ফেরা

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: শনি, ২৪/১০/২০০৯ - ১:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকে সকালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের উত্তর দিকের গেটে দাঁড়িয়ে আছি, মেজাজ প্রচন্ডরকমের খারাপ করে। পাশের ফ্ল্যাটের আঙ্কেলের সিগারেট জর্জরিত হৃদযন্ত্র সামান্য প্রতিবাদ করায় কাল রাতে তিনি এখানের ইমার্জেন্সিতে তশরিফ এনেছেন, এতে অবশ্য আমারও সামান্য প্র্ররোচনা ছিলো। উনি প্রায়ই এইরকম বুকে ব্যথার কথা বলেন, তাই কাল রাতে আর কোন ঝুঁকির মধ্যে যাইনি। একেবারে ভর্তি করিয়ে তবে ফেরত আসা। বুড়ো এবারো বেশ অবাক করলেন- শুধু গ্যাসের প্রবলেম, ইসিজি করে দেখা গেলো হার্টের অবস্থা আমারটার থেকেও ভালো। এজন্য শুক্রবারের সকালের ঘুম নষ্ট করে আবারও হাসপাতালে সামাজিকতা দেখাতে যাওয়ার কোন অর্থ আমি দেখি না। তবে জগত অনেক নিষ্ঠুর, আমার স্নেহময়ী মা আরেকটু বেশি- অপশন দিলেন, হয় তোমার চাচার খোঁজখবর নিয়ে আসো- নাহলে বাজারে যাও, আর কতদিন এইরকম গায়ে বাতাস লাগায় বেড়াবা? …

রোদে পিঠ দিয়ে তাকিয়ে আছি মিরপুর রোডে, ভাবছি বাসে ফেরত না গিয়ে পুরোনো দিনের মত একটা রিকশাভ্রমন করে ফেলা্ উচিত কি না। এমন সময় হাসপাতালের ঠিক উল্টোপাশে আমার ‘জন্মসড়ক’ বাবর রোডের দিকে চোখ চলে গেলো। আর সেইরকম নেই রাস্তাটা- কেমন একটা ঘিঞ্জি ভাব চলে এসেছে, তখনি খেয়াল করলাম দূরের কৃষ্ণচূড়া গাছটা- আর এই গাছটাই এক ধাক্কায় আমাকে আমার শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো। আলোকিত, মায়াবি সেইসব দিনে।

গাছটার নীচে এক বিহারী নাপিত বসতো- হারুন নাম। মাসে একবার বাসায় এসে আমার চুল কেটে দিয়ে যেত। কাটা না বলে মাথা কামানোই বলা উচিত- এক্সট্রিম কদম ছাঁট, তবে আমি এখন মনে করি ভয়ঙ্কর বাটি ছাঁটের থেকে সেটা অনেক বেশি সভ্য ছিলো। মা একটা পুরনো খবরের কাগজের মাঝখানে ফুটো করে তার মধ্যে আমার মুন্ডুটা ঢুকিয়ে দিতেন। তারপরে হারুন কি জানি একটা দোয়া পড়ে একবার হাতের কাঁচিতে আরেকবার আমার মুন্ডুতে ফুঁ দিয়ে তার কাজ শুরু করতো। ঠিক এইরকমি একটা জিনিস দেখি প্রায় বছর কুড়ি পরে- এক প্রখ্যাত নিউরোসার্জন অপারেশন শুরু করার আগে পেশেন্টের মুন্ডুতে দোয়া পড়ে ফুঁ দিচ্ছেন! বাড়ির দুইটা গ্যারাজের একটা ভাড়া দেয়া হয়েছিলো বাতেন নামে এক ভদ্রলোককে, একটা মুদির দোকান চালাতেন তিনি। আমার অতিপ্রিয় একটা কাজ ছিলো পেছনের ছোট দরজাটা দিয়ে ঢুকে দরকারী জিনিসপত্র, যেমন চকলেট, রিংচিপস, আচার কেনার ভাংতি পয়সা- এইসব নিয়ে আসা।

বিরানব্বইয়ে বাবর রোড ছেড়ে আসি, এরপর আর একদিনও সেই রাস্তায় ফিরে যাওয়া হয়নি।

কৈশোরের অনেকখানি সময় কেটেছে বরিশালে- ছায়াভরা শান্ত একটা শহর। বিশাল বিশাল রেইনট্রি গাছ আছন্ন পথ ধরে হাঁটার সময় ভাবতাম এত সুন্দর রাস্তাও আছে নাকি দুনিয়াতে! আর বরিশালের বর্ষা! কয়েকটা জীবন বেঁচে থাকা দরকার শুধু বরিশালের বৃষ্টির দিনগুলো নিয়ে লেখার জন্য। আর স্বাধীনতা, দশ বছরের একটা ছেলের আর কি দরকার এরকম একটা স্কুল ছাড়া- যেখানে অসাধারন একটা লাইব্রেরি আছে, যেখানে দেড়শ বছরের পুরনো নোনাধরা দালানে হুটোপাটি করা যায়, যেখানে শিক্ষকরা সবকিছুই নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন- গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পঞ্চতন্ত্র- শুধু ছাত্রদের পড়ালেখার ব্যপারটা বাদে। এক শিক্ষক এখনও বিশ্বাস করেন না যে চাঁদে মানুষ গেছে- আরেকজন আবার জটাধারী তন্ত্রসাধক, ছেলেমহলে জোর গুজব উনি নাকি শবসাধনাও করেন! সবচে’ বড় ব্যপার- স্কুলে জুতা পরতে হয় না! জানিনা স্বর্গেও এইরকম সুবিধা আছে নাকি। রোলকলের পরই জানালা দিয়ে দে ছুট- বুড়োগুলা ধরতে পারলে তো? স্কুলব্যাগে সত্যজিতের ‘আরো বারো’ আবিষ্কার ক্লাশটিচার বঙ্কিমবাবুর শাস্তি- দশ পাতা হাতের লেখা- কুড়ি মিনিটে শেষ- যদিও দশ পাতায় তিন রকম হাতের লেখা ছিলো! পরদিন ‘বেঁকু’র আবারো কিছু একটা আবিষ্কার – আবারো একই শাস্তি- আবারো আমরা সেই তিনজন।

