খোদাই শিরনী

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বুধ, ২৪/১০/২০১২ - ৮:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মহাসড়ক থেকে যে রাস্তাটা গ্রামের ভেতরে ঢুকেছে সেটা তোতা মিয়ার দোকানের সামনে দু’ভাগ হয়ে একটা ভাগ রাজ্জাক শাহের মাজার হয়ে রেললাইন পর্যন্ত গেছে, আরেকটা ভাগ গ্রামের ভেতর অনেক বার বাঁক খেয়ে ইটখোলার পুকুরে গিয়ে শেষ হয়েছে। তোতার দোকানের সামনের জায়গাটা এই গ্রামের স্কয়ার। যাবতীয় সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, নালিশ-সালিশ এখানেই হয়। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে যখন বৃষ্টি আর পানির অভাব দেখা দেয় তখন সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ে। ওলাউঠা, উদরাময়, আমাশয়, জলবসন্ত বা সন্নিপাতিক জ্বরের কোন একটা যখন শুরু হয় তখন গ্রামের একধার থেকে আরেকধার পর্যন্ত সবাইকে ভুগিয়ে ছাড়ে। কেউ কেউ এই ধাক্কা সামলাতে পারে না। তখন তাদের কারো ঠাঁই হয় গ্রামের শেষ মাথার কবরস্থানে, আর কারো ছাই ওড়ে কবরস্থানের পাশের শ্মশানে। এইসব বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা পাবার জন্য একটা বাৎসরিক গণপ্রার্থনার আয়োজন করা হয়। গণপ্রার্থনাটার বাহ্যিকরূপ ইসলামী কায়দায় মিলাদ হলেও সেখানে “ইয়া নাবী সালাম আলাইকা” বলার চেয়ে তার পরের দু’হাত তুলে প্রার্থনার গুরুত্ব বেশি, তারও চেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রার্থনা শেষে দেয়া শিরনীর। এই শিরনী আর দশটা মিলাদ মাহফিলের মতো জিলিপী বা অমৃতি নয়, এমনকি কাগজের ছোট ছোট ঠোঙায়ভরা তেহারীও নয় - এটা খোদাই শিরনী। এই শিরনী নিরামিষ দিয়ে তৈরি। গ্রামের সবার দান করা চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ-তেল-কুমড়া-লাউ-জালি-হলুদ-মরিচ-আদা-রশুন-গরম মশলা-লবন দিয়ে রান্না করা। এই শিরনী জাত-ধর্ম নির্বিশেষে গ্রামের সবার কাছে অতীব সম্মানের খাবার। আরো লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, এই খোদাই শিরনী মিলাদের স্থলে বিলানো হয় না - সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে আসা হয়।

যে’দিন খোদাই শিরনী হবে তার আগের দিন গ্রামের সবার ঘরে ঘরে গিয়ে চাল, ডাল, মশলা, আনাজপাতি, তেল, লবন ভিখ্‌ নেয়া হয়। সবাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী জিনিস দান করে। সেখানে নাজিরশাল, কালিজিরার মতো চিকন চাল থেকে শুরু করে ব্রি’র বিপ্লব, মুক্তা’র মতো মোটা চাল, মসুর-মুগ-খেসারী-কলাই-অড়হর-মটরের ডাল, শাক-কচু ছাড়া সহজলভ্য সব সবজি থাকে। শিরনীর দিন সকাল থেকে তোতার দোকানের সামনে সব জিনিস জড়ো করা হয়। দশ ইঞ্চি ইট দিয়ে চুলা বানিয়ে তাতে গজারী কাঠের আগুন জ্বালানো হয়। চুলাতে বড় বড় তামার ডেগচি বসিয়ে মকবুল বাবুর্চি রান্না বসায়। মকবুলের অ্যাসিসটেন্টরা কাটাকুটি, বাটাবাটি করে দরকারী জিনিসপত্র হাতের কাছে এনে রাখে। গরম তেলে পেঁয়াজ ভেজে তাতে মশলা কষানো হয়। এরপর তাতে চাল-ডাল দিয়ে ভাজা হয়। ভাজা শেষ হলে চাল-ডাল-মশলার মিশ্রণে পানি ঢেলে ফুটতে দেয়া হয়। মিশ্রণ ফুটতে থাকলে তাতে একে একে সব সবজি দেয়া হয়। মকবুল বাবুর্চি লম্বা হাতার লোহার চামচে শিরনী নাড়তে থাকে। গ্রামের ছোটরা তো বটেই বড়দের অনেকেও এ’সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মকবুলের রান্না দেখে। ডেগচিতে সাদা রঙের চাল, হলুদ রঙের ডাল, হালকা হলুদ রঙের আলু, সবুজ রঙের জালি, কলাপাতা রঙা খোসার লাউ, কমলা রঙের কুমড়া সব একসাথে ফুটতে থাকে। রান্না শেষ হলে চারজন জওয়ান পুরুষ দুটো বাঁশে ডেগচি ঝুলিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাঁক দেয়। গৃহস্থরা গামলা বা অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি নিয়ে আসে। শিরনীর ডেগচি থেকে অ্যালুমিনিয়ামের বড় মগ দিয়ে শিরনী তুলে দেয়া হয়। বাড়ির সবাই ভক্তিভরে সেই শিরনী খায়।

