এসো নিজে করি ০৩ - কিভাবে গবেষণা করবেন/ How to do research

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৪/২০১২ - ১০:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সারসংক্ষেপ এসো নিজে করি ০২ এ কুদরতি ব্যাপার নিয়ে ফালতু মশকরা করার ফল হাতে নাতে পেয়ে গেলাম। লেখা প্রকাশের পরদিন থেকে জ্বর আর ঠান্ডায় ভুগে মনে হচ্ছিলো এই বুঝি গেলুম। চা টা পানি টানি পড়া টড়া খেয়ে টেয়ে তাই দুবলা শরীরে বল আনতে কয়েক হপ্তা চলে গেলো। চাঙ্গা হয়েই মনে হলো এবার তবে একটু শিক্ষক মহোদয়দের কাছ থেকে অভিশাপ কুড়ানো যাক!
সিরিজের এই পর্বের নাম হবার কথা ছিল, কিভাবে আপনার প্রফেসরকে দৌড়ের উপর রাখবেন/How to irritate your professor অথবা আপনার পুটু শুধু আপনারই (আপনার প্রফেসরের নয়)/ your only ass is only yours. লেখা মাঝামাঝি শেষ করার পর মনে হল, এই এসো নিজে করি তো নিজে করে দেখাতে পারিনি। অর্থাৎ নিজে সারাজীবন প্রফেসরের দৌড়ানি খেয়ে গেছি, আর এখন যদি উল্টা জ্ঞান দিতে বসি কিভাবে প্রফেসরকে দৌড়ের উপর রাখবেন সেটা তো সৎ কাজ হবেনা।প্রথমে ভাবলাম ধরে আস্ত সিরিজের নামই তাই "এসো নিজে করি" থেকে বদলে "এসো অন্যকে দিয়ে করাই" করে ফেলি। পরে মনে হল আমি তো আর আলু পত্রিকা না যে ঠুস করে বিদ্যা বেলুনের বেলুন ফুটিয়ে সবকিছু রাতারাতি বদলে ফেলবো। তাছাড়া নানা কুবুদ্ধি দেয়া সহজ কাজ। কিন্তু যেখানে রুজি রুটির ব্যাপার জড়িত সেখানে সাহসী হতে বুকের পাটা অথবা বিত্তবান শ্বশুর লাগে। তাই ভাবলাম খালি প্রফেসরকে দৌড়ের উপর রাখার বুদ্ধি না দিয়ে, কিভাবে নিজে দৌড়ের উপর থাকা থেকে রক্ষা পাবেন সেই বুদ্ধিটাও দেই কারণ কবি বলেছেন, Defense is the best offense. সুতরাং ছিল রুমাল, হয়ে গেলো বলদ স্টাইলে লেখার শিরোনাম বদলে হয়ে গেলো, কিভাবে গবেষণা করবেন!

প্রস্তাবনা

অসংখ্য বাঙ্গালী ছাত্রছাত্রীরা পৃথিবীর বিভিন্ন কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রাণপণে গবেষণার নামে প্রফেসরের নির্যাতন সহ্য করে আসছে। এবারের এসো নিজে করি তাদের জন্যই। আবার সচলের অনেক লেখক পাঠক আছেন প্রফেসর গোত্রীয়। এই লেখা আপনাদের হৃদয়ে চোট দিতে পারে, সেইসাথে চিন্তার উদ্রেক ঘটাতে পারে। বেশী ঘাবাড়াবেন না, ভবিষ্যতে কখনো আপনাদের কথা চিন্তা করে এসো নিজে করি ইনফিনিটি - কিভাবে আপনার ছাত্রকে চরম দৌড়ের উপর রাখবেন নামে একটা পর্বও নামিয়ে ফেলবো।

এর আগে কিভাবে লেখালেখি করবেন পর্বে বলেছিলাম লেখক হবার জন্য গায়ের চামড়া মোটা করতে হবে। আর গবেষক হবার জন্য আপনাকে চামড়াই খুলে কোন আলিয়া মাদ্রাসার তহবিলে দান করে আসতে হবে আগে। চামড়াও নাই, তাই লজ্জা শরমের ভয়ও নাই। চামড়া খুলে লজ্জাবোধ বিসর্জন দেয়ার পর এইবার ছোটবেলায় পড়া শিক্ষকের মর্যাদা জাতীয় মহান গল্প কবিতা লব্ধ জ্ঞান বিসর্জন দিন। আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা অনেকে অমন মহানুভব ছিলেন যারা নামমাত্র অর্থ উপার্জন করে আমাদের মাঝে আলো জ্বালার চেষ্টা করে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশিরভাগেরই ওইসব ঝেড়ে ফেলতে হয়। দেশে থাকলে লাল দল, নীল দল নিয়ে কোস্তাকুস্তি করতে হয়। বিদেশে থাকলে ফান্ড যোগার নিয়ে কোস্তাকুস্তি করতে হয়। সুতরাং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষকতা একটি পেশা মাত্রই হয়ে দাড়ায়।

প্রফেসর নির্বাচন

প্রফেসর নির্বাচন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা পাত্র পাত্রী দেখতে গেলে আপাদমস্তক খুঁটিয়ে দেখি। পাত্রপাত্রীর কোন কাহিনী আছে কিনা খুঁজে বের করতে চাই। অন্যদিকে প্রফেসর ফান্ডিং এর লোভ দেখালে তাঁর নাম ধাম বংশ পরিচয় না জেনেই দৌড় দেই। বিশেষত আপনি পিএইচডি গবেষক হলে প্রফেসরের নাম ঠিকুজী জেনে নেয়া জরুরী। খোঁজ দ্যা সার্চ করে দেখুন প্রফেসরের পূর্বতন ছাত্রদের কি অবস্থা। যদি তাদের কেউ পাগল হয়ে থাকে বা সুইসাইড খেয়ে থাকে তাহলে ওই প্রফেসর থেকে সাবধান। আর যদি তাঁর পূর্বতন কোন ছাত্রকে খুঁজে পান এবং সে তাঁর নাম নাম শুনেই চ বর্গিয় কোন নামে তাঁকে সম্বোধন করে তাহলে বুঝবেন প্রফেসর অতো খারাপ না। মানে, এর চেয়ে ভালো কিছু পাবেনও না খুঁজে।

অনেকের ধারণা স্বদেশী প্রফেসর হলে বেশী সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রফেসর স্বদেশী হলে মনে হয় ভালোর চেয়ে মন্দের ভাগটাই বেশী হয়। ভালো দিক হচ্ছে মাঝে মাঝে তার বাসায় দাওয়াত পাওয়া যায়, বিদেশ বিভূঁইয়ে একটু দেশী খাবার জুটে। মন্দ দিক হচ্ছে বিনিময়ে কিছু ফুটফরমাশ খেটে দিতে হয়। আমি ছাত্র এবং গবেষক হিসেবে বরাবরই ভালো। এজন্য আমার কপালে বেশ সম্মানজনক কাজ জুটেছে বাঙ্গালী প্রফেসরের সাথে কাজ করার সময়। স্যারের চিঠি পোস্ট করা, বাজার থেকে হালাল মুরগী কিনে আনা, তার পেপারের তালিকা করা ও ওয়েবসাইট আপডেট করা, মাঝে মাঝে এয়ারপোর্টে তাকে আনা নেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। একবার শুধু বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে সোফার কাভার লাগাতে বলায় মনে হয়েছিলো সম্মানটা বুঝি চলে গেলো। একটু পরে অবশ্য ভালমন্দ পেটে পড়ায় সম্মান আবার ফিরে এসেছিলো। সেই তুলনায় আমার গ্রুপের অন্যান্য বাঙ্গালীরা অপেক্ষাকৃত খারাপ ছাত্র হওয়ায় তাদের স্যারের বাসার গাছের ডাল পালা ছাটা, বাসার সামনে পাথর বিছানো, ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়া মেরামত ইত্যাদি করতে হতো। সুতরাং দেশী প্রফেসর পেলেই 'পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম পাইলাম' বলে দৌড় দেয়ার আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন। ওদিকে আপনার দেশী প্রফেসরও কিন্তু একইভাবে দাঁত কেলিয়ে ভাবা শুরু করে দিয়েছে, 'পাইলাম, কলুর বলদ পাইলাম'। আমাকে একবার আমার দেশী প্রফেসর হাতে ২০ ডলার ধরিয়ে দিয়ে বলল, সৌদি দোকান থেকে হালাল মুরগী কিনে বাসায় তার পরিবারকে দিয়ে আসতে (এক বিন্দু চাপা মারছি না, সাক্ষী হাজির করতে পারবো সন্দেহ হলে)। বোধকরি সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে মুরগীর সালুন দিয়ে ভাত খাবেন, ভরদুপুরে ডিপার্টমেন্টে বসে এমনই দিবা স্বপ্ন দেখছিলেন। মুরগী কিনে বের হয়েই আমার মাথায় দুর্দান্ত এক বুদ্ধি চেপেছিল। প্রফেসরের বাসায় না গিয়ে মুরগী নিয়ে ডিপার্টমেন্টে হাজির হলে কেমন হয়? নিতান্ত আলাভোলা চেহারা করে ডিপার্টমেন্ট সেক্রেটারি অথবা আরও ভালো হয় ডীনের সেক্রেটারির কাছে গিয়ে মুরগী দিয়ে বলা, এইটা আমার প্রফেসরের মুরগী। উনি কিনতে পাঠিয়েছিলেন। উনাকে পাইলে উনার মুরগীটা বুঝিয়ে দেবেন পিলিজ। যাই হোক, আমার সাহস কম বলে আমি করতে পারিনি এমন। আমি জানি আপনাদের অনেকেরই সাহস অনেক বেশী। তাই আপনাদের সাথে এমন ঘটনা ঘটলে এইরকম অকাজ করার বুদ্ধি দিচ্ছি।

প্রফেসর সাধারণত তিন প্রকার, মন্দ প্রফেসর, অতি মন্দ প্রফেসর, আর অতিশয় মন্দ প্রফেসর। আপনার কপালে প্রথম দুই শ্রেণীর কেউ একজন জুটে থাকলে এই লেখা পড়ে যান। কোন সহায়তা না পেলেও অন্তত মানসিক সান্ত্বনা পেতে পারেন। আর কপালে তৃতীয়টি জুটে থাকলে শুধু শুধু এই লেখা পড়ে সময় নষ্ট করার মানে নেই। এতদিনে আপনার জীবন বিষময় হয়ে যাবার কথা। এই বিষময় জীবনের বোঝা বেশিদূর টানার মানে নেই। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ুন বা কলসি বেঁধে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। যাবার আগে একটা সুইসাইড নোট লিখে অতিশয় মন্দ লোকটিরও একটি ব্যবস্থা করে যান। চাইলে ডিপার্টমেন্টের অন্যান্য নির্দোষ কিছু প্রফেসরের নামও লিখে যান। তারা হয়তো আপনাকে অত্যাচার করেনি কিন্তু অন্য কোন না কোন ছাত্রকে অত্যাচার করে যাচ্ছে নিশ্চিতভাবে। আমার জীবনের বড় অংশ কেটেছে গবেষণার নামে মন্দ বা অতি মন্দ প্রফেসরদের বাঁশ খেয়ে খেয়ে। সৌভাগ্যক্রমে অতিশয় মন্দ কারো পাল্লায় পড়তে হয়নি তবে অতিশয় মন্দ কারো কবলে পড়লে কি হতে পারে সেটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।