তরুন লাইব্রেরীতে তিন গোয়েন্দার নতুন বইয়ের খোঁজ, ব্যাপটিস্ট চার্চের কবরখানায় আসলেই ভ্যাম্পায়ার ছিলো কি না এই নিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্তকমিটি গঠন- পরে অনুসন্ধান করতে যেয়ে সন্দেহভাজন পাদ্রির কাছে স্কাউটদের ধরা খাওয়া- আমরা যারা পালের গোদা তাদের কৌশলগত পশ্চাদপসারন, চারুকলায় দীপঙ্কর স্যারের সাথে ছবি আঁকার ওয়ার্কশপ… যার শেষ হয়েছিল আমার পুকুরে ডোবার মাধ্যমে- কিভাবে এটা হলো আমাকে জিজ্ঞেস না করাই ভালো।

সাতানব্বইয়ে বরিশাল ছেড়ে আসি- স্মৃতির শহরে আর ফেরা হয়নি।

কোথায় জানি পড়েছিলাম you can never have any friends later on like the ones you had when you were twelve. কথাটা আমার বেলায় খুব সত্যি মনে হয়। তানভির ছিলো আমার সেইরকমি এক বন্ধু। যদিও খুব কম বিষয়েই আমরা একমত হতাম। আমি চেলসী- ও আর্সেনাল, ও রবিবাবুর অনুসারী- আমি দাশবাবুর। আমি সইত্যবাবুর ফ্যান, ওর ভাষায় তিনি বুর্জোয়া বদলোক। ও হুমায়ুন আজাদের শিষ্য, আমি আবার তখন সবে মাতুব্বরকে নিয়ে টানাটানি শুরু করেছি। আমার মতে রনি জেমস ডিও হছেন একজন 'বাটকু ঈশ্বর', ওর মতে ডিও একটা মাফিয়া ছাগল, হ্যালফোর্ডই হলো আসল চিজ। ও বলতো মেটালিকা রকস- আমি বলতাম মেটালিকা মে রক, বাট মেগাডেথ রুলস… এইসব কথা কাটাকাটি করতে করতে আমাদের সময় কাটত, আর এর ফাঁকে চলতো ক্যাসেটে গান কপি করা-। ধানমন্ডি ৬/এ তে ঢুকে বাম দিকে গলির ভিতরে একটা বাসায় থাকতো ওরা। সারাক্ষন গান শুনতো ও- তাই গলির সামনে আসলে ধুমধাড়াক্কা আওয়াজেই বোঝা যেত তানভির বাসায় আছে নাকি নাই।

হৃদপিন্ডের একটা সমস্যা নিয়ে জন্মেছিলো তানভির। ‘ফ্যালটস টেট্রালজি’ বলে একটা জন্মগত ব্যপার। এইজন্য মোটামুটি সারাবছর ঠান্ডা-জ্বর এইসবে ভুগত। একুশের পরে সার্জারি করার একটা পরিকল্পনা ছিলো। তবে সফল হবার সম্ভাবনা তেমন একটা নাই- সেটা সে ভালোমতই জানতো।

সে নিরানব্বইয়ের ডিসেম্বরে অসুস্থ হয়, আগের অনেকবারের মত। প্রতিবারের মত দেখতে যাই, সাথে ছিলো ওর জন্য কেনা শার্লক হোমসের একটা বই- আর ঘটনাচক্রে জ্ঞানকোষে খুঁজে পাওয়া নন্টে-ফন্টে’র ঢাউস একটা কালেকশন- প্রথম ছয়টা বই একসাথে- এটা অবশ্য আমার নিজের জন্য। তানভির লোলুপ দৃষ্টি হানছিলো সেটার দিকে, আমি হাসতে হাসতে বলেছিলাম ‘শুক্কুরবারের আগে পাবি না লম্পট কোথাকার, আগে আমি পইড়া লই!’ ফেরার আগে ওর কাছ থেকে পিঙ্ক ফ্লয়েডের ‘উইশ ইউ ওয়ার হিয়ার’ টা কপি করে নিয়ে এসেছিলাম। আমি স্বীকার করছি এই ক্যাসেটই ছিলো সেইদিন ওর বাসায় যাওয়ার কারন। ১৯৯৪ এ ডিজিটাল রিমাস্টার করা সিডি থেকে কপি- খুবই দুষ্প্রাপ্য জিনিস- আপনাদের বুঝতে হবে ব্যপারটা!