চুলায় যখন শিরনী ফুটতে থাকে তখন অথবা যখন মগ দিয়ে ডেগচি থেকে গামলায় ঢালা হয় অথবা গামলা থেকে নিয়ে যখন খাওয়া হয় তখন হলুদরঙা শিরনীতে হালকা হলুদ রঙের আলু বা সবুজ রঙের জালি বা কলাপাতা রঙের লাউ বা কমলা রঙের কুমড়া উঁকিঝুকি দেয়। তা তারা যতই উঁকিঝুকি দিক তাদের স্বতন্ত্র পরিচয় ততক্ষণে ‘খোদাই শিরনী’ পরিচয়ে বিলীন হয়ে গেছে। ভক্তিভরে সেই শিরনী মুখে দিয়ে চিবোতে থাকলে হঠাৎ হঠাৎ কাঁচামরিচের ঝাল, লাউয়ের বা জালির পানসে ভাব, কুমড়োর মিষ্টিভাব, আলুর স্বাদ আলাদা করে তাদের অস্ত্বিত্বের জানান দেয়। কিন্তু তখনও তার নাম খোদাই শিরনীই থাকে, আর আলাদা আলাদা স্বাদ উপচিয়েও খোদাই শিরনীর সম্মিলিত স্বাদটাই বড় হয়ে ওঠে।

তিন মহাসাগর দিয়ে ঘেরা বিশাল ডেগচিতে খোদাই শিরনী রান্না হচ্ছে। সেখানে সাদা, কালো, বাদামী, হলুদ রঙা মানুষ একসাথে রান্না হচ্ছে। কালো, সোনালী, লাল, সাদা রঙা চুল অথবা কালো, বাদামী, সবুজ, নীল রঙা চোখ একসাথে মিশে যাচ্ছে। আলাদা আলাদা ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-সংস্কৃতি-বিশ্বাস-ঐতিহ্য-সংস্কার-আচার-অভ্যাস একসাথে মিশে শ’পাঁচেক বছর ধরে একক খোদাই শিরনী হবার চেষ্টা করছে। তাদের অধিকাংশ জন যে ধরনের জীবনযাপন করে তাতে একটা দিনের সাথে আরেকটা দিনের কোন পার্থক্য থাকে না - রোজ একই রুটিন। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোর রুটিনও প্রায় একই প্রকার। এই একঘেঁয়ে, বৈচিত্র্যহীন খোদাই শিরনীর মতো দিনগুলোর মধ্যে কখনো একটু ব্যতিক্রমী কিছু যে ঘটে না বা ব্যতিক্রমী মানুষের দেখা যে মেলে না তা নয়। তবে সেটাও খোদাই শিরনীর নিয়মের মধ্যেই পড়ে। মকবুল বাবুর্চির রান্না করা শিরনীতে যেমন কোন কোন আলু বা লাউ বা কুমড়া নরম হয়ে গলে না গিয়ে শিরদাঁড়া উঁচিয়ে নিজের স্বতন্ত্র অস্ত্বিত্ব জাহির করার চেষ্টা করে, এই শিরনীতেও কেউ কেউ নিজের চারপাশে ‘নিজেদের লোক’ জড়ো করে স্বতন্ত্র অস্ত্বিত্বের জানান দিতে চায়। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে খোদাই শিরনী হতে গেলে সবার সাথে গলে-মিশে একক শিরনীর স্বাদ গড়ে তোলা। সেটা যারা পারে না তাদের পরিচয়ের সংকট কেবল বাড়তেই থাকে, নিজের সংখ্যালঘু পরিচয় অন্যের কাছে প্রকট করে নিজেকে সমাজছাড়া করে তোলে।

