বছর পুরে গেল ঘরবন্দী জীবন। গত বছর মার্চের ১২ তারিখ বিষ্যুদবার আপিস থেকে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ডিক্সি রোডে পিড়িং করে ফোনে নোটিফিকেশন আসে এইচ আর থেকে। ঘরে এসে গাড়ি পার্ক করে চিঠি পড়ে দেখি কর্তাবিবির হুকুম পরদিন থেকে আপিস যাওয়ার দরকার নাই। দালান বন্ধ। দুই তিন সপ্তাহ পরে তারা আশা করছেন সকলই খুলে দেয়া হবে আর আমরা অন্তত আমাদের ডেস্কের জিনিসপাতি নিয়ে আসতে পারব। সেই তিন সপ্তা বেড়ে হল এক বছর, কবে আবার আপিসে ফিরত যেতে পারব কে জানে। মগে অল্প কফি রয়ে গিয়েছিল মনে হয়, কেউ কি সেটা ফেলে দিয়েছে? না ফেলে থাকলে হ্যাযম্যাট জামা পরে মগ উদ্ধার অভিযানে নামতে হবে এনশাল্লা।
বাসায় বসে কাজ করা বয়াম থেকে মুড়ি খাওয়ার মত। ঠিক কখন থামতে হবে ধরা কঠিন। আমি পিঠোপিঠি নানাবিধ মিটিঙের পরে বিকালে বসে দিনের নানা টুকে নেয়া নোট জড়ো করে কাজ করতে করতে দেখি একটা নীল ঝুঁটিওলা পাখি বসে জানালায়। ঠাণ্ডা কমে যাচ্ছে তাহলে। হেলান দিয়ে ভাবি পাখিটার মত বাইরে একটা চক্কর দিয়ে আসি। নাকি ইব্রাহীম আদিল শা’র নওরাসপুর নিয়ে আধা ফিনিস লেখাটা ধরব? দোনোমোনো করে বরঞ্চ বসি হিমু ভাইয়ের নতুন উপন্যাস আগুনি পড়তে।
[ভূমিকা: সব অনুবাদের ভূমিকা লাগে না। কিন্তু এই অনুবাদটির পেছনে একটি গল্প আছে। আমি কেন এই অনুবাদটি করতে গেলাম? বাংলাদেশে মার্কেজ খুব জনপ্রিয় একজন লেখক। সম্ভবত বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশী অনুবাদ হয়েছে মার্কেজের গল্প উপন্যাস। বাংলা অনুবাদের অবস্থা তেমন সুবিধার না বলে আমি বহুকাল বাংলা অনুবাদ পড়ি না। সত্যি বলতে গেলে সেই কৈশোর থেকে সেবা প্রকাশনী ছাড়া অন্য কারো বাংলা অনুবাদে আমি স্বস্তি পাইনি। কিছুকাল আগে আমি মার্কেজের ছোটগল্প নিয়ে একটা কাজ করি। হাতের নাগালে থাকা বাংলা অনুবাদগুলো পড়ে ইংরেজি অনুবাদের সাথে মেলাতে বসি। যেহেতু স্পেনিশ ভাষা জানি না তাই ইংরেজিটাই আমার কাছে মূল গল্পের ভিত্তি। কাজ করতে গিয়ে 'গল্পপাঠ' ওয়েবজিনে বেশ কয়েক জনের অনুবাদ পড়ার পর আমি খুব হতাশ হয়ে পড়লাম। তারপর খোঁজ নিয়ে জানলাম বাংলা ভাষায় মার্কেজের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুবাদক অমিতাভ রায়। কলকাতার দে'জ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অনুদিত 'মার্কেজের গল্পসমগ্র'। বইটা সংগ্রহ করার পর ভাবলাম এবার হয়তো কিছুটা উন্নত অনুবাদের দেখা মেলবে।
আমি উঠে প্রবল অবিশ্বাসে আমাদের চুল, বালিশ, পোশাক শুঁকে শুঁকে দেখি
একান্ত নীরবতায় আমার বিস্ময়, বিহ্বলতা কাটিয়ে
ঘ্রাণটা কিসের, তাই ভাবি!
