গেমটা প্রায় শেষ করে এনেছে হারামী।
এ তো আর এ্যাংরি বার্ডস বা পকেট ট্যাঙ্কস নয়, যে ফেসবুকের ফাঁকে ফাঁকে দু-চার মিনিট খেলে মিনিটের মজা লুটে নেব। এ হচ্ছে মিশন গেম। অনেকগুলো স্টেজ, অনেক অনেক শত্রু। সবগুলোকে শেষ করতে পারলে তবেই না বিজয় মুকুট ঘরে এসে ধরা দেবে।
…
(২৪১)
অন্ধবিশ্বাস কোন বিশ্বাস নয়, এতে যুক্তিবোধ নেই;
অন্ধভক্তও প্রকৃতপক্ষে ভক্ত নয়,
কারণ তাদের কোন বিবেচনাবোধ থাকে না।
ডিসেম্বর হচ্ছে বিজয়ের মাস, আবেগের মাস, বেদনার মাস, অহঙ্কারের মাস, ইতিহাস সৃষ্টির মাস।
[justify]পিচ্চিকালে গাছ থেকে বাদুড় ঝোলা দেখতে যাওয়া আমার অন্যতম পছন্দের কাজ ছিল ।প্রায় সন্ধ্যায় সেজ মামার হাত ধরে পদ্মা নদীর পাড়ে, শাহ্ মখদুম কলেজের ধারে যে বিশাল প্রাচীন বটগাছটা ছিল,সেখানে বাদুড় ঝোলা দেখতে যেতাম। সেইসব সন্ধ্যায় কালো কালো বাদুড়ের উল্টামুখো ঝুলে থাকা দেখে আমি খুব রোমাঞ্চিত হতাম। কি ভীষণ রহস্যময় মনে হত সেইসব সন্ধ্যাগুলো। তারপর একদিন একটা গল্প পড়লাম বাদুড়দের নিয়ে। একটি
প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস ফিরে আসল আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ে, ১৯৭১ সালের শেষের দিকে, বাবার বয়স তখন হয়ত ২২ ছুঁই ছুঁই, নাকি আরও কম, জমাদার কৃষকের ছেলে, লেখাপড়া করে গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হয়েছিলেন ( তখনো উচ্চ শিক্ষার্থে শহর অভিমুখে যাত্রা করেন নি), কিন্তু ১৯৭১এর সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা, অনেক অনেক বার বেঁচে গেছেন শত্রুর গুলী থেকে, যুদ্ধাহত প্রিয় বন্ধুকে পৌঁছে দিয়েছেন সীমান্তের অপর পারের হাসপাতা
"বিশ্বজিৎকে ছাত্রদল মেরেছে বস, খোঁজ নিয়ে দেখেন।"
"শুধু বিশ্বজিৎকে নিয়ে সবাই মাতছে কেন? ঐদিন তো আরো ৩জন মারা গেছে হরতালের সহিংসতায়। সুশীল/মানবতাবাদীরা শুধু বিশ্বজিৎকে নিয়ে পরে আছে কেন?"
"বিশ্বজিৎকে যারা মেরেছে তারা শিবির, ছাত্রলীগে ইনফিল্ট্রেট করেছে। ছাত্রলীগের বদনাম করতে।"
টুসটাস করে কি যেন ফুটছে। আরে সাথে একটা গান চলছে ‘পাল যুগে এ এ এ...পাল যুগে এ এ এ’। ঘুম ভেঙ্গে গেল। জানালা দিয়ে এক টুকরো রোদ এসে পড়ছে গায়ে। শীতের সকালের রোদ। তাকিয়ে দেখি আমার ছোট ভাই কোত্থেকে যেন সাইকেলের চাকা মোড়ানো থাকে যেই ছোট ছোট ফোটকাওয়ালা প্লাস্টিক দিয়ে, সেটা নিয়ে ফোটাচ্ছে আর সুর করে পড়ছে, ‘পাল যুগে এ এ এ...পাল যুগে এ এ এ’। আমি ডাক দিলাম, ‘নিষাদ, কি করছ!’ সাথে সাথে ভদ্র মানুষের মত
সে ছিলো অনেক আগের এক বসন্তকাল। তখন এক চওড়া নদীর তীরের ছোট্টো শহরে থাকতাম। বসন্ত এলেই চারিদিকে কেমন একটা উল্লাস জেগে উঠতো। প্রকৃতিতে আর মানুষের সদরে অন্দরে। শীতে সব চারিপাশ কেমন ধূসর আর নীরক্ত লাগতো, সব পত্রমোচী গাছেরা তখন পাতাহীন ন্যাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো। যেই না আকাশের দক্ষিণে হেলে পড়া সূর্য সরে আসতো অনেকটা উত্তরে, ফুরফুরে দক্ষিণা হাওয়া বইতে থাকতো, শীত বিদায় নিতো। রংবাহারী ফুলে আর মনোহর সবুজ কিশল