আমাদের মা - আমাদের প্রথম ও প্রধান শিক্ষক - ৩
জোহরা ফেরদৌসী
[justify]
আমাদের প্রথম ও প্রধান শিক্ষক
আমাদের সবক’টি ভাই বোনের হাতে খড়ি মার হাতে আদর্শলিপি ও রামচন্দ্র বসাকের বাল্যশিক্ষা দিয়ে। বাল্যশিক্ষার “সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/ সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি...র এই ছন্দোবদ্ধ শপথবাক্য দিয়ে আমাদের শিক্ষাজীবনের সূচনা। সকলের বর...
আমাদের মা - আমাদের প্রথম ও প্রধান শিক্ষক - ২
জোহরা ফেরদৌসী
[justify]
বই, বই আর বই
আমার মাকে যদি কেউ জীবনে একদিনও দেখে থাকেন সেই জানেন তাঁর বই প্রীতির কথা। আক্ষরিক অর্থেই একজন “বইয়ের পোকা” ছিলেন। শৈশবে এতো বইয়ের যোগান তাঁকে কে দেবে ? তখনকার দিনে বাজার থেকে কাগজের ঠোঙ্গায় করে জিনিষ আনা হোত। মা সেই ঠোঙ্গাগুলো সযত্নে রেখে পড়তেন। কোথাও খূঁজে না পাওয়া গেলে সবাই জানতেন যে মা ঘরের পেছনের নির্...
আমাদের মা - আমাদের প্রথম ও প্রধান শিক্ষক - ১
জোহরা ফেরদৌসী
[justify]গত একুশে অক্টোবর, ২০০৯ (বুধবার) আমাদের নয় ভাই বোনের মা নুরজাহান বেগম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। আমার মা ছিলেন পৃথিবীর সকল মায়ের মতন একজন মা। মা শব্দটি এমন যার অর্থ কোন ভাষার কোন বর্নমালা ধারন করতে পারে বলে আমার জানা নেই। মা ডাকটি এমন এক ডাক যা উঠে আসে শুধু বুকের অতল গভীর থেকে। উঠে আসে আনন্দ...
প্রবাস জীবন বেশ একার, তাই না? এখানে কত মানুষের সাথে পরিচয় হয়, কত মানুষের সাথে আলাপ হয়, কত জনের সাথে বন্ধুত্ব হয়… কিন্তু দিন শেষে আমরা কিন্তু একা। স্কাইপ, ফেসবুক, জিটক ইত্যাদির কারণে সারাদিনই গুঁতাগুতি বিভিন্ন বন্ধুর সাথে। একেক জন পৃথিবীর একেক প্রান্তে, একেক সময়ে। অনেকেই আমার মত প্রবাসী (দেশের মানুষগুলোকে খুব কমই দেখি আমাদের মত অন-লাইন হয়ে বসে থাকতে)। হয়তো আমি একটু বেশি মা-বাবা-ভাই ...
এখানে যারা যারা প্রবাসি আছেন, হাত তুলেন দেখিঃ কার কার বাসায় সিদ্দিকা কবীরের “রান্না খাদ্য পুষ্টি” বইটা আছে? কোথায় যেন পড়েছিলাম (হয় তো জাফর ইকবালের লেখা) যে প্রবাসি বাংলাদেশিদের বাসায় কোরান শরীফ না থাকলেও একটা “রান্না খাদ্য পুষ্টি” আছে।
এই বইএর সাথে আমার পরিচ্য় বেশ ছোট বেলায়। আমার মার একটা কপি আছে, প্রথম দিক কার মুদ্রণ, গা...
আমরা কেন গালী দেই? কেন ঘৃণা করি অন্যদের? কি শত্রুতা আন্যদের সাথে? আমরা তো সবাই এই জগতের মানুষ। সবার দায়িত্ব একটাই, সৃষ্টি কর মনুষ্যত্ব গড়। মানব জাতীকে রক্ষা কর আর পরবর্তি প্রজন্মকে একটা পথ তৈরী করে দাও যে পথে এগুলে তাদের গতি বেড়ে যায়। তারা যেন মানুষ নাম এর সুন্দর ব্যবহার করে। কি লাভ এই বিদ্দেশে। চোখ বন্ধ করে ভাবুন। আজ জন্মেছি, প্রতিটা দিন গুনছি, কাল চলে যাব। রেখে যাব সৃতি। এটাই সৃষ্...
কানের পাশে যে আমার একটা মাথা আছে সেটা আবিষ্কার করতে আমার এতক্ষন লেগে গেলো! সচলায়তনের প্রথম লিখাটা কি নিয়ে লিখব সেটা খুঁজতেই আমার জান শেষ হওয়ার দশা! হঠাৎ মায়ের ফোন দিলো, গতানুগতিক বোরিং প্যাচাল শেষে মুঠোফোনটা রাখার সাথে সাথে নিজেকে একটা গালি দিয়া নিজেকে বললাম..."নিজের মাকে নিয়ে লিখলে কি তোর জাত যাবে?" গেলে গেছে,আজকে মাকে নিয়েই লিখবো।
আমার মা হয়ত একটু বেশিই দুশ্চিন্তা করতে...
মা আমাকে রেখে বাংলাদেশে চলে গেলো প্রায় এক মাস হতে চললো। আমি এর আগে কখনো মাকে ছাড়া থাকিনি। একেকটা দিন যেন একেকটা যুদ্ধ। রোজ কোন না কোন ঝামেলা হবেই হবে। সেই ঝামেলা গুলো নিয়ে লিখতে গেলে আলাদা করে আরেকটা লেখা লিখতে হবে। আজকে না হয় মা কে নিয়েই লিখি? মা কতবার বলেছে “আমরা গেলে বুঝবি কত ধানে কত চাল। আমার মেয়ে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝবেনা…”…আমিতো হেসেই উড়িয়ে দিতাম। রোজ কিভাবে যে এমন নিত...
সচলে অনেকেই স্মৃতিচারন করেছেন কিন্তু কেউ মনে হয় না তার প্রথম স্মৃতি নিয়ে এখন পর্যন্ত লিখেছেন, অথবা লিখেছেন যা আমার চোখে পড়েনি, আমি তো আর সচলে প্রথম থেকে নেই, তাই এরকম রায় ঘোষনা করাটাও বোধহয় বোকামী হচ্ছে। আসলে আমার উদ্দেশ্যটা খুব সহজ, আমার সবচেয়ে পুরানো স্মৃতি যেটা আমি পরিষ্কার মনে করতে পারি এবং তার পরের আরো কিছু ঘটনা সবার সাথে ভাগাভাগি করতে চাই। বুঝতেই পারছেন, আবারো স্বার...
আমাদের গল্পের নায়কের নাম ধরে নেই আসলাম। মেডিক্যাল কলেজ থেকে যখন পাশ করে বের হলো , তখন ১৯৭৭ সাল । দুচোখে তার স্বমানধন্য চিকিৎসক হবার স্বপ্ন ,একমাত্র ছেলে হওয়াতে পরিবারের সব দায়িত্ব কাধে , বয়স্কা মায়ের অনেক আশা তাকে ঘিরে । বাবাকে খুব ছোট থাকতে হারিয়েছে , তার পর নানা অভাব অনটনে ভীষন কষ্টে পড়াশুনা করে এতদুর এসেছে ।ব্যর্থ হবার ভয় তাকে প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খায়, রাতে দু:স্বপ্ন ...