স্মৃতির শহর-১৩: সেই সব রোদ্দুর

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ০৫/১১/২০১০ - ১০:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

    “এই হনুমান স্টুপিড তোরা দুইটা বেঞ্চের উপর দাঁড়া”...আতাহার হোসেন স্যার আদেশ করলেন আমাকে আর পাপুকে। আমরা ক্লাসের ফোরের বালক, পেছনের বেঞ্চে বসে কথা বলছিলাম। ধরা পড়লে শাস্তি পেতে হয়, তাই বিরস মুখে আমরা বেঞ্চের উপরে দাঁড়িয়ে যাই। বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে যেন এক নতুন জগতের সন্ধান মিলল। একঝাঁক বিস্ময়  নিয়ে দেখলাম  দূরে ঢাকা কলেজের মাঠের পেছনে একটা রূপালি রঙের পুকুর।

“পাপু দেখ দেখ...একটা পুকুর...”

'কেন তুই জানতি না? ওটার মাঝখানে একটা শেকল আছে, সাঁতরে নেমে বেশি দূর গেলে...'

“এই স্টুপিড দুইটা...তোরা আবার বকর বকর...” স্যারের গর্জনে আমার আর জানা হয় না। শেকলের রহস্য রহস্যই থেকে যায়। আমাদের ক্লাস ওয়ান থেকে থ্রি ছিল ল্যাবরেটরি স্কুলের একতালায়, দোতালায় এই প্রথমবার ক্লাস করছি আমরা। অপার বিস্ময় নিয়ে যেন এক অজানা পৃথিবী দেখছি। দোতালার ক্লাসের জানালা দিয়ে স্কুলের মাঠে মেঘের ছায়া দেখে মুগ্ধ হই, তেমনি অবাক হই গ্রীষ্মের বা রোজার ছুটির পরে স্কুলের মাঠ ভর্তি সাদা কাশফুল দেখে।

স্যার চলে যেতেই জুনায়েদ উঠে দাঁড়ায়, ক্লাসের সামনে এসে ঘোষণা দেয় যে সে একটা চুটকি বলবে।

“এই শোন...একটা লোক হাগতে বসছে...হা হা হা...লোকটা হচ্ছে আতাহার হোসেন স্যার...”

এই চুটকি শুনে আমাদের হাসতে হাসতে পেটে প্রায় খিল ধরে যায়। আমাদের সেই সময়ে অল্প বয়েস থেকে খারাপ কথার চর্চা হতো, এতে নাকি মনের চাপ কমে যায়!! আমরা যুদ্ধের পরের প্রজন্ম, কারও ঘরেই তেমন প্রাচুর্য নেই, দুর্ভিক্ষ আর সামরিক শাসন দেখে দ্রুত বড় হচ্ছি, মাসের শেষে সবার বাবারই পকেট প্রায় ফাঁকা, শৈশবেই রেশনের দোকানে লাইন দিতে হতো অনেককেই।

আমাদের প্রিয় স্বদেশ তখন উদ্ভট উটের পিঠে উঠে এক আজব দেশে যাচ্ছে। খেলার মাঠে দৌড় দেওয়া আর আজগুবি সব গল্প এটাই সবচেয়ে বড় বিনোদন সেই সময়ে। তবে এই বিনোদনকে অতিক্রম করার মত অন্যকিছু আজও তৈরি হয় নি। পড়া লেখাতে অধিকাংশের অবস্থাই শোচনীয়, পড়া জিজ্ঞেস করলেই অনেকের মুখেই নির্ভেজাল বিস্ময়ের দেখা মিলত। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর “অমলকান্তি” কবিতার এই কয়টা লাইন পড়লেই আমার শৈশবের বন্ধুদের কথা মনে পড়ে যায়।

অমলকান্তি আমার বন্ধু,
ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।

রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো, পড়া পারতো না,
শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে
এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের।

তবে অমলাকান্তিদের ভিড়ে ভয়াবহ জ্ঞানী ছেলেরাও আছে কিছু, যাদের জন্য এই স্কুলটার অনেক সুনাম ছিল একসময়ে।

পড়া ধরলে আমাদের একেকজনের একেক রকম অভিব্যক্তি দেখা যেত, যেটা বড় হয়ে আমাদের আড্ডায় বিনোদনের ব্যাপার ছিল। অমিকে পড়া ধরলে, ও স্যারকে প্রশ্নটা আরেকটু বিশদ করে বলার জন্য অনুরোধ করত। স্যার বুঝিয়ে বললে ও জানাত যে ওর উত্তর জানা নেই, এটা করলে নাকি মারটা কিছুক্ষণ ঠেকিয়ে রাখা যায়। আজিজকে পড়া ধরলে বিনা উস্কানিতে ও হাউমাউ করে কাঁদত। পাপু একবার স্যারকে পড়া ধরার পরে বলেছিল, যেই শাস্তি আপনি দেবেন আমাকে (ব্যাঙ হয়ে কান ধরা), সেটা স্যার আমি বাসায় প্র্যাক্টিস করে এসেছি। অতনু টপাটপ ফার্স্ট হয়ে যেত, পড়ার উত্তরও দিত নির্দ্বিধায়। কিন্তু একটু বড় হওয়ার পরে ও আর আমি একই সঙ্গে কান ধরে উঠবস করেছি, আনাওয়ারুল করিম স্যারের সৌজন্যে, সঙ্গদোষে লোহাও নাকি ভাসে।

আমার বন্ধুদের মধ্যে আরশাদ ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। অসাধারণ রসবোধ আর পুরানো ঢাকার অশ্লীল গালিগালাজ দিয়ে সে জমিয়ে রাখত চারপাশ। গালাগালির পাশাপাশি সিগারেট খাওয়াতে অতি অল্প বয়েসেই সে দক্ষতা লাভ করে। আপনারা নিশ্চয় ওর উন্নতির কার্ভটা দেখছেন?  এই তিনটি বিষয়ে আমার উৎসাহের পেছনেও ওর অবদান রয়ে গেছে। মানুষের বিপদে অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে ঝাঁপিয়ে পড়া অকৃতদার এই মানুষটাকে নিয়ে মনে হয় এক মহাকাব্য লেখা যাবে।

