১
ভুভুজেলা
-মা, ও মা, গোল আর লম্বা মতো ওটা কি বাঁশি?
-মা ওটা ভুভুজেলা।
-ভুজুজেলায় অনেক আবাজ মা। আমার আবাজ ভাল লাগে না। তোমার লাগে?
-লাগে না মা। আবাজ না আওয়াজ আর ভুজুজেলা না মা ভুভুজেলা।
-মা আমি তো মেয়ে না?
-না তুমি আমার মা।
-ওই তো মা তো মেয়েই। মেয়েরা খারাপ, তাই না মা?
-পচা কথাটা কে বললো?
সেক্স আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজে এতটাই ট্যাবু বিষয় যে এর একটা প্রমিত বাংলা প্রতিশব্দ পর্যন্ত নেই। মানব প্রজাতি ধরে রাখার মৌলিক কাজটিকে উল্লেখ করতে বিদেশি নয়ত সমাজের নিচুতলার মানুষদের মুখের ভাষা থেকে শব্দ ধার করতে হয়। এমন ভাব যেন সক্কলে ডিম ফুটে বের হয়েছি।
সময়: ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৯৯
স্থান: টিএসসি
ঘটনা:
[justify]বার চারেকের মত মিলান যাওয়া হলে ও লাস্ট সাপারটা দেখি দেখি করে ঠিক দেখা হয়ে উঠেনি। প্রথমবার জানা ছিল না বিধায় অগ্রিম টিকেট না করার জন্য শেষ মুহূর্তে আর টিকেট পাওয়া গেলনা। ঠেকে গিয়ে শিখলাম যে এই মুরাল দেখতে হলে মেলা আগে থেকে বুকিং দিতে হবে, লোকজন নাকি মাস চারেক আগ থেকেই বুক করে ফেলে। যাই হোক এবার কনফারেন্স এর সুবাদে লাস্ট সাপার দেখা হবে এই আশায় বসে ছিলাম। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি দিয়ে ইমেইল
[img]DSCN1542 by Kabir Ahmed 26, on Flickr[/img]
অন্তর্ধান (দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব)
(৩)
‘১২ নম্বরকে আর বেশিদিন রাখা যাবে না। বুঝতে পারছো?’ রমজান ঘরে ঢুকতেই শুরু করেন যুবায়ের মাহমুদ। ঘরটা একটু আলো-আঁধারিতে। তূলনামূলক অন্ধকারে বসে কথা বলছেন যুবায়ের। বরাবরই তাই করেন। রমজান তখনো ধাতস্ত হয়নি পুরোপুরি। বড় সাহেবের ডাক শুনে একরকম ছুটতে ছুটতেই এসেছে সে। এরকম জরুরী তলব সাধারণত তিনি করেন না। কী কারণ তাই ভাবছিলো রমজান। আসার পথে সোবহানের সাথে এ নিয়ে কথা বলারও চেষ্টা করেছে। যদিও রমজান ভালো করেই জানে যে এই চেষ্টা অহেতুক। কারণ রমজানই হচ্ছে বড় সাহেবের ফাস্ট হ্যান্ড। সোবহান তার পরে। এর পাশাপাশি আর কেউ আছে কিনা তা অবশ্য রমজান জানে না। রমজান অনেক কিছুই জানে না, এই যেমন বড় সাহেব। রমজান শুধু জানে অনেক বড় সরকারি কর্মকর্তা। ব্যাস এইটুকুই।
প্রথম অধ্যায়
…
(১)
‘সোনার পাথরবাটি’ কিংবা ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’ জাতীয় প্রবাদগুলো ছোটকাল থেকেই আমরা সবাই শুনে আসছি এবং এসব অবাস্তব বস্তু বা বিষয়ের মর্মার্থও আমাদের বোধের অগম্য নয় নিশ্চয়ই। কিন্তু একালে এসে যখন তথাকথিত কোন বিদ্বানপ্রবরের মুখে নতুন আঙ্গিকে এমন কথা বলতে শুনি- ‘বিজ্ঞান চাই কিন্তু বিজ্ঞানবাদিতা চাই না’, তখন আঁৎকে উঠে পুরনো কাসুন্দিকেই আবার নতুন করে ঘুটানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে কি! কথাটা কি কোন বিদ্বানের অসতর্ক মুহূর্তে ক্ষণিকের প্রলাপ ভাববো, না কি এর ভেতরে কোন রহস্য ও গূঢ় উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খোঁজার আগে আমরা মনে হয় কিছু তরল কথাবার্তা সেরে নিতে পারি!
আমি যখন লিখতে শুরু করি। কতই বা বয়স হবে। সদ্য কুড়ি পেরিয়েছে হয়তো। ভয়ে ভয়ে মনের জানালা একটু খানি খুলি। ফুল পাখি লতাপাতা পিঁপড়া যা কিছু আসে মনে তাই নিয়েই লিখে ফেলি কয়েক লাইন। ব্লগে পোস্ট করার পর অপেক্ষার পালা।… কেউ যদি মন্তব্য করে কোনো। কোনো কোনো দিন সারাদিনেও কেউ কিছু বলে না। ব্লগে তখন অনেক সিরিয়াস লেখকরাও আছেন। দেশ-রাজনীতি নিয়ে তুখোড় প্রবন্ধে ঝড় তুলছেন। সে সব পাতায় ঢুকলেও বেশিক্ষণ থাক