Archive - মার্চ 13, 2013 - ব্লগ

ম্যাজিকাল বার্সা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৩/০৩/২০১৩ - ১১:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবীর মানুষের স্মরণশক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে নাকি জানি না, তবে ধৈর্য্য যে কমে যাচ্ছে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। গত ১টি মাসের কথায় ধরুন না, অন্যগ্রহের ফুটবল খেলে যাচ্ছে যে দল গত ৪টি বছর ধরে তাদের গত ১ মাসের পারফরমেন্স দেখেই সবাই বলাবলি শুরু করলো ‘নাহ, শেষ। বার্সা যুগ শেষ’। এটাকে স্মরণশক্তির দূর্বলতা বলুন আর ধৈর্য্যের অভাবই বলুন একটা কিছুর অভাব যে আমাদের হচ্ছে সেটা আপনাকে মানতেই হবে। তবে কি আমাদের


দেশান্তরী উপাখ্যান- ছয়

শেখ জলিল এর ছবি
লিখেছেন শেখ জলিল (তারিখ: বুধ, ১৩/০৩/২০১৩ - ৯:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

''ধান থুইয়া পাট বুনলাম
বাইষ্যা আইলে তিল বুনলাম
এবার বড় কুষ্টার আমদানি-
বাড়িত যাইয়া কমু আমি
ভাত রানছোনি সুন্দরী?
তোমার জন্য খাইটা মরি
নইলে কী আর এতই হয়রানি!''


যে লিখছে সে তুমি, আমি নই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৩/০৩/২০১৩ - ৯:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তুমি দারাও এসে জানালার পাশে, সার্শীতে
তোমার গরম নিঃশ্বাসের ছাপ
আমার কবিতা লিখবার খাতা- গভীর রাত্রিতে
তারা জেগে উঠবে, বাড়বে নিলয়-অলিন্দের উত্তাপ।
কুয়াশা ফেরত শিশির কণায় লিখছে চোখের ভাষা-
ওভিদের প্রাচীন গ্রীক মনের বিশ্বাস,
আমার চিন্তায় ঘোর ট্র্যাজিক পরিণতি, আর সর্বনাশা
তোমার চোখে অগণিত কবির সর্বনাশ।
যে লিখছে সে তুমি, আমি নই, আমি নই এই পৃথিবীর,
আমি শুধুই রাতের অন্ধকার-


গীতি আরা নাসরীনের জন্য কুলদা রায়ের গল্প : মথি উদয়ের তারা

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৩/০৩/২০১৩ - ১১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সন্ধ্যার আগে বৃষ্টি হয়েছে। এখনো জলের গন্ধ আসছে।
মফস্বলের ছোটো একটি শহরের একপ্রান্তে টিনের ঘর। তার বারান্দার বসে আছে মথি উদয় ও হারাধন। এই দুজনকে পণ্ডিত স্যার বিশেষ স্নেহ করেন। একা মানুষ তিনি। স্কুল শেষে তার বাড়িতে এ রকম দুটি-একটি ছেলেকে পড়ান।


পুড়ে যাওয়া 'যাত্রাবাড়ি পরিবহন', বিক্ষত মানুষ এবং প্রশ্নবিদ্ধ ইসলামী দলসমূহ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ১৩/০৩/২০১৩ - ১০:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাবেয়া আখতারঃ
গার্মেন্টসের চাকরীটা চলে গেছে গতমাসে। জমানো টাকা প্রায় শেষ। নতুন এক জায়গায় চেষ্টা করছিল কদিন ধরে। আজকে যোগ দেবার কথা। ৩ বছরের ছোট ছেলেটাকে পাশের ঘরে রেখে বেরিয়েছিল। মাঝপথে বাসটা হঠাৎ চাকায় তীব্র আর্তনাদ করে থেমে গেল। বাসের উপর একের পর এক ইট এসে পড়তে লাগলো। যাত্রীরা আতংকিত। প্রাণ নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে। চালক জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়েছে। বাসের সবগুলো জানালা ভেঙ্গে ফেলেছে। ইটের আঘাতে বেশ কজন আহত। পেছনের জানালা ভেদ করে এটা ইটের টুকরো তার মাথায়ও এসে পড়লো। মাথা ফেটে রক্ত পড়ছে। বাসের মধ্যে আগুন দেখা গেল। কোনমতে লাফ দিয়ে পড়লো বাস থেকে। ফাটা মাথা নিয়ে আধখানা জীবন নিয়ে দৌড়ে পাশের ফুটপাতে হুমড়ি খেয়ে পড়লো। আর কিছু মনে নেই। রাবেয়ার ফাটা কপাল জোড়া লাগতে মাস খানেক লেগেছে। আসলে জোড়া লাগেনি। স্বামী পরিবার সহায়সম্বলহীন রাবেয়ার চাকরীটা পাওয়া হয়নি। মাথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে জমানো টাকা শেষ। ছেলেটার জন্য দুধ কেনা হয়নি এই এক মাস, আর কখনো কেনা হবে কিনা জানে না সে। জমানো টাকা শেষ হয়ে কর্জের শুরু। এরপর ভিক্ষা করতে হবে, নইলে শরীর বেচতে হবে। কোনটা সহজ রাবেয়া এখনো জানে না।


