Archive - মে 2012

May 9th

ভয় পেয়ো না

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বুধ, ০৯/০৫/২০১২ - ৪:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"এই যে মূর্তিটা দেখছেন আপনারা, এটা লামিয়ার মূর্তি। পুরাণের ভয়ংকর এক দানব এই লামিয়া। এর কোমর থেকে কেমন সাপের মত, দেখেছেন? আর এই যে ছোটরা, লামিয়া কি করে জানো? বাচ্চাদের ধরে ধরে কুড়মুড় করে খায়!"


অভিযোজন কাহিনী – সুইজারল্যান্ড ৪

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৯/০৫/২০১২ - ৪:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ ব্যস্ত কিছু সময় পার করলাম গত এক মাসে। এই কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা আমার ধারাবাহিক স্মৃতিচারণকে অন্ততঃ এক পর্ব বাড়িয়ে দেবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সন্দেহ যেখানে সেটা হলো, পাঠক ধৈর্য ধরে আরো পড়বেন কি না। প্রথম দুই পর্বে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলাম। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বললে তিক্ততাই বাড়ে শুধু, তাই ঠিক করেছি ফাঁকে ফাঁকে অন্য বিষয় জুড়ে দেব, যাতে পাঠক একঘেয়েমিতে না ভোগেন।


বসন্ত, ২০১২

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: বুধ, ০৯/০৫/২০১২ - ৩:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুকে পাথর বেঁধে ছাব্বিশটা বসন্ত পার করেছি, কখনো কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু এবারের বসন্ত ছিলো অন্যরকম। বলছি তারই গল্প।


মাঝে মাঝে মনে হয়...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বুধ, ০৯/০৫/২০১২ - ১২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝে মনে হয় সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে যাই।

মাঝে মাঝে ছোট্টবেলার সেই দুপুরের কথা মনে পড়ে। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে বলে স্কুল যেতে হয়নি। জানালা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। মেঘলা দুপুর। পথে লোক নেই। মাঝখানে একটু করে বৃষ্টি থেমেছে। আর আমার কেবলই মনে হচ্ছে দই ওয়ালা গল্পের বই থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু দইওয়ালা আজও আসেনি...


আগুন আগুন (রেখাচিত্র)

ইঁদুর এর ছবি
লিখেছেন ইঁদুর [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৯/০৫/২০১২ - ১২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের দেশের অনেক অ্যাপার্টমেন্ট বা অফিস দপ্তরে দেখা যায় ফায়ার এক্সটিংগুইশার। তবে কত জন এর সঠিক ব্যবহার জানে তা প্রশ্নের বিষয়। ফায়ার ড্রিলের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেবার উদ্যোগও অধিকাংশ জায়গাতে নেই। কোথাও কোথাও আবার দেখেছি ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলেও তা মেয়াদোত্তীর্ন। এইসব হাবি জাবি চিন্তা ভাবনা নিয়ে একপাতা কার্টুন আঁকা আঁকি। হাসি


দ্বিবর্ণ জাতক ২

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০১২ - ৬:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দ্বিবর্ণ জাতক ১

সাগোতো রাজদানের ডায়েরিটা আমার হাতে আসে ২০০৪ সালে, চাচা মারা যাওয়ার পর। ডায়েরিটা এমনিতেই কৌতূহলোদ্দীপক, আমার আকর্ষণ আরও বেড়ে যায় চাচার রেখে যাওয়া নোটটা পড়ে।


May 8th

জাগো হে নবীন, ভিন্নভাবে সক্ষমদের জন্যে চাই সমাজ প্রতিবন্ধকতাহীন

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি
লিখেছেন সাবরিনা সুলতানা (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০১২ - ৩:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর ঘুরে আবারো আসছে বি-স্ক্যানের জন্মলগ্নের সেই দিনটি। ১৭ই জুলাই। সকলের ভালোবাসা-অনুপ্রেরণায় হাঁটি হাঁটি পা পা করে বি-স্ক্যান এগিয়ে চলেছে তৃতীয় বর্ষপূর্তীর দিকে। প্রতিবারের মতোন এবারও বি-স্ক্যান এই দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে সর্বত্র সচেতনতার বীজ বপন করতে চায়। এবার ঠিক হয়েছে প্রতিবন্ধী তথা ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্যে পারিবারিক এবং সামাজিক সকল প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনে নতুন প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা সৃষ্ট