বহু জ্ঞানীগুণীরা (যেমন আমি) বলে গেছেন, পিএইচডি আর বিবাহের মধ্যে ব্যাপক মিল। দুইটারই রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস "Its Complicated"। প্রফেসর এর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করা স্ত্রীর সাথে যুদ্ধ করার মতই ব্যাপার যেখানে জিতলেও আপনার লস, হারলেও লস। আর তাই ভুলেও কখনো আপনার প্রফেসরের সাথে সম্মুখ সমরে যাবেন না। করতে হবে গেরিলা যুদ্ধ। বিবাহ আর পিএইচডি দুটোর সাফল্যের জন্য যে জিনিষটি আপনার লাগবে তা হচ্ছে একটি মাসুম "ক্যান নট টার্ন ফ্রাইড ফিশ" টাইপের চেহারা। আপনার চেহারার মাঝেই যদি একটা ফটকা ফটকা ভাব থাকে তাহলে সেটা আজই ঝেড়ে ফেলুন। যাই হোক, দেখে নিন কিভাবে PhD Comics এ বিয়ে আর পিএইচডি এর তুলনা করা হয়েছে।

Marriage vs PhD

অনেকের ধারণা মাস্টার্স বা পিএইচডি করা বিশাল ব্যাপার সেপার এবং এই পর্যায়ে এসে নিজের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে। ভুল ধারণা। স্নাতক পর্যায়েই স্বাধীনতার সর্বোচ্চ শিখরখানা পার হয়ে এসেছেন। এইবার আবার ঢালুর দিকে। এই যেমন আবার PhD Comics এ স্নাতকোত্তর পর্যায়কে কিন্ডারগার্টেন এর সাথে তুলনা করা হয়েছে।

GraduateSchool vs Kindergarten

এত কিছুর পরেও হত-দরিদ্র গবেষকদের জন্য রুজিরোজগারই সবচেয়ে বড় বিষয়। সুতরাং যত মহান প্রফেসরই হোক না কেন, প্রথম কথা হচ্ছে তাঁর আপনাকে লালন পালন করার সামর্থ্য থাকতে হবে। প্রফেসরের প্রধান কাজ পড়ানো না, ফান্ড যোগার করা আর দরিদ্র গবেষকদের অত্যাচার করা। TAMU এ গবেষণার জন্য আবেদন করে এক প্রফেসরের কাছ থেকে এরকম উত্তর পেয়েছিলাম, তোমার বৃত্তান্ত দেখিয়া আমি যারপরনাই মুগ্ধ। তোমাকে আমার গবেষণা দলে নিতে আগ্রহী। তবে ভর্তির ব্যাপারে আমি কোন সুপারিশ করতে পারবোনা, আর তোমাকে কোন বৃত্তিও দিতে পারবোনা, আর তোমার টিউশন ও কমায়ে দিতে পারবোনা। আমাদের গ্রুপে তোমাকে সাদর আমন্ত্রণ।

আমি মেইল পেয়ে বজ্রাহত। যদি ভর্তির সুপারিশও না করেন, ফান্ড ও না দিতে পারেন, এমনকি আমার টিউশনও মৌকুফ করতে না পারেন তাইলে প্রফেসর হয়েছেন কোন কামে? ঐযে একটা প্রচলিত কৌতুক আছে না, এক ভিক্ষুক এক লোকের কাছে ১০ টাকা, ৫ টাকা, ১ টাকা চেয়ে শেষ পর্যন্ত যখন শুনে ব্যাটার পকেটে চার আনাও নেই তখন ঝাড়ি দিয়ে বলেছিল হুদাই তাইলে ঘুরাঘুরি করেন ক্যান। একটা থালা নিয়ে আমার পাশে বইসা পড়েন না। আমি ভাবলাম উনাকেও মেইল করি, আসেন আমরা দুইজনে একযোগে ফান্ড ভিক্ষায় নামি।

প্রফেসর নির্যাতন

পৃথিবীতে কোন নির্যাতনই ভালো নয়, সে নারীই হোক বা পুরুষই হোক, শিশুই হোক বা বৃদ্ধই হোক। ব্যতিক্রম শুধু আপনার প্রফেসর বা রিসার্চ সুপারভাইজার। তাদেরকে নির্যাতন করা অ্যারোমেটিক সাবানের মতোই ১০০% হালাল। কারণ কি? কারণ আপনি নিজেই নির্যাতিত, সুতরাং পাল্টা নির্যাতনের অধিকার আপনার অবশ্যই আছে।

সুতরাং শুরু করি কিছু টোটকা জ্ঞান দেয়া । আগেই বলে রাখছি এর বাস্তব প্রয়োগ করতে গিয়ে যে কোন ধরণের দুর্ঘটনার ঘটলে তাঁর জন্য আমাই দায়ী নই।

১) টেনশন নেবেন না, বরং প্রফেসরকে টেনশন দেন। টেনশন এমন একটা জিনিস যেটা নিলে গুণোত্তর ধারায় বাড়ে , আর অন্যকে দিলে নিজেরটা গুণোত্তর ধারায় কমে। টেনশন নেয়া সহজ, দেয়া আরও সহজ। খুঁজে বের করুন তাঁর দুর্বলতা। ফান্ডিং কমিটির সাথে মিটিং বা বা কোন প্রেজেন্টেশন এর সময় সাধারণত প্রফেসররা দুর্বল অবস্থায় থাকে। এই সময়ে তাকে বেশী বেশী করে টেনশন দিন। ল্যাবের কম্পিউটার স্লো, আরও কিছু সফটওয়্যার কেনা দরকার, ল্যাবে আরও কিছু নারী সদস্য বাড়ানো দরকার নারীপুরুষ এর সমানাধিকার বজায় রাখতে, ল্যাবে গরম/ ঠাণ্ডা বেশী ইত্যাদি নানা আহ্লাদ আবদার করে তাঁর মেজাজ খারাপ করাতে পারেন।

২) মনে রাখবেন এই দুনিয়ায় সবাই ধান্দাবাজ, শুধু আপনি ছাড়া। আর তাছাড়া জান বাঁচানো যেমন ফরজ তেমনি জান বাঁচানোর জন্য একটু আধটু ধান্দাবাজি করা জায়েজ। সুতরাং গবেষণার ক্ষেত্রে "সততাই সর্ব নিকৃষ্ট পন্থা"। আপনার পুরো মাস্টার্স বা পিএইচডি এর গবেষণার মূল সারমর্ম সাধারণত একটি গ্রাফ। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবার জন্য সেই গ্রাফের দুই একটি পয়েন্ট যদি একটু ডানে বা বামে ঠ্যালা মারতে হয় সেটা নিয়ে ভীত বা লজ্জিত হবার কিছু নেই। আপনার আগে আমার মতো আরও অনেক মহা মনিষীরাই এই কাজ করে গেছেন। তবে নিজের সীমার মধ্যে থাকবেন। অতি উত্তেজনায় যদি নিউট্রিনোর গতি আলোর চেয়ে বেশী এই ধরণের কিছু বের করে ফেলেন, তবে এই নিউট্রিনো বিজ্ঞানীদের মতোই আপনার কপালেও আছে সুপার ইয়োগা। তারুণ্যের উত্তেজনায় হুট করে আইনস্টাইন, নিউটন এদের প্যান্ট ধরে টানাটানি শুরু করবেন না। টানতে হয় ডিজিটাল বাংলার বিশিষ্ট বিজ্ঞানী কাগু টাইপের কারো লুঙ্গী ধরে টানুন। বেশী কষ্ট করতে হবে না, এমনিতেই হুড়হুড় করে খুলে চলে আসবে।

৩) মনে করবেন দুনিয়ার সবাই বলদ, শুধু আপনি ষাঁড়। সুতরাং প্রফেসর জ্ঞান দিতে আসলে বলবেন, ইয়েস সার। এট্টু দূরে গিয়ে বলবেন (মনে মনে), আম্নে আমাত্তে বেশী বুঝেন? সামনেও বলতে বলতে পারেন যদি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস থাকে। চাপার জোর আর আত্মবিশ্বাস গবেষণাতে অনেক কাজে দেয়। আমার ল্যাবে এক ষাঁড় ছিল। বাস্তবে বলদ, তবে আত্মবিশ্বাস আর চাপার জোরে ষাঁড়। তাঁর পিএইচডি ডিফেন্স এর সময় তাঁকে কমিটির একজন বেমক্কা প্রশ্ন করে বসলো। সে প্রথমে তাঁর দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাল, তারপর বলে হুম। তারপর সামনে রাখা পানির বোতল হাতে নিলো। নিয়ে আস্তে আস্তে সেইটার প্যাঁচ খুলল। খুলতে খুলেতে আবার বলে হুম। তারপর বোতল খুলে দুই ঢোঁক পানি খেয়ে আবার আস্তে আস্তে প্যাঁচ কষে বোতলের মুখ লাগাল। তারপর ধুম করে উল্টা ওই প্রফেসরকে বলে, হোয়াট ডু ইউ মিন। ক্যান ইউ রিফ্রেইজ দ্যা কোয়েশ্চেন? প্রফেসর দেখি ততক্ষণে কি প্রশ্ন ছিল সেইটাই ভুলে গেছে।

৪) সাধারণত বাঙ্গালী ছাত্রদের এতোটা আত্মবিশ্বাস থাকেনা। তাই বিকল্প পদ্ধতি যাকে ইংরেজিতে বলে "Playing Dumb" বা বাংলায় "বলদ বলদ খেলা" সেটা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক বন্ধু ছিল। ওর পরের রোল নাম্বার সবার ভাইবা বেশ ভালো হতো। কারণ ওর ভাইবা নেয়ার পর শিক্ষকদের মাথা শর্ট সার্কিট হয়ে যেত। ওকে যাই জিজ্ঞেস করা হোক না কেন, উত্তর আসতো হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। সেইরকম May be or May not be ট্রিটমেন্ট দিতে পারেন আপনার প্রফেসরকে। আপনাকে কিছু করতে বললে (বিশেষত তাঁর সাইড প্রজেক্ট এর কাজ) সেইটা নিয়ে বারবার তাঁর কাছে যান। বলেন, ব্যাখ্যা কর। তারপর বলেন, আরেকটু ব্যাখ্যা কর। তারপরে আরেকবার বলেন, প্রথম থেকে পুরা ব্যাপারটা আবার বুঝিয়ে বল। এইরকম কয়েকবার করলেই সে বুঝে যাবে আপনি বিশিষ্ট উড কাউ, তাই আর বেশী হাউকাউ করবে না কাজ নিয়ে।