তানভির মারা যায় বুধবার, ওর উনিশতম জন্মদিনের কয়েকদিন আগে। ওর সেই হার্ট কন্ডিশনের জন্য না- ছয়দিনের জ্বরে ভুগে, ও মারা যাওয়ার পরে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া হিসাবে ডায়াগনসিস হয়।

বুধবার সারারাত পিঙ্ক ফ্লয়েডের ‘উইশ ইউ ওয়ার হিয়ার’ (ডিজিটাল রিমাস্টার, ১৯৯৪) - শুনি।

শুক্রবার সকালে আবার ৬/এ তে যাই, গলিটার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি। শান্ত নির্জন গলিমুখ, আগে এইরকম পাখির ডাক শুনেছি বলেও মনে পড়ল না।

নিরানব্বই এর সেই সকালের পর ধানমন্ডি ৬/এ-র সেই গলির মুখে আর কখনো যাওয়া হয় না।

নন্টে-ফন্টেও আর এখন পড়া হয়ে ওঠে না।

কোন কোন গান এখন আর শুনতে ভালো লাগে না।

কোন কোন বই পড়তে ইচ্ছে করে না।

কোন কোন নির্জন ছায়াঘেরা রাস্তায় হাঁটা হয়ে ওঠে না।

স্মৃতির শহরে আর ফেরা হয়না।

আসলে ফেরা যায় না।

পুনশ্চ ১
কৃষ্ণচূড়া গাছটা দেখলাম সকালে, ব্লগটা লিখলাম দুপুরবেলা, বিকালে গেলাম আর্টসেলের ১০ বছর পূর্তির কনসার্ট দেখতে। ভালোই ফুর্তি করলাম, ফাজিল ব্যান্ডটা আবার ‘উইশ ইউ ওয়ার হিয়ার’ কাভারও করলো। ঘটনা সেইটা না, ঘটনা হচ্ছে লোকজনের সিভিক সেন্সের আজকাল খুব অভাব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিলনায়তনে ধুমপান নিষিদ্ধ থাকার পরেও কিছু ছাগল সমানে বিড়ি টেনে গেলো- আর গানটা শোনার সময় পানি পড়তে পড়তে আমার চোখের বারোটা বাজলো- এম্নিতেই আমি আধাকানা- … যাই কই।

পুনশ্চ ২
থম ইয়র্কের (রেডিওহেড) গাওয়া সেই গানটা- আমার খুব প্রিয় একটা সিনেমাটার সাউন্ডট্র্যাক।


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

ভীষণ বেশি রকমের ভালো লাগলো, আপনি নিয়মিত লেখেন না কেন, ওডিন/তন্ময়?

এমন দুর্দান্ত লেখার নিচে পুনশ্চ অংশটা অতিরিক্ত, তবে ক্ষতি কিছু হয় নি।

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভালো লাগলো দাদা। আর আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি নিজেও আসলে জানি না-
পুনশ্চ অংশটা হয়ত অতিরিক্ত হলেও হতে পারে- কি জানি। কালকে সকালে পুরনো গাছটা দেখলাম- তারপরে লেখালেখি- আবার বিকালবেলাতেই কনসার্টে গানটা শুনলাম- দিনটাই কেমন জানি ছিলো।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একটানে পড়ে গেলাম শুধু। ফিরে গেলাম আমার সোবহানবাগের সেই দিনগুলিতে। আহা, শৈশবের চেয়ে কৈশরের দিনগুলোই আমাকে বেশী টানে।

আপনি এত সুন্দর লেখেন, অথচ অনিয়মিত। আশা করি নিয়মিত লিখে আমাদের ক্ষুধা মেটাবেন।

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

শৈশবের চাইতে কৈশোরের দিনগুলো আমাকেও খুব বেশি টানে, এর একটা কারন অবশ্য আমি আমার শৈশবের কথা মনেই করতে পারি না। দেঁতো হাসি

অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ার জন্য। আমি আপনাদের তুলনায় কিছুই না- তাই নিজের এত প্রশংসা শুনলে খুবই অস্বস্তি লাগে। (এইটা কিন্তু বিনয় না রে ভাই- কথা সইত্য)। আপনারা পড়ছেন- এতেই আমি খুশি।

হাতুড়ে_ডাক্তার [অতিথি] এর ছবি

দারুণ লেখা...মনটা খারাপ করে দিলেন...

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

আপনার মন খারাপ করে দেবার জন্য দুঃখিত। আসলে গতকালকে আমার নিজের মনটাই ভয়ানক খারাপ ছিলো। সরি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটা গানই ভেঙে দিতে পারে দুর্ধর্ষ দূর্গের সকল দেয়াল।
অনুভূতির চমৎকার প্রকাশরে ভাই। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

গতকাল কনসার্টে আমার চোখে পানি দেখে পাশের এক বালিকা দেখি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে- আমার সহচরেরাও পুরা ভ্যাবাচ্যাকা- ইকি হলো এর?

