আজ আকাশে, আলো আছে ভরা
চাঁদের পাশে, আছে কত তারা
শুধু তুমি নেই, শুধু তুমি নেই গুরুদেব...
আজো জল পরে
আজো পাতা নড়ে
তবু সে পাতা আজ একা রয়ে যায়,
কাঁদে আজো হিয়া
ফোঁটে ক্যামেলিয়া
তবু তার স্থান নেই, কোন কবিতায়।
কাঁচ ভাঙে নিত্য
সে পুরাতন ভৃত্য
আজ তার কান্না আর কেউ দেখে না,
পাষাণ খয়ে যায়
ছোট নদি বয়ে যায়
তার চলা দেখে আর কেউ শেখে না।
আজ পঁচিশে বৈশাখে
সাজ সাজ চারিদিকে
তোমারই আলো, তোমারই আলো গুর...
(এই লেখাটি অন্য নামে আরেকটি ব্লগসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল প্রায় একবছর আগে। জানিনা এই লেখাটি সচলায়তনের নীতিমালাকে লংঘন করলো কিনা।
লেখাটি একটু বড় বলে প্রথমে অর্ধেকটা দিয়েছিলাম। এখন শেষের অংশটুকুও একসাথে জুড়ে দিলাম। সবার ধৈর্য্যের পরীক্ষা হবে তাতে।)
আমাদের শৈশব বা কৈশোরের সময়টি ছিল বড় অদ্ভুত। আজকের সময়ের সাথে তুলনা করলে মনে হয় কত কিছু জিনিস ছিলনা তখন। এখন যেমন একটি স্কুল বা কলেজ ...
- ক্রিং, ক্রিং, …
- হ্যালো
- হ্যালো,… শাহেদ বলছ?
- জ্বী, কে বলছেন?
- আমি তমালের আম্মা।
স্মৃতি হাতড়ে অতল থেকে তুলে আনলাম নামটিকে। তারপর তাড়াহুড়ো করে বললাম,
- খালাম্মা, স্লামালাইকুম। ভাল আছেন?
- হ্যা বাবা, তুমি কেমন আছ?
- জ্বী, আমি ভাল।
- আসলে… বাবা! শুনলাম তুমি নাকি লন্ডনে যাচ্ছ?
- জ্বী, খালাম্মা। কাল যাচ্ছি।
- তমাল তো থাকে ম্যানচেস্টারে। তুমি কি ওর জন্য কিছু জিনিস নিয়ে যেতে পারবে? বেশি কিছু না,...
সূর্যাস্তের সময় ঘরে ফেরাটাই নিয়ম। ঝিরিঝিরি বাতাসে পাল তুলে নৌকা, আকাশে পাখির ঝাঁক আর অফিস ফেরা মানুষের তাড়াহুড়ো - সবারই ঘরে ফেরার সময়টা বাঁধা সূর্যের ঐ চলাফেরার সাথেই। কখনো কখনো সন্ধ্যাটা কাটে অলস, ঘরে ফেরার তাড়া থাকে না কোন - তখন হাবিজাবি নানান চিন্তা মাথায় আসে। পুরানো কথা মনে পড়ে, বুক ভারি হয়ে ওঠে, বিস্মরণকে মনে হয় আশির্বাদ। আস্তে আস্তে রাত নেমে আসে, অন্ধকারে আরো চেপ...
প্রকাণ্ড চর- ধূ ধূ করছে- কোথাও শেষ দেখা যায় না-...। হঠাৎ পশ্চিমে মুখ ফেরাবামাত্র দেখা যায় স্রোতোহীন ছোটো নদীর কোল, ও পারে উঁচু পাড়, গাছপালা, কুটির, সন্ধ্যাসূর্যালোকে আশ্চর্য স্বপ্নের মতো।
================================
বাঙালি যা চিরকাল দেখে এসেছে তাই দিয়ে শুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বইখানি! রবীন্দ্রনাথ তখন বন্দোরা সমুদ্রের তীরে : “ভারি বৃষ্টি আরম্ভ হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত বৃষ্টি হচ্ছে...