৫) বেশীরভাগ প্রফেসরকে পাকড়াও করার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে বিকেল ৫ টা। এই সময় এক তাড়া কাগজ হাতে নিয়ে গিয়ে গবেষণা নিয়ে খোশগল্প জুড়ে দিন। খালি হাতে কখনোই প্রফেসরের কাছে যাবেন না। সবসময় এক তাড়া কাগজ, পেপার হাতে নিয়ে যান। আস্ত পেপার পড়ে সময় নষ্ট করার মানে নেই। ছাপার অক্ষরে কিছু দেখলেই হুট করে বিশ্বাস করা ঠিক না। ওই পেপার খানা আপনার আমার মতোই কোন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীর লেখা। তাই শুরু আর শেষ পড়লেই কি তামাশা হচ্ছে বোঝা যায়। সেইরকম ভাবে একগাদা পেপার পড়ে সেইগুলা কপি করে প্রফেসরকে দিয়ে আসুন। মাঝেমধ্যেই তাকে পাকড়াও করে জিজ্ঞেস করবেন, ওই পেপার এর অমুক পদ্ধতি সম্পর্কে তোমার কি মত? এইভাবে বেশীদিন প্রফেসরকে দৌড়ের উপর না রাখতে পারলেও এটা বেশ ভালো অস্থায়ী সমাধান। কিছুদিনের জন্য হলেও প্রফেসর আপনার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকবে একটু।

৬) আপনার প্রফেসর যদি চ্যাংড়া কেউ না হয় তাহলে নব্বই ভাগ সম্ভাবনা সে প্রোগ্রামিং বা নতুন টেকনোলজির ব্যাপারে দুর্বল। সুতরাং আপনি প্রোগ্রামার হলে ১০০ পাতার একটা প্রোগ্রাম নিয়ে গিয়ে সেইটার কোথায় ভুল হচ্ছে নিয়ে আলোচনা শুরুর চেষ্টা করতে পারেন। হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করলে গাড়ী চলে না চলে না বলে কানতে কানতে হার্ডওয়্যার খানা প্রফেসরের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। ফলাফল কি হবে জানিনা তবে প্রফেসর যথেষ্ট পরিমাণে অত্যাচারিত হবে এইটা বলতে পারি।

৭) সব ল্যাবেই একটা করে বিশিষ্ট আঁতেল থাকে, পিএইচডি কমিকস এ যাকে বলা হয় গোল্ডেন বয়। সাধারণত সেই গোল্ডেন বয় এর সাথে তুলনা করে আপনার প্রফেসর আপনাকে বেইজ্জতি করার চেষ্টা করবে সবসময় । এটা সবচেয়ে কমন স্ট্যাট্রেজি। যেটা যে কোন কর্মক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়। ক কে গোপনে ডেকে একটু হালকা ঝাড়ি দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া খ এর অগ্রগতি কত ভালো। আবার খ কে ডেকে একটু হালকা ঝাড়ি দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া ক এর অগ্রগতি কত ভালো। তারপর ক আর খ নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করুক গিয়ে, লাভটা হবে বসের। সুতরাং এই ফাঁদ এ পা দেয়ার মানে নেই।সত্যি সত্যি যদি গোল্ডেন বয় কাজ করে ফাটিয়ে ফেলে, তাহলে তাকে ফাটাতে দিন। ঐ ব্যটার আর কোন কাজ না থাকতে পারে, আপনার আছে। আপনাকে দিনে ১৪ বার সচলে ঢু মারতে হয়, ফেসবুকে স্ট্যাটাস মারতে হয়, লাইক মারতে হয়, ইউটিউবে নানা তামাশা দেখতে হয়। এতো কাজের ফাঁকেও যে আপনি টুকটাক গবেষণা করছেন সেটা কম কি।

দৈনন্দিন গবেষণা

ভালো গবেষণা কর্মের জন্য শুরুতেই প্রয়োজন একটি সুন্দর একটি রুটিন। আমি জানি কম বেশী সকল গবেষকরাই প্রায় এরকম রুটিনেই চলেন প্রতিদিন। তবুও সকলের সুবিধার্থে রুটিনখানা তুলে দিচ্ছি।

১০-০০ ল্যাবে গমন, চা কফি পান, ল্যাবমেট দের সাথে মৃদু গুলতানি

১০-৩০ সকল ইমেইল চেক

১১-০০ ব্লগ, সচল, ফেসবুক, ক্রিকইনফো

১১-৩০ কিছু কাজের উইন্ডো খুলে মিনিমাইজ করে রাখা। অর্ধসমাপ্ত, সিকি সমাপ্ত বা এক শতাংশ সমাপ্ত কাজ, প্রোগ্রাম, লেখা পেপার, থিসিস ইত্যাদির দিকে তাকিয়ে গভীর কিছু দীর্ঘশ্বাস ফেলা।

১২-০০ লাঞ্চের সময় আগত প্রায়। লাঞ্চের জন্য মানসিক (কোথায় খাবেন, কি খাবেন ইত্যাদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ) ও শারীরিক (অন্যান্য দেশী বিদেশী গবেষকদের লাঞ্চের আহ্বান জানিয়ে ফোন করা, জলবায়ু ত্যাগ ইত্যাদি ) প্রস্তুতি।

১২-৩০ থেকে ১-৩০ লাঞ্চ এবং লাঞ্চে বসে জীবনের উদ্দেশ্য এবং অর্থহীন জীবন নিয়ে গুরুতর আলোচনা। নিজ নিজ প্রফেসরকে মৃদু গালিগালাজ ইত্যাদি।

১-৩০ সকল ইমেইল চেক এবং প্রয়োজনে সেগুলোর উত্তর প্রদান।

২-০০ ইতোমধ্যে দুনিয়াতে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। বিভিন্ন ব্লগে নতুন লেখা, নতুন কমেন্ট চলে এসেছে। ফেসবুকে আপনার লাইফ সাক্স স্ট্যাটাসটিতে অলস লোকে ধুমসে লাইক দিয়েছে, কর্মঠ লোকেরা আহা উহু করে কমেন্ট দিয়েছে, ফাতরা লোকেরা মুড়ি খেতে বলেছে। এগুলো সব পড়া এবং উত্তর দেয়া।

৩-০০ আপনি নর্থ আমেরিকার বাসিন্দা হলে এই সময়ে ইত্তেফাক, আলু, কালু সহ বিভিন্ন পত্রিকা অনলাইনে চলে আসা শুরু হয়েছে। এগুলোতে চোখ বুলিয়ে দেশের জন্য মৃদু হা হুতাশ।

৪-০০ সকল কাজের উইন্ডো খুলে আরও একদফা দীর্ঘশ্বাস।

৪-১৫ সারাদিনের কাজের চাপ থেকে মুক্তির জন্য কফি পানের জন্য বিরতি। আবারও অন্যান্য দেশী বিদেশী গবেষকদের ফোন করা কফি পানের আহ্বান জানিয়ে।

৪-৩০ কফি পান এবং মৃদু গুলতানি

৪-৪৫ প্রফেসরের সাইড প্রজেক্টের (প্রফেসর এর ওয়েবসাইট আপডেট, পেপার রিভিউ, হোমওয়ার্ক/অ্যাসাইনমেন্ট দেখে দেয়া বা থিসিস এর সাথে সম্পর্কহীন যে কোন কাজ) জন্য কিছু কাজ করা।

৫-০০ প্রফেসরের চলে যাবার সময় হয়ে গেছে। সুতরাং হন্তদন্ত হয়ে তার রুমে গিয়ে করমের অগ্রগতির ফিরিস্তি দেয়া। ভাগ্য ভালো হলে মৃদু ঝাড়ি, মন্দ হলে তীব্র বাক্যবাণ হজম।

৫-৩০ আগামীকাল সকল কাজ শেষ করে ফেলবো ভাবতে ভাবতে বাসার দিকে যাত্রা।

কি নিয়ে গবেষণা করবেন

গবেষণা করতে হবে মৌলিক কিছু নিয়ে। মৌলিক কিছু খুঁজে না পেলে দুইটা পূর্বে আবিষ্কৃত মৌলিক ব্যাপার নিয়ে একসাথে গিট্টু পাকিয়ে দিন। পেয়ে যাবেন নতুন কিছু। আপনি কোন পর্যায়ে অধ্যয়নরত তাঁর উপর নির্ভর করবে গবেষণার জটিলতা। যেমন আপনি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের গবেষক হলে বেশী পাকনামি না করাই ভালো। কাজ করবেন সরলরেখা নিয়ে।ধরা যাক, পাকিস্তানের প্রতি কারো ভালোবাসার সাথে তাঁর ছাগল হবার সম্ভাবনার একটা সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করতে যাচ্ছেন। একই সাথে নিজ দেশ বাদে অন্যান্য যে কোন দেশের প্রতি কারো অত্যধিক ভালোবাসার সাথে তাঁর বলদ হবার সম্ভাবনাও যাচাই করতে চাচ্ছেন। গবেষণার ফলাফল y=mx+c বা সরলরৈখিক দেখাবেন। (উল্লেখ্য যে কোন গবেষণাকর্মে চিপায় চুপায় কিছু ম্যাথম্যাটিকস এর ফর্মুলা ঢুকিয়ে দিন। সহজ জিনিস জটিল করতে গণিতবিদদের জুড়ি নেই। তাই আপনিও হালকা গবেষণাকে ভারিক্কি দেখানোর জন্য যত পারেন গণিত ভরে দিন। )। যত গুড় ততো মিঠার মতো যত বেশী ভালোবাসা ছাগু সূচক বা বলদ সূচক এর মান ততো বেশী। একশ ভাগ ভালোবাসা থাকলে একশভাগ বলদ (বা কাঠ বলদ) এবং একশভাগ ছাগু (বা রাম ছাগল)। এখন আপনি মাস্টার্স পর্যায়ের গবেষক হলে একটু প্যাঁচ কষতে হবে। দেখান একটা সীমা পর্যন্ত ভালোবাসা থাকলে সেটা কাউকে হালকা বলদ (বা প্লাস্টিক বলদ) এবং হালকা ছাগু (বা নব্য ছাগু) এ পরিণত করে। কিন্তু এরপর বলদ বা ছাগু সূচক ধাইধাই করে বাড়তে থাকে। আপনি পিএইচডি এর গবেষক হলে সরলরেখা থেকে বের হয়ে বক্ররেখায় যে কোন জিনিস তুলে ধরতে হবে। পিএইচডি গবেষকদের জন্য Linearity বা সরল সম্পর্ক হারাম। সুতরাং যেভাবেই পারেন আপনার লাইন আঁকাবাঁকা করতে হবে। নিচের গ্রাফে আপনার গবেষণার সম্পর্ক রেখা কিরকম হতে পারে তাঁর একটা চিত্র তুলে ধরলাম। এইটার আগেপিছে কিছু কথা লিখলেই হয়ে যাবে সম্পূর্ণ রঙ্গিন পূর্ণ দৈর্ঘ্য একটি মৌলিক গবেষণা।

