দুবাই – মরুর বুকে এক স্বর্ণ নগরী। কারো স্বপ্নের শহর – আবার কারো স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনার শহর।
আলো ঝলমলে এই শহরের আনন্দ বেদনার গল্প বলা শুরু করলে আরব্য রজনীর দশ ভলিউম এও কুলাবে না। আর আমার মত আদার বেপারীর জাহাজের খবর দিয়ে কোনো লাভ নেই। বরং চলুন আপনাদের এই শহর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরব কিছু জায়গায় ঘুরিয়ে আনি।
ইতিমধ্যে জ্যাস্পারের কাছাকছি এসে টোলগেট পার হওয়ার পরেই জিপিএস সম্বিত ফিরে পেয়েছে। তার দেখানো পথে আমাদের জ্যাস্পারের আস্তানা টেকারা লজে যখন পৌঁছালাম তখন রাত প্রায় দশটা। রিসিপশনের মেয়েটা তার জিনিস পত্র গোছাচ্ছে। আমাদের দেখেই খুবই স্বস্তি প্রকাশ করলো। ঘরের চাবি নিলাম এবং জিজ্ঞেস করতে ভুললাম না যে আসেপাশে ডিনারের ব্যবস্থা কি। ভদ্রমহিলা বেশ কিছু রেস্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন ধরিয়ে দিয়ে বললেন আর্লে যাও, ওইটা এখনো খোলা আছে। ক্যারিওন ল্যাগেজ নামাতে গিয়ে বুঝলাম ক্ষুধা তৃষ্ণায় ক্লান্তিতে হাত পায়ের সমন্বয় পুরাই জোম্বি ধাঁচের হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে ব্যাগে রুমে রেখে রেস্টুরেন্টের দিকে রওয়া দিলাম। আধা কিলোমিটার রাস্তা যেতে পাক্কা পঁচিশ মিনিট লাগলো! এইবার অবশ্য জিপিএস কোন তেড়িবেড়ি করে নাই, মস্তিস্কের রেসস্পন্স টাইমের কারণে ঘটনা ঘটেছে। জিপিএস বলে ডাইনে যাও। আমরা দুইজন দুইজনের মুখের দিকে তাকাই। এরপর হাতের দিকে তাকাই। কোন হাত দিয়ে ভাত খাই মনে করতে করতে ডাইনের মোড় পার হয়ে যায়।
গ্রেট ট্রিগোনোমেট্রিক্যাল সার্ভে চলাকালে ১৮৭০ সালে করা ভারতবর্ষের একটি মানচিত্র
ঘটনা এবারের বিশ্বকাপের প্রথম দিকের। ঠিক তারিখ মনে নেই, কিন্তু তখনও গ্রুপ স্টেজের খেলা চলছে, সম্ভবত প্রথম সপ্তাহের কোন এক দিন। বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে ওয়ালমারট গিয়েছিলাম। কিছু টুকিটাকি জিনিস কেনার ছিল। কিনে বের হয়ে আসার পথে দেখি এক বয়স্ক সাদা ভদ্রলোক ৫৫ ইঞ্চি এলইডি টিভি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কি মনে হতে তার সাথে কথা বলা শুরু করলাম। ভদ্রলোক খাস টেক্সান, কাউবয়দের দক্ষিনা টানে ইংরেজি বলেনঃ
বাংলাদেশের মোবাইল ফোন পেনিট্রেশন এখন ৭৫%, বিশ্বব্যাপী ৯৩.৫% । আমাদের মধ্যে অনেকেই এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করি। দিনে দিনে এটি আরও সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। স্মার্টফোনের নানা সেবা, নানা অ্যাপ, আমাদের জীবনে অনেক সুবিধা এনে দিচ্ছে। আমাদের ফোন এখন জীবনের মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেবার, বিবিধমুখী যোগাযোগের মাধ্যম, পথ দেখানোর সাথী এবং নানা কিছু।
তবে আমরা এসব নানা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার ভিড়ে নিজেকে উজাড় করে দেবার মধ্যে কিছু ব্যাপার ভুলে যাচ্ছি। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনটা খুব উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে আমাদের অজান্তেই। এসব স্মার্টফোন তাদের নানা সেবার জন্যে লোকেশন সেবা ব্যবহার করে যা আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা রেকর্ড করে।
দূর সম্পর্কের এক আত্নীয়ের সাথে হঠাৎ দেখা।দূর সম্পর্কের হলেও একটা সময় বেশ যোগাযোগ ছিল।ব্যস্ততা আর সময়ের অভাবে এখন আর তেমন একটা যোগাযোগ হয় না। তাই সেদিন হঠাৎ দেখা হয়ে যাওয়াতে বেশ ভালোই লাগছিল।কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেই ভাল লাগা উবে গেল।তার বড় ছেলের ডিভোর্স হয়ে গেছে। ছোট একটা বাচ্চা রেখে বউ চলে গেছে।সমস্যা কি জানতে চাইলে তিনি বলবেন কি বলবেন না ভেবে কিছুক্ষণ ইতস্ত করছিলেন।পরে বললেন,আসলে আমার কপালটাই খার
হেডফোনে চুপ বড়ে গোলাম। ঝিল্লিমুখর ঘুমন্ত পল্লীর পথ ধরে ছুটে চলেছে নাইটকোচ, যেমন অভিসারে ছুটে যায় গোপন প্রিয়া। ভেতরের ছায়ান্ধকার থেকে মুখ ফিরিয়ে চোখ রাখলাম বাইরের নিরেট আঁধারে। আকাশে নক্ষত্রের মোজাইক। দূরের খেড়োঘরে মাটির প্রদীপ জ্বলছে। কোন কুলবধূ রাত জাগছে, কল্পনায় দেখতে পাই যেন জোড়া বাতিঘরের মতন দৃষ্টিপ্রদীপ জ্বলছে তার। অশ্বিনী আর স্বাতীতারাদের আলোয় পথ দেখে ঘরে ফিরছে গৃহস্বামী, একাকিনী বধূ আর ঘুমন
ভয়ংকর নাক ডাকা ভূতের খপ্পরে পড়ে কিভাবে আমি নাজেহাল হয়েছিলাম আপনাদের আজকে সেই গল্প শোনাব। সে বহু কাল আগের ঘটনা। তখন আমি আমেরিকার এক জন বিরান এলাকায় থাকি। জন বিরান মানে পুরাই জন বিরান। দিন দুপুরেও রাস্তা ঘাটে লোক জন নেই। এখানাকার লোকেরা একে শহর বলে। খেয়ে দেয়ে আর কাজ নাই। বাংলাদেশের গাঁও গেরামের ভাবসাবও এর থেকে অনেক ভাল। বাংলাদেশের অজ পাড়া গাঁয়েও আজকাল স্টার জলশায় নাটক না দেখে কেও ঘুমাতে যায় না। আর এই খানে রাত আটটার মধ্যেই দোকান পাটে বাতি নিভিয়ে দিয়ে লোকজন কম্বলের নিচে ঢুকে পড়ে।
(১)
অনন্য জাদিপাই
চিরকুমারদের বা চিরকুমারীদের যে হাতের কাজটি শিখতেই হয়, তা হচ্ছে রান্নাবান্না। এইটা না শিখলে, সুরাঁধুনী কেউ এসে আপনার কুমারত্ব বা কুমারীত্ব হরণ করে নিতে পারে। সেই পরিণতি এড়াতেই এই টিউটোরিয়াল।