তবে আমি ভালো রাজমিস্ত্রি ধুগোদা! দেয়াল ভাংগতে দেই নাই। খেকিয়ে উঠে বললাম- করস কি তোরা, আমি বিড়ির ধুয়ায় আন্ধা হয়া গেলাম আর তোরা দাঁত কেলাইতাসস... সাথে সাথে তারা আশেপাশের বিড়িখোড়দের অনেকটা চড়থাপ্পড় দিয়েই বিড়ি নিভাইতে বাধ্য করলো।

খেকশিয়াল এর ছবি

দারুণ লাগলো, আরো লেখেন চলুক

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

থেঙ্কিউ! আশা রাখি। ভাবতেসি আমার স্কুলের 'প্রানপ্রিয়' শিক্ষকদের নিয়ে একটা কিছু করতে হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লেখা। এতদিন কই ছিলেন ভাই? আরো বেশি করে লেখেন।
আপনারে 'অতিথি লেখক'দের গুরু মানলাম। নিজে লেখতে পারিনা কিন্তু নতুন লেখকদের কাছ থেকে এ রকম লেখা আসলে অনেক ভালো লাগে। হাসি
/
ভণ্ড_মানব

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

এইতো ভাই, ছিলাম আশেপাশেই- সবাই কত সুন্দর করে লেখে (ইনক্লুডিং ইয়ুরসেলফ)- আমি তব্দা খায়া পড়তে থাকি আর হিংসা করতে থাকি। কারন, আমি নিজেও লেখতে পারি না- খালি কালকে এনাআইসিভিডি'র সামনে রইদের মধ্যে খাড়ায়া মাথাটা ইট্টু আউলাইসিলো আর কি। পেটভর্তি এত হিংসা কেন আমার? আমিও তো ভালো ছেলে হতে পারতাম... মন খারাপ

আহির ভৈরব এর ছবি

খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

মৃত্তিকা এর ছবি

অসম্ভব ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ!
আরও লিখুন।

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

থেঙ্কু আপা! আপনার স্মৃতিচারণ আমরা সবসময়ি করি- সবচে' বেশি করি পরীক্ষাগুলা্র সময়। আপনার খাতা দেখে লিখতো সবুজ, সবুজেরটা কপি করতাম আমি- আমারটা সাম্য- আর সাম্যরটা দেখে শাকিল অর্ধেকেরও বেশি উত্তর লিখে ফেলার পরে শিউরে উঠত- ওই তোরা মেয়েটাকে থামা- আমরা তো ভুল কোশ্চেনের অ্যান্সার করতেসি মনে হয়...হাসি

আবার স্মৃতিকাতর রয়ে পড়লাম।

মৃত্তিকা এর ছবি

আরে তন্ময় নাকি! দেঁতো হাসি
খুব, খুব ভালো লেগেছে তোমার লেখা......... চালিয়ে যাও বন্ধু!

সবজান্তা এর ছবি

অসাধারণ একটা লেখা, অসাধারণ। বহুদিন পর একটা লেখায় ভিতরটা কেঁপে উঠলো। আপনার এতো চমৎকার লেখার হাত- তাই অন্তত আরো নিয়মিত লেখা আশা করছি।

ভালো থাকুন।


অলমিতি বিস্তারেণ

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

কৃতজ্ঞতা- কষ্ট করে পড়ার জন্য, অসাধারণ বলছেন- মোটেও একমত না- সচলের লেখাগুলার মানের সাথে তুলনা করলে- হাবিজাবির কাছাকাছি।

উম ইয়ে আপনার প্রোফাইল ছবিটাকি শার্লকদা'র নাকি? অনেক দিন ধরেই মনে প্রশ্নটা ছিলো- আজকে সাহস করে করেই ফেললাম।

সবজান্তা এর ছবি

বিনয় ভালো, কিন্তু বিনয়বচন সর্বদা আমি গুনতির মধ্যে ধরি না, তাই আপনার এই বিনয়বচনটাও আমলে নিলাম না। দেঁতো হাসি

আর হ্যাঁ, ছবিটা শ্রীযুক্ত শার্লকেশ্বর চক্রবর্তীর।


অলমিতি বিস্তারেণ

ওডিন এর ছবি

আমার কাছে শার্লকদার একটা তিন খন্ডের কালেকশন আছে- ওয়ার্ডসওয়ার্থ ক্লাসিকসের- সিডনি পেজেটের আঁকা ছবিওয়ালা। বাড়িতে কখনো আগুনটাগুন লাগলে এইটা নিয়া সবার আগে বের হতে হবে।

------------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

মামুন হক এর ছবি

চমৎকার লাগলো! আরও লিখুন এমন সুস্বাদু সব লেখা হাসি

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ মামুন ভাই- আপনারা উৎসাহ দেন বলেই এইসব করার সাহসটাহস পাই আর কি।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আমি আবার অনেক বেশি আবেগী মানুষ... লেখাটা পড়ে তাই মন খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিলো! পিওটিএফ এর গান শুনে সেটা দূর করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি!

খুব ভালো লেখার হাত আপনার। আরও লেখা চাই আপনার থেকে! ভালো থাকুন!