যে রেণু ফুল থেকে মৌমাছির ডানায় লেগে দূরে চলে গেছে; সে এই ফুল নয়, অন্য কোথাও অন্য কোন ফুলকে নিষিক্ত করে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্ম দেবে। হারানো রেণুর জন্য ফুলের যেমন কোন সন্তাপ থাকে না, হারিয়ে যাওয়া রেণুও তেমন মাতৃফুলের জন্য আফসোস করে না। সৃষ্টির নিয়মই এই, সৃষ্ট প্রাণের নির্বন্ধ এই। মানুষকে ক্রমাগত হাঁটতে হবে। কখনো চড়াই বেয়ে ওঠা, কখনো উতরাই বেয়ে নামা। এই হাঁটাপথে কোনভাবে খোদাই শিরনীর ডেগচিতে পড়ে গেলে, যদি ফিরে যাবার কোন উপায় আর অবশিষ্ট না থাকে, তাহলে খোদাই শিরনী হয়ে যাওয়াটাই ঠিক। সেক্ষেত্রে ফেলে আসা হালখাতা-নওরোজ-চিঙ মিঙ জায়ে’র জন্য দীর্ঘশ্বাস না ফেলে থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’র টার্কি রোস্ট, ইস্টারের ডিম, হ্যালোইনের কুমড়া আর বক্সিং ডে’র মূল্যহ্রাসকে উপভোগ করতে শেখাটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা যারা মেনে নিতে পারেন তাদের কষ্টটা অন্যদের চেয়ে কিছুটা কম। তবু কখনো কখনো তাদের আচার-আচরণ-আশা-স্বপ্নে হারিয়ে যাওয়া জল-মাটি-হাওয়া-উৎসবের সুবাস যে ফিরে আসে না তা নয়। ঐটুকু ‘ন হন্যতে’।

পুনশ্চঃ কিছু কিছু সচল আছেন যাদের পোস্টের জন্য আমরা অনেকে অপেক্ষা করি বা নিজের পোস্টে তার মন্তব্য আশা করি। আমার কাছে অমন একজন হচ্ছেন - সচল স্নিগ্ধা । কিন্তু অনেক দিন হয় তিনি এই পাড়াতে আর পা রাখেন না। ঠাক্‌মা! কামনা করি গেঁটে বাত, অম্বল, অনিদ্রা আর পিত্তশূলকে জয় করে আরো অনেক অনেক বছর আপনি আমাদেরকে আগের মতো জ্বালিয়ে যাবেন। আপনার অদ্দেষ্টে দিনে চারবেলা মুখরোচক অষ্টব্যঞ্জন জুটুক। আপনার কী-বোর্ড আবার সচল হোক। জন্মদিন শুভ হোক, আয়ুষ্মান ভবেহ্‌!


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হাসি

সত্যপীর এর ছবি

কিছু কিছু সচল আছেন যাদের পোস্টের জন্য আমরা অনেকে অপেক্ষা করি বা নিজের পোস্টে তার মন্তব্য আশা করি।

আমার পোস্টে সেই কিছু সচলের মধ্যে আছেন আপনি। আমার ভাগ্য আপনার থেকে ভালো বলতে হবে হাসি

সচল স্নিগ্ধার জন্মদিনে শুভকামনা।

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

যদি এক কথায় বলি তাহলে বলতে হবে, আপনি ইতিহাস নিয়ে লেখেন বলে সেখানে মন্তব্য করা হয়। যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে লিখতেন তাহলে কোন মন্তব্যই করতে পারতাম না।

