স্কুল পালানো কিশোর
স্কুল পালিয়ে খেলতে যাওয়ার মুহূর্তে রতন তার বাবাকে দেখে অন্য একজন মহিলার সাথে রিকশায় চেপে কোথায় জানি যাচ্ছে, তার মুখে মৃদু হাসি ফুটে উঠে আর এই হাসির পেছনের কারণ অনুসন্ধান করলে জানা যায় এভাবেই স্কুল পালিয়ে যাওয়ার সময় সে তার মা'কে দেখেছিল অন্য কোনো পুরুষের সাথে এবং তখন তার মন খারাপ হয়েছিল আর এখন মন খারাপে কাটাকাটি হয়ে সে সাম্যবস্থায় উপনীত হয়ে তৎক্ষনাৎ সিগারেট ধরাতে কোনো ভুল করে না।
আজ দখিনের জানলা খুলেই দেখা গেলো
জোর বাতাসের পেখম ছুঁয়ে যাচ্ছে উড়ে
একটা চিরল গাছের পাতা সহজ সরল;
আজ দখিনের জানলা খুলেই মনে হলো
আজ সারাদিন বায়স্কোপের বাক্স খুলে
আসবে যাবে নিত্যনতুন ‘কি চমৎকার দেখা গেলো’!
আজ দখিনের জানলা খুলেই জেনে গেলাম
সূত্রধরের সুতো যত ধীরে ধীরে যাচ্ছে ভেসে
হরেক রঙের আটপৌরে এক রঙের ডানায়;
আজ দখিনের আকাশ এবং মেঘের সাথে
সকালবেলা ভাব-বিনিময় হতে হতে
নিজের স্কুল কলেজের দৌড়ঝাঁপ পেরিয়েছি বহদিন হল, তবু এখনও তৃষ্ণার্ত কাকের মত ছুটির দিনগুলোর জন্যে ক্যালেন্ডারের দিকে তাকানো ফুরলো না। ব্যস্ত নাগরিক হুড়োহুড়ির মাঝে ছুটির দিনগুলো বেশির ভাগ দিনই ঘুম ডে হয়ে যায়। পুজোর লম্বা ছুটি পেয়ে তাই বেশ আহ্লাদ হল। কিন্তু আয়েশ করে পায়েস খাবার দিন আর নেই। দুপুরবেলায় কাজ সেরে ল্যাপিটা নিয়ে বসতেই টিং টং বেল। গিয়ে দেখি আমাদের নতুন পড়শি দেখা করতে এসেছেন।
এই লোকটার সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল আশির দশকের শেষের দিকে।
সেই দশকটা ছিল আমার কৈশোরের দশক।