চারটি অসমীয়া লোককথা। চারজনের মায়ের গল্প। সেখানে একজন হিংসুটে লোভী মা। আরেকজন এক চালতার মা। এক মায়ের শুধুই কোলখালি হয়। আরেক রাক্ষসী কখনো চায়নি মা হতে। কিছু অন্ধকার কিছু অদ্ভুত রসের গল্প। অসমীয়া ভাষার বিখ্যাত সাহিত্যিক লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার "বুঢ়ী আইৰ সাধু" (বুড়ি আইর সাধু) থেকে চারটি গল্পকে আশ্রয় করে চলচ্চিত্রখানি নির্মিত। "সাধুকথা" আমাদের ভাষায় রূপকথার সমার্থক। "বুঢ়ী আইর সাধু" হল গিয়ে কিনা আমাদের ঠাকুরমার ঝুলি।
দুবাই এয়ারপোর্টে সময় কাটানো তেমন কোন কঠিন ব্যাপার না, কিন্তু রফিকের ব্যাপার আলাদা। সুদৃশ্য দোকান গুলোয় ঢুঁ মারার ইচ্ছে তার কখনোই হয়না। চারপাশে দেশবিদেশের নানা রকম মানুষের শশব্যস্ত দৌড়াদৌড়ি দেখেও অনেকের বেশ সময় কেটে যায়, রফিকের সেটাও ভাল লাগেনা। কোন লাউঞ্জে বসে রাজকীয় ডিনার কিংবা স্টারবাকসে বসে কফি খাওয়াতেও কোন আগ্রহ পায়না, একটা সময়ে বুকশপে বই হাতাতে মন্দ লাগত না, আজকাল সেটাও ভাল লাগেনা। বুড়ো হয়ে য
আমরা যদি একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে জীববিজ্ঞানকে পর্যালোচনা করি তাহলে দেখবো, আসলে এর মূল উপজীব্য বিষয় হচ্ছে ইনফরমেশন বা তথ্য। তবে আজকের দিনে শুধু জীববিজ্ঞানেই নয় তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা, এমনকি কোয়ান্টাম মেকানিক্স-এরও মূল উপজীব্য বিষয় হতে শুরু করেছে তথ্য - কিউবিটস। কিন্তু জীববিজ্ঞান পদার্থবিদ্যা থেকে একটু ভিন্ন ধরনের তথ্য নিয়ে কাজ করে যাকে বলা হয় - এলগরিদমিক তথ্য - বিজ্ঞানীরা যখন বলেন ডিএনএ একটা কম্পিউটার প্রোগ্রামের মত, যখন এভো-ডেভো (এভোলিউশনারী ডেভেলপমেন্টার বায়োলজি) ভ্রূনের ক্রমবিকাশে ডিএনএ প্রোগ্রামের বর্ণনা দেয়, সেটা এক প্রকার এলগরিদমিক তথ্যের কথাই বলে।
সচলায়তনের অতিথি সচল প্রৌঢ় ভাবনা আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তাঁর লেখা আর মন্তব্য সচলায়তনের পাতায় ব্যথার স্মারক হয়ে রয়ে গেলো। বিদায়, কবির ভাই। সচলায়তন পরিবার আপনাকে হারিয়ে ক্ষীণ হলো।
মোগল সাম্রাজ্যের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট বাবুর বাদশার জানপহেচান নেতা ছিলেন তার পূর্বপুরুষ আমীর তৈমুর। তৈমুর সমরখন্দে রাজধানী করেছিলেন, তাই বাবুর বাদশারও স্বপ্ন ছিল সমরখন্দ চেপে বসার। তৈমুর দিল্লীজয় করে ফিরে গিয়েছিলেন তাই বাবুরেরও শখ ছিল দিল্লী লুটে ফের সমরখন্দ বুখারায় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরত যাবেন। কিন্তু ম্যান প্রপোজেস গড ডিজপোজেস। সমরখন্দ থেকে সেইযে জুয়ানকালে চড় খেয়ে কাবুল পালাতে হয়েছিল আর ফিরে যাওয়া হয়নি। বাকী জীবন সমরখন্দ জয়ের টাকা ও সিপাই জড়ো করার উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষে নানাবিধ যুদ্ধমুদ্ধ করতে করতে আঁৎকা অক্কা পেয়ে কাবুলে ঘুম গেলেন বাবুর। রেস্টিনপীস।
