Archive - মে 27, 2012

ওল্ড হোম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১২ - ১০:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ওল্ড হোম


সাবিয়া সুলতানাদের জন্যে

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১২ - ৪:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম আলোতে একটা খবর পড়ে মনে পড়ে গেলো মালেনা সিনেমাটার কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাহিনী, মালেনার স্বামী যুদ্ধে গেছে, সে শহরে একা। শহরের সব পুরুষ সুন্দরী মালেনার প্রতি লুব্ধ। কিন্তু সামাজিক চাপে মালেনা একঘরে হয়ে পড়ে। তার কাছে কেউ কোনো কিছু বিক্রি করে না। মালেনাকে সামান্য খাবারের বিনিময়ে দেহদান করতে হয় লুব্ধ পুরুষের কাছে। জার্মান সৈন্যরা যখন শহরে আসে, মালেনা দেহোপজীবিনী হয়ে তাদের কাছে যায় জীবিকার তাগিদে, এরই মাঝে তাকে নানা ছুতোয় ভোগ করে চলে শহরের পুরুষেরা। জার্মান সৈন্যেরা চলে যাওয়ার পর নগরের বিবাহিতা নারীরা মালেনার ওপর চড়াও হয়, তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এরই মাঝে ফিরে আসে মালেনার স্বামী, সে যুদ্ধে পঙ্গু। সে এসে খুঁজতে থাকে তার স্ত্রীকে, শহরের সবাইকে অভিসম্পাত করে, এক পর্যায়ে প্রহৃত হয় সে-ও। কিন্তু সে হাল ছাড়ে না, খুঁজে বের করে ফিরিয়ে আনে মালেনাকে, দু'জনে হাত ধরাধরি করে মাথা উঁচু করে হেঁটে যায় বাজারের মাঝ দিয়ে। মালেনাকে আবারও কারো মালিকানায় দেখতে পেয়ে লম্পট স্বামীর স্ত্রীরা নিশ্চিন্ত হয়, তারা মাথা ঝুঁকিয়ে অভিবাদন করে, শুভেচ্ছা জানায়। গোটা সিনেমাটি দেখানো হয় এক বয়োসন্ধি উত্তীর্ণ কিশোরের চোখে, যার চোখে মালেনা এক অধরা যৌনতার প্রতীক। শহরের সবাই যখন মালেনাকে কামনা করে, একমাত্র সেই কিশোরটিই মালেনাকে ভালোবাসে।


ছাড়

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১২ - ৪:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি এই দ্বীপে আসার সুযোগ খুঁজছিলাম অনেক বছর ধরে। অবশেষে দ্বীপটিতে আমার একটা অভাবিত আশ্রয় মিললো। তুমি আসতে চাইতে না। আধুনিক সুযোগ সুবিধা রহিত কোন দ্বীপে তুমি থাকতে চাও না। এ যেন স্বেচ্ছা নির্বাসন। পৃথিবীর একমাত্র গাড়িবিহীন দ্বীপ। তুমি তোমার শখের ফিয়াট গাড়িটা রেখে আসতে হচ্ছিল বলে তিনদিন তিন রাত কেঁদেছিলে। আর আমি গাড়ি যন্ত্রনা থেকে মুক্তিলাভের জন্য হন্যে হয়ে উঠেছিলাম। মনে আছে তুমি কতোবার দূর্ঘটনায় পড়


শক্তিশালী সব ছবি - ১

সাফি এর ছবি
লিখেছেন সাফি (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১২ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমন অনেক ছবি আছে যা একবার দেখলে মনের মধ্যে তীব্র প্রভাব ফেলে। হতে পারে সেই ছবি আনন্দের, কষ্টের, ঘৃণার, আবেগের অথবা সহিংসতার। ছবি তোলার মুন্সীয়ানার চেয়ে ছবির বক্তব্যই এ ক্ষেত্রে মূখ্য। এমন ই কিছু ছবির তালিকা চাওয়া হয়েছিলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রেডিটের ব্যবাহারকারীদের কাছে। আজকে সন্ধ্যায় সেই ছবিগুলোই দেখছিলাম (এই লেখার পরের পর্বে চেষ্টা করব সেখান থেকে কিছু ছবি সচলের পাঠকদের স


বৃষ্টি মানে শুধুই বালক আর বালিকা, রঙ

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১২ - ১২:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন আমি বৃষ্টি কুড়াই আমের বনে; ফুল-বাগানের হীরেমানিক, ঘুমিয়ে থাকি আঁচলদিঘীর নিদ্রাকুসুম জলে --- চাঁদকপালে কাজলরেখা টিপ মানে তাই বালাই-বালাই-ষাট! কৌতূহলী ভোরের ডাকে কিচিরমিচির স্তব্ধতাকে জাগিয়ে তুলি, মাকে বলি, ‘খিদে পেলে ছেলে বুঝি ডাহুক ডাকে মা!’ তখন আমার জনান্তিকে ইচ্ছে নামের সুতোয় বোনা নানামুখী তৎপরতা, আর বারতা পরাগ বুকে প্রবহমান উচ্ছ্বসিত বেনীআ--সহকলা!


ব্ল্যাঙ্ক

ক্রেসিডা এর ছবি
লিখেছেন ক্রেসিডা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১২ - ৯:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

 

ব্ল্যাঙ্ক 


ভাবানুবাদঃ বাড়িওয়ালী

দুষ্ট বালিকা এর ছবি
লিখেছেন দুষ্ট বালিকা (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১২ - ১:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]সৌরভ ট্রেন থেকে যখন নামলো তখন সন্ধ্যা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। স্টেশনের কাছেই একটা খাবার দোকানে হাত মুখ ধুয়ে সেখান থেকে পেট ভরে খেয়ে নিলো ও, বলা যায় না, থাকার জায়গা খুঁজে পেতে কতক্ষণ সময় লাগে আর তারপরে কোথায় বসে খাবার ফুরসত হবে কিনা। কাল সকাল থেকে আবার জয়েনিং।


দেশে বিদেশেঃ পন্ডিতমশাই

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১২ - ১২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ছাত্রজীবন কেটেছে দুর্বিষহ যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে। পিতামাতা উভয়েই শিক্ষক, আমি কোনদিন বাসায় গিয়ে বলতে পারিনাই যে টিচার আমাকে নাম্বার দেয়নাই। তারা দুজনেই হাঁ হাঁ করে ঝাঁপিয়ে পড়তেন আমার উপর, টিচার নাম্বার দিবেনা ক্যানো হ্যাঁ? তুমি কিছু লিখতে পারোনাই তাই নাম্বার পাওনাই ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনারা সকলেই জানেন ক্লাস টেস্টের খাতা অভিভাবককে দিয়ে সাইন করিয়ে আনাটা ফরমালিটি মাত্র, অভিভাবক মাত্রেই উচিৎ চুপচাপ সই করে খাতা আবার ছেলেমেয়েকে ফিরিয়ে দেয়া। আমার পিতা তা না করে পুরা ছয়পাতা কষা অংক পড়তেন, তারপরে সই করতে করতে গম্ভীর স্বরে বলতেন, “পনেরোতে তিন দিল কেন বুঝলামনা, শুণ্য দেওয়া উচিৎ ছিল। সরল অঙ্কের উত্তর দুইশ পঁচাশি বাই সাতশ আঠাশ কিভাবে হয়।” পাষন্ড পৃথিবীর নির্মমতায় বালক সত্যপীরের চোখে তখন পানি।