আরশাদের পরেই আসে লোদীর নাম। গালাগালে ওকে রানার্স-আপ বলা যায়। এছাড়া অশ্লীল ছড়া-গান, স্যারদের নকল করে দেখানো -- এই সমস্ত বিষয়ে সে ছিল সিদ্ধহস্ত। অফিস পাড়াতে এই ছিমছাম, মোটাসোটা মাঝবয়েসি ভদ্রলোককে দেখতেও থাকতে পারেন আপনারা, সৌজন্যের আড়ালে শৈশবের বিচ্ছু ছেলেটা চাপা পড়ে গেছে কোথায় যেন।

স্কুলের সামনে একটা ঝকমকে রিকশা দেখতে পাবেন। ওটার পেছনে বড় বড় লাল হরফে লেখা আছে “প্রাইভেট”। ঢাকার সোওয়ারিঘাট থেকে আমাদের বন্ধু আজিজ ওটা চেপে রোজ স্কুলে আসে। ওটার গায়ের ঝালরগুলো প্রায় নতুনের মত, সিটের নিচে একটা বাহারি রেডিও ফিট করা আছে, সামনে স্লাইডিং গ্লাস উইন্ডো। আমি আমেরিকাতে এসে “ফুল্লি লোডেড” গাড়ি দেখার পর বুঝতে পেরেছি যে আজিজের রিকশাটা “ফুল্লি লোডেড” ছিল। তবে রিকশাওয়ালা অতি বজ্জাত ছিল, আজিজ ছাড়া আর কেউই চড়তে পারত সেই রিকশাতে। আমার এখনও গোপন বাসনা ওই রকম একটা রিকশা কেনা। নিজে চালালে মেদও কিছু কমতে পারে।

আমাদের প্রথম তিনটা শ্রেণীতে ছিল মাত্র চারটা পিরিয়ড। স্কুলে টিফিন দিত, সেই পরোটা আর ভাজির স্বাদ আমি আজও ভুলতে পারি নি। একটু বড় হওয়ার পরে আমরা টিফিন পিরিয়ডে দলবেঁধে বাইরে যেতাম খেতে। স্কুলের উলটো পাশেই ছিল “চিটাগাং রেঁস্তোরা” আর “ঢাকা স্ন্যাক্স” । চিটাগাং হোটেলে গেলে আমরা খেতাম কিমা পরোটা, সত্যিকারে কিমার তৈরি, রীতিমত মোটাসোটা সাইজ ছিল ওদের। এর সাথে দিত সামান্য সালাদ। অতি দ্রুত শেষ করতে হতো, শকুনের মত বন্ধুবান্ধব আমার, কারও আগে শেষ হলে সে হামলা করবেই। কালক্রমে আমি নিজেও এক শকুনে পরিণত হয়েছি, এখন আমার খাওয়া আগে শেষ হলেই সেটা অন্যের জন্য ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

একটু বড় হয়ে আমরা টিফিনের সময়ে আরো দূরে যাওয়া শুরু করি। সায়েন্স ল্যাবের মোড়ে ছিল মালঞ্চ স্যাক্স, ওদের কলিজা সিঙ্গাড়া আর সমুচা অমৃতের মত লাগা শুরু করল আমাদের কাছে। আর মাঝে-সাঝে ধানমন্ডি পাঁচ নম্বর রোডের মহানগরী সবজি ঘরে কোন আইসক্রিম খেতে যেতাম আমরা। কোন আইসক্রিম ঢাকাতে নতুন এসেছে তখন, আমার মনে হতো এই আইসক্রিমের আবিষ্কর্তাকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিত।

দূরদূরান্তে যাবার কারণে টিফিন টাইম পার হওয়ার পরে স্কুল ঢুকতাম আমরা। দুই একজন করে করে লুকিয়ে ক্লাসে ঢুকতে হতো, এটাই ছিল বিরাট এ্যাডভেঞ্চার। তবে ব্যাপারটা হেড স্যারের নজরে আসায় উনি একদিন সবাইকে হাতে-নাতে ধরেন এবং শাস্তির ব্যবস্থা করেন। তবে ততদিনে শাস্তিতে আর কাজ হতো না।

আমরা প্রায় সবাই বই পড়তাম, টেলিভিশনের চ্যানেল ছিল মাত্র একটা, সেটাই দেখা হতো। সবার মানসিকতাই ছিল কাছাকাছি ওয়েভ লেংথে। সবারই প্রিয় বইগুলো বের হয়েছে সেবা প্রকাশনী থেকে, নাইজারের বাঁকে, মরুশহর অথবা কার্পেথিয়ান ক্যাসেল নিয়ে আলোচনা করে ক্লাসের ভেতর ও বাইরেটা কেটে যেত। একবার কয়েকবন্ধু মিলে দলবেঁধে গিয়েছিলাম সেগুনবাগিচার সেবা প্রকাশনীতে। স্মৃতির শহরে কাজীদার চেয়ে উজ্জ্বল উপস্থিতি খুব কম মানুষেরই আছে।

ক্লাস টেনে ওঠার পর থেকে আমাদের কনসার্টে যাতায়াত শুরু হয়। ঢাকায় তখন ব্যান্ড সঙ্গীত তরুণদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। আমাদের প্রজন্ম সেই উত্তাপের বাইরে নয়। আমাদের বন্ধু টিপু তখন সদ্য মাস্তানিতে হাত পাকাচ্ছে, ওর জীবনের লক্ষ্যও স্থির করেছে...”ডেরাগ ডিলার” হতে চায় সে। কনসার্টে মারামারি করাটা ওর “জব ডেসক্রিপশনের “ অন্তর্গত  মনে করে সে । “গ্যাঞ্জাইম্যা” না হলে ঠিক “কুল” হয় না ব্যাপার-স্যাপার। দুঃখের বিষয় প্রায় প্রতিটি কনসার্ট টিপুর একদফা প্রহার হজমের মধ্যে দিয়ে শেষ হতো। বড় হয়ে টিপু একই ভুল পথে হাঁটতে থাকে এবং আজ থেকে বছর দশেক আগে আমেরিকার এক জেলের সেলে নিঃসঙ্গ মৃত্যুবরণ করে সে। বিশালদেহী প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর হাসিখুশি এই ছেলেটার জীবনটা শেষ হয় শুধুই ভুল পথে হেঁটে হেঁটে।