ফাস্ট ফরোয়ার্ড সোয়াশো বছর। নাতির নাতি শাজাহানের আমল। কাবুল তখন মোগল সাম্রাজ্যের পশ্চিম সীমান্ত, সেখান হতে তিনি পুলা মুরাদ বখশকে আরো পচ্চিমে বলখের দিকে পাঠালেন অভিযানে, রিজার্ভ ফোর্স নিয়ে তৈয়ার ছিল আরেক পুলা আওরঙ্গজেব। অপারেশন সমরখন্দ।
বুড়াদাদা বাবুরের স্বপ্নপুরুষ, আমীর তৈমুরের রাজধানী সমরখন্দ। হাঁটু চাপড়ে শাজাহান কইলেন রাজা বানকে আনা রে। ফির না জানা রে। ছম ছমা ছম ছম।
যুক্তরাজ্যের এবারের জাতীয় নির্বাচন অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। এই নির্বাচন যুক্তরাজ্যের রাজনীতির ধারাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। যদিও ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করেই প্রাক-নির্বাচন প্রচার এবং মেরুকরন আবর্তিত হয়েছিল, নির্বাচনের ফলাফল থেকে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আমি নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতির কিছু ব্যাখ্যা এবং বিশ
মশানে : প্রথম পর্ব
রাত্রির তৃতীয় প্রহর। নিস্তব্ধ চারিধার। কিয়ৎক্ষণ পূর্বেও শূলাবিদ্ধদিগের কাতর আর্তনাদ, আত্মীয়াদির চিৎকার আর শৃগাল শকুনীদের মড়া আধমড়া লইয়া টানাটানিতে বধ্যভূমি নারকীয় হইয়া ছিল। নিকটবর্তী শ্মশান হইতে চিতার কাষ্ঠ বিদীর্ণ হইবার শব্দ শোনা যাইতেছিল। এখন প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে স্তব্ধ। হয়তো অন্যান্য দণ্ডীদিগের মৃত্যু হইয়াছে। শবদাহ করিয়া বাড়ির পথ ধরিয়াছে শ্মশানবন্ধু সকল। শৃগাল শকুনীরাও সরিয়া পড়িয়াছে নিজ নিজ ক্ষুন্নিবারণ শেষে। কিন্তু চমরবাল এখনো মরে নাই। তার প্রাণবায়ু এখনো দেহ হইতে নির্গত হয় নাই। আশ্চর্য হইয়া অনেকক্ষণ ধরিয়া তাহাই দেখিতেছিল বুঝি এক শিবা, এক্ষণে সেও সরিয়া পড়িল। নড়িল না শুধু মশাল হাতে এক যুবক। চমরবাল অস্ফুটে কী জানি কহিতে চাহিলো, বোঝা গেল না। হয়তো আকুতি, হয়তো বা তার তীব্র যন্ত্রণার প্রকাশ।
বিদায়, অধ্যাপক অজয় রায়। (ছবি কৃতজ্ঞতাঃ bdnews24ডটকম)
[justify]সন্ধ্যা সাতটা পেরুতেই বাসটা একরাশ ধুলো আর কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে যশোর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঘেরপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিল। বাসের নামটা এতক্ষন তারেক সাহেবের চোখে পড়েনি। ড্রাইভারের সামনে একদম সামনের আসনে বসার কারনে সামনের কাঁচের উপরে লেখা নামটা চোখে পড়ল, “বাঘেরপাড়া ভি আই পি এক্সপ্রেস”। দেখেই তিনি মনে মনে মুচকি হাসলেন। এই বুঝি ভি আই পি বাসের অবস্থা, তার উপর আবার এক্সপ্রেস!