সম্ভবতঃ রেজওয়ান ভাই বাঙ্গালী ব্লগারদের মধ্যে ব্লগার হিসেবে প্রবীণতম। অসংখ্য ব্লগ আন্দোলন, ইনিশিয়েটিভের সাথে যুক্ত হয়ে রেজওয়ান ভাই সচলায়তনে হয়ত সময় দেবার সময় করে উঠতে পারেনা না। কিন্তু তার জন্মদিনে আমরা তাকে ভুলে যাব কেমন করে হয়?
হ্যাপী বার্থডে রেজওয়ান ভাই। নাগরিক কণ্ঠকে আরো উঁচুতে তুলে ধরুন এই কামনা রইল।
প্যাচপ্যাচে অন্ধগলি
অন্ধগলি বললেও ভুল হয়-
কেমন গুমট গন্ধ চারিদিকে
সিগারেটের ফিল্টার, পলিথিন ব্যাগ
ছেঁড়া কাগজ, কনডমের ছেঁড়া প্যাকেট ছড়ানো-ছিটানো
মাঝে মাঝে খিস্তি-খেউড় ভেসে আসছে কানে
দু' একটা অস্রাব গালিতে ঈশ্বর বেচারার কান লাল হয়ে যাচ্ছে
কিন্তু কি আর করা- তাকে চলতেই হবে
সামনে যে যিশুর মাতা
মরিয়ম, মা মেরী।
মনে হয় না এবার ঈশ্বর সফল হবেন
মরিয়মও নিঃস্তেজ
সে বুঝতে পারছে বড় কঠিন তা...
বন্ধুদের কাছে স্পেনের কথা শুনেছি আর রোদেলা, বন্ধুত্বপরায়ন আর মজাদার খাবারের দেশ হিসাবে সেখানে যাবার ইচ্ছাটা আরো প্রবল হয়েছে। গতবছর কি এক আগ্রহে ইউরোপে আরব শাসন নিয়ে কিছু বই পড়ে আন্দালুস নিয়েও একটা আগ্রহ জমে ওঠে। এই বসন্তে তাই দুইসপ্তাহ ছুটি নিয়ে চলে গেলাম স্পেনে।
স্পেন বড় দেশ। স্পেনিয়ার্ডেরা নিজের দেশে রেল আর হাইওয়েতেই বেশী চলাচল করে। ইউরোপের সবদেশের মত অধুনা স্পেনের জাতী...
[বেশ জবর একটা গ্রীষ্মনিদ্রা দিয়ে এলাম। মাঝে মাঝে কেবল উঁকি ঝুকি মেরে গেছি। এদিকে ঘুম ভাঙ্গার পরে দেখি লঙ্কাকান্ড। ভূতের উৎপাত দেখি ঘাড় থেকে মাথায় উঠেছে। আর তো চুপ করে থাকা গেল না। তাই আবার নামিয়ে ফেললাম গোটা কয় ভূতের চরণ। বছরের প্রথম (বাংলা ও ইংরেজি উভয়) নন্সেন্স]
[center]
আজ সকালে দরজা খুলে বাইরে গিয়ে দেখি,
দিন দুপুরে ভূতগুলো সব করছে সভা, একি!
মাইক নিয়ে চেঁচাচ্ছে কেউ, পাইক হাতে বর্শা,...
একসাথে অনেক কথা জমে গেলে শেষ পর্যন্ত আর্তনাদ বা ভেটকী ছাড়া কিছু বের হয় না। "জয়বাবা ফেলুনাথ"এ পড়েছিলাম লালমোহনবাবু "অ্যাঁ" আর "গেলুম" একসাথে বলতে গিয়ে বলেছিলেন "গ্যাঁ"।
সেই অক্টোবর থেকে হাত চলছে না টের পাচ্ছিলাম। বহু কসরৎ করে একেকটা চড়ুই পাখী সাইজের (এবং গুরুত্বের) পোস্ট নামছিল। মার্চ পর্যন্ত একরকম। এপ্রিলের শুরুতে সিজনের প্রথম ক্রিকেট খেলতে গেল...