Goat_Cow_Graph

কিভাবে গবেষণা পত্র লিখবেন

প্রফেসরকে খুশী রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে গণ্ডায় গণ্ডায় গবেষণা পত্র পাবলিশ করা। তেমন কঠিন কোন কাজ না। প্রথম ডিমটা পাড়তে একটু কষ্ট হয়। একবার সেটা পেড়ে ফেললে সেই একই ডিম একবার অমলেট করে, একবার হাফ বয়েল, একবার ডিমভুনা করে নতুন নতুন ডিম বানানো যায়। জীবনের প্রথম লেখা গবেষণা পত্রের খসড়া পাঠানোর পর প্রফেসরের দুলাইনের ইমেইল পেয়েছিলাম, থ্যাংকস ফর সেন্ডিং দ্যা ড্রাফট। ইয়োর রাইটিং হ্যাভ রুম ফর ইম্প্রুভমেন্ট। তখনও ইংরেজি ভাষা নিয়ে খাবি খাচ্ছি। "রুম ফর ইম্প্রুভমেন্ট" বলতে কি বুঝালো সেই চিন্তায় মাথা চুলকে গেলাম। একবার মনে হয় রুমে গিয়া লেখা ইম্প্রুভ করতে বলল। আবার মনে হয় বলল লেখা মারাত্মক হইছে ,সামান্য কিছু উন্নতি করতে বলছে। এর মানে যে কিছুই হয় নাই, নতুন করে লিখ সেটা যখন বুঝলাম ততদিনে প্রফেসরের গবেষণার ব্যাপারে চরম উদাস হয়ে গেছি।

রিসার্চ পেপার লিখা অনেকটা রাজনীতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে গলাবাজি করার মতোই। শুরু করবেন ভূমিকার নামে একের পর এক চাপাবাজি। কি কি উন্নয়নের দরকার, উন্নয়নের অভাবে জনগণের কত কষ্ট হচ্ছে ইত্যাদি বলে। ভায়েরা আমার দেশকে বাঁচাতে হলে দেশের মানুষ বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে খাদ্য সমস্যার সমাধান করতে হবে, খাদ্য সমস্যার সমাধান করতে হলে ইত্যাদি ইত্যাদি রাজনৈতিক ত্যানার মতো করেই টেকনিক্যাল ত্যানা পেঁচিয়ে ফেলেন। With the rapid growth of this and this, this and this is so and so important etc. etc. যতক্ষণ খুশী ভূমিকাতে ত্যানা পেঁচিয়ে এইবার চলে যান আগের সরকার কি কি করেছে বা Background Work অধ্যায়ে। ছ্যাঁচড়া রাজনীতিবিদের মতো করেই ধুমসে আগের সরকারের বদনাম করতে হবে এখানে তবে একটু মধু মাখিয়ে আরকি। আগের গবেষকরা ক্লাস এইট পাশও ছিলেন না, এধরনের কথা বলা ঠিক হবে না। বরং একটু ভালমন্দ মিশিয়ে কথা বলুন। আগের গবেষকরা এই এই করেছেন। করে এই এই চুলোৎপাটন করেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু হেঁইয়ো হেঁইয়ো করে টেনেও তারা মাত্র কয়েকগাছি চুল ছিঁড়িতে পারিয়াছেন। কিন্তু আপনি এক টানে সমস্ত চুল উঠায়ে নিয়ে আসতে পারবেন এই গবেষণার মাধ্যমে এইসব চাপাবাজি করুন। সবশেষে একটা হিবিজিবি গ্রাফ আর টেবিল গুঁজে দিয়ে লেখা শেষ করুন।

কিছু ভালো কথা (চক্ষুলজ্জার খাতিরে বলা আরকি)

তারপরেও ধান্দাবাজে ভরা এই দুনিয়াতে হটাত হটাত দুই একজন আলাভোলা পাগলা প্রফেসরের দেখা মিলে। যাদের জীবনের ধ্যান জ্ঞান গবেষণা। আদব-কায়দা, ফান্ডিং পাবার ইঁদুর দৌড়, সব রকমের পলিটিক্স এদের কাছে গৌণ। এইরকম কাজপাগল লোকের খপ্পরে পড়লে আপনার জীবন আরও বেশী ভাজাভাজা হবে। তবে একসময় অবাক হয়ে আবিষ্কার করবেন ভাজা হতে তেমন মন্দ লাগছে না! ( হ, কইছে তোরে!)

উপসংহার

সে যাই হোক, বিনামূল্যে অনেক জ্ঞান বিতরণ করলাম। যা যা সব বুদ্ধি বাতলে দিয়েছি ওইগুলা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে প্রফেসরদের চোখের পানি নাকের পানি এক করে ফেলুন। আমার নিজের জীবনের বড় সময় কেটেছে শিক্ষকতা করে। ম্যাবস, সানরাইজ, ওমেগা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত চাপা পিটিয়ে বেড়িয়েছি। ইচ্ছা আছে এক বছরের মধ্যেই কোম্পানির চাকরী ছেড়ে আবার শিক্ষকতায় ঢুকে পড়বো। সুতরাং পরবর্তী প্রজন্মের গবেষকরা যদি আমার বাতানো সব বুদ্ধি প্রয়োগ করেও কোন ফল না পান তবে বুঝবেন আপনার প্রফেসর আসলে আমি। আর যদি হাতে নাতে ফল পান, সেক্ষেত্রে দুই ধরণের ফল পেতে পারেন। এক, আপনার অত্যাচার হতে বাচার জন্য দ্রুত ডিগ্রী দিয়ে আপনাকে বের করে দেয়া। দুই, আপনাকে বের করে দেয়া ( পত্রপাঠ, কোন ডিগ্রী ছাড়াই)। উভয়ক্ষেত্রেই আনন্দ করুন এবং স্বাধীনতা উপভোগ করুন।


মন্তব্য

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...
আগে ইট রেখে যাই
জীবনে কোনদিন সবার আগে মন্তব্য করিনাই
আপনার প্রতিটা লেখায় আমি ২/৩ টা করে মন্তব্য করি, এই বারো ব্যাতিক্রম হবেনা আমি জানি
প্রফেসর ডাকতেছে আগে মিটিং সেরে আসি তারপর পড়ব

চরম উদাস এর ছবি

হ, বিশাল গবেষণালব্ধ লেখা। আস্তে ধীরে দম নিয়া পড়েন।

Engr. Ahsan Arif এর ছবি

অসম্ভব ভালো লিখেছেন আপনি। আপনি যদি এই লেখাটা আরো তিন বছর পূর্বে লিখতেন তাহলে এখন আমার নামের পূর্বে ড. আশাকরি থাকতো।
হাসি

চরম উদাস এর ছবি

এখনো তো সময় আছে

তারেক অণু এর ছবি

দেঁতো হাসি আপ্নি পুরাই ফাউল! তয় অনেক অনেক ধন্যবাদ, কাজে লাগবে পরে! চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

ক্যান, শেষপর্যন্ত কি আপনারও গবেষণা লাইনে নামার ইচ্ছা?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস এর ছবি

চিন্তিত

অরফিয়াস এর ছবি

ফাডাই লাইছেন !!! দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

সচল জাহিদ এর ছবি

আফনে একখান অমানুষ !!!
শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

ঝুমন এর ছবি

অঃটঃ জাহিদ ভাই আপনি যদি একটু সময় ও সু্যোগ করে বাংলাদেশ মায়ানমার সমুদ্রসীমা বিচারের রায় নিয়ে লিখতেন তাহলে ভাল হত। সবকিছুতেই রাজনীতি এমনভাবে প্রবেশ করেছে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যে তা বোঝা দায়।

নৈষাদ এর ছবি

ও... বিদেশে গবেষণা মানে এই ঘটনা...।
চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আবার জিগায়, দেশে বিদেশে সর্বত্র গবেষণা মানে এই ঘটনাই দেঁতো হাসি

TFN এর ছবি

ওওওওওওওওও থাঙ্কস ভাইয়া ।।। আমি একজন নয়া গবেষক ।।। বরই হাবুডুবু খাইতাসিলাম কয়দিন ধইরা ।।। ফ্রাসট্রেশান এর মা-বাপ ।।। ফিলিং গুড যে দুনিয়াতে আমার মত মানুষ ও আসে ।।। হ্যাপিইইইইই

কুমার এর ছবি

রুম ফর ইম্প্রুভমেন্ট=রুমে গিয়া লেখা ইম্প্রুভ করুন।
কি এক প্রফের ফেরে পড়লাম, কাকামগে।

সত্যপীর এর ছবি

"কাকামগে" গড়াগড়ি দিয়া হাসি হাততালি

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

গুরুত্হীন এর ছবি

হো হো হো লেখাটা আরো আগে লিখলে কি হতো?

যাই হোক আমার ঠেকে শেখা উপলব্ধি, গবেষণার ফলের চেয়ে সারাদিন ল্যাবে বসে ঝিমানো আর একদিন পরপর খোচা দাড়ি আর উশকু খুশকু চুল নিয়ে প্রফকে চেহারা দেখানো জরুরী। সেদিন গোসল/শ্যাম্পু করা একদম বর্জনীয়। এর সাথে মাঝে মাঝে রাত ১১টার দিকে একটা মেইল।

চরম উদাস এর ছবি

এত গবেষণা করে লিখতে সময় লাগে না মিয়া?

guest_writter এর ছবি

হো হো হো

দীপাবলি।

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ইমা  এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি দেশের গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে একটু ভিন্ন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার কারনে আমার ৩ বছর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রফেসরদের এই অত্যাচারের অভিজ্ঞতা অনেকখানি অর্জন করে ফেলেছি। আপনার লেখা পরার আগে পর্যন্ত আমি ছোটখাট একটা ক্লাস রিসার্চ প্রজেক্টএ কাজ করছিলাম। এখন থেকে আপনার দেয়া এই বুদ্ধি অনুসরণ করে গ্রাজুয়েশন শেষ করার আগেই প্রফেসরদের চোখের পানি নাকের পানি এক করার উপর পিএচডি করে ফেলতে চায়। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

চরম উদাস এর ছবি

হ, করে ফেলেন

ইয়াসির এর ছবি

"ঐ ব্যাটার আর কোন কাজ না থাকতে পারে, আপনার আছে"

সব জায়গায় অফিস মানে একই হাসি

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই, সব জায়গাতে কিছু একমুখী বেয়াদ্দব পোলাপান থাকে। এদের জন্যই আমাদের মতো বহুমুখী প্রতিভারা বহুমুখী নানা কাজ করতে পারে না।

সত্যপীর এর ছবি

বউ লিখা এডিট না দিলে এই জনমে মাস্টার্স থিসিস পাশ হইত না, এমনই ত্যাড়া পফেসর সাব পড়সিলো কপালে। খালি কয় এইখানে কমা হইব না সেমি কোলন, ঐখানে আইটালিক দিস কি বুইঝা, ডাবল স্পেসিং হয়নাই ওয়ান পয়েন্ট ফাইভ মারো...বিয়াপক ত্যানা প্যাঁচানি। সাদা সফেদ গালে থাবড়াইতে মঞ্চাইতো।

আপ্নে শিক্ষকতা ক্যান কর্তে চান আমি জানি। আপ্নে খালি চরম উদাসই না চরম আইলসাও মনে হইতেসে। শিক্ষকরা হইলো দুনিয়ার সবচাইতে বড় অলস, সেই কবে জয়েন কইরা একটা চোথা বানায় আর বছর বছর অইটাই পড়ায়। ক্যারিয়ার উইথ ডাউনওয়ার্ড ওয়ার্কিং কার্ভ। সবই বুঝি হুঁ হুঁ চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

হ। আমার প্রফ আমারে দিয়া আস্ত একটা পাঠ্য বই লেখায়া বলে, আমি যেহেতু প্রফেসর তাই আমার নাম ফার্স্ট অথর হিসেবে থাকা ভালো (তাইলে নাকি বই এর কাটতি বাড়বে), আর আমার এক দোস্ত প্রফের নাম সেকেন্ড অথর হিসাবে দাও, আর তুমি থার্ড অথর হয়া যাও। আমি শিউর ব্যাটা বইয়ের সেকেন্ড এডিশনে আমার নাম পুরাই বাদ দিয়া দিবে।

আর অলসের ব্যাপারটা পুরাই ঠিক (রতনে রতন চিনে খাইছে )। অফিসের কাম কাজ ভাল্লাগেনা। শিক্ষকতার চেয়ে আরামের চাকরী আর কি আছে।

সত্যপীর এর ছবি

দোস্ত প্রফ আইল কুন্দিকদিয়া? অ্যাঁ

অরাজক পরিস্থিতি।

..................................................................
#Banshibir.

