অণুগল্পের দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে লেখাটিকে একটি ছোট্ট গল্প হিসেবে গণ্য করাটাই উচিত হবে।
(খুদে রসগল্পের এই সিরিজে প্রকাশিতব্য অধিকাংশ গল্পই সোভিয়েত যুগের। রুশ ছাড়াও ইউক্রেনীয়, বেলারুশীয়, জর্জিয়ান বা অন্য সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র...
০১।
নিজেকে কেমন জানি হাল্কা হাল্কা লাগছে। মুক্ত হয়েছি বলেই কি? পুরোপুরি হয়তো না। কিন্তু বহুদিন ধরে বুকের ভেতর চেপে বসা ভারি পাথরটা যে পালিয়েছে সেটা স্পষ্ট টের পাচ্ছি।
একটা প্রাণবন্ত উচ্ছল এবং সময় সময় কিছুটা উদ্দাম সত্ত্বাকে ...
লিখো
অলৌকীক উ ত্ স থেকে হঠাত্- ঝরেপড়া কোনো ঝর্ণা
আমাকে বলল, লিখো :
কবিতা জন্মায়।
আমদানি-যোগ্যবস্তু নয়।
অরণ্যের অন্তরে পরাবৃত্ত যে উত্তাপ, আমাকে একদিন
হঠাত্- বলল : অনুভব করো?
কেননা আমি শুয়েছিলাম গভীর অরণ্যের
বুকের পরে, আকাশের ...
আজকাল মোউলানাদের (অমৃত বাজার স্বীকৃত বানান)খাতির বেশি .... তাই ১টা নিরীক্ষা চালাইয়া দেখলাম কেমন দেখায়। এই লোকের ব্যানারে ওয়াজ চলবো আরো হাজার বছর।শুভ জন্মদিন।
রবিবার সকাল। আব্বা আমাকে মন্টু মামার সেলুনে হ্যান্ডোভার করে ত্বরা করে বাজারে ছুটেছেন, ফিরতি পথে পিক-আপ।
সেলুনের সামনেটা পূরোটাই খোলা – যারা আসছে যাচ্ছে, তাদের প্রায় সবাই সেলুনে বসা কাউকে না কাউকে চেনে, তাই হাঁটতে হাঁটতে, অথবা ...
আলো বড্ড চোখে লাগে
আঁধারের তৃপ্তির আবেশ।
দিনবদলের আলো স্নিগ্ধ
মায়া তরান্বিত হয়
সুদূরে নিয়ে চলে
সত্ত্বাকে দূরতম রহস্যে
ব্যস্ততার গ্লানি যায় মুছে
দেহের ক্লান্তি অস্পৃশ্য।
আলোতে কোনো ভয় নেই
আঁধারে কোনো পাপ নেই
তবুও পাপের ভয়...
৫ মে। খুব সাধারণ আর দশটা দিনের মতে আরেকটা দিন। প্রতিটা দিনই কারো না কারো জন্ম। আর মধ্যে দুয়েকটা জন্ম মানব সমাজের শেকড় ধরে নাড়া দেয়। তাতে অনেক কিছু বদলায় ; অনেক কিছুই বদলায় না। অনেক কিছু মানে কতকিছু ত...
মাস তিনেক নীলু থাকে তার বোনের বাড়িতে। একবার ঘুমের ওষুধ বেশি পরিমাণে খেয়ে মরেও যেতে চায় কিন্তু কত কী যে দেখার বাকি! মরে গেলে দেখবে কে? নীলু শুনতে পায়, রীমা এখন নীলুর বাড়িতেই থাকে। শ্বশুর গ্রাম থেকে ফিরে এসে নীলুর সাথে দেখা করেন, নীল...