আর যদি বিস্তারিতভাবে বলি তাহলে ব্যাপারটা হচ্ছে এরকমঃ এক কালে আমি ইতিহাস পুনর্পাঠের জন্য 'অণুপোস্টগুচ্ছ' নামে একটা সিরিজ শুরু করেছিলাম। ব্যাপক খাটাখাটনিমূলক পোস্ট এক একটা। তিনখানা বই ঘাঁটলে তিন লাইনও লেখা যায় না। স্বাভাবিকভাবেই সিরিজটা জন্ম থেকে খোঁড়াচ্ছিল। এমন সময় আপনি ইতিহাস বিষয়ক পোস্ট শুরু করলেন। শুরুতে আপনি শুধু কারো বইয়ের বা প্রবন্ধের কিছু অংশের অনুবাদ তুলে দিতেন। ব্যাপারটা আমার পছন্দ ছিলনা। কলোনিয়াল ঐতিহাসিকদের লেখা বানোয়াট বা সত্যের সাথে ভয়ঙ্কর মিথ্যের মিশেল দেয়া ইতিহাসের শুধু অনুবাদাংশ তুলে দেয়া মানে পাঠকের কাছে ভুল মেসেজ পৌঁছানো। এতে ভালো তো হয়ই না বরং মন্দটাই ঘটে। তখন আপনার দুয়েকটা পোস্টে যে তথ্যগুলো হজম করা দুষ্কর হতো সেগুলো নিয়ে এক-আধ লাইন লিখতাম। পরে যখন আপনি অনুবাদাংশের সাথে নিজের অবজারভেশন আর ইন্টারপ্রেটেশন যোগ করা শুরু করলেন তখন থেকে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ পোস্ট হওয়া শুরু করলো। তখন থেকে আপনার পোস্ট পড়ার পর সেখানে মন্তব্য করার আগ্রহ পাই। আপনি এভাবে লেখা শুরু করায় আমার যা লাভ হয়েছে তা হচ্ছে আমাকে আর 'অণুপোস্টগুচ্ছ' সিরিজ চালাতে হচ্ছে না। আপনার পোস্টে কোন সংযোজন দরকার হলে শুধু সেটুকু করলেই চলছে।

ইতিহাস বিষয়ে সচলে লেখেন এমন লেখকের সংখ্যা খুবই খুবই কম। কলোনিয়াল ঐতিহাসিকদের চশমা ছুঁড়ে ফেলে ইতিহাসকে দেখা, সংখ্যাগরিষ্ঠ নিম্নবর্গের মানুষের কনটেক্সট থেকে তার ব্যাখ্যা এগুলো করতে না পারলে ইতিহাস নিয়ে লেখার মানে হয় না। এই ব্যাপারে সচল দুর্দান্তকে মিস্‌ করি খুব।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সত্যপীর এর ছবি

অণুপোস্টগুচ্ছ আর আসবে না?

..................................................................
#Banshibir.

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

যাক, অন্তুতঃ আরো একজন পাওয়া গেলো যিনি ঠাকুর্মা ও তার জন্মদিন স্মরণ রেখেছেন হাসি

হ্যাপী বাড্ডে এগেইন ঠাকুর্মা !! (আপনার বকাঝকা'ওলা মন্তব্য মিস্করি মন খারাপ)

তাসনীম এর ছবি

সচল স্নিগ্ধার জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল। আপনাকেও আমিও মিস করি।

দেশে ফিরে গিয়ে গুম হয়ে গেলেন নাকি?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ভালো লিখেছো পাণ্ডব। যদিও তোমার ঠাকমাকে চিনিনা তবুও তার জন্যে হ্যাপী বাড্ডের শুভেচ্ছা রইলো। আফটার অল ইওর ঠাকমা ইস মাই ঠাকমা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

খোদাই শিরনীর রেসিপিটা টুকে রাখলাম। চলুক
আপনার ঠাকমার আগামী দিনগুলো শুভ হোক।

মণিকা রশিদ এর ছবি

শুভ জন্মদিন, স্নিগ্ধাদি! খুব ভালো লাগলো, পান্ডবদা।

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

তুলিরেখা এর ছবি

আরে ঠাকুমার জন্মদিন নাকি?
ভালো থেকো ঠাকুমা, তোমার তিলের নাড়ু নারকোল নাড়ু রসপুলি মালপোয়া কুচো নিমকি সমুচা গজা কদমা ঝাল ঘুগনি ঝাল চপ খুব মিস করি। আসো না কেন?

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কৌস্তুভ এর ছবি

পাণ্ডবদা, স্নিগ্ধাঠাকুমাকে বলুন, আমার কাছে তার একটা স্টিং অপারেশনের ফটুক আছে, আপনার কথা না শুনলে... চোখ টিপি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই লেখাটার লিঙ্ক উনাকে মেইল করেছি। তার মানে তোমার হুমকিও তাকে জানানো হলো। তুমি বরং তাকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দাও। এরমধ্যে তিনি পোস্ট দেয়া বা মন্তব্য করা শুরু না করলে ইস্টিং অপারেশনের ফটুক .........