আমাদের আরেকটা বিশুদ্ধ বিনোদন ছিল ফুটবল খেলা। স্কুলের মাঠ থেকে ঢাকা স্টেডিয়ামে সবর্ত্রই তখন ফুটবলের জয়জয়াকার। আবাহনী আর মোহামেডানের খেলাতে গ্যালারি উপচে পড়ে ভীড়ে। দু'জনেই সমান সমান। আমাদের প্রিয় আবাহনীতে তখন সালাহউদ্দীন, চুন্নু, আসলামদের স্বর্ণযুগ চলছে, ভারতের গোলরক্ষক অতনু ভট্টাচার্যকে পরাভূত করেছেন আসলাম ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আচমকা শটে। উনি সম্প্রতি নিজের এই আচমকা গোল দেওয়ার অভ্যাসটাকে ফ্যাবিয়ানোর সাথে তুলনা দেওয়াতে অনেক হাসাহাসি হতে দেখেছি, কিন্তু আমার মনে উনার সেই গোল ভাসছিল বলে কথাটাকে আর বড়াইয়ের মত লাগে নি। আবাহনী ইরাক থেকে বিশ্বকাপ তারকা প্লেয়ারদের এনেও হেরে গেছে মোহামেডানের কাছে, দুবার এগিয়েও জিততে পারেনি। ক্লাস শুরুর আগে এই নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বচসা হয়। খেলায় যেই জিতুক না কেন কোন অজানা কারণে বচসার পরে আমাদের বন্ধু আবিদকে আচ্ছা করে ধোলাই দেওয়া হতো, গুলগল্পের কারিগর আবিদের ঘড়িতে নাকি অক্সিজেন ঢুকানো আছে, সে মার খেয়ে শ্বাস নেয় সেখান থেকে। আমরা স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার সময়ে রাস্তায় মোড়ে মোড়ে ওড়া আবাহনীর নীল আর মোহামেডানের সাদা-কালো পতাকাগুলো গুনতাম, যারটা বেশি তারাই নাকি জিতে...কলরবময় দিনগুলো স্বপ্নের মত কেটে যায় শৈশব আর কৈশোরের বারান্দায়।

সেই বালকদের কোলাহলগুলো যেন স্বপ্নের ওপার থেকে ভেসে আসে কোন কোন সকালে, ওদের সবার চোখে দেখতে পাই বিস্ময়,  পৃথিবীর পাঠশালায় এই সময়টাই যেন আশ্চর্য হওয়ার সময়। এরপরে পৃথিবীকে দেখার সেই চোখটা কোথায় যেন হারিয়ে যায়। এই বালকরা আজ সবাই এখন ধূসর ভদ্রলোক, সমাজে প্রতিষ্ঠিত মানুষ, নানান সামাজিকতার নিচে চাপা পড়ে গেছে শৈশব। তবুও হয়ত নানান কাজের ফাঁকে জীবনের ধূলো ময়লাগুলো ঝেড়ে ফেলে এরাও হয়ত ঘুরে আসে অনেক দূরের সেই শহরে, সবার অলক্ষ্যে...দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে দূর থেকে দেখে বালকবেলার কোলাহল। এ বড় মোহনীয় দৃশ্য...

আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে সব কিছু হতে চায়নি।
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল!
ক্ষান্তবর্ষণে কাক ডাকা বিকেলের সেই লাজুক রোদ্দুর,
জাম আর জামফলের পাতায়
যা নাকি অল্প একটু হাসির মতন লেগে থাকে।

অমলকান্তি/ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

[উৎসর্গঃ অকাল প্রয়াত বন্ধু মাহমুদুল হক টিপুর পূণ্য স্মৃতিতে]
 

 স্মৃতির শহর যদিও ধারাবাহিক নয় বরং বেশ ছন্নছাড়া...তারপরও মনে এই পর্বটা কিছুটা হলেও আজকের পর্বের কাছাকাছি...


মন্তব্য

নৈষাদ এর ছবি

স্মৃতির শহরের অন্য পর্বগুলির মতই ভাল লাগল। ঠিক কোন সময়টাকে ধরতে চেয়েছেন জানতে ইচ্ছা হয় - সত্তর দশকের শেষ কিংবা আশির দশকের প্রথম?

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ নৈষাদ...আপনার ধারণটা ঠিক আছে...সময়টা ১৯৭৯ থেকে ৮৫।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দুর্দান্ত এর ছবি

শুরুতেই আতাহার স্যারের নাম আর ঢাকা কলেজের পুকুরের গল্প পড়ে এসে কমেন্ট করছি। এই জোসেফাইট আর হলিক্রসি-আফাদের রাজত্বে আপনার মত সুহৃদের মাঝে আরেকজন ল্যাবরেটোরিয়ান পেয়ে যারপরনাই আহ্লাদিত।

আসেন ভাইয়া, সিনা' য় আসেন, ভার্চুয়াল কোলাকুলি করি।

তাসনীম এর ছবি

আরে তাই নাকি? আসেন ভার্চুয়াল কোলাকুলি করি...আপনি কোন ব্যাচ?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

তবে ল্যাব আরও আছে, ফাহিম আর সাফিও ল্যাব মনে হয়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আমি আর উদু পথিক-ও আছি কিন্তু চোখ টিপি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

তাসনীম এর ছবি

তাহলেতো বিশাল টিম আমরা...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আহা! এত গভঃ ল্যাব এর লোকজন আছেন জ়ানতে পাইরা বড়ই পুলকিত হইলাম। ঢাকা কলেজের পুকুরটাতে যতদিন গোসল করসি, নিজের বাসার বাথরুমেও অতদিন গোসল করি নাই। আর ঢাকা কলেজের ক্যান্টিন এর ডিম চপ এর কথা মনে পড়ে...।।

লেখার জন্য ধন্যবাদ।
-মেফিস্টো

নীলকান্ত এর ছবি

গুলগল্পের কারিগর আবিদের ঘড়িতে নাকি অক্সিজেন ঢুকানো আছে,

হো হো হো

অসাধারণ। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভালো লেগেছে।
কেমন যেন নিজের স্কুল জীবন চোখের সামনে ভেসে উঠল।

প্রতিনিয়ত চিনছি নিজেকে


অলস সময়

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ পলাশ। তুমিও কি ল্যাব নাকি?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু যেন নিজের স্কুল জীবনের স্মৃতি পড়লাম, যদিও সময়কাল ৭-৮ বছর পরের, কিন্তু রাজশাহীতে বড় হওয়ায় এত দোকান পাট ছিল না, তাই পাকনামি বাড়াতে দুষ্টামিটা বাড়িয়ে বাড়িয়ে করতাম আমরা। তাই ইঁচড়ে পাকা হয়ে যখন ৯৩ এ ক্লাস নাইনে রেসিডেন্সিয়াল মডেলে ভর্তি হই, তখন দেখলাম, ঢাকায় বাইরে বড় হলেও দুষ্টামিতে একটুও পিছিয়ে নেই চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাইফ।