জানালার গাছ, পাতার গন্ধ, ফুলের গন্ধ নয়
কী নাম দেব সেই ঘ্রাণ, কী হতে পারে বন
ঘুমের ভেতর এ কোন ঘ্রাণের স্বপ্ন আরণ্যক?
উর্বর মাটি? মাটিরই মতো- কিন্তু মাটিও না,
গাছের কটিতে ঘর বাঁধা কোনো পাখির কচি পালক?
নিষ্প্রাণ কোনো শরীর?
অমিতাভকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না
করবী মালাকার
প্রসঙ্গ ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানি:
গরল নামো কলম বেয়ে
এবার আমায় মুক্ত করো।
পিঠভাঙা এক বিষের পাথর
বইছি আমি বিষণ্ণতায়
আজ সিসিফাস।
আগের জন্মে হয়তো ছিলাম নোতরদামের কুঁজো।
দিন সাতেকের না আঁচড়ানো চুলের জটা
মেঘ ভেবে যেই ভুল করেছি
হাত পেতেছি মেঘের কাছে
বৃষ্টি নামুক
বৃষ্টি নামুক।
মেঘগলা জল গরল ধুয়ে
এবার আমায় মুক্ত করো।
তুষার ঝড়ে প্রায় পুরো আমেরিকা এই সপ্তাহে বিপর্যস্ত- তুষারের ছোবল যেন টেক্সাসেরও দক্ষিণ পর্যন্ত নেমে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে, এমন ঘটনা বিরল মনে হলেও অস্বাভাবিক নয়। আমরা ইদানিং পোলার ভরটেক্সের নাম বেশ শুনে আসছি এবং আবহাওয়াবিদরা বলছেন পোলার ভরটেক্স কলাপ্স করার কারণে আর্কটিক আবহাওয়া এত নিচে নেমে এসেছে। কিন্তু এই পোলার ভরটেক্স ব্যাপারটা কী বা উত্তর মেরুর আবহাওয়া এত নিচে নেমে আসারই কারণ কী?
ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা ভাষা নিয়ে গণমাধ্যমে লেখা আর কথার স্রোত আসে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার হ্যান এবং সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ত্যান করতে হবে বলে গুণীজন১ এ মাসে অনেক উপদেশ, পরামর্শ আর হাহাকার উপহার দেন আমাদের। মার্চের এক তারিখে বাংলা ভাষা নিয়ে কথাবার্তাগুলো রোদে শুকিয়ে ন্যাপথলিন দিয়ে আবার তোরঙ্গে তুলে রাখা হয়, পরের বছরের জানুয়ারির তিরিশ-একতিরিশ তারিখ ফের বের করে রোদে দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের ঠ্যাকা কাজ চালানোর জন্য। ফেব্রুয়ারি তাই এক অর্থে বাঙালির ভাষা-রমযান। আমার ইচ্ছা ছিলো ফেব্রুয়ারি বাদে বাকি এগারো মাস বাংলা ভাষার টুকিটাকি নিয়ে একজন আগ্রহী চর্চক হিসেবে ঘ্যানঘ্যান করার, কিন্তু বিধি বাম।
কবি ঝুলেখা ঠাকুর সনে কোথা পরিচয়
এ ফিযুল প্রশ্ন করে খেয়ে দিয়ো না তোমরা সময় আমার।
পুরুষ কবির টানে মহিলা কবিরা
সততই চলে আসে দূর হতে কাছে
গ্রেবিঠির টান দিয়ে নিউটন যেইরূপে গাছ হতে আপেল পাড়িত।
সেইরূপে ঝুলেখা ঠাকুর এসে ঠাঁই নেই মম হটসাপে।
হিংস্র পত্নী হোসনে আরা ভাতরুমে ঝর্ণাটি ছেড়ে যেই মাতিল গোসলে
অমনি করিনু আমি হটসাপ ঝুলেখা ঠাকুরে
কবিতার ঘেনঘেন বাদ দিয়া বলি তারে সরাসরি, ওগো শুনছো?