আলভী মাহমুদ এর ছবি

আমার প্রোজেক্টের সুপারভাইজার হালায় এইরকম ত্যানা প্যাচাইয়া একশেষ করসিলো,কি লেইখা আনলাম পইড়াও দেখে না,আগেই ফাল দিয়া উঠে এইখানে এইটা নাই,ওইটা বেশি হাবিজাবি। প্রোজেক্ট ডিফেন্স দিতে যাইয়া দেখি এই টপিকের বস প্রোফেসর বইসা আছে আর আমার সুপারভাইজার সাল্লি আলা কইয়া হাওয়া।ওরে যেই শট খাইসি,এক সপ্তাহ ব্যাথা করসে (কলিজা ভাই,আর কিছু না)।

পিএইচডি করতে মন চাইতাসিলো,এই লিখা পইড়া তো ভাবতাসি মাস্টার্স ও করুম না ওঁয়া ওঁয়া বাপরে বরং কই হুদাই বিদেশ না পাঠাইয়া ব্যবসায় নামাইয়া দিতে

চরম উদাস এর ছবি

হ। এত বেইজ্জতির কোন মানেই। আমি এইজন্য মহিলা হলে উপদেশ দেই বাড়ি বাড়িতে ছুটা কামলা হিসাবে কাজ করতে আর পুরুষ হইলে রিকশা চালাইতে। স্বাধীন কাম, মাস্টার্স/ পিএইচডি থেকে বেশী সম্মান পাইবেন।

ইফতেখার  এর ছবি

আমার শালিকা ২ টা বাচ্চারে ১ ঘন্টা পড়ায়। পায় ৪০০ টাকা।
আমার বউ একটা ছুটা কাজের লোক রেখেছে, ঘড়ি ধরে ১ ঘন্টা কাজ করে, তাকে দিতে হয় ৫০০ টাকা।
সামলান ঠেলা।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
তবে আমাদের দেশে কিন্তু আসলেই কায়িক শ্রমকে খাটো করে দেখা হয়। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে এক ঘণ্টা ঘরের কাজের বেতন এক ঘণ্টা পড়ানোর চেয়ে বেশীই হওয়া উচিৎ। কারণ অতে অনেক বেশী পরিশ্রম।

TFN এর ছবি

আমিও আমিও :/

তাসনীম এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ধুসর জলছবি এর ছবি

হো হো হো শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি আপনারে যারা প্রফেসর হিসেবে পাবে তাদের খবরই আছে। চিন্তিত

চরম উদাস এর ছবি

কি যে বলেন, তারা পরম সৌভাগ্যবান।

Atahar এর ছবি

আমিও এই কতাই কইতে চাইসিলাম, আপনের স্টুডেন্টদের জন্য অগ্রিম সমবেদনা

চরম উদাস এর ছবি

দাড়ান আমার প্রাক্তন স্টুডেন্ট দুই একটারে হাজির করতেছি। আমি যে কতো অসাম শিক্ষক ছিলাম সাক্ষী দিবে।

মুখর এর ছবি

দাদা, আপনি এত জুস ক্যান??? ক্যান ক্যান ক্যান???।।। মনের কথাগুলা ক্যামনে বুইঝা ফেলেন।।।আমি আন্ডারগ্র্যাডের থিসিস কমপ্লিট করলাম, এই লেখা টা আর কয়েকটা দিন আগে লিখলে, চাপাবাজিগুলা আরও কনফিডেন্স নিয়ে করতে পারতাম। গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

মাত্র তো আন্ডারগ্র্যাড গেলো, এইবার এটার জ্ঞান দিয়া মাস্টার্স আর পিএইচডি নামায় ফেলেন।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

লেখাটা আমার সাথে পুরাপুরি মিলে নাই তবে গ্রাফের বিষয়টা ছাড়া।
Y axis এ গিয়ে টাইম সিরিজ এর কিছু কিছু অংশ যদি সামাইন্য উপরে তুলে দিতে পারতাম তাইলেই নতুন একটা পেপার! আমার প্রফেসর অতি ভালো মানুষ, ল্যাবে বসে প্রভার ভিডিও দেখেলেও কিছু মনে করবেনা ফর সিউর!!
কারন সে টেবিল টেনিস খেলার‍ সময় মাঝে মাঝে ভুল করে পুইতা পুইতা [Fuck Fuck] করে। আল গোরের সাথে নোবেল পুরষ্কারেরে ছিটা ফোঁটা পাবার পর ফান্ড পেতে আর তার ঘুরাঘুরি করতে হয় না।
সব কিছুর পর ও সে দেখি মাঝে মাঝে নিজে সন্ধার পর বসে বসে কোড লিখে। এই বুড়াকে আমার ভালোই লাগে তারে আমি আগামীবার বাংলাদেশ বেড়াতে নিয়ে আসব
একটা ছবি দেখেন তার লাইগা আমি বাংলাদেশের থেকে ড্রেস নিয়ে আসছি সে এইটা পড়ে মাঝে মাঝে ল্যাবে আসে
ইমান্যুয়েল-জ্যাসিকা।

চরম উদাস এর ছবি

আপনের রাজকপাল।
যাক, ভালো জিনিস শিখলাম এখন থেকে পাবলিকরে পুইতা পুইতা বলতে হবে।

আজব প্রাণী এর ছবি

ধন্যবাদ। এক্কেবারে ঠিক সময়ে লিখছেন। ভাই আপনি মহান। আজকে আমি ফাটায়ে ফেলবো

চরম উদাস এর ছবি

ফাডাইলান

বাওয়ানী এর ছবি

নাহ! ঘুম পাইতাছে। মাথাও কিন্চিত আখের রসের কারনে জ্যাম। সকালে পরুমনে

চরম উদাস এর ছবি

উকে

সৌরভ কবীর   এর ছবি

উত্তম জাঝা! গড়াগড়ি দিয়া হাসি চাল্লু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আনোয়ার এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি চলুক গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

রায়হান আবীর এর ছবি

প্রচুর জ্ঞানে জ্ঞানান্বিত হৈলাম দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি

তারানা_শব্দ এর ছবি

অসংখ্য বাঙ্গালী ছাত্ররা পৃথিবীর বিভিন্ন কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রাণপণে গবেষণার নামে প্রফেসরের নির্যাতন সহ্য করে আসছে।

লেখার শুরুতেই নাড়ি-প্রুষের এই ডিস্ক্রিমেনেশন দেখে রাগে দুঃখে ক্ষোভে আমি আর পড়লাম না!!!
নাড়ীরা কি তবে গবেষণা করে না? মন খারাপ

আসলে মিছা কথা। কালকে আমার প্রেজেন্টেশন, তাই কাল পড়বো, রেখে দিলাম। চোখ টিপি

বাই দ্যা ওয়ে, আমার সুপারের যন্ত্রণায় আর ভাল্লাগতেসে না মন খারাপ আশা করি লেখাটা কাজে দিবে দেঁতো হাসি এখন ফুটি!!! খাইছে

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

চরম উদাস এর ছবি

আরও নারীরোষে শিকার হবার আগেই ঠিক করে ছাত্রছাত্রী বানিয়ে দিলাম। প্রথম আলোর বদৌলতে আমাদের এখন আর বদলে দিতে বদলে যেতে এক সেকেন্ড সময় লাগেনা দেঁতো হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম... আইতাছি।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস এর ছবি

ইটা দেইখা ডরাইছি

শিশিরকণা এর ছবি

ডরানোই উচিৎ। শয়তানী হাসি
আমার প্রফেসরও দেশী লোক। মাত্তর সাড়ে তিন বছরেই অতিষ্ঠ হয়ে ডিগ্রী হাতে ধরায় দিয়ে বিদায় করে দিছে, কেমন দৌড়ানি দিছিলাম বুঝেন তাইলে??? একখান কাহিনী বলি, গত বছর একদিন ( গুরুমশায়ের জন্মদিন) সক্কাল বেলা অফিসে এসে দরজা খুলেই বের হয়ে আসলো, কারন পুরা ঘর ভর্তি শয়ে শয়ে বেলুন, বেলুনের গায়ে আবার সার্কিট আকা ঝোকা। পাশের আরেক রুম থেকে চাপা খিক খিক হাসির শব্দ ( চেহারা দেখানো নিরাপদ কি না আন্দাজ করার চেষ্টা করতেছিলাম) কিছু বেলুন ঠুশ ঠাশ ফুটায়ে নিজের ভিতরে ঢুকে কোনমতে নিজের চেয়ারে বসছেন। কিন্তু শব্দে ডিপার্টমেন্টে এলার্ট হয়ে গেছে, বোমা গুলি নাকি। শয়তানী হাসি দেঁতো হাসি দিন শেষে দয়া পরবশ হয়ে তারে সাহায্য করলাম বেলুন সাফ করতে, কিন্তু মাস কয়েক পরে নতুন স্টুডেন্টের জন্য একটা অফিস ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা গেল, সেই রুমের মেঝেতে কাল্প্রিট বেলুনের দল ফেটে রোদে গলে মেঝেতে চেটকে আছে। দেঁতো হাসি

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস এর ছবি

আপনার শিক্ষক তো লোক বেশ ভালোই মনে হচ্ছে। আমার প্রাক্তন প্রফের সাথে এমন কাম করলে বেলুন না ফুটায়ে আমারেই ধরে ফুটায়ে দিত।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বুঝলাম একটা দুর্দান্ত লেখা হইছে, কিন্তু এখন পড়া হবে না
ঘুম পায়
সকালে পড়বো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

চরম উদাস এর ছবি

সবাই খালি ঘুমাইতে যায় ক্যান ইয়ে, মানে...

cresida এর ছবি

গবেষনা ভালো না। গো-বাসানা করুম।

জটিল লেখা। প্রফেসরদের গো-বাসনায় মজা পাইলাম।

ক্রেসিডা

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

নিটোল এর ছবি

চরম হইছে। হো হো হো

_________________
[খোমাখাতা]

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

উত্তম জাঝা! চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তাপস শর্মা এর ছবি

বিগ বস, দ্যা গুরু, দ্যা উদাস মাস্টর। লম্বা হইয়া মাইরা গেলাম এক্ষান গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

চিন্তিত

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চরম বসসস।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

নীলম এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কেমনে যে লেখেন এইসব দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

গবেষণা করে লিখি খাইছে

আব্দুর রহমান এর ছবি

বোঝলেন উদাস স্যার, খুব চেষ্টা করসি সৎ থাকার, যেমন এক্সপেরিমেন্ট তেমনই রাখনের। পারলাম না, এই দেশ, এই সমাজ এই গবেষণা আমাকে ভালো থাকতে দিলো না। আপনে যখন সাহস দিলেন, এইবার ডাইনের ডাটা বামে, বামের ডাটা ডাইনে, পূবের ডাটা পশ্চিমে যেমুন মন চায় তেমুন ঠেলা দিমু। দোয়া রাইখেন।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

চরম উদাস এর ছবি

হ। ঠেলেন হালকার উপর, কি আছে দুনিয়ায়।

rabbani এর ছবি

প্রফেসরদেরকে দেখি 'পুইতা (কইরা)' ফালাইলেন চলুক

চরম উদাস এর ছবি

হ, একদম পুইতা পুইতা দেঁতো হাসি

হিল্লোল এর ছবি

আপনার লেখার রসের উৎস কি সেই বিষয়ে আপনার তত্ত্বাবধানে পি এইচ ডি করতাম চাই!

