বাইরের দুনিয়াটাকে দরজার বাইরেই আটকে রাখা খুব কঠিন একটা কাজ। বিশেষ করে আজকালকার এই ইন্টারনেট, অনলাইন মিডিয়া, সামাজিক নেটওয়ার্কিং এর যুগে। আপনি না চাইলেও নাছোড়বান্দা দুনিয়াটা ঠিকই আপনার দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করবে। এড়িয়ে যেতে চাইলেও পারবেন না। দরজাটা একটু ফাঁক করামাত্রই প্রথমে মাথা, তারপরে গলা, তারপরে কাঁধ গলিয়ে আপনাকে বলতে গেলে ধাক্কা দিয়েই ঘরে ঢুকে পড়বে। তারপরে কোনকিছুর তোয়াক্কা না করেই আপনার প
আজকে ভোর থেকে একটু একটু মন খারাপ।
দিন এগিয়ে যায়, সাথে সাথে মন খারাপ ভাবটা আরো বাড়ে। খবর শুনি। খবর দেখি। খবর পড়ি। ফোনে কথা বলি। মন খারাপ ভাবটা আরো জেঁকে বসে। বন্ধুকে জিজ্ঞেস করি - কি অবস্থা বাড়ির, সবাই ঠিকঠাক আছে তো। সে আশ্বস্ত করে- এখনো পর্যন্ত সব ঠিকই আছে। আমাদের দিকে কোন ঝামেলা নাই। আর ওইদিকে আমাদের আত্মীয়স্বজনও খুব বেশি নাই।
তা হবে। ওরা পয়সাওয়ালা। পড়ালেখাওয়ালা। গ্রীনকার্ডওয়ালা।
অনেক দিন পরে এইবারের ঈদের লম্বা ছুটিটা হাসপাতালের বাইরে কাটাচ্ছি।
গত দুই বছরের বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছি হাসপাতালে।
না, প্রিয় পাঠক। এই কথাটা শুনে আপনাদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই, আমি পেশেন্ট হিসেবে কখনো হাসপাতালে থাকি নাই, ফরচুনেটলি। বেশ কয়েকবার হাত পা ভাঙ্গলেও হাসপাতালে রোগি হিসেবে থাকার দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্য যাই বলেন, এখনো হয়ে ওঠে নাই। আপনাদের উল্টোদিক থেকে ব্যপারটা একটু চিন্তা করতে হবে আরকি।
অনেক অনেক দিন আগে ফেলে আসা কৈশোরের সবচে' মধুর স্মৃতি হলো- আকাশ কালো। প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়ছে। বিশ্বচরাচর ঝাপসা শাদা হয়ে বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে, আর আমি আয়রন মেইডেন এর গান শুনছি। এই স্মৃতির সাথে যোগ করা যেতে পারে আমার তৎকালীন ফেভারিট হলদে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে থাকা, আর খিচুড়ি প্লাস আচার প্লাস ডিমভাজা খাওয়া। উইথ আ লার্জ ড্যাব অফ টমাটো সস
আমার সাথে আমার বাল্যবন্ধু সুকুমারের একমাত্র ছেলে, প্রিয় ভাতিজা সইত্যজিতের অনেক মিল আছে।
সে ছিলো পাশ্চাত্য সংগীতের অনুরাগী, আমিও।
ওর সাহিত্যপাঠের শুরু ইংরিজি সাহিত্য দিয়ে, আমারও তাই।
সে প্রথম জীবনে ইংরিজিতে লেখালেখি করতো, আমিও তাই করতাম।
সে পিচ্চিকালেই ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লিখেছিলো, আমিও লিখেছিলাম একখানা।
সে বইয়ের কাভার ডিজাইন করতো, আমি ম্যাগজিনের কাভার ডিজাইন করেছি।
সাফি'র আজকের দিনটি কেমন যাবে পড়তে পড়তে এই ঘটনার কথা মনে পড়লো। তাই ভাবলাম এইবেলা এইটা লিখেই ফেলি।![]()
মাসখানিক আগে ছোটভাইয়ের কল্যানে একটা কিন্ডল হাতে আসায় পড়ার নেশাটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে তাই অবসর সময়ে নিউক্লিয়ার অস্ত্র দিয়ে শহরজনপদ ধ্বংস করার আর ওয়াশিংটন ডিসিতে বায়োলজিকাল হামলার কাজ মুলতবি রেখে শুধুই পড়ছি। সিরিয়াস কিছু না, কমফোর্ট রিডিং যাকে বলে। পুরোনো সব সাইন্স ফিকশান আর ভূতের গপ্পো। তো এই গল্পটা পড়তে পড়তে মনে হলো এইটাকে কনটেমপরারি সময়ে ঢাকার পটভূমিতে এনে ফেলতে পারলে
ওইরকম খুব একটা টিভি দেখা হয়না। দেখা হলেও শুধু ক্রিকেট আর ট্রাভেল শো গুলো। আমার এখনকার ফেভারিট চ্যানেল হচ্ছে ফক্স ট্রাভেলার। সুযোগ পেলেই রিমোট গুঁতিয়ে গুঁতিয়ে ওইখানেই আটকানো হয়। বিকেলবেলা দেখলাম আফগানিস্তান। পোলো, ঘুড়ি ওড়ানো আর আফগান বাজার। আর একটু আগেই দেখি আরেকটা ভালো প্রোগ্রাম- 'দ্য রোড লেস ট্রাভেলড' দেখাচ্ছে। এক ব্যাটা মরক্কোতে ইতস্তত নষ্টভ্রষ্ট হয়ে ঘুরোঘুরি করছে। অ্যাটলাস পর্বত থেকে সাহারা।