(স্কুলপর্ব-২) স্কলাস্টিকার ইলাস্টিক ফরম

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০১২ - ৩:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভুমিকা :
গণস্বাস্থ্য বিভাগের বড় পেইন হচ্ছে নবজাতকের মৃত্যুর হার আর ব্লগ জগতের বড় পেইন হচ্ছে ধারাবাহিক ব্লগের মৃত্যুর হার। অনেক আয়োজন করে যখন 'আমি কী করিতে গিয়া কী করিয়াছিলাম' ব্লগ শুরু হয়, তখন শিরোনামের শেষে ১ লেখা দেখলেই বুঝবেন যে এটা আসলে একদিনের লেখা, এজন্য এক লেখা। আর লেখার পর 'চলবে' লেখা দেখলে বুঝতে হবে এটি পরের পর্বে চলবে বুঝাচ্ছে না, বরং লেখকের জরুরি কাজ পড়ায় ( সেটা বিড়ি খাওয়া টু টিভিতে খেলা দেখার মতো জরুরি কাজ হতে পারে, অথবা নিছকই প্রাকৃতিক ডাক হতে পারে) লেখাটি আপাতত ধামাচাপা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। যাই হোক, আজকে পুরোনো এক বন্ধুর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হওয়ার সময় বাচ্চাকাচ্চাদের স্কুলে ভর্তির বিড়ম্বনা নিয়ে স্মৃতিচারণ হচ্ছিল। তখনই মনে পড়ল- এ বিষয়েও আমার একটি ধারাবাহিক লেখা শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম পর্বের পরে বছর চলে গেল, দ্বিতীয় পর্ব আর আসার নামগন্ধ নেই। এমনিতে এসব ধারাবাহিকের অপমৃত্যুই ধরে নেয়া যায়। গুম হয়ে যাওয়া লোকের মতোই এরা আর ফিরে আসার নামগন্ধ করে না। কিন্তু আমার মনে হলো, এই কাণ্ডের অন্তত আরেকটি পর্ব লেখা উচিত। সেজন্যই এই দ্বিতীয় পর্ব। বলা বাহুল্য এই কাহিনী যেহেতু একবছর আগের, তাই সব কিছু দুর্বল স্মৃতি থেকে নিচ্ছি। এতে করে অবশ্য কোনো কিছু বাড়তি যোগ হওয়ার আশা নেই, বরং অনেক মূল্যবান কাহিনী বাদ পড়ে যেতে পারে। সেটা ক্ষমাঘেন্না করে নেবেন।


আমার সেই ঘরটি

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০১২ - ১:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ঘরটিকে আমি স্বার্থপরের মতো ভালোবাসতাম।

আমাদের ছোট্ট বাড়িটায় আরো চারটা কামরা ছিল। তবু আমার ঘরটিকেই আমি বিশেষভাবে ভালোবাসতাম। পূর্ব দক্ষিণ ঘরটা ছিল সর্বকাজের। সেখানে বসা, খাওয়া, বই-পত্রিকা পড়া, আড্ডা দেয়া, টিভি দেখা, হেন কাজ নেই হতো না। এই ঘরটির দুটো জানালা, একটা দক্ষিণে আরেকটা পূর্বদিকে। এই ঘরকে আমরা ডাকতাম 'ড্রইংরুম' বলে। আসবাবের মধ্যে ছিল একসেট কাঠের, আরেক সেট বেতের সোফা, অন্যপাশে বুকশেল্ফ, শোকেস, টিভি ইত্যাদি। এই দুয়ের মাঝে ছজন বসার মতো একটা ডাইনিং টেবিল ছিল যেটায় খাওয়া পড়া লেখা সবই চলতো। দক্ষিণের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে দুটো পেয়ারা গাছ, একটা আমগাছ দেখা যেত। তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কামিনী আর শিউলীর ঝোপটাও আংশিক দেখা যেত। আর দরোজায় দাঁড়ালে দেখা যেতো থোকা থোকা রসালো কামরাঙ্গা হাত বাড়ানোর জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।


একটি এসএমএস চলে যায় রবীন্দ্রনাথের কাছে

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০১২ - ১০:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবাণু বিস্ফোরণে আছি
আছি দুবেলা দুমুঠো কানামাছি খেলায়
সংসারে এমন অসংখ্য প্রাত্যহিক জীবাণু বেশ সুখে আছে
খাচ্ছে.. দাচ্ছে.. কেটে যাচ্ছে

অন্ধকারের বিপরীতে চেনাচেনা ছায়ার ফাঁকে
শহরের সমস্ত ঘনীভূত দীর্ঘশ্বাস ভর করে
মাতাল পূর্ণিমায়
রক্তিম উল্লাসে ফেটে পড়ে চাঁদ

ক্ষুদে বার্তার জন্য আঙুল চেপেচেপে
অক্ষরগুলো কেটে-ছেঁটে বারবার সাজাই।
শব্দের বনসাই
দেখে হয়তো অবাক হবেন তিনি