চরম উদাস এর ছবি

চলে আসেন। রসের উপর একখানা পিএইচডি করার আমারও ইচ্ছা, বড়ই রহস্যময় জিনিস।

মেঘা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি আমার যে প্রফ হবে তার কপালে দুঃখ আছে শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি

চ্রম ভাই চ্রম লিখছেন। দিন দিন কেমন অমানসিক সব লেখা লিখতেছেন। শয়তানী হাসি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
কেন, আপনেও কি দৌড়ের উপর রাখেন নাকি প্রফদের?

রাগিব এর ছবি

বছর দুয়েক আগে হইলে অন্যদের মতো আমিও ধনে পাতা নিয়ে হাজির হতাম। কিন্তু এখন এইটা পুরা আমার এন্টি লেখা হয়েছে!! মন খারাপ (আমার ছাত্ররা আপনার পোস্ট না পড়লেই বাঁচি!!)

তবে সুবিধাও হয়েছে, আপনার টেকনিক কেউ আমার উপরে ফলাতে আসলে এই পোস্টের রেফারেন্স সহ হাতে নাতে ধরিয়ে দিবো। চোখ টিপি

আমার সুখের আরামের দিন নষ্ট করার বদ মতলবের জন্য আপনাকে গোটা দশেক ধুতুরা ফল দিলাম!

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

চরম উদাস এর ছবি

হে হে, কি আছে জীবনে। আমারও বছরখানেক পর আলাবামার দক্ষিনের দিকে শিক্ষকতা করতে যাবার সম্ভাবনা আছে। তারপর উত্তর আলাবামায় গিয়ে আপনার সাথে গবেষণায় বসব নে, কিভাবে ছাত্র দৌড়ের উপর রাখতে হয় খাইছে

আসাদ এর ছবি

হে হে, মাইনুল মিজান, আছো নাকি আশেপাশে? দেঁতো হাসি

শমশের এর ছবি

চরম চরম চরম কাজের একটা পোস্ট হইছে।
চরম উদাস রক্স। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অমানুষিক বিনোদনমূলক পোস্ট। একদম আমাদের জীবন থেকে নেওয়া।

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

হাসতে হাসতে শেষ। ডিজুস জেনারেশনের মত 'বেশি জোস' বললেও কম বলা হবে। পাঁচ তারা হাসি

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

মাহফুজ খান এর ছবি

বস, মাত্র ল্য়াব থেকে বাসায় আসলাম, সারাটা পথ প্রফেসরের মায়েরে বাপ বলতে বলতে বাসায় এসে সচলে ঢু দিয়েই দেখি এই লেখা, এইটা পড়এ মনে কিচুটা সুখ পাইলাম এই ভেবে যে আমার মত আরো অনেকে চিলেন, আচেন এবনং থাকবেন।

বিদ্র, চ লিখ্তে পারতেচিনা চ হয়ে যাচ্চে।

চরম উদাস এর ছবি

ব্যপার না, প্রফেসরের ঠেলা খায়া আসলে মুখ, কলম দুইটা দিয়া খালি চ ই বাইর হয়।

যাযাবর এর ছবি

গুল্লি উত্তম জাঝা! পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দ্রোহী এর ছবি

আমার প্রফেসর ছিলেন বাংলাদেশি। বিদেশে বাঙালি প্রফেসরদের নামে যেসব খাচড়ামির গল্প শোনা যায় আমার প্রফেসর মশাই তার চাইতে দুই ফুট বেশি খচ্চর ছিলেন। তার খচরামির গল্প লিখতে গেলে মহাভারত লেখা হয়ে যাবে। তবে আমিও কম যাই না, তাকে যে পরিমাণ টাইট দিয়েছি তার সুফল ভোগ করেছে পরবর্তী ছাত্রগুলো।

আমেরিকায় টেনুরড ট্র্যাকে থাকা প্রফেসরদের বিরুদ্ধে তেমন কিছু করা যায় না। তার উপর তার ফান্ডিং ভাল ছিল। তাই, তার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান/ডীনের কাছে নালিশ দেয়া সত্ত্বেও কেউ কিছু করার আগ্রহ দেখায়নি। বরং চেয়ারম্যান মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার অবতীর্ণ হয়ে আমি যাতে কোনভাবে ডিগ্রি শেষ করে বের হয়ে আসতে পারি তার ব্যবস্থা করেছিলেন।

দুই বছরের মাস্টার্স কোর্সে আমি আমার প্রফেসরের সাথে প্রায় দেড় বছর কথা বলিনি। একা একা যা খুশি ধুনফুন লিখে একটা যা তা থিসিস জমা দিয়ে চলে এসেছি। শেষ দিকে এত বেশি মরিয়া হয়ে গেছিলাম যে থিসিস ডিফেন্স করার আগেই বিমানের টিকেট কেটে ফেলেছিলাম। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের ঘরে ঢুকে টিকেটের কথা বলে হাতে পায়ে ধরে একটা দিন ম্যানেজ করে কোনরকমে ডিফেন্স করে পরদিনই বিমানে উঠে পালিয়েছিলাম। দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

আপনার কপালে তাইলে অতিশয় মন্দ ক্যাটাগরি পড়ছে। আমার এক কলিগের প্রায় একই রকম ঘটনা। ওর প্রফেসর এর মাধ্যমে এক কোম্পানিতে ইন্টার্ন হিসেবে ঢুকেছিল। একই কোম্পানিতে প্রফেসরও পার্ট টাইম খ্যাপ মারত। প্রফেসর নিজে কোন কাম করেনা, ওর স্টুডেন্টকেও বেশী কাজ দেখাতে দিত না। বলত, কাজ যা করছ তার অর্ধেক অফিসে দেখাবা কারন তাতে প্রজেক্ট আরও বেশীদিন চলবে। আর ইন্টার্ন হলেও সে তার ছাত্রকে একা একা অফিসে যেতে দিত না। সপ্তাহে দুইদিন বগলদাবা করে নিয়ে যাইত আর ওর সব কাজ নিজে প্রেজেন্ট করতো। ঘটনার এই পর্যায়ে ভিলেন হিসেবে আমার আগমন , বাকি কাহিনী এট্টু পরে আইসা কইতেছি। কমেন্তের উত্তর দিতে দিতে আঙ্গুল ব্যথা হইয়া যাইতেছে ইয়ে, মানে...

দ্রোহী এর ছবি

উঁহু। অতিশয় মন্দ বলা ঠিক হবে না, মোটামুটি মন্দ মানুষ। কারণ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমি তার সাথে যেমন চামারের মতো আচরণ করেছি তাতে করে তার জায়গায় আমি থাকলে আমার ছাত্রকে ডিগ্রি না নিয়েই ফিরে আসা লাগতো। দেঁতো হাসি

রিক্তা এর ছবি

আহা, সাধু, সাধু। ফেইসবুকে শেয়ার দিয়ে ফেললাম। যদিও আরো বার দশেক শেয়ার দিলেও ্যথেষ্ট হবে না মনে হয়।

রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

চরম উদাস এর ছবি

দ্যান দ্যান, খুজে পেতে প্রফেসরদেরকেও শেয়ার দ্যান।

রিক্তা এর ছবি

আমার মাস্টার্সের সুপারভাইজর ছিলেন বাংগালী এবং ভালো মানুষ :D। তবে কিনা দুনিয়াতে সবক্ষেত্রেই একটা সুপারভাইজর থাকে।
আপনার লেখাটা এতো ভালো লাগছে যে মনে হচ্ছে প্রিন্ট নিয়ে বাঁধাই করে রাখি দেঁতো হাসি (গুড ফ্রাইডের ছুটির জন্য মনটা একটু বেশি ভালো)।

রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

চরম উদাস এর ছবি

আহ, মনের কথাডা কইছেন। অনেকদিন পর লম্বা উইকেন্ড পাওয়া গেলো। গুড ফ্রাইডের ছুটিটা পেয়ে বড়ই আরাম করে ঠ্যাঙের উপর ঠ্যাঙ তুলে এখন নেট এ ঘুরাঘুরি করতেছি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কী আর বলি, এক কথায় চরম মজার একটা পোস্ট। তবে গ্রাফে মাস্টার্স আর পিএইচডি'র রেখা দুটির ভিন্নতা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। আরেকটু স্পষ্ট করতে হবে। সম্ভব হলে আলাদা আলাদা রঙ দিয়ে দেন।

চরম উদাস এর ছবি

দুইটা আলাদা রঙই ছিলো, ইমেজ বানানোর পর সব মিলমিশ খায়া গেছে। এখন আবার এই গ্রাফ কেমনে বানাই। আমি যে এক রেজাল্ট দুইবার আনতে পারিনা ইয়ে, মানে...

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

লেখা অতিশয় রসময় হয়েছে। গুরু গুরু
দেখি এখান থেকে কিছু অ্যাপ্লাই করা যায় কীনা!!

চরম উদাস এর ছবি

দ্যাখেন টেরাই মেরে। বিপদে পড়লে লেখক দায়ী নহে খাইছে

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
আজকে থেকে আপনি আমার গুরু। আপনার কাছেই থিসিস জমা দিব। নইলে কিন্তু রিসার্চই করুম না। ওঁয়া ওঁয়া

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
জম দিয়ে দেন। গ্রাফ তো একেই দিছি

পদ্মপাতার ছদ্মনাম!!!!! এর ছবি

ছাতা ভাই আমিও আমার থিসিস এর পাতা উদাস ভাই এর কাছেই জমা দিমুনে- - - - - চিন্তিত
আসেন জোট বদ্ধ হই শয়তানী হাসি
মরতে মরতে বাইচা গেসি রে ভাই, আর একটু হইলেই গেসিলাম আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

সুলতান এর ছবি

অসাধারন।
আপনার প্রফকে দেখানো দরকার। উনি এই লেখাটা পড়ে আপনাকে পুরস্কৃত করবেন আমি নিশ্চিত।

চরম উদাস এর ছবি

ভ‌য় দেখাইলেন ? ইয়ে, মানে...