----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

- ললিতবিস্তর

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

মন খারাপ করে দেওয়ার জন্য আপনাকেও আমার সরি বলার দরকার ছিলো- কিন্তু ভেবে দেখলাম আপনার আবজাব লেখাগুলা পরে আমারো অনেক মন খারাপ হইসে। তাই ওই চিন্তা বাদ। আর পিওটিএফ এর গান শুনলে মন আর বেশি খারাপ হইতে পারে- বরং কইষা নান্না'র মোরগ পোলাও আর নুরানী লাচ্ছি খেয়ে ফেলেন একটু সময় করে- সাথে খাওয়া বিষয়ক এই চমৎকার গানটা শুনেন-

যাঁদের মন বেশি খারাপ করে দিয়েছি- এইটা শুধুমাত্র তাঁদের জন্য। দেঁতো হাসি

দুষ্ট বালিকা [অফিসে বসে মাছি মারি!] এর ছবি

জ্বীনা ভাইজান, পিওটিএফ এর 'অল দ্যা ওয়ে ফর ইউ' শুনলে মনে প্রেমের ফল্গুধারা বয়ে যায়! খাইছে

হিমু এর ছবি

বরিশাল জায়গাটা আসলেই সুন্দর। আমি বরিশাল শহরটা তেমন করে চক্কর মেরে না দেখলেও আশপাশটা বেশ ঘুরে দেখেছি। পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালি, এইদিকেও। নদীগুলি যা সুন্দর! মেঘলা দিনে একবার সন্ধ্যা নদী পার হয়েছিলাম, কী যে অপার্থিব একটা দৃশ্য ছিলো!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

শীতের শেষে নদীপথে কুয়াকাটা যাওয়ার একটা পরিকল্পনা আছে। তবে বরিশালকে যত্নের সাথে পাশ কাটায় যেতে হবে।

ভুতুম এর ছবি

চমৎকার, খুব বেশি চমৎকার লাগলো লেখাটা ওডিন। এমন লেখা আমারও লিখতে ইচ্ছা করে, কিন্তু পেরে ওঠা হয় না। তাই হিংসা থাকলো, আর প্রত্যাশা থাকলো নিয়মিত আপনার লেখা পড়ার।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

আসেন ভাই- দুই হিংসুটে কোলাকুলি... তবে এইবেলা একটা কথা বলি- মন খারাপ কইরেন না- আমার 'যে সচলদিগকে হিংসা করা অবশ্যকর্তব্য' সেই লিস্টিতে কিন্তু আপনার নামটাও আছে।

In Xanadu পড়সেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

আজ প্রথমবার সচলায়তনে নাক গলালাম,পড়ার বইটা মুড়ে রেখে এক নিঃশ্বাসে পড়লাম গোটাটাই !আহ; হিংসে হয়--এমন করে যদি আমি লিখতে পারতাম...এই সেদিন কিশোর ছিলাম,আবার স--ব মনে পড়িয়ে দিলেন...

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

আমি সম্মানিত, কারন আপনি এখানে কমেন্ট করেছেন- তাও সচলে প্রথম দিনে! আমার ত মনে হয় সাহস করতেই সাত আটমাস লেগেছিলো।

আর আমার 'এই' লেখা পড়ে হিংসা করলে সেইটা আপনার সীমাবদ্ধতা- এখনও ঠিক সেইরকম হিংসুটে হইতে পারেন নাই- কয়দিন ঘুরেন এখানে- আসল লেখকদের লেখা পড়লে জ্বলেপুড়ে পুড়েজ্বলে ভষ্মমাখা সাধুবাবা হয়ে যেতে ইচ্ছে করবে হাসি

তিথীডোর এর ছবি

" আজ প্রথমবার সচলায়তনে নাক গলালাম,পড়ার বইটা মুড়ে রেখে এক নিঃশ্বাসে পড়লাম গোটাটাই !
আহ; হিংসে হয়--এমন করে যদি আমি লিখতে পারতাম...
এই সেদিন কিশোর ছিলাম,আবার স--ব মনে পড়িয়ে দিলেন..."

আমার পড়া প্রথম পোস্ট, প্রথম হিংসে আর প্রথম মন্তব্য.. দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ তিথিডোর, তুমি মন্তব্য করেছিলে দেখেই এই লেখাটা চোখে পড়ল। আসাধারণ এই লেখাটা মিস করাটা মনে হয় অন্যায় হত।

ধন্যবাদ ওডিন। স্মৃতির শহরে ফেরা হয়না কখনও, শুধু স্মৃতি ছাড়া ওদের অস্তিত্ব মনে হয় নেই কোথাও।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার সাহস ,হিংসে কিংবা যোগ্যদের প্রতি শ্দদ্ধাবোধ বাটখাড়ায় পরিমাপযোগ্য নয় !!সুখপাঠ্য এমন লেখা আবারো চোখে পড়বে আশা রাখছি...

সুরঞ্জনা [অতিথি] এর ছবি

সচলায়তনের আমার অতি প্রিয় এক লেখক আছে, তার লেখা পড়ে চুপ করে বসে থাকতে হয়। আজকে আপনার লেখা পড়েও তেমন হল।

ভাই, আপনার তানভিরের জন্যে মন থেকে ভালবাসা জানাচ্ছি।

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

এখানে অনেক লেখকই আছেন যাদের লেখা পড়ে আমিও চুপচাপ বসে থাকি, কমেন্ট করা হয়ে ওঠে না- কারন আসলে ভেবে পাই না কি বলতে হবে। তবে আপনাকে বলি যে আমি কিন্তু সেইরকম কোন লেখক না- লেখক টার্মটাও মনে হয় আমার ক্ষেত্রে খাটে না।

আপনার ভালবাসা জায়গামত পৌঁছে দিব- একদিনতো আবার দেখা হবেই। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে। নিয়মিত বুদবুদ ছাড়ুন।
ভেজা নক্ষত্র

স্পর্শ এর ছবি

লেখাটা খুব ভালো লেগেছে ভাই। ভালো লাগাটা জানিয়ে গেলাম। আপনার আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায়...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই। তবে আপনাকে আমার মোটেও ভালো লাগে না- কারন যারা আমার থেকে নিযুতগুন ভালো লেখে তাদের আমি মোটেও পছন্দ করি না! হাসি

(একটু শস্তা ঠাট্টা করে পরিবেশ হালকা করার অপচেষ্টা করছি- সবার কিরকম যেন বিষন্ন- মন খারাপ ভাব। কমেন্টগুলা পড়ে আমার নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে)

জি.এম.তানিম এর ছবি

দারুণ লিখেন আপনি... ছুঁয়ে যাওয়া...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

এখন আমার মত বেহায়াও লজ্জা পাছে তানিম ভাই! তবে সাবধান- আমার লিস্টে আপনার নামও আছে। অনেক হিংসা সহ্য করার জন্য প্রস্তুত থাকেন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

................

