প্রভু নামেই তাকে সবাই চেনেন। জানেন। পরিচয়ের প্রথম ক্ষণ থেকেই আমরা দেখেছি- ছোট বড়, প্রখ্যাত-অখ্যাত, জ্ঞানী-মূর্খ, রাজা-ভিখিরী সবাই তার সমান সঙ্গী। প্রভুকেও সবসময় কোলের শিশু থেকে বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাইকে ‘প্রভু’ আর ‘আপনি’- বলে সম্মোধন করে সমান সম্মান করতে দেখেছি। তার সঙ্গ আমাদের কাছে ছিল চোখের ওপর থেকে একটা পর্দা সরে যাওয়ার অভিজ্ঞতার মতন। এর ফলে জীবন এবং প্রকৃতির রূপ রস গন্ধ আরও স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়।
বুয়েটে ভর্তির পর, প্রথম যেই টিউশানি পাই, সেইটা ছিল বাপ্পীকে পড়ানোর। কলাবাগানের স্টাফ কোয়ার্টারে ছোট্ট একটা দুই বেডরুমের বাসা, সেখানে যেয়ে আমি বাপ্পীকে পড়াতাম। বাপ্পী আমার এক বছরের ছোট, তখন তার ঢাকা কলেজে টেস্ট পরীক্ষার কিছু বাকী। প্রি-টেস্টে বা কোন একটা পরীক্ষায় প্রচন্ড খারাপ করার পরে ফিজিক্স আর ম্যাথ পড়ানোর জন্য শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেলাম।
দুপুর বেলার চিক চিক করা রোদ্দুর আর শোঁ শোঁ হাওয়ার ভেতর দিয়ে হুলিয়া মাথায় নিয়ে একজন ছন্নছাড়া যুবক গ্রামে ফিরছে, মনে তার সহস্র প্রশ্নের ঝাঁক ঘুরছে অবিরত, কেউ তাঁকে চিনতে পারছে কি পারছে না, না কোন রাজনৈতিক নেতা, না কোন পরিচিত সাধারণ জন। সময় এতটাই পাল্টে নিয়েছে তাঁকে, বিক্ষুদ্ধ, টালমাটাল, অসাধারণ, বিস্ফোরণ্মুখ, অগ্নিঝরা, গর্ভবতী সময়। সেই অসাধারণ সময়ের এককোণে খুব সাধারণ কিছু ঘটনা ঘটছে বারহাট্টার ট্রেনে
যদি আজকেই প্রকাশিত হয় তাহলে চৈত্র সংক্রান্তির শুভেচ্ছা
আর নইলে একটি কামারুজ্জামানমুক্ত নতুন বছরের শুভেচ্ছা
[একটু ভূমিকা করি। এই সিরিজে আমি মূলতঃ চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের অপারেশান সমূহে ভূমিকা রাখা কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে লিখতে শুরু করেছি। আমি অল্প কজন মানুষের আত্মবিসর্জনের কথা জানি। কিন্তু সারা দেশে এরকম আরো কত লক্ষ মানুষ তাদের জীবন দিয়েছেন। তাই আমি চাই এই সিরিজে আরো কেউ কেউ যুক্ত হোক। এই সিরিজে যে কেউ অংশগ্রহন করতে পারে, করলে ভালো হয়, করা দরকার। কেননা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে মুক্তিযুদ্ধের ছোট
[i][ওরা যুদ্ধ করেনি, ওদের সার্টিফিকেট নেই, ইতিহাসে ওদের কোন পদবী নেই। ওদের কেউ অন্ধকার রাতে টর্চলাইট হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পথ দেখিয়েছে, কেউ রাতে ঘরের দাওয়ায় আশ্রয় দিয়েছে, নিজের খাবার বাঁচিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাইয়েছে, তাঁদের অস্ত্র, তথ্য, সংবাদ পারাপার/পাচার করেছে দীর্ঘ নয়মাস ধরে। অতঃপর দেশ স্বাধীন হবার পর কৃতিত্ব দাবীদারের ডামাডোলে ওদের কথা ভুলে গেছি আমরা। সেই সব অনালোচিত, ভুলে যাওয়া অমুক্তিযোদ্ধা স
শুভ জন্মদিন, গুঁফো বুড়ো।
ভাগ্যিস আপনি জন্মেছিলেন।
আম আর দুধে মিশে যায়... দিন দিন...
যেমন মিশে যায় দুই গাঢ় সবুজের ছায়াগুলো।
আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায় গাঢ় লাল সূর্যটা
সেখানের সবুজ আকাশে উঠে আসে- একটি সাদা তারা
আর একটি সাদা ফালি চাঁদ...
অনেক্ষণ ধরে রিক্সার খোঁজে খিলগাঁও রেলগেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এমনিতেই দুপুর তার উপর প্রচন্ড রোদ। বেশ কয়েকটা রিক্সাকে জিজ্ঞেস করলাম বাড্ডা যাবার জন্য। কিন্তু কেউ রাজি হচ্ছে না। এখান থেকে বাড্ডা যাওয়ার একটা সহজ উপায় হলো বাস। কিন্তু দেশের যা অবস্থা, বাসে উঠাই এখন মুশকিল। সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হয় কখন একটা পেট্রোল বোমা কাচ ভেঙ্গে বাসকে ঢুকে পুরো বাসকে ছাই বানিয়ে দেয়। এই ভয়ে ক'দিন ধরে বাসে উঠাই ছেড়ে দিয়