পুেপ এর ছবি

স্যার বুহুত জালাইচেন , আমি আতাচি(আমার বইনপু আসতেছি কে বলে আতাচি, "পপন আমি আতাচি")

তবে সব কিছুর জন্য দায়ি চরম উদাস , আমি না।
বসস,পদধুলি দেন।আশীর্বাদ করুন যেন আপনার বন্দুক,আপ্নার কাধে রেখে সারকে টাইট দিতে সফলকাম হই।
জয়তু চরম উদাস ।

চরম উদাস এর ছবি

দেন দেন, বেশী করে টাইট দেন। ঝাড়ি খাইলে বইলেন আমার দোষ নাই, চরম উদাস খালি কুবুদ্ধি দেয় খাইছে

দায়ীন (frdayeen) এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি =))

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

তানভীর এর ছবি

লেখা একদম পুইতা টাইপ জটিল হয়েছে চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

আপনে প্রফেসর না ? চিন্তিত

পড়াচোর এর ছবি

অতিশয় মন্দের চেয়ে খারাপ কিছু নাই ? আমি অতিশয় মন্দের চেয়ে খারাপ এর পাল্লায় পড়ছিলাম। কি আর কমু দুঃখের কথা !

চরম উদাস এর ছবি

খুলে বলেন ভাইডি। জাতি জানতে চায়। পরবর্তী জেনারেশনের এর বাঁচতে হলে জানতে হবে।

বাহিরি এর ছবি

দারুন মজার লেখা তো! অনেক পুরানো কথা মনে করায় দিলেন ভাই হাসি

চরম উদাস এর ছবি

আপ্নেও কি গবেষক দলের নাকি? পুরান কথা খুলে বলে একটা পোস্ট দিয়ে দেন না।

রসগোল্লা  এর ছবি

" আমি এইজন্য মহিলা হলে উপদেশ দেই বাড়ি বাড়িতে ছুটা কামলা হিসাবে কাজ করতে আর পুরুষ হইলে রিকশা চালাইতে। স্বাধীন কাম, মাস্টার্স/ পিএইচডি থেকে বেশী সম্মান পাইবেন।"
পোস্ট সেইরকম হইছে দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে , হ, স্বাধীন ব্যাবসা

স্বাধীন এর ছবি

দৈনন্দিন রুটিন একবারে খাপে খাপে মিলে গেছে খাইছে

তবে কপাল গুণে তিনবারই বেশ ভালো কিছু সুপারভাইজার পেয়েছি। বিশেষ করে পিএইচডির সুপারভাইজার পেয়েছি একটি মাটির মানুষকে। পুরো ছয় বছরে হাতে গুণে চার কি পাঁচ বার আমার রুমে এসেছে। আর পিএইচডির প্রথম দিনেই বলে দিয়েছে ছয় বছর টাকা পয়সা গ্যারান্টি। একটু কথা ফেলেনি। আমিও পাক্কা ছয় বছর একমাস লাগিয়েছি।

চরম উদাস এর ছবি

বাহ, আপনারও রাজকপাল। আমার প্রফ দিনে চার পাঁচ বার রুমে আসতো আর আপনার কিনা ছয় বছরে চার পাঁচবার অ্যাঁ

মাহবুব রানা এর ছবি

এক দম্পতির জীবন ভাজাভাজা হতে দেখেছি চোখের সামনে। ভাই পাঁচ বছরের মাথায় ডিগ্রী নিতে পারলেও ভাবীকে ছয় বছর পর ডিগ্রী ছাড়াই ল্যাব থেকে বের হয়ে আসতে হয়। সন্ধ্যা সাতটায় কোনোদিন বাসায় ফিরতে পারলে সেটা হতো তাদের ঈদের দিন।
আরেক প্রফেসরের কথা জানি। ছাত্রদের মনিটরে লুকিয়ে উঁকি দিয়ে দেখতো কি কি ট্যাব/ফাইল খোলা। অদ্ভুত!

চরম উদাস এর ছবি

আমিও এরকম কিছু ঘটনা দেখেছি। তিন চার বছর নষ্ট করে কোন ডিগ্রী না নিয়ে বের হয়ে আসা যে কত কষ্টের সেটা যার সাথে হয় সেই বুঝে।
মনিটরে যেন উকি না দেয় সেই জন্য ভাল একটা টোটকা বুদ্ধি আছে। প্রফেসরের একটা ছবি কম্পিউটারের ওয়াল পেপার হিসেবে দিয়ে রাখবেন। (কারণ জিজ্ঞেশ করলে বলবেন, স্যার আপ্নেরে ভালো পাই)। তাইলে দেখবেন মনিটরের দিকে তাকাবে না, নিজের চেহারা কে বার বার দেখতে চায়? তবে মহিলা প্রফেসর হলে এই টেকনিক প্রয়োগ করা যাবে না। হিতে বিপরীত হতে পারে।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

তারুণ্যের উত্তেজনায় হুট করে আইনস্টাইন, নিউটন এদের প্যান্ট ধরে টানাটানি শুরু করবেন না। টানতে হয় ডিজিটাল বাংলার বিশিষ্ট বিজ্ঞানী কাগু টাইপের কারো লুঙ্গী ধরে টানুন। বেশী কষ্ট করতে হবে না, এমনিতেই হুড়হুড় করে খুলে চলে আসবে।

এই লাইন পইড়া আমি রাত ৩টার সময় যেই জোরে হাসছি!! আপ্নে মিয়া অমানুষ গুরু গুরু

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস এর ছবি

সবাই খালি আমারে অমানুষ বলে গাইল দেয় ইয়ে, মানে...

স্প্যামার এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- কস্কি মমিন! চলুক বাঘের বাচ্চা

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

এত দেখি গবেষণা নিয়ে মহাকাব্য! জীবনে কী পরিমান দাগা খাইছেন, মানে ব্যথা পাইছেন, বোঝা যায়। তয় ভাই আপনি কাজের লোক, নইলে এই জিনিস বাইর হয় না!

চরম উদাস এর ছবি

নাহ আখতার ভাই, আমি মহা অকাজের অলস লোক।

ঝরাপাতা এর ছবি

বুঝলাম যাই বলেন না কেন আপনার প্রফেসর লোক ভালো, তা নাহলে এতো রস দিয়ে এই লেখাটি কি লিখতে পারতেন! লেখাটাই মনে হলো এক বিরাট গবেষণার ফল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

চরম উদাস এর ছবি

কথা সত্য। আমার পিএইচডির প্রধাণ প্রফেসর লোক ভালই ছিলেন। কাজ করাইছে প্রচুর সন্দেহ নাই। কিন্তু সাপোর্ট ও দিছে অনেক।

রফিক মাহমুদ  এর ছবি

এই লেখার ইনফরমেশন কন্টেন্ট শূন্য। মনে হয় লেখক এখনো গবেষণা ধরেনই নি।

চরম উদাস এর ছবি

কস্কি মমিন!

খাড়ান, পুরা লেখার এনট্রপি ক্যালকুলেট করতেছি এখনি।

তিথীডোর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
পুরো পাঁচ 'শাহাদাত' টাইপের লেখা। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

Ehsan এর ছবি

হা...হা...হা...দারুন হইসে...আলসেমি করার জন্য মাস্টারি করি...কিন্তু তার জন্য আবার PhD
লাগে...মনে হয় বড় বাচা বাইচ্চা গেছি...আমি বিশ্বাস করি বাপ মার দুয়ার কারণেই
৩ বছরে কামটা শেষ হইসে...।

চরম উদাস এর ছবি

ওরেব্বাস, আপনে তো বিরাট কামেল লোক। তিন বছরে শেষ করা প্রায় অসম্ভব কাজ।

বন্দনা এর ছবি

লেখা মারাত্তক হয়েছে উদাসদা। আমার একজন বস বাংলাদেশী, আমাকে ও মাঝেমাঝে তার এটাসেটা কাজ করে দিতে হয়েছে। একবার করে দিলাম তার খাবার চার্ট, কোনটা এল্কালাইন ফুড, কোনটা এসিডিক ফুড, কোনটা নিউট্রাল ফুড, বুঝেন অবস্থা। ইয়ে, মানে...

চরম উদাস এর ছবি

হে হে, এইগুলাও পার্ট অফ গবেষণা। স্যারের বাচ্চাকে বেবি সিটিং করাইতে হইছে এইরকম কেস ও দেখছি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইসব গিয়াঞ্জামের জন্যই তো আমি মুর্খ থেকে গেলাম, নইলে তো আমিও গবেষণা করে ফাটিয়ে দিতে পারতাম

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

চরম উদাস এর ছবি

গবেষণা না করে ভালো করছেন। যত গকবেষণা করে মানুষ আর ততবেশী মূর্খ হয় খাইছে । সহজ জিনিস গুলা আর ধরতে পারেনা।

সুদীপ্ত কর এর ছবি

পি এইচডি করার ইচ্ছা উড়ে গেসে মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

ক্যান? উড়া জিনিস আবার ধরে নিয়ে আসেন।

মর্ম এর ছবি

হে হে! পি এইড ডি করলে আমিও নির্ঘাৎ প্রফেষাড় সামলে নিতাম! ও তো আর হবার নয়- কেবল হেসেই সামলে নিলাম তাই! চোখ টিপি

পরের পর্ব কি নিয়ে হবে ভাবার চেষ্টা করছি! চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

চরম উদাস এর ছবি

পরের পর্ব কিভাবে প্রেম করবেন/ How to make halal love হলে কেমন হয়? (ইংরেজিতে make love কথাটার মানে বড় অসভ্য কিনা তাই make halal love করে দিলাম বুঝার সুবিধার্থে) খাইছে

মর্ম এর ছবি

জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই! চোখ টিপি

লেখেন আগে, এরপর না হয় পড়া যাবে- সমস্যা নাই তো কোন। গ্যালারীতে বসলাম। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

শাব্দিক এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

চরম উদাস এর ছবি

ওইরে, পাব্লিক আলরেডি পপকরন নিয়া বইসা পড়ছে ইয়ে, মানে...

কালো কাক এর ছবি

ইয়ে ।।।।। কানে কানে একটা কথা বলি? হালাল লাভ না দিয়া শুধু হাউ টু মেইক লাভ দিলে হয় না ? চোখ টিপি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

চরম উদাস এর ছবি

আরে, ওইটা নিয়ে তো বাৎস্যায়ন সহ কত জ্ঞানীগুণীরা লিখে গেছে। ওইসব দুষ্টু কাজে আমি নাই খাইছে
আর তাছাড়া সচল ভর্তি কচি কাঁচা নাদান ছেলেপিলেতে। এখন এদের জন্য তো How to drive bicycle without any bicycle শিখানো লাগবে।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

হাসতে হাসতে কাশ পেয়ে গেল। ম্যাঁও

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

^_^ এর ছবি

" রুম ফর ইম্প্রুভমেন্ট=রুমে গিয়া লেখা ইম্প্রুভ করুন। " খাইছে এই লেখায় কোন দরকার নাই । (গুড়) দেঁতো হাসি পরের পর্বের জন্য পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

চরম উদাস এর ছবি

হ, এর পরের লেখা রুমে গিয়া ইম্প্রুভ করেই লিখমু।

নিলয় নন্দী এর ছবি

আমি 'অণু-মনু' জাতের লেখা লিখে থাকি।
আপনার ইটা রাইখ্যা গেলাম... সাইজের লেখা দেইখা মাথা ঘুরাইতেছে। ইয়ে, মানে...
গুরু, আপনি মহান গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনের অণু মনু সায়েন্স ফিকশন গুলা দারুণ?আরো কিছু ছাড়েন।

শেহাব এর ছবি

ফার্স্ট ফুরিয়ার ট্রান্সফরমশেন যে দুইজন আবিষ্কার করেছেন তার মধ্যে একজন আমার প্রফেসরের প্রফেসর ছিলেন। সে নাকি আমার প্রফকে দিয়ে লনের ঘাস কাটিয়েছে!