মাস্টারপিস ...
আহ, কৈশোর...

-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

ওডিন [অতিথি] এর ছবি

মাস্টারপিস- উঁহু, মোটেও না! অনেক ওভাররেটেড। সুযোগ থাকলে এইটার জন্য আপনেরে কইষা মাইনাস দিতাম। দেঁতো হাসি
আহ, কৈশোর- এইটা পছন্দ হইসে- এইজন্য আপনেরে পেলাস!

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ে যে কি পরিমান মুগ্ধ হয়েছি সেটা লিখে বোঝাবার ক্ষমতা আমার নাই।

মহসীন রেজা

ওডিন এর ছবি

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, আরো একটু বেশি ধন্যবাদ পড়ে মন খারাপ না করার জন্য।
হাসি

---------------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

নিবিড় এর ছবি

দারুণ লাগল লেখাটা চলুক আপনার আর লেখা পড়ার আশায় রইলাম


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ওডিন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই-
আপনার মন পবনের নাও- এর লেখাগুলো আমার বেশিরকম পছন্দ!
---------------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

কৈশোরে সব ভাগ্যবানদের একজন খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে। অনেক সময় তাঁরা চলে যায়। আর খুব কম লেখিয়েরা সেই স্মৃতির জন্য এলিজি লিখতে পারে।

একদিন আমিও লিখতে পারবো আমার বন্ধুর কথাও। তবে আপাততঃ — সেই নস্টালজিক সময়টা মনে করানোর জন্য আপনাকে বিশাল ধন্যবাদ।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ওডিন এর ছবি

পুরো লেখাটাই একটা এলিজি- তবে আমার মৃত বন্ধুর জন্য না- মনে হয় যেইসব স্মৃতিগুলোর কাছে ইচ্ছা থাকলেও ফিরে যাওয়ার কোন উপায় থাকে না- সেগুলোর জন্য।

আর আপনি মন খারাপ করেন নাই দেখে আপনাকেও ধন্যবাদ।

----------------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছুটা মন খারাপ হল। সবারই এরকম কিছু স্মৃতি আছে, যা মনে পরলে মন খারাপ হবেই। কিছুটা হতাশ হলাম। কারন এত ভাল কখনোই আমি লিখতে পারবোনা। হাহা!! চালিয়ে যান।

- শূন্য

ওডিন এর ছবি

আমার লেখা ভালো বলছেন- সেটা মানতে পারলাম না- এর থেকেও বেশি আপত্তি করছি আপনি 'ভালো' লিখতে পারবেন না একথা বলায়। কিংবদন্তী ব্লগার ধুগো একবার বলেছিলেন কোনদিকে না তাকিয়ে 'ঘ্যাজম্যাজ করে লিখে যেতে'। তাকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি না- নাম আর কীর্তিকলাপ শুনেছি শুধু- আর এইটা কোট করলাম!

মন ভাল করার তরিকা উপরের একটা কমেন্টে আমি দিয়েছি- উইথ ভিডিও! দেঁতো হাসি
--------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ভালো লাগলো লেখা। ৬/এ প্রতিদিনই চোখে পরে......

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

ওডিন এর ছবি

আমারও- প্রায় প্রত্যেকটা দিন।

------------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

সচলায়তনে শুধু পড়েই যাওয়া হয়, মন্তব্য করা হয়না কেন জানি। আপনার লেখাটা পড়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে করলো খুব।
অনেক ভালো লেগেছে আপনার লেখাটা।

ওডিন এর ছবি

আরি- বেশ আজব ব্যপার তো!

-----------------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

যূথচারী এর ছবি

এমনিতেই আমি মন্তব্য করতে পারি না, ব্যাপারটা আরো বেশি কঠিন হয়ে যায়, যখন মন্তব্যটা হয় প্রায় ৫০ টি মন্তব্যের পরে। কারণ এর মাঝেই বেশিরভাগ ভালো ভালো কথা বলে হওয়া যায়।
ভালো লাগলো, আমি আবার বেশি ভালো লাগলে বলি- দারুন। আপনাকেও বলে গেলাম, আর দশ নম্বর পাচঁতারাটা আমার- মনে রাইখেন। (লিখে রেখো একফোটা দিলেম শিশির)


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

ওডিন এর ছবি

নতুন মানুষ- তারাফারা বুঝি না- কেম্নে কি জানিও না- আপনার ভালো লাগসে এইটাই আমার কাছে অনেক। যারা পড়সে সবাইরে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। আর - আপনারটা ইস্পেশাল! ঠিকাছে?