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মন মাঝি এর ছবি

দারুন একটা লেখার খোঁজ পেলাম আপনার পোস্টের সূত্রে। আপনাকে ধন্যবাদ।

****************************************

পুতুল এর ছবি

ঠাকমা আমার গল্প পড়ে একবার বলেছিলে; আপনার গল্পের সংলাপ যে পাষে থেকে শোনা কথা। কী যে খুশী হয়েছিলাম! পদ্য পড়ে বলেছিন; আপনার পুঁথি টাইপ লেখা গুলো বেশ লাগে। কথা দিয়েছিলাম অন্তত আর একবার পদ্য লিখব। কিন্তু এখনো সময় করে উঠতে পারলাম না! বেঁচে থাকতেই একদিন লিখব ঠাকমা। পাণ্ডব তো অদ্ভূত সুন্দর গদ্য লিখেইছে তোমার জন্য। এবার মিষ্টান্ন মুখে নাও।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

শিশিরকণা এর ছবি

ন হণ্যতে অর্থ তাহলে কি "যা হবার নয়"? জানতাম না । শিখলাম। শিরনী চাখতে ইচ্ছা করছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তিথীডোর এর ছবি

ন হণ্যতে নয়, ন হন্যতেহাসি
'ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।
যে আত্মা জন্মরহিত, শ্বাশত ও পুরাতন। শরীরকে হনন করিলেও ইনি নিহত হন না।'

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শিশিরকণা এর ছবি

কত কি জানার আছে!! অ্যাঁ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কালকে রাতে যে জিনিস রানলাম, সেইটা আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম, খোদার শিরনীই রানছি। আজকে সেই শিরনী খাইতে খাইতে সচল স্নিগ্ধাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বাসায় আমরা যেটা রান্না করি সেটা জগাখিচুড়ি। খোদাই শিরনীর রেসিপি যেভাবে বলেছি (জিনিস জোগাড় করা থেকে শুরু করে) সেভাবে না করলে ঐ স্বাদ আর কিছুতেই পাওয়া যায় না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

এখানে আসার পর প্রায়ই খোদাই শিরনী রান্না করি। চোখ টিপি

স্নিগ্ধা'পা কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

...........................
Every Picture Tells a Story

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বস্‌, খোদাই শিরনী নিয়ে উপরে ধুগো'কে উত্তর দিয়েছি - একটু দেখেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তারেক অণু এর ছবি
মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

সেটা যারা পারে না তাদের পরিচয়ের সংকট কেবল বাড়তেই থাকে, নিজের সংখ্যালঘু পরিচয় অন্যের কাছে প্রকট করে নিজেকে সমাজছাড়া করে তোলে। মন খারাপ

যে রেণু ফুল থেকে মৌমাছির ডানায় লেগে দূরে চলে গেছে; সে এই ফুল নয়, অন্য কোথাও অন্য কোন ফুলকে নিষিক্ত করে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্ম দেবে। হারানো রেণুর জন্য ফুলের যেমন কোন সন্তাপ থাকে না, হারিয়ে যাওয়া রেণুও তেমন মাতৃফুলের জন্য আফসোস করে না। সৃষ্টির নিয়মই এই, সৃষ্ট প্রাণের নির্বন্ধ এই। মানুষকে ক্রমাগত হাঁটতে হবে। কখনো চড়াই বেয়ে ওঠা, কখনো উতরাই বেয়ে নামা। এই হাঁটাপথে কোনভাবে খোদাই শিরনীর ডেগচিতে পড়ে গেলে, যদি ফিরে যাবার কোন উপায় আর অবশিষ্ট না থাকে, তাহলে খোদাই শিরনী হয়ে যাওয়াটাই ঠিক। চলুক

স্নিগ্ধাদিকে শুভেচ্ছা।


_____________________
Give Her Freedom!

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

অমি_বন্যা

রংতুলি এর ছবি

'খোদাই শিরনী' রন্ধন প্রণালী দেখে জিভে জল চলে আসলো দাদা... বিশেষ করে - "সাদা রঙের চাল, হলুদ রঙের ডাল, হালকা হলুদ রঙের আলু, সবুজ রঙের জালি, কলাপাতা রঙা খোসার লাউ, কমলা রঙের কুমড়া" এই বর্ণনার পর। কাল ঈদ আজকে হাত পুড়ায়ে বসে আছি! কেউ যদি এখন এই শিরনী রেন্ধে পাঠাত!

সচল স্নিগ্ধা কে জন্মদিনে আমার শুভেচ্ছাও জানাবেন!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।