-১. ধন্যবাদ প্রস্তাব
লিখতে ঢুকেই খেয়ালরসের বাবা, আর রক্তসম্পর্কে আধুনিক বাংলা চলচ্চিত্রের দাদাস্থানীয়, বহুমুখী সমবায় সমিতি প্রতিভা সুকুমার রায়বাবু'র ওপর ব্যানার দেখে অনেক ভালো লাগছে। জয় গুরু!
আর, সচল-মডারেটরদেরকে (বিশেষ ক'রে হিমুকে) তেলছাড়া তাওয়ায়-ভাজা পাঁচটা সাধুবাদ এবং ধন্যবাদ ।
০. ভনিতা/কৈফিয়ত
শুনতে কারো কাছে অতিআদর্শবাদী, অতিশুদ্ধবাদী, আদিখ্যেতা এমনকি ন্যাকামোও মন...
ভদ্রলোকের সাথে আমার পরিচয় বহুকাল। ১টা বেশ বড়সড় সিরিয়াস লেখা দিবো ভেবে বসলাম, শেষে বের হলো এই পুরানো ফটোগ্রাফ!
আমি আর তাতা বাবু!
[justify]
সুকুমার রায় আরো অনেকের মতো আমার শৈশবের একটা অংশ দখল করে বসে আছেন। শৈশব উত্তীর্ণ হবার পর একমাত্র বেরসিকরাই সেই দখলের পাট্টা ওপড়ানোর সামর্থ্য রাখেন। আমি পারিনি।
আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত লাল ডিমাই সাইজের (নাকি ডাবল ডিমাই?) সেই সমগ্র শিশু সাহিত্য আমার হাতে পড়ে মাজার জোর হারিয়ে খণ্ডবিখণ্ড হয়েছে কয়েকবার। শেষবারের মতো গুঁড়ো গুঁড়ো করার পর আমার ভাই রেগেমেগে একটা হার্ড কাভ...
মস্ত বড় সাদা মাকানটার দক্ষিণের জীর্ণ দেয়ালটা সর্প জালির মত শেওলার সবুজ কালিতে ছাপানো। নিজেদের বাড়িটা দিকে তাকাতেই রেনুর বাবার কথা মনে পড়ে যায়, বাবা বলেছিল ঐ দক্ষিণে কী যেন এক সাগর আছে ঐখান থেকে মেঘেরা আসে, তাই দক্ষিণের দেয়ালেই সব জল ঢেলে দেয়; মানুষ বৃক্ষের মত স্থির হলে নাকি মানুষেরও দক্ষিণ দিকে শেওলা জমে যেত! মেঘেরা নাকি আরও অনেক দক্ষিণে এক জাদুর পাহাড়ে জন্মায়। ঐ পাহাড়ে কেউ যেতে ...
যৌবন রোমাঞ্চ সব নিঃশেষিত হয়
আমার বয়ানভার তবু নিষ্কম্প রয়
থরথর কাঁপনের দিবানিশি গান সমাপন
তোমার চোখের ভিতর দেখি ভূতপূর্ব সেই সম্মোহন।।
রাত গাঢ়তর হয়, প্রেম তো আরাধ্য নয়
ঘৃণার মতন ঘুরে সহবাস বিস্মৃত হই,
অর্বুদ নিযুত সুখ আবরণে হীন করে
আভরণে দিতে পারে যন্ত্রণার নাড়া।
কার্পাস বীজে তুলো মেঘে সংবাহন
উড্ডীয়মান ঘুড়ি বেপথেই তবে হাতছাড়া।।
দ্বাদশ কি বিংশতি, বছর কি মাস
সময়ে কী তুচ্ছ লা...
[justify]
১. ভূমিকাঃ
নিজের মাপের কিছুর বাইরে যেতে গেলেই নাকি শুরুতে নিজের কিছু গুণগান করতে হয়। প্রচুর উদাহরণ ছড়িয়ে আছে আশে-পাশে। টক শো থেকে বিয়ের বায়োডাটা পর্যন্ত সর্বত্র এই সত্য প্রযোজ্য। কোনো জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে নামের আগে-পরে অনেক রকম তকমা লাগাতে হয়। ডক্টর, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এমএস, এমফিল, পিএইচডি, অ্যাডভোকেট, অধ্যক্ষ, মাস্টার, উপাধ্যক্ষ, কী নেই এই ঝুলিতে!
এই লেখ...
বেশ কয়েকদিন টানা কান্নাকাটির পর্ব শেষ করে সব যখন একটু থিতিয়ে আসছে তখনই একটা ঝামেলা পাকিয়ে বসে মফিজ। ব্যাপারটা তেমন কিছু না। ভরপুর গাঁজা খেয়ে, নিজের হাড় পাজড়া বের হওয়া দেহটাকে টানতে টানতে ঘরে ঢুকিয়েই, দরজা খোলা রেখে বৌকে জড়িয়ে ধরেছিলো হাড়সর্বস্য হাত দুটো দিয়ে। এ পর্যন্ত সবই মোটামুটি ঠিক ছিলো। উপোসী কুলসুমেরও যে অনিচ্ছা ছিলো তাও না। কিন্তু আবেগের আতিশয্যে সে যখন হঠাত বলে বসে,
...
রান্না ব্যাপারটাকে আমি শিল্পের পর্যায়ে না নিয়ে যেতে পারলেও, সেই রান্না যে আমি মোটামোটি স্বাভাবিক জীবনধারনের উপযোগি করে তুলে ফেলতে পারি, এটা আমি দ্রিপ্ত গলায় দাবি করি। এ দেশে (Canada) রন্ধনকর্ম-টা নারী-পুরুষের সীমারেখায় আটকানো নয়। এখানে বিশাল বাজারের অসংখ্য টকিটাকি, হাবিজাবি জিনিস জোড়াতালি দিয়ে লাগিয়ে খাওয়ার উপোযুগি কিছু একটা নিমিষেই তৈরি করে ফেলা যায়। যার জন্য রসনাবিলাসে কালক্ষ...
আরদেশ নদীর মোহনী বাঁক থেকে ভুমধ্যসাগরের নীল জল একশো আশি কিলোমিটারের পথ। ভুমধ্যসাগরের তীরে Cap de Agde ট্যুরিষ্টদের স্বর্গ। সমুদ্রপারের একটি বাংলো ভাড়া করেছিলাম আগেই। নেভিগেশনের কল্যানে সেটি খুঁজে পেতেও তেমন দেরী হলোনা। এবার একটি সপ্তাহ্ বিশ্রামের পালা। আবহাওয়া সদয় থাকলে সমুদ্রে সাঁতার আর পারে শুয়ে বসে সময় কাটবে, যদি উল্টোটি হয়, তাহলে কাছাকাছি শহরগুলো ঘুরে দেখা হবে। বাংলোতে রান্...
টিউবর্গ ও ড্রিংক ইন্ডিয়া
------------------
তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে ক'দিন। ক'দিন হলো? দু-তিন হবে বোধ হয়। হুঁ। পরশুর আগের দিন মানে তরশু দুপুর থেকে হু হু বাতাস। ঠান্ডা। শিরশিরে। তারপর বোধ হয় রাত থেকে শুরু হল। পরদিন ভোররাতে সে চলে যাবে। চেষ্টা করেও তাড়াতাড়ি ঘুমুনো গেল না। ড্রিংক ইন্ডিয়া, টিউবর্গ আর শুভজিত। এগারোটা বেজে গেলে আমাদের গেটে তালা পড়ে যায় মাসুদ-কাঁকনের বাড়ির মত। এখানে কোনো সাগর নেই, যার ব...