---------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

নামহীন [অতিথি] এর ছবি

মুগ্ধ! এমন করে শৈশবে ঠেলে পাঠালেন! অসাধারণ হয়েছে আর দারুন আপনার লেখার হাত। আমিও শুধু পড়ে যাই, আজ প্রথম কিছু লিখছি।

ওডিন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, আর আমি সম্মানিত যে আপনি এই ব্লগটাতেই প্রথম লিখলেন। হাসি

---------------------------------------------
মনে হয় এর চেয়ে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া ভালো।

রানা মেহের এর ছবি

অনেক ছুঁয়ে গেলো লেখা
আরো লিখুন।
এলেখাকেও ছাড়িয়ে যান
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ওডিন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আপনার একটা লেখা পড়ে আমি কিন্তু সচলের প্রতি আগ্রহী হয়েছিলাম- আর সেইটার লিঙ্ক আপনার বিনা অনুমতিতে আমি ফেসবুকে শেয়ারও করেছিলাম- আপনার সেই ঘৃনার একজন ভাগীদার হতে চেয়ে। কমেন্ট করার সাহস হয় নাই।

আপনিও আমার হিংসার লিষ্টিতে আছেন।
-----------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

অনিকেত এর ছবি

সচলায়তনের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
তবে সবচাইতে বেশি কৃতজ্ঞ--- আপনার মত লেখকদের সাথে সচলায়তন আমার পরিচয় ঘটিয়ে দিয়েছে বলে। আপনার লেখা পড়ে চোখের কোলটা ভিজে উঠল ঠিক---কিন্তু অজান্তেই একটা গর্বের হাসিও মুখে ভেসে উঠল।

আপনার মত এইরকম দু'চারজন মানুষ আছেন বলেই মাঝে মাঝে বড্ড মাথা উঁচু করে বাঁচতে ইচ্ছা করে। আপনার মত কিছু লোক আছেন বলেই মার খেতে খেতে ঘুরে দাঁড়াই, বিড়বিড় করে বলি---এখনো হৃদয় শেয়াল-কুকুরের খাদ্য হয়নি--এখনো 'জীবন অগাধ'---!!!

এক নক্ষত্রের রাত---আপনার জন্যে!

ওডিন এর ছবি

'আপনার মত লেখক'- এগুলা কিসব বলছেন আপনি? আজব রে ভাই!

এইবেলা আপনাকে একটা কথা বলি, ছোটবেলা থেকেই আমি সাইজে একটু ...ইয়ে মানে বড়সড় আর কি। তাই মারামারি করার সময় খুব ডিমান্ড ছিলো। কিন্তু যখন বেগতিক দেখলে পলায়নের দরকার পড়তো- আমি সুবিধা করে উঠতে পারতাম না। যখন বুঝতাম আর দৌড়ে পারবো না- তখন ঘুরে দাঁড়াতাম। একা। পাশে কেউ নেই। সামনে অনেকে। অনেকবার হয়েছে এইরকম। এখনো হয়। হেরেও যাই অনেক সময়। পাশে কেউ কখনো থাকে না অনিকেতদা- তাই বলে কেন মাথা উঁচু রাখবো না?

ধন্যবাদ আপনাকেও।

----------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সকাল সকাল মনটা খারাপ হয়ে গেল। কি হইত এইগুলা না লিখলে ?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ওডিন এর ছবি

আমি খুবই খুবই দুঃখিত ভাই আপনার মন খারাপ করে দেওয়ার জন্য।

আমার সবচে' বড় ভয় হলো যদি - যদি আমি কখনো, কোনভাবে মানুষজনকে কষ্ট দিয়ে ফেলি। তখন আমার নিজেরি খুব খারাপ লাগে। সমস্যা হলো আমি কিভাবে যেন এই কষ্ট দেওয়ার কাজটা খুব নিয়মিতই করে ফেলি- আমার বাবা-মা, বন্ধুরা- আশেপাশের লোকজন- সবাই প্রায়ই এটা বুঝতে পারে। এজন্য আজকাল একটু সাবধানে থাকার চেষ্টা করি।

লোকজন সারাদিন খেটেখুটে সচলে আসে ভালো কিছু পড়ে মন ভালো করার জন্য। নিজের মন খারাপ ছিলো বলে আরও কয়েকজনের মন খারাপ করে দিলাম- এর কোন আসলে অর্থ নেই। নিজের বিষন্নতা অন্যের মাঝে ঢুকিয়ে দেয়াটাও একটা ক্রাইম।

আপণাকে আশ্বস্ত করছি এর পরে কখনো সচলে লিখলে আমার জীবনের সব মজার ঘটনাগুলো নিয়েই লিখব- ঈশ্বরের আজব সেন্স অফ হিউমারের কারনে আমার জীবনে এর কোন অভাব এখন পর্যন্ত নেই। হাসি

---------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

জীবনের সব অনুভূতি সমান মূল্যবান। আপনি এমন লিখা আরো আরো লিখেন ভাই।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লিইখ্যা ফাডায়ালাইছেন ম্যান! আপনার কাছ থিকা নিয়মিত লিখা আশা করি। ডাবল থাম্বস আপ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ওডিন এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই- অনেক অনেক!
-----------------------
I touched her thigh
(And death smiled)

