[justify]মানুষ প্রতিদিন ঘড়ির সাথে সাথে ছুটছে। মানুষের সময় ময় ঘুম পায়, ক্ষুধা পায়, ঘুম থেকে উঠে যায়, প্রতিদিনের কাজ করে, সুস্থতা, অসুস্থতা বোধ করে, আবার অসুস্থ অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে উঠে। সব কিছুতেই কেমন যেন একটা রুটিন বাঁধা। আপনি সচেতন ভাবে অনিয়ম করতে যান, দেখবেন, আপনার দেহ ঠিকই বলছে, আমার ক্ষুধা পেয়েছে, এইবার খাও দয়া করে। সারাদিন অনেক কাজ বা অকাজের পর একসময় আপনার দেহ ঠিকই ক্লান্ত হবে, বলবে আর পারছ
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল

একটু ইংরেজদের গেড়ে বসার আদিকাণ্ড-----------------------------------
[justify]
আমার খুব বেশি খেলনা ছিল না। একটা কমলাটে রঙের ফুটবল ছিল। যেটাতে জোরে কিক করলে পা-টনটন করতো। পাম্প করার পরে বড়জোর একদিন সেটা শক্তপোক্ত থাকতো। কিন্তু সেই বলটা আমার দারুণ প্রিয় ছিল। বাসার উঠানে সেটা নিয়ে দৌড়ালে নিজেকে মাঝে মাঝে পেলের মতো মনে হতো। মনে হতো আমি যেন অলৌকিক স্টেডিয়ামে নামজাদা এক খেলোয়াড়। শৈশবের আর অন্যসব জিনিসের মতো সেই বলটাও হারিয়ে গেছে কোথায় যেন।
আজকের প্রানীটি দেখতে বাদামী রঙের, তুলনামূলকভাবে ছোট-খাট, নিশাচর এবং স্তন্যপায়ী।১ এই প্রানীটি সবার কাছেই বেশ পরিচিত। প্রানীজগতে এর সুখ্যাতি রয়েছে 'সিভিল ইঞ্জিনিয়ার' হিসাবে। এটি আর কেউ নয়, স্বয়ং বীভার মহাশয়। কানাডা ও উত্তর আমেরিকায় এদের বাস। এক সময় সারা পৃথিবীতেই এদের ইঞ্জিনিয়ারগিরির প্রমান পাওয়া যেত, কিন্তু চামড়ালোভী কিছু মানুষের নিধনযজ্
আগের পর্ব
পর্ব ৪
সেই ছোট্ট ঘরটায় অর্ণবের জন্য বিছানা পাতা হয়েছিল। সেটায় শুয়ে একটা কিশোর থ্রিলার-এ ডুবে গেল ও। বিপদে পড়েছে কিশোর, মুসা আর রবিন। প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে ওরা গুহামুখ দিয়ে। ঘুটঘুট্টি অন্ধকার দশদিকে। হঠাৎ কিসের সাথে বাঁ পাটা বেধে গেল কিশোরের। তাল না রাখতে না পেরে হুড়মুড়িয়ে পড়ল সে সামনে। আঁতকে উঠল কিশোর ভীষণভাবে। এই বুঝি বিশাল ভক্সওয়াগনটা উঠে পড়ল ওর পিঠে!
ওর নাম ছিলো মেঘ। প্রথম যখন ওকে দেখলাম, তখনই চমকে উঠেছিলাম, চমকে উঠেছিলো ভিতর বাহির। যেন অশেষ গল্পমালা ঘূর্ণিজলের মতন ঘুরছে ওর চারপাশে, অজস্র রঙ ঝলমল করছে সেই স্রোতে। ওর জীবনের স্রোত যেন দেশকালের গন্ডী ছাড়িয়ে কোথা থেকে কোথায় চলে গেছে, রাঙামাটির দেশের শালমঞ্জরী পার হয়ে কবে যেন ছুটতে ছুটতে চলে গেছে বুড়ী ওকগাছের কাছে, যে গাছ ওকে স্বপ্নের অর্থ বলে দিতো সেই কোন ভুলে যাওয়া যুগে। ঐ বুড়ী গাছই তো ওকে বলেছিল
জাগো প্রসঙ্গঃ
গোপনীয়তা ধরে রাখতে পারে কতজন, কতজন থেকে যেতে পারে গোপনীয়তার কাছে গোপনীয়! গোপন থেকে দেখেছি মানুষের আড়ম্বর বড় বেশি!
প্রতিষ্ঠা নয়, প্রশান্তি চাই, চাই জীবনের আস্বাদ প্রতিটি মুহূর্তে। সাধারণ মানুষ দেখেছি শুধুমাত্র চোখে খিদে নিয়ে খায়না কখনো একনলা ভাত। বেঁচে থাকা হোক মনের তাগিদে প্রশস্ত জীবন কাটানো।
পর্ব ৩
পুরো বাগানের সাথে এই অংশটা যেন মিলছে না। একটু বেখাপ্পা ভাব এই অংশটুকুতে। মাটি আলু-থালু। ভদ্রমহিলা পাশের এক জায়গায় অর্ণবকে তাকাতে বললেন। তাকিয়ে অর্ণবের ভেতরটা যেন একটু কেঁপে উঠল। ফুল-লতা-পাতা দেখে মানুষের অন্তর কাঁপে না। কিন্তু তাদের বিন্যাস অন্তর কাঁপাতেও পারে! কেউ নির্মমভাবে কিছু ছিঁড়েছে, গাছ উপড়ে ফেলেছে। তারপর সেগুলো মাটিতে সাজানো হয়েছে একটি জ্যামিতিক নকশায়।
"তুই কি ছাত্র??"
এই বলে হাতে পত্রিকাটা নিয়ে ছিঁড়ে ফালি ফালি করে ফেলেছিলেন পিতৃদেবতা, বেশ সিনেমাটিক ভঙ্গিতেই। অনেকক্ষণ ধরেই চুপচাপ থেকে যেভাবে গুমরে গুমরে উঠছিলেন তাতে বেশ একটা বিপদ যে আসন্ন তা বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু ব্যাপারটা যে এতোটা সিনেমাটিক হবে তা ধারনাও করতে পারি নাই। কোথায় চোখেমুখে ফিটিয়ে তুলার দরকার ফাঁসির আসামীর মত অনুতাপ, সেই জায়গায় ভুরভুরিয়ে কোত্থেকে যেন রাজ্যের হাসি পেয়ে গেলো। হাসি চাপতে চাপতে মনে করছিলাম কবে কোন সিনেমাতে এমন চমৎকার নাটকীয় দৃশ্যটা দেখেছিলাম। ভাগ্যিস সে মুহূর্তেই পিতৃদেবতা অনুধাবন করতে পারলেন পরীক্ষার আগের দিন নির্বিকার চিত্তে বইপত্র ছেড়ে পত্রিকায় মনোনিবেশকারী ধর্মবিমুখ ছেলের মস্তিষ্কের অসারতা, আর তাই সে যাত্রা অল্পের উপর দিয়েই বেশ বেঁচে গিয়েছিলাম।