দুষ্টামি না করে স্কুল পাশ করাটা ঘোরতর অন্যায় মনে হয় আমার কাছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এট্টু খাড়ান! আপ্নে রাজশাহীতে বড় হওয়া মানে কী? কন কী?! ৯৩ এ ক্লাস নাইন? আমার ভাইদের কাছাকাছি ব্যাচ মনে হচ্ছে। দেঁতো হাসি
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মন্তব্য করতে গেলে একই রকমের মন্তব্য করতে হবে, মানে আগের পর্বগুলোতে যেমন বলেছি। তাই শুধু অসাধারণ বললাম।

একটা প্রশ্ন মাথায় আসলো। আমি আপনার কাছাকাছি বয়সের বলে এই বিষয়গুলোকে প্রায় আপনার মতো করে অনুভব করি। কিন্তু আমাদের থেকে বিশ/বাইশ বছরের ছোট যারা তারা আপনার এই অনুভবের বিস্তারকে কিভাবে দেখে?

যথারীতি বইয়ের জন্য ইটা রাইখ্যা গেলাম... রেখে গেলাম।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ষষ্ঠ পাণ্ডব।

এই প্রশ্নটা আমারও...তারাও কী আমাদের মত দেখে?

ই-বইয়ের প্ল্যান এখনও বহাল আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মনমাঝি [অতিথি] এর ছবি

না দেখলেও, দেখবে। নিস্তার নাই ! দেঁতো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

আর দারুণ ভালো এই সব বলতে ভাল্লাগে না। একটা পর্ব খারাপ করে লিখুন তো, দেড়েকষে কিছু সমালোচনা করতে পারি।

এই বন্ধুদের নিয়ে আরো লিখুন, মনে হয় অনেক গল্পই না বলা রয়ে গেছে।

তাসনীম এর ছবি

হা হা হা...দেখবেন একদিন সেরকম লেখাও এসে গেছে।

বন্ধুদের নিয়ে কিছু গল্প লেখার ইচ্ছে আছে, নাম-ধাম না পাল্টালে মার খেতে হবে হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আবাহনী-মোহামেডানের মজাটা আমরা সেভাবে পাইনি।
"ধূসর ভদ্রলোক"---কথাটা খুব মনে ধরলো।
আর

মন্তব্য করতে গেলে একই রকমের মন্তব্য করতে হবে, মানে আগের পর্বগুলোতে যেমন বলেছি। তাই শুধু অসাধারণ বললাম।

---আশফাক আহমেদ

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ আশফাক।

ধূসর ভদ্রলোক কথাটা শামসুর রাহমান থেকে ধার করা...কবিতার নাম দুঃসময়ের মুখোমুখি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সবজান্তা এর ছবি

আজকের লেখাটা পড়ে "সংসারে এক সন্ন্যাসী" -এর কথা মনে পড়ে গেলো।

নাহ্‌, লেখার বিষয়বস্তুর জন্য না।

সন্ন্যাসীদার প্রতিটা লেখাই এতো চমৎকার প্রভুখণ্ড (কৃতজ্ঞতাঃ মূলত পাঠক) হতো যে একবার বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, রোজ রোজ এই ফাটাফাটি, চমৎকার ইত্যাদি বিশেষণ দিতে আর ভালো লাগে না- এখন থেকে আপনার লেখায় ঘোষণা দিয়ে মন্তব্য করা বন্ধ করে দিতে হবে।

আপনিও একইদিকে যাচ্ছেন। যাই লিখেন, তাই এতো ভালো লাগে যে, নতুন কিছু বলার পাই না মন খারাপ


অলমিতি বিস্তারেণ

তাসনীম এর ছবি

হা হা হা...অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা হাসি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

স্মৃতির শহরের এই পর্বটা একটা অবশ্যপাঠ্য ক্লাসিক...

জুনায়েদের বাচনে হেসে দিলাম, প্রফুল্ল হলাম আজিজের কান্না আর সেবা প্রকাশনীর কথায়, টিপুর স্মরণে নির্বাক রইলাম।

কতজন এলো গেলো- কতজনই আসবে...

_________________________________________

সেরিওজা

তাসনীম এর ছবি

জুনায়েদ আর আজকাল এই সব গল্প বলে না...আজিজের ছেলে মাধ্যমিক পাশ করেছে (আমাদের মধ্যে সর্বপ্রথম বাবা ও)...আর টিপুর এখন স্মৃতির শহরের স্থায়ী বাসিন্দা। আসলেই কফি হাউজ কেইস...ইস্কুল নিয়ে কিছু গল্প লেখার ইচ্ছে আছে।

ধন্যবাদ সুহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা নিয়ে কিছু আর বলার নেই।
স্কুলের স্মৃতিগুলো এখনো মনে হয় কত টাটকা।
আরো লেখা চাই।

পাগল মন

তাসনীম এর ছবি

স্মৃতির যতই বাসি হয় ততই আসলে তাজা হয় হাসি

ধন্যবাদ পাগল মন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারাপ কোয়াস এর ছবি


love the life you live. live the life you love.

তাসনীম এর ছবি

হা হা হা...ধন্যবাদ...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

হরফ এর ছবি

ফাটাফাটি, ফ্যানটাসটিক, ফ্যাবুলাস, ফাসসক্লাস হাসি

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ঢাকা কলেজের মাঠের পেছনে একটা রূপালি রঙের পুকুর।

প্রথম ১৯৯৭ সালে দেখি এই পুকুরটা, সামনাসামনি। ততদিনে পুকুরটা আর রুপালি রঙের নেই, আরো অনেক কিছুর মত পুকুরটাও দূষিত হয়ে গেছে। স্যারের নির্দেশে ( দেঁতো হাসি ) দাড়িয়েছি বেঞ্চের উপর বহুবার, কিন্তু পুকুরটা দেখা হয়নি কখনো, আমার দু'তলা বিল্ডিঙ ছাড়িয়ে গিয়েছিলো সামনে কলেজের রঙওঠা এককালে চুনকাম হওয়া একটি বিল্ডিঙ।