সাফি এর ছবি

প্রথমেই সচল হওয়ায় অভিনন্দন। অসাধারণ লিখেছেন ভাই। আরেকটা ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করিয়ে দিলেন আমার। সেই কৃষ্ণচূড়া গাছের পেছনের চারতলা বাড়িতেই জীবনের প্রায় আশিভাগের বেশী কাটি্য়েছি। বাবর রোডের গলিতেই ঢুকলেই বাসায় এসে পড়লাম জাতীয় এমন একটা নিরাপত্তাবোধ আসে, যেটা সারা পৃথিবীর আর কোথাও এখনও পাইনি, মনে হয় পাবোওনা।
ধন্যবাদ

ওডিন এর ছবি

আমি থাকতাম ২/১৮ তে-
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

সাফি এর ছবি

যতদূর মনে পড়ে ২/১৮ ভেঙ্গে এপার্টমেন্ট বানানো হয়েছে। আমি ছিলাম ২০/৩২ এ

 সংসপ্তক এর ছবি

কি লেখা লিখে দিলেন ভাই, এখন খালি মনের মধ্যে ঘুরছে মতিঝিল কলোনীর ভর দুপুর, রেসিডেন্সিয়ালের খেলার মাঠ, রাইফেলসের পুকুর পাড়ে ঝিনুকের ছুরি.....সেইন্ট যোসেফের স্কাউট ক্যাম্প.........ক্যাসেটে পিঙ্ক ফ্লয়েডের একোস আর জিম মরিসনের অ্যামেরিকান প্রেয়ার......ভালো লাগছে না......বড় না হয়ে বুড়া হয়ে গেলাম কিভাবে?

ওডিন এর ছবি

আরি ভাই আপনেও দেখি রেসিডেনশিয়ালের !
এইরকম সুন্দর স্কুল আর আছে নাকি এই শহরে!
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

চশমাওয়ালি এর ছবি

একদম হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
খুউব ভাল লাগল লেখা। এরকম আরও লিখুন।
(আর্টসেলের কনসার্টে আমিও গিয়েছিলাম হাসি )

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

ওডিন এর ছবি

ধন্যবাদ!
আর ইয়ে আমিও ল্যাসিককে ডরাই। লইজ্জা লাগে
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

সাইফ তাহসিন এর ছবি

তোমার এ লেখাটা পড়লাম কয়েকবার, মন্তব্য করতে গিয়ে বার বার থমকে যাচ্ছিলাম, তাই এই দেরি। আমাদের রাস্তা এতবার পরষ্পরকে অতিক্রম করেছে যে কি বলব, তবে বরিশাল মেডিকেল ক্যাম্পাসের কথা মনে পড়ে গেল তোমার লেখা পড়তে গিয়ে। আমি প্রথম যাই বরিশাল ১৯৯২ সালে, তারপরেও আরো অনেকবার গিয়েছি, তাছাড়া আছে কুয়াকাটার স্মৃতি, আছে চাখার যাবার স্মৃতি, আরো এমন কিছু স্মৃতি, সেই সাথে বিচ্ছিন্ন আরো অনেক ঘটনা। দেখি সময় করে একদিন লেখব সেই স্মৃতিগুলো।

আর রেসিডেন্সিয়ালের কথা কি বলব। সে তো আমার শয়তানির আখড়া ছিল একটা। কিভাবে সেখানে বদামিতে PHD করেছি শুনলে এখনকার বাবা-মারা কালকেই নিজেদের ছেলেমেয়েদের সেখান থেকে বের করে অন্য কোথাও নিয়ে যাবেন চোখ টিপি

নিয়মিত লিখে যাও, নিক সচল হবার অভিনন্দন রইল। অসাধারন এমন আরো লেখা চাই। আর পুরানো লেখাগুলো নিজের নিকের আন্ডারে নিয়ে এসো, ই-মেইল দিলেই এখানে এনে দিবে মডু দাদারা।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

স্বপ্নাহত এর ছবি

অনেক দেরিতে পড়া হলো। তবু ভালো যে পড়া হলো । হাসি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মুস্তাফিজ এর ছবি

বেশ দেরীতে হলেও ভালো একটা লেখা পড়লাম।
ধন্যবাদ ওডিন।

...........................
Every Picture Tells a Story

তাসনীম এর ছবি

দুর্দান্ত।

স্মৃতির শহরে ফেরা হয় না কখনো...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার পড়া সেরা লেখাগুলির একটা।

সজল

সবজান্তা এর ছবি

উইশ ইউ ওয়ার হিয়ার লিখে সার্চ করতে যেয়ে গুগল থেকে লেখাটা চোখে পড়লো। আবার পড়লাম।

না পড়লেই বোধহয় ভালো হইতো... খুব খারাপ লাগতেসে...


অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ লেখা। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া।
পড়েই বুঝলাম জিলা স্কুলের ছাত্র ছিলেন। কারণ ঐ স্যারদের গুনগান আমরা মর্নিং শিফটের ছেলেরাও শুনতাম। বঙ্কিম স্যার বোধহয় একজন, অন্য জনের নাম মনে নেই। অসাধারণ স্কুল। এতগুলো খেলার মাঠ, সাথে পরেশ সাগরের দিঘি।
আর স্কুল জীবন কেটেছে তরুন লাইব্রেরীর বই পড়ে। টিফিনের টাকা জমাতাম, তেইশ টাকা হলেই তিন গোয়েন্দার একটা বই। কী দারুন দিন ছিল!!
লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
-হুতোমপ্যাচা

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আবার পড়লাম, আবার মন খারাপ হলো। কালকেইতো আট তারিখ! মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।