গ্রীক পুরাণের মহানায়কেরা - পর্ব ০১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৩/০৩/২০১৩ - ৫:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইচ্ছে ছিলো গ্রীক পুরাণের বীরদের নিয়ে একটা কাহিনীমালা লেখার। পুরানো বিষয়। বাংলা ব্লগের যাত্রা শুরু হয়েছে সাত বছর হলো, এখনো এই বিষয়ে কেউ কিছু লেখেন নি তা তো না। বরং এই বিষয়টা লেখালেখির মধ্যে শীর্ষেই থাকবে। সে থাকুকগে, আমি আমার মতন লিখবো। বলে তো দিলাম। এখন দেখা যাক আসলে আমি কত বড় যোদ্ধা। অলসতার সাথে লড়াইয়ে আমি জিতলেই কেবল এই লেখালেখি হতে পারে। তাহলে শুরু হয়ে যাক-


আসছে ২৬শে মার্চ!

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: বুধ, ১৩/০৩/২০১৩ - ৪:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিশু পালন একটা চব্বিশ ঘণ্টার কাজ। তার সাথে অন্য কোন কাজ করতে হলে চব্বিশ ঘণ্টায় আর কুলিয়ে উঠতে পারি না। মনে হয় দিনটি ৮৪ ঘণ্টার হলে ভাল হতো। বড়টাকে ঘুম পাড়িয়ে ভাত নিয়ে বসেছি। ছোটটা মায়ের দুধ খাচ্ছে। ফোন বাজছে। তাড়াতাড়ি ধরতে হবে, না হলে মেয়েটার ঘুম ভেঙ্গে যাবে। বাঁহাতের মুঠোয় ধরা কাঁচা লংকা টেবিলে রেখে ফোন ধরে বললাম; কায়সার বলছি...


ক্ষমা করবেন, মল্লিকা’দি

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: বুধ, ১৩/০৩/২০১৩ - ১২:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধু ধু শৈশব কেটেছে গ্রামে । বিশেষত্বহীন ছোট্ট একটি গ্রাম । সে গ্রামে ছিল বাড়ির পরে বাড়ি, স্বচ্ছ-তোয়া গভীর কালো জলে টইটুম্বুর পুকুর, উদার নীল আকাশ, মাঠের পরে মাঠ, খড়ের গাঁদা । গ্রামের সমান্তরালে বয়ে চলেছে শীতকালের শীর্ণ নদী । সেই নদীর ওপর গ্রামের এক মাত্র ইট সিমেন্টের স্থাপনা - পাকা ব্রিজ । শীতে যে নদীতে থাকে হাঁটু জল, বর্ষায় তার অন্য চেহারা । দুকূল ছাপিয়ে কখনও কখনও বাড়ির উঠোনে উঠে যায় নদীর জল । চৈত


হুতাশন সর্বত্র হুতাশন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৩/০৩/২০১৩ - ১২:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বসন্ত কাল। জ্বলন্ত হলুদে ঝলসে আছে প্রকৃতি। চারপাশে এতো হলুদ যে চোখ ঝাঁঝিয়ে যায়। কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে থাকা বন। হঠাৎই গাছে গাছে বিদ্রোহ শুরু হল। চারপাশ দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। হুতাশন, সর্বত্র হুতাশন। নাকে এসে পোড়া গন্ধ জ্বালা ধরায়। ধড়মড় করে জেগে উঠলেন রংবালা। ততক্ষণে আগুন স্নানঘর, রান্নাঘর ছাড়িয়ে পাশের ঘরের পূবদিকের আলমিড়া পর্যন্ত চলে এসেছে। স্বপ্ন ও জাগরণের দ্বিধান্বিত সাঁকো পার হতে কয়েক সেকেন্ড সময়