Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

মা

একটি জন্ম, কিছু উপলব্ধি এবং মা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১২/০৫/২০১৩ - ১১:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক মনে নাই, সম্ভবত ২০০৮/৯ এর দিকে হবে। আমার বড় বোন একটি ফুটফুটে ছেলের জন্ম দিল, জন্ম দিল আমাদের পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্মের। আমার বোনের বাসা আমাদের খুব কাছাকাছি হওয়াতে আমরা সুযোগ পেলাম আমার ভাগিনার যত্ন আত্তি করার। আমি অবাক হয়ে দেখলাম, আমার ভাগিনা তার ছোট ছোট হাত পা নাড়ানাড়ি করে, কখনো হাসে, কখনো কাঁদে, আর অবাক দৃষ্টিতে তার আশেপাশের জগতটাকে দেখে। এর বাহিরে আর কোন কিছুই সে করে না। আমার মা আর বোন মিলে তার সব কাজ করে দেয় – তাকে খাওয়ায়, পরায়, গোসল করায়, খেলে, অর্থহীন সব কথা বলে, আদর করে ডাকে, ঘুম পাড়ায়, তার সবকিছুই করে দেয়। তারা ঘুমায় না, খায় না, নিজের প্রতি তাদের খেয়াল নেই, তাদের সারা জগত আমার ভাগিনাকে নিয়ে। আমি দেখলাম আমার বোন আর মা মিলে তাকে মানুষ করছে, বড় করছে, তাদের কোন ক্লান্তি নাই, কোন অভিযোগ নাই, আছে এক বুক ভালোবাসা, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।


একটি মানুষ অথবা নীল পৃথিবীর গল্প

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: শনি, ১৭/১১/২০১২ - ৭:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল আফসারুল আমিনের। আসলে তিনি ঘুমানইনি। ঘুমের ভান করে পড়েছিলেন। মাঝখানে একটু তন্দ্রামত এসেছিল। তারপর যাকে তাই। না ঘুমিয়ে মড়ার মত ঘুমিয়ে থাকার অভিনয় করাটা খুব কষ্টের, অস্বস্তিকরও বটে। তবুও তিনি সেটা করতে বাধ্য হয়েছিলেন ফিরোজার কারণে। ফিরোজা তার স্ত্রী। তিনি বারবার এপাশ ওপাশ করায় সে কছিুতেই ঘুমাতে পারছিল না। শেষমেষ বিরক্ত হয়ে সে বলেই ফেলেছিল, “দিন শেষে শান্তিমত একটু ঘুমু


বৃষ্টির সাগরে ডুবে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/১১/২০১২ - ১০:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মা,খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে।ভিজব?
এত ইচ্ছে হলো কেন তোর?
দেখছ না,কী গরমটাই না লেগেছে এই কয়েকদিন।
আচ্ছা,যা।তবে বেশিক্ষণ ভিজিস না।


প্রস্থান-প্রথম পর্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২২/০৭/২০১২ - ২:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রস্থান
সাদ মাহবুব

প্রথম পর্ব

১.
পশ্চিমাকাশ সূর্যহীন। হালকা লাল কমলা আভা। উর্ধ্বমুখে আকাশ পানে তাকালে নীল আকাশের পটে ধরা পড়ে ছোট ছোট কালো রঙ্গের পাখির ঝাঁক। অনেক উপর দিয়ে অস্থিরভাবে উড়ছে। কিচির মিচির তীব্র শব্দ তুলে ঘরে ফিরছে তারা। আজকের দিনের জন্য সব কাজ শেষ। নীড়ে ফিরে চোখ বুজবে।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে।


ইলিশের ফেরিওয়ালা

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: রবি, ১৫/০৪/২০১২ - ১০:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত কয়েকটি দিন ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ‌্যা পর্যন্ত ইলিশের ফেরিওয়ালারা পাঁচ মিনিট পরপর হাঁক দিয়ে গেছে । বাতাসে ইলিশের গন্ধ, রাস্তার মোড়ে মোড়ে গলি-ঘুপচিতেও রুপালি ইলিশের হাতছানি। ফেরিওয়ালাকে দাম জিজ্ঞাসা করার সাহস হয় না। তবু মাঝে মাঝে দলবদ্ধ মানুষের উৎসাহে সামিল হয়ে মুখ ফস্কে বেরিয়ে যায় - কত করে কেজি?


| ছোটদের গল্প… | হাওয়াই মিঠাই |

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৩/২০১২ - ১২:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:



সপাং করে পিঠের ওপর জালিবেতের তীব্র বাড়িটা পড়তেই শার্টের নিচে চামড়াটা যেন ঝলসে উঠলো অপুর ! অবিশ্বাস্য চোখে রহমান স্যারের এমন ভয়ঙ্কর মূর্তি দেখে শিউড়ে ওঠলো সে। বড় বড় চোখ দুটো ডিমের মতো ঠেলে বেরিয়ে আসছে তার ! চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাশ টিচার রহমান স্যারের এমন উগ্র রূপ আগে কি কখনো দেখেছে সে ! কিছুতেই মনে করতে পারলো না।


যে চলেযাওয়াগুলো আমাকে অপরাধী করেছে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৭/০১/২০১২ - ১০:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকগুলো চোখ বারবার পিছু ডেকেছে,
অনেকগুলো শব্দের আহ্বান নির্ঘুম চাদরে ছেয়েছে রাত।
চেসাপীক বে’র ঘুর্ণিজলে ডুবিয়ে দিয়েছি স্মৃতির বরাভয়,
বারবার হয়েছি নিরুদ্দেশ- প্রিয়মুখ
কিম্বা বেপথু অস্তিত্বের মায়াডাক পিছু ফেলে।

কৈশোরের মধ্যযামে ব্রহ্মপুত্রের লাইলাক স্রোতে
দীর্ঘশ্বাস মিশিয়ে দিতে দিতে প্রিয়বন্ধু বলেছিল-
“তুই চলে গেলে জীবনটা এলোমেলো হয়ে যাবে;
কেউ আর ফেরাতে পারবেনা। তখন দোষ দিসনা।”


আক্কেলদাঁত উঠেছে অবশেষে...

উচ্ছলা এর ছবি
লিখেছেন উচ্ছলা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৭/১০/২০১১ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বয়সন্ধির ছয়টা বছর ছিল কবর আজাবের মত বিভীষিকাময়। আর নির্মমভাবে উপুর্যপুরি গজব প্রদানকারী ব্যক্তিটি হলেন 'ঘরের শত্রু বিভীষণ' আমার মা। টক-ঝাল-মিষ্টি আমার কিশোরীবেলা নিমতিতা হয়ে গিয়েছিল ওনার অত্যাচারে। নিয়মিতভাবেই আমাদের ভেতর অনুষ্ঠিত প্রচন্ড উত্তপ্ত বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমি ওনাকে ঘায়েল করতে এ্যাটম বম্ব মারতাম,

"তুমি আমার সাথে এরকম ঘসেটি বেগমের মত আচরন কর কেন?!"


বড় আম্মা।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৩/১২/২০১০ - ১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শামীম।

আমরা ডাকতাম বড় আম্মা। আম্মা আব্বা ডাকতেন “নানীজী”। প্রথম দিকের স্মৃতি যা মনে পড়ে তা হলো সাদা শাড়ি পরা একজন বুড়ো মানুষ। সফেদ চোখ মুখ। বিড়ালের চোখের মতো ঘোলা চোখ। হাতে তসবি। জায়নামাজে বসা। আমার স্বল্প স্মৃতিতে বড় আম্মাকে কখনো জায়নামাজ ছাড়া অন্য কোথাও দেখিনি। তাকালেই মনে একটা শান্তি শান্তি ভাব চলে আসত।
বড় আম্মার ছেলে ছিলেন একজন। আম্মার মামা। আম্মা বলতেন মামুজী। চিটাগা ...


ডাইনি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৭/১১/২০১০ - ১০:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মা গো,

তুমি কি খুব অবাক হচ্ছ? তোমার বুড়ো খোকা তার মৃত মায়ের কাছে চিঠি লিখছে -- ছেলেমানুষি নয় তো কি?
কেন জানি হঠাৎ তোমার সাথে গল্প করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
কিসের গল্প শুনবে মা? ডিএস ইতে শেয়ার কিনে এবার ভালো একটা প্রফিট পেয়েছি মা, আগেরবারের মত মেল্টডাউন হয়নি। ভালো করেছি না, কি বল?
আচ্ছা বাদ দাও। তুমি মনে হয় আগ্রহ নিয়ে শুনছ না। অন্য কি গল্প শুনবে বল। তোমার নাতনির কেচ্ছা শুনবে?

মৃদুলাটা খুব ...মা গো,

তুমি কি খুব অবাক হচ্ছ? তোমার বুড়ো খোকা তার মৃত মায়ের কাছে চিঠি লিখছে -- ছেলেমানুষি নয় তো কি?
কেন জানি হঠাৎ তোমার সাথে গল্প করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।