বিকে'র মাইর - দুঃস্বপ্ন ছিলো বস! মন খারাপ

মালঞ্চ পেয়েছি, বাকিগুলো না। তবে ঢাকা স্ন্যাক্স সম্ভবত পরে 'লাটিমী' হয়েছিলো (ভুল হতেও পারে)। সে সময়েই ছোটো সাইজের বার্গারের দাম ছিলো আকাশ ছোয়া।

একচ্যানেলকালীন শৈশব হয়ত একইরকম ছিলো আমাদের; শহরের পরিবর্তনটুকু ছাড়া।

কলরবময় দিনগুলো স্বপ্নের মত কেটে যায় শৈশব আর কৈশোরের বারান্দায়।
সেটাই... শুধু সেই ছিমছাম শহরটাই নেই আর।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

তাসনীম এর ছবি

বিকের মাইর আসলেই ভয়াবহ...আনওয়ারুল করিম নাম আর কয়জন জানে? একবার আমাদের চেনা এক মেয়ে স্যারের বাসায় গিয়ে জিজ্ঞেস করেছে...বিকে স্যারের বাসা এইটা? বাটু করিম ফায়ার হয়ে তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল...

পুকুরটা ছিল বিস্ময়কর একটা আবিষ্কার আমার জন্য।

ঢাকা স্ন্যাক্স ঠিক ঢাকা কলেজের গেইটের উলটো দিকে ছিল, ওটা ভেঙ্গে ফেলে মার্কেট হয় একটা (দোজা মার্কেট মনে হয় ওটার নাম)। লাটিমি একটু দূরে ছিল, লাটিমি হয়েছে নব্বইয়ের দশকে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সিমন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অমিত এর ছবি

আচ্ছা বিকে কি ভূগোল পড়াতেন ? উনার কাছে পড়েছিলাম অনেকদিন। আরেকজনের কাছেও পড়েছিলাম, জিক। ছবি আঁকতে আঁকতে হাত ব্যাথা হয়ে যেত।
(পড়া মানে এই না যে, উদয়নের অপশন তেমন ভাল ছিল না। উই হ্যাড বেটার। পিয়ার প্রেশার আর কি হাসি

তাসনীম এর ছবি

না বিকে অর্থাৎ বাটু করিম ওরফে আনওয়ারুল করিম অঙ্ক করাতেন। জিক অর্থাৎ জহিরুল ইসলাম খান পড়াতেন বায়োলজি।

আপনার এক পিয়ার কিন্তু আমারও ভালো বন্ধু...এই অস্টিন শহরেই থাকে হাসি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অদ্রোহ এর ছবি

স্মৃতির ওপর ভর করেই আমরা বেঁচেবর্তে আছি-কথাটা আরেকবার অনুভব করলাম।কথাগুলো শুনতে হয়ত ক্লিশে শোনাবে, কিন্তু দুর্দান্ত বলা ছাড়া আমার কিই বা করার আছে?

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ অদ্রোহ।

স্মৃতির উপরেই ভর করে বেঁচে আছি, এটা নিশ্চিত। স্মৃতিভ্রংশ হলে পুরো সর্বহারা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মর্ম এর ছবি

মন্তব্য করতে ইচ্ছা হয়না আপনার লেখায়। পড়ি, একটু ভাবি, একটু হারাই। আবার পরের লেখার অপেক্ষায় বসি!

আজকেই বা ব্যতিক্রম হয় কী করে?!

অটঃ ই-বই কেন? স্মৃতির শহর তো বই-ই হতে পারে! ভেবে দেখতে পারেন কিন্তু।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

তাসনীম এর ছবি

সদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মর্ম।

বইয়ের ব্যাপার বলতে পারি না, বাংলাদেশে বই প্রকাশ এখনও একটা লাভজনক ব্যবসা হতে পারেনি, গুটিকয়েক লেখকের বই ছাড়া। বই বের করলে প্রকাশক ও লেখক দুজনের ক্ষতির আশংকা রয়ে যায়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখাটা পড়ার পরই সব বন্ধুর খবর নিতে ইচ্ছে করল খুব। কবেনা আমার চোখের আড়ালে সবাই "ধূসর ভদ্রলোক" হয়ে যায়। আরেকটু বড় করে লিখুন সবাইকে নিয়ে, একটু ভালো করে মন খারাপের আমেজ নিই হাসি

সজল

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সজল। আপনার লেখা বন্ধ কেন?

বন্ধুদের নিয়ে গল্পসল্প লিখতে পারি কিছু।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

লিখেছিলাম গতমাসে হাসি । লিখার ইচ্ছা হয় অনেক, কিন্তু পড়তেই বেশি ভালো লাগে। গল্পগুলি তাড়াতাড়ি লিখে ফেলেন।

সজল

স্নিগ্ধা এর ছবি

হাসি

(এটাই মন্তব্য ...)

তাসনীম এর ছবি

হাসি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

সবাই বলে দিয়েছে, তাই এখন কিছু বললেই তা কপি পেস্ট হবে। এর চেয়ে বরং আমি কিছু না বলে এই স্মৃতির শহরের অমৃত পান করে যাই।

অনন্ত

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ অনন্ত হাসি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনার স্মৃতির শহর গল্পগুলা পড়লে স্মৃতির ব্যাড সেক্টরে টান দেয়ার একটা তাড়া পাই। কিন্তু পড়া শেষে অন্য কোথাও ক্লিক পড়ে গেলে আবার যেই-কে-সেই। পাশের ট্যাবে এডিটরটা খোলা আছে আজ তিনদিন হলো। একটা কিছু লিখবো, সে আশায়। কিন্তু শিরোনাম আর ক্যাটেগরি দেয়ার পর মূল এডিটরে কার্সরটা সেই তিন দিন থেকেই ব্লিঙ্ক করে যাচ্ছে। একটা অক্ষরও লেখা হয় নাই। মন খারাপ

পনেরো-বিশটা পর্ব হলে পরে একটা ই-বই বানিয়ে ফেলেন তাসনীম ভাই।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

তাসনীম এর ছবি

স্মৃতির শহর পড়ে কয়েকজন শৈশব স্মৃতিচারণ করেছেন দেখেছি, এটাতে একধরণের আনন্দ অনুভব করেছি। তোমার স্মৃতির ব্যাড সেক্টরের অপেক্ষায় রইলাম।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

জুবায়ের এর ছবি

ভাই আপনি যেই হন, মজা পেলাম। রাহা আর লেকুর কথাও গল্পে চাই।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ জুবায়ের। লেকুর কথা মনে আছে, কিন্তু রাহা কে? আমরা মনে হয় পাইনি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দ্রোহী এর ছবি

সাক্ষাৎ প্রভুখণ্ড!


