ দিয়েও কোন গল্প দাঁড় করানো দায়।
এইটুকু ভাবতে ভাবতে পাওলো কোয়েলো আবার পর্যবেক্ষণে ফিরে এলেন। এত খন্ডকালিন দর্শন সাধারনতঃ কোয়েলোর হয়না। তিনি একটা...
হিসেবটা মিলছেনা ঠিক,
কেন বিষের পেয়ালায় কেটেছি ডুব-সাঁতার
কেন ফিরে-ফিরে গেছি
নগ্ন ছুরির কাছাকাছ।
নগ্ন ছুরি!
শিকারীর মত ওৎ পেতে আছে
হৃৎপিন্ডের জন্য।
কেন, তবু,
ছন্দমুখর পায়ে
অকুন্ঠ বিশ্বাসে মুখোমুখি তার,
বার বার।
কোন্ মোহ মুগ্ধতায়?
কোন্ দুর্বোধ্য প্রেমে?
আকাশলীনা।
তখন আমার বয়স কতই বা হবে, ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমার বাবার দেয়া লাল ডাইরীটা সামনে ধরে বৃষ্টি দেখছি। বৃষ্টির ফোটাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে লিখে ফেললাম একটা কবিতা। সম্ভবত ঐ কবিতাটাই প্রথম লেখা কবিতা। তারপর মাস খানেকের মধ্য লিখে ফেললাম আরো গোটা দশেক কবিতা। ডাইরীর শেষ কবিতাটা ছিল একটা ফুল নিয়ে, কবিতার নাম "কৃষ্ণকমল"। কবিতার মূল ঘটনা ছিল- একটা ফুল যেটা নাকি প্রতি ১০০০ বছরে একবার ফুটে, ওটা ...
.
(০১)
‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে…’, রবীন্দ্রনাথের এই সঙ্গীতটিকে ঋদ্ধি ও মননে ধারণ করেছিলেন বললে হয়তো ভুলভাবে বলা হবে ; বলতে হবে, ওই সঙ্গীতের মন্থিত জীবন-রসের সবটুকু মাধুর্যকেই বুকে আগলে নিয়েছিলেন তিনি। শুধু কি আগলেই নিয়েছিলেন ? আগুনের ওই পরশমণির অনিন্দ্য ছোঁয়ায় অগ্নিশুদ্ধ হয়ে নিজেকে এমন এক জীবনশিল্পীর মর্যাদায় আলোকিত করে নেন, সমকালীন বাস্তবতায় কী সাহিত্যে কী সাংবাদিকতায় ক...
ঢং ঢং ঢং... পিতলের ঘন্টায় দারোয়ানের হাতুড়ির বাড়ি পড়ছে। সে কি মধুর শব্দ...আহ! শেষ পিরিয়ডে সবাই ব্যাগ গুছিয়ে বসে ছিল পিনপতন নীরবতায়, কান পেতে ছিল...কখন ঘন্টা বাজে! তারপর সে মধুর ঘন্টাটা বাজতেই হুড়োহুড়ি করে ছুটে বের হলো তারা। কানে তালা লেগে যাচ্ছে ঢং ঢং আওয়াজে... ভিড়ের মধ্যেই চারপাশের ধাক্কায় অন্ধের মতো এগুতে লাগলো শায়লা... ... তারপর আর কি! যা হবার তাই হলো, চৌকাঠে পা ঠেকে হুমড়ি খেয়ে পড়লো। আর তখ...
সাধারণতঃ বাড়ী ফিরতে রাত দশটা বেজে যায় প্রতিদিন। আজকে তার চেয়ে একটু বেশী দেরী হোল।
তার পরের শিফটে কাজ করে ভারতীয় ছেলে মনোজ। আজকে সে আসতে প্রায় কুড়ি মিনিট দেরী করেছে। তাকে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে তারপর বেরোতে বেরোতে দেরী হয়ে গেল।
এত রাতে গোটা পাড়াটিই নিঝুম হয়ে যায়। ড্রাইভওয়েতে গাড়ীটা পার্ক করে পিছনের সীট থেকে ব্যাকপ্যাকটা বের করলো জালাল।
এই রকম দেরী হয়ে গেলে রুবী আগে মন খারাপ করতো...