কাকস্য পরিবেদনা

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ দ্রোহী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার বর্ণনা কাবেরী নদীর মতো স্বচ্ছতোয়া ও প্রাঞ্জল, সব অবসাদ ধুয়ে দেয়।
রোমেল চৌধুরী

তাসনীম এর ছবি

সদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রোমেল ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কৌস্তুভ এর ছবি

তাড়ায় তাড়ায় এইটা পড়া হয়ে উঠছিল না। এইবারে পড়লাম। কেমন লেগেছে সে তো জানেনই। হাসি

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তভ, আপনাকে মিস করছিলাম এতক্ষণ হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কৌস্তুভ এর ছবি

দেঁতো হাসি

রানা মেহের এর ছবি

অন্য পর্বগুলোর মতো এই পর্বটা ঠিক স্বপ্ন স্বপ্ন লাগেনি।
তারপরও সুন্দর।
ভালো থাকুন।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ রানা মেহের।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

তাসনীম (আপনাকে ভাই ডাকছিনা । দেখতেই পাচ্ছি আপনি আমার কাছাকাছি বয়সের), আপনার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগটি আজ জানিয়ে যাই, ভীষন ভাল লিখেন আপনি । আপনার লেখা পড়তে শুরু করলে ছাড়তে পারি না, সে যত দীর্ঘই হোক । শুরুতে একটা আলগাভাব নিয়ে পড়তে শুরু করি …এত বড় লেখা নির্ঘাত কোথাও না কোথাও ঝুলে পড়েছে । কিন্তু শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে প্রতিটি লেখাই ছোট গল্পের মত…শেষ হয়েও হয় না শেষ । তখন আবার আপনাকে বকতে থাকি, কেন আরেকটু লেখা যেত না, এত কেন আলসেমী! বুঝেছেন ? সেই যেন সেবা প্রকাশনীর রানা সিরিজের বইগুলোর মত । পরীক্ষার আগে আগে হাতে পাওয়া নতুন বইগুলো পড়ার বইয়ের নীচে রেখে নিষিদ্ধ গন্ধমের মত লুকিয়ে পড়ছি আর রানার চোদ্দগুষ্ঠী (আসলে হবে কাজ়ীদার) উদ্ধার করছি কেন ঠিক পরীক্ষার আগে আগে নতুন বই বাজারে আসে । ঠিক তখনই আব্বার চোখে ধরা পড়া, “বইয়ের নীচে কী ওটা?” তারপর বই সিজ । কিন্তু ততক্ষণে মাথা থেকে উড়ে গেছে সমাস, কারক অথবা আর্কিমিডিসের প্লবতা…

আমি এক আলসে পাঠক । জীবনের কঠিন তাড়নায় ছুটে বেড়াই । কাজের বাইরের বই পড়া ছেড়ে গেছে সেই কবে…একবার এক কঠিন অসুখ সেই সুযোগ ফিরিয়ে দিল আমাকে (দেখুন না সবকিছুরই আদার সাইড আছে, কী বলেন?) । বাংলা ব্লগের খবর আসে অনেক পরে । সচলায়তনে খুব অনিয়মিত হলেও পড়ি । তার মধ্যে আপনার লেখাগুলো অবশ্যই । কিন্তু মন্তব্য খুব কম করি । কিপটে পাঠকও বলতে পারেন । আবার কখনো কোন লেখায় মন্তব্য করব কি না জানি না, তবে এই সুযোগে জানিয়ে যাই আমি আপনার লেখার বিরক্ত পাঠক, বড্ড সময় নিয়ে নেন আমার ব্যস্ত সময় থেকে । শুধু তাই না, স্কুলের জানালায় দেখা ঝুম বৃষ্টি দেখে অন্যজগতে হারিয়ে যাওয়া সেই দিনগুলোতে ফিরে যাওয়া কোন কাজের কথা না…

সবশেষ কথা । রোদ্দুরের মত হারিয়ে যাওয়া বন্ধুটির জন্য মন খারাপ হয়ে গেল । ভাল থাকুক সে অন্যভূবনে ।

……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

তাসনীম এর ছবি

সহৃদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জোহরা।

আপনার আগের মন্তব্য ও লেখা পড়ে বুঝেছি আমরা প্রায় সমবয়েসী। সুতরাং সেই আশ্চর্য সময়কে হয়ত একই চোখে দেখি। আপনার মত আমিও বইয়ের জগৎটা থেকে অনেক দূরে গিয়েছিলাম এবং অসুস্থতার সূত্রে আবারো ফিরে পেয়েছি পাঠভ্যাস এবং কিছুটা হলেও লেখার অভ্যাস, যেটা কখনোই ছিল না। নিজের গল্পটা বলার একটা অপচেষ্টা করব, ভাবছিলাম অনেক দিন ধরে। সচল আর অভ্র মিলে সেই সুযোগ করে দিল, আমিও আপনাদের মত একটা দারুণ পাঠককুল পেলাম। সব খারাপেরই ভালো থাকে, আপনিই তো বললেন।

আপনার মত আমিও জীবনের চাপে ব্যাতিব্যস্ত, সুমিষ্ট পিঠের মত ভাগ করে খাচ্ছে আমার সময় সবাই...শৈশবের স্মৃতিচারণের জন্য সময় বড় কম। তবু এই লেখাগুলো আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ, আমি চেষ্টা করি লেখাগুলো যত্ন নিয়ে লিখতে, আপনাদের প্রতিটা মন্তব্যও আমি পড়ি, আমার কাছে এগুলো সবই শিরোধার্য। আপনার এবং আপনার মত আরো অনেকের মন্তব্য আমাকে উৎসাহ দেয় আমার আরো কিছু লেখার জন্য।

আবারো ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

আমার মনে হয় যেকোন লেখাতেই খুব বড় একটা ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়ায় লেখকের 'সেন্স অফ হিউমার'...স্মৃতি মেদুরতা প্যান-প্যান করে অনেকেই বকে যেতে পারেন, কিন্তু তাসনীম ভাইয়ের 'স্মৃতির শহর'এর মতো এমন নস্টালজিয়া আর কাউকে তুলে আনতে দেখিনি ! কয়েকটা জায়গা যেন বুল্ডোজারের মতো আঘাত করে, আবার কোথাও এসে হাসতে-হাসতে খুন...অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া !

মাহমুদুল হক টিপুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।

(স্মৃতির শহর ৩, স্মৃতির শহর ৪, স্মৃতির শহর ৫, স্মৃতির শহর ১৩ পেলাম শুধু, বাকি ৯টা খুঁজে পাচ্ছি না মন খারাপ, খুব ইচ্ছে করতে পড়তে)

ভালো থাকবেন। হাসি

তাসনীম এর ছবি

সদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিগন্ত।

স্মৃতির শহর ১৩ থেকে ৭ পর্ব পাবেন এইখানে

আমি ভেবেছিলাম ট্যাগ লাইনে স্মৃতির শহর দিলে সব লেখাই এখানে আসবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শেষ সাতটা পর্ব এসেছে।

স্মৃতির শহরের সব পর্ব সহ বাকি লেখা পাবেন এই খানে

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ...আজকের দিনটায় আপনাকে নিয়েই থাকবো হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

জমিয়ে রেখেছিলাম সময় নিয়ে পড়ার জন্যে! পরীক্ষার পূর্বরাত্রির চেয়ে ভালো সময় কি আর কখনও আসে?

ই-বই চাইই চাই ভাইয়া! আবদার রইলো! দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ বালিকা। আবদার মানা হবে হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নাশতারান এর ছবি

আমিও জমিয়ে রেখেছিলাম রয়েসয়ে পড়ব বলে। লেখা ভালো লাগল খুব। স্কুলের দিনগুলো মনে পড়ে গেলো। আমি ক্লাসে সব পড়া পারতাম, আবার শাস্তিও পেতাম প্রচুর।

আচ্ছা, মহানগরী সবজি ঘরে কোন আইসক্রিম কেন পাওয়া যেত?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ বুনোহাঁস।

মহানগরী সব্জিঘর দোকানটা ছিল গ্রোসারি স্টোর, একটু হাই এন্ড, ধানমন্ডির কাস্টমারদের জন্য। ওরা একটা কোন আইসক্রিম মেশিন বসিয়েছিল এক্সট্রা ব্যবসার জন্য মনে হয়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রণ - গভঃ ল্যাব/'৮৭ এর ছবি

টিপু! কালা টিপু!!! শান্তিতে ঘুমাও!

কষ্ট করে লেখার জন্য ধন্যবাদ জানানোর প্রয়োজন বোধহয় নেই তাসনীম।

তবে যদি আবার ফেরত যেতে পারি, এই জীবনে, অথবা অন্য একটায়, তবে হাফ টাইমে নামাজের পর একটাকার ফুচকার প্লেটের অর্ধেকটা তোমার জন্য রাখা থাকবে প্রতিদিন; ডেঞ্জার পার্টির ভয় দেখিয়ে কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না!

(অটঃ '৮৬ ব্যাচের কথা আর কি বলবো; আমাদের ব্যাচে তিন মুর্তি পাঠায় '৮৬ ব্যাচ, ইসমাইল-আজিজ-আরশাদ, লং লিভ... এদের মধ্যে আরশাদ হলো ওয়ান পিস; খোদা যদি আর একটাও বানিয়ে থাকেন, তবে আমার একটা কান জিম্মা রাখলাম।)

(অট # ২ - নিক নেম নিয়ে লিখবে না? মরাগরুর নাম কেন মরাগরু, এটা কি আমি জীবদ্দশায় জেনে যেতে পারবো না?)

আমার সব শিক্ষকের জন্য শুধুই ভালোবাসা এখন, খায়ের স্যার এবং ওয়াজীউল্লাহ স্যার সহ! খাইছে

তাসনীম এর ছবি

চটপটির লোভে পড়লাম।

মরাগরু আমার বাসার থেকে দশ মিনিট দূরে থাকে। ওর বাসায় আজ রাতে খেতে বলেছে। বদনাম হতে পারে তাও বলছি...

ওর বড় বড় চোখের কারণে ওর নাম হয়েছিল গরু, আর স্বাস্থ্যটাও ছিল অতিশয় শুকনা...তাই মরা গরু। ও এখনো দারুণ স্পোর্টসম্যান আছে...সদ্য শেষ হওয়া অস্টিন বাংলাদেশি সকার টুর্নামেন্টে সুপার খেলেছে।

খায়ের স্যারকে ভালোবাসতে প্রায় ২০ বছর লেগেছে স্কুল ছাড়ার পরে। ওয়াজীউল্লাহকে এর চেয়ে অনেক কম যদিও হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রণ এর ছবি

সাবাস! 'মরাগরু' ভাই এর জন্য ভালোবাসা। আসল নাম ভুলে গেছি, মাফ চাচ্ছি!

উনার স্পোর্টসের খবর না রাখলেও হাতের জোরের কথা মনে আছে।
আমাদের 'ভেলুয়া সুন্দরী' (খায়রুল বাশার) ক্লাস নাইনে একবার হাফ টাইমে, এক রেস্টুরেন্টের সামনে (জিজি কি?) উনাকে এই নিকনামে ডেকেছিলো। পরক্ষণে উনার খায়রুলের গালে একটি চড়। রসিকতার এমন মূল্য ভেলুয়া যে ভুলেনি, সে ব্যাপারে আমি ২০০% নিশ্চিত!

খায়ের স্যারকে আজিজ কিন্তু বড় বড় মাছা খাওয়াতো; পরিবর্তে কোন কবিতার দশ লাইন আরবী পরীক্ষায় আসছে, এইটা আমরা আগেই জেনে যেতাম।

ফাট্টার নামাজ পালানোর জন্য খালি পায়ে সেন্টারের রাস্তায দৌড় ভুলতে আমার সময় লেগেছিলো অনেক।

ভালো থেকো, তুমি, এবং গভঃ ল্যাবের সবাই, এবং আরো সব্বাই!

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আমার সব শিক্ষকের জন্য শুধুই ভালোবাসা এখন, খায়ের স্যার এবং ওয়াজীউল্লাহ স্যার সহ! খাইছে

আপনি তো বিশাল হৃদয়ের ব্যক্তিত্ব বস! গড়াগড়ি দিয়া হাসি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

তানভীর [অতিথি] এর ছবি

মুগ্ধ হলাম লেখাটা পড়ে, অপূর্ব তোমার অভিবাক্তি,

..“সেই বালকদের কোলাহলগুলো যেন স্বপ্নের ওপার থেকে ভেসে আসে কোন কোন সকালে, ওদের সবার চোখে দেখতে পাই বিস্ময়, পৃথিবীর পাঠশালায় এই সময়টাই যেন আশ্চর্য হওয়ার সময়। এরপরে পৃথিবীকে দেখার সেই চোখটা কোথায় যেন হারিয়ে যায়। এই বালকরা আজ সবাই এখন ধূসর ভদ্রলোক, সমাজে প্রতিষ্ঠিত মানুষ, নানান সামাজিকতার নিচে চাপা পড়ে গেছে শৈশব। তবুও হয়ত নানান কাজের ফাঁকে জীবনের ধূলো ময়লাগুলো ঝেড়ে ফেলে এরাও হয়ত ঘুরে আসে অনেক দূরের সেই শহরে, সবার অলক্ষ্যে...দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে দূর থেকে দেখে বালকবেলার কোলাহল। এ বড় মোহনীয় দৃশ্য’’

তোমারা কি মতিউল্ল্লাহ, টাইগার, আনিস সিদ্দিকী স্যারদের পাও নি তোমাদের সময়?

তাসনীম এর ছবি

ভাইয়া ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আমরা এঁদের সবাইকেই পেয়েছি। মতিউল্লাহ স্যার ১৯৮৪ সালে বদলি হয়ে যান, বিদায়ের দিন স্যারের চোখ ছলছল করছিল, লৌহমানবের চোখে পানি জীবনে একবারই দেখেছি। স্যার আবার দেখা হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন, আর দেখা হয় নি, স্যার মারা গেছে ৯১-৯২ সালে। স্যারের ছেলে টুলু আমাদের সাথেই পড়ত, ওর সাথেও যোগাযোগ ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল ততদিনে।

আনিস সিদ্দিক স্যারও মারা যান আমরা স্কুলে থাকতেই, ১৯৮৫ সালে। দিনটাও মনে আছে, ২৫ শে ডিসেম্বর। আমরা টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি তখন।

টাইগার স্যারকেও পুরো সময়ই পেয়েছি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

সবার আগেই তো পড়া, নুতন করে বেশি কিছু আর নাই বলি...
সিম্পলি ক্লাসিক একটা লেখা!!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

তোমার মন্তব্যটা এখন চোখে পড়ল, বানানশুদ্ধির জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আচ্ছা, জমিয়ে রাখা লেখাটা আজকে পড়লাম, আর অনেক অনেক সাতরঙা স্মৃতি এলোমেলো করে দিল। বুনোর মতো আমিও জানতে চাইছিলাম মহানগরী সবজি ঘরে কোন আইসক্রিম কেন পাওয়া যেত? হাসি

কত বেঞ্চের উপরে দাঁড়ানো, কত বই লুকিয়ে পড়া, কতস্কুল পালানো আর কতো কান ধরা... একই সাথে স্যার-আপাদের আদর আর শাসন। যাদেরকে অসম্ভব বিরক্ত লাগতো, মেরে ফেলতেও মন চাইতো মাঝেসাঝে, সেই সব স্যার-আপারাও দেখছি বড় হতে হতে কেমন করে যেন খুব কাছের হয়ে গিয়েছেন, আজকে ফিরে তাকাবার চেষ্টা করে দেখছি তারা আর রাগ করাতে পারছেন না আমাকে!
আমার পাঁচটা স্কুল... তিনটা শহর... ছয়বার স্কুল বদল, কিন্তু বেশিরভাগ স্মৃতি খালি একটা স্কুলকে নিয়ে, সেই স্কুলের সবচেয়ে স্মৃতিবিজড়িত (ভালো-মন্দ দুইই) শিক্ষকেরা অনেক আগেই, সময়ের অনেক আগেই ছেড়ে চলে গেছেন আমাদেরকে, আমরা পড়তে পড়তেই, কেউ বা স্কুল ছাড়ার পরপরই। প্রতিদিন স্কুলের সামনে দিয়েই যাই, ইচ্ছা করলেই খোলা মাঠে পেরিয়ে ঢুকে পরা যায় স্কুলের আঙিনায়, আর্দালি-পিয়ন-আয়ারা এখনো চিনবেন মনে হয়, ঢুকি না, কারণ স্মৃতির মানুষদের খুব কমই আজ আছেন, এই শহরেই আছেন কেউ কেউ... যাই না, খোঁজ নেয়াটাও হয় না!
বন্ধুরা আছে অবশ্য, তাদের সাথে ঈদের ছুটিতে বেশ জমাটি আড্ডা হয়... যারা এখনো প্রবাসী হয়ে পড়েনি তাদের সাথে। গত ঈদে দেখলাম মানুষ কমছে, ব্যস্ত হয়ে পড়ছে সবাই আরো বেশি করে নিজের জীবন নিয়ে.. এখন আর নিজের শহরেও ফিরি না আমরা... স্কুলের কথা লিখতে ইচ্ছা করছে আপনার লেখাটা পড়ে... বন্ধুরা হয়ত আর কিছুদিন এভাবে একসাথে থাকবে, তারপর আমিও হয়ত কোন একদিন আপনার মতো করে বন্ধুদের কথা লিখব... যখন আর মার খাবার ভয় থাকবে না, হাতের কাছে পাবে না কেউ আমাকে...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তাসনীম এর ছবি

আমি বেশ লাকিই বলা যায়, আমি একটা স্কুল, একটা কলেজ আর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি -- বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত আছে, আমার আশে-পাশেই শৈশবের বন্ধু আছেন বেশ কয়েক জন্য।

লিখার ইচ্ছে হলে লেখা শুরু করে দাও...মারের ভয় থাকলে কী আর কেউ বড় কিছু করতে পারে?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

অসাধারণ!
বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে যেন এক নতুন জগতের সন্ধান মিলল। একঝাঁক বিস্ময় নিয়ে দেখলাম দূরে ঢাকা কলেজের মাঠের পেছনে একটা রূপালি রঙের পুকুর।
এই ছেলে তো ক্লাস ফোর থেকেই পাগোল (কবি) ছিলো--------

--------------------------------------------------------------------------------

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।