চরম উদাস এর ছবি

কস্কি মমিন!
FFT মস্তানের তাইলে এই অবস্থা ইয়ে, মানে...

শেহাব এর ছবি

ফার্স্ট নয়! ফাস্ট হবে।

অমিত এর ছবি

মনে হচ্ছে নিয়মের ব্যাতিক্রম করেই আমার বাংলাদেশি প্রফেসর যথেষ্ট ভাল ছিলেন মাস্টর্সের দুই বছর। শেষ সেমিস্টারে থিসিস লেখালেখি করেছি অন্য স্টেটে থেকে। উনি চাইলেই আমাকে "পুইতা পুইতা" দিতে পারতেন হাসি

অমিত এর ছবি

মনে হচ্ছে নিয়মের ব্যাতিক্রম করেই আমার বাংলাদেশি প্রফেসর যথেষ্ট ভাল ছিলেন মাস্টর্সের দুই বছর। শেষ সেমিস্টারে থিসিস লেখালেখি করেছি অন্য স্টেটে থেকে। উনি চাইলেই আমাকে "পুইতা পুইতা" দিতে পারতেন হাসি

চরম উদাস এর ছবি

হুম, দুনিয়াতে ভাল লোক এখনো আছে দেখি।

কিংশুক এর ছবি

আউট হয়ে গেলাম!

চরম উদাস এর ছবি

কই আউট হইলেন? খুলে বলেন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হে হে হে! বিয়াফক বিনোদন!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

তুষার কাওসার এর ছবি

গত বছর থেকে বুয়েটে ক্লাস শুরু করসি। প্রফেসরের আন্ডারে যাইতে আর কত বছর লাগবে বলেন দেখি?

চরম উদাস এর ছবি

বেশীদিন বাকি নাই, আন্ডারগ্রেড প্রজেক্ট তো শুরু করবেন বছরখানেক এর মধ্যেই।

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

বড় একটা জিনিস বাদ পড়ছে, বাংলাদেশে বসে কোন চাইনিজ প্রফেসর 'আইসো, আমার নিকট আইসো' বলে ডাকলেই ছুটে যাওয়া যাবে না।

আমি প্রথমে ৭ জনের একটা চাইনিজ গ্রুপে হাজির হইছিলাম। সে বিশাল মুশকিল। একসময় শুরু হইল প্রতি সকাল বেলায় আপডেট, তারপর মাঝে মাঝে বেল ৩ টার সময় হঠাৎ রুমে আইসা, কি করলা সকাল থেকে? আরো আছে,উইক এন্ডে আসো নাই ক্যান? আমি আসি অন্য সবাই (চাইনিজগুলা) আসে তুমি কি করো? আরো কাজ করতে হবে।

আমি দেড় বছরের মাথায় পালাইয়া আরেকজনের কাছে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। সময় থাকতে সাবধান।

[অস্বীকার করব না, অনেক ভালো কিছুও শিখেছি ঐ চাইনিজদের থেকে।]

চরম উদাস এর ছবি

চাইনিজ প্রফেসর বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ডেঞ্জারাস ইয়ে, মানে... । নিজের কপালে পড়েনি কিন্তু দেখেছি কত গ্যাঞ্জাম করতে পারে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একটা কফি নিয়ে সারারাত কাজ করতে পারে এগুলা। এদের জীবনে রস/লোভ কোনটাই নাই।

চরম উদাস এর ছবি

হ্যাঁ, পুরাই মেশিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার সুপারভাইজার একজন ছিল চাইনীজ। অসম্ভব রকমের ভালো একটা মানুষ। সে মনে হয় ব্যতিক্রম ছিল

দেশ বন্ধু

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কপাল ভালই ছিল। আমার এক সুপারভাইজার তো আমার থিসিসের সব ইংলিশ প্রুফটাই দেখে দিল। তবে আমার বউ এর দুই সুপারভাইজার ছিল আইরিশ। একজন আবার মহিলা। সে তো আমার বউ এর লাইফ হেল করে ফেলেছিল। আমার বউ তো ছেড়ে দেয়ার চিন্তাও করেছিল, যাইহোক ঝামেলা নিয়েও শেষ করতে পেরেছিল। কিন্তু পরে থিসিসের বিষয় বস্তু থেকে পাবলিকেশন করতে দেয় নাই তারা। তারা প্রস্তাব দিয়েছিল তাদের গ্রুপ পাবলিকেশন করবে , কিন্তু আমার বউ এর নাম থাকবে এক্লেবারেই শেষে। পরের বছর তাদের অধীনে এক বিদেশী মেয়ে আসলো, তাদের অত্যাচারে মেয়েটা একাডেমিক কাউন্সিলে অভিযোগ করার পরে ঐ দুই সুপারভাইজার স্পষ্ট জানিয়ে দিলো তারা আর ঐ মেয়ের সুপারভাইজার থাকবে না। ই বিষয়ে এই দুইজন ছাড়া আর কেউ ছিল না, ফল স্বরূপ ঐ মেয়েটি পিএইচডি ছেড়েই চলে গেল। ঐ সুপারভাইজারদের অধীনে সব বিদেশীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখানে ফান্ড নিয়ে সমস্যা থাকে না, সমস্যা সুপারভাইজার নিয়ে।

দেশ বন্ধু

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

কর্মঠ লোকেরা আহা উহু করে কমেন্ট দিয়েছে, ফাতরা লোকেরা মুড়ি খেতে বলেছে

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

লেখা চরম চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শিমুল এর ছবি

আমি ug পযাএ এমন ঝামেলাই পরেছি যে প্রফেসরের রুমে যেতে ভই পাই। বিগত দুই বছরে অই সারের দুই ছাত্র সারের রুমে অজ্ঞান হয়ে ছিল।এইবার মনে হই আমার কপালে আছে।

চরম উদাস এর ছবি

হে হে, সবে তো শুরু খাইছে

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অনেকেই দেখলাম, অনুযোগ করেছে, লেখাটা কিছুদিন আগে লিখলে তাঁদের কাজে লাগতো, আমিও তাদের সাথে কন্ঠ মিলায়ে বলি, লেখাটা ৪০ বছর আগে লিখলে আমারও বড়ই উপকার হইতো। যাক, এখন আমার ছেলের উপকারে লাগতে পারে।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
আগে নিজে জ্ঞান অর্জন না করে পাবলিকরে কেমনে জ্ঞান দেই! তাই লিখতে লিখতে বছর চল্লিশেক দেরী হয়ে গেলো।

সাবেকা এর ছবি

হাসতে হাসতে শেষ হো হো হো

আমার আত্মীয় এক মেয়ের পিএইচডি কাহিনী প্রায়ই আমাকে শুনতে হয় । সে আপনার উল্লেখিত আঁতেল টাইপের গবেষক । তার সুপারভাইজার ভাগ্য খারাপ না, গ্রীক ভদ্রলোক । মেয়েটি ছয়মাসের মত হবে পিএইচডি শুরু করেছে কিন্তু এরি মধ্যে সে আঁতেল খেতাব পেয়েছে সবার কাছ থেকে । সে অবশ্য সত্যিকার অর্থেই আঁতেল । সুপারভাইজার ও তাঁর উপর খুব খুশী । সপ্তাহে পাঁচ দিন সে দিনে ১০ ঘন্টা প্ররযন্ত কাজ করে । তার রুটিন হচ্ছে, দিনে দু’বার ল্যাবের বাইরে গিয়ে ১০ মিনিটের জন্য হাঁটাহাঁটি আর একবার ত্রিশ মিনিটের লাঞ্চ ব্র্যাক নেয় । অকাজের মধ্যে করে শুধু গান শুনা । তাতে নাকি তার কাজের সুবিধা হয় ।
এই মেয়ে জয়েন করার আগে সবগুলো ছেলে মিলে গুলতানি মারতো, এখন মেয়ের পাগলের মত কাজ করা দেখে এরা সবাই হিংসিত দেঁতো হাসি নিজেরা বলাবলি করে তারা একেকজন দেড় দুই বছরে যতটুকু কাজ করতে পারেনি এই মেয়ে ৫/৬ মাসেই তার থেকে বেশী করে ফেলেছে । সুপারভাইজার ও তেমন, দ্যামায়াহীন ভাবে মেয়ের সাম্নেই ওদের লজ্জা দেয় ।

মেয়ের মুখে শুধু একটি দুঃখের কথাই শুনি, সবগুলো ছেলেই এমন যে এদের সাথে কথা বল্ললেও তার নাকি মনে হয় সময় নষ্ট করছে ! ছেলেগুলো সব হয় পাকিস্থানী, সৌদি আরবি নয়ত অন্য কোন আরব দেশের  মেয়েটি তাই দুঃখ করে মাঝে মাঝেই বলে, ইঞ্জিয়ারিং পড়তে গিয়ে তার আর আসল মানুষদের সাথে দেখা হল না ! বেশীরভাগ সময়েই খালি এদের দেখা মেলে । তার বক্তব্য হল, মেয়েদের অধিকার বিষয়ে আজকের দুনিয়ায় যাদেরকে প্রাথমিক জ্ঞান দিতে হয়, তাদের সাথে কথা কতদুর-ই বা চালানো সম্ভব ।
তবে আমি একটি বিষয় শুনে খুব খুশী হয়েছিলাম, পাকিস্তানী ছেলে সুপারভাইজারকে নাকি বলেছে, এই মেয়ে এত অল্প সময়ে এতো কাজ করে ফেলছে আর সে পারছে না এটা নিয়ে তার মধ্যে এখন হতাশা কাজ করছে । হাসি

মেয়েটিকে আমি বলেছিলাম তার গবেষণা বিষয়ে সচলায়তনে লিখতে কিন্তু সে বাংলা লিখতে পারেনা বলে লেখা হয়ে উঠেনি ।

চরম উদাস এর ছবি

আপনার আত্মীয় তো দেখি পুরাই গোল্ডেন গার্ল। সচলের ইংলিশ সেকশন আছে কিন্তু একটা। ওখানে লিখতে পারে তার কাহিনী।

শীতকাল এর ছবি

ভাই, লেখা পড়ে ব্যাপক মজা পাইছি।অনেক ধন্যবাদ।কিন্তু নিজের ব্যাপারে কিছু তো বলেন।কোন বিষয়ে গবেষনা করছেন, নাকি শেষ? কোন ইউনিভার্সিটি?আপনার প্রোফাইল এ গিয়া ত কিছু পাইলাম না?

চরম উদাস এর ছবি

আমি মনে করেন বিশাল জ্ঞানী লোক। বলতে গেলে রাত ফুরায়ে যাবে ইয়ে, মানে...

তারানা_শব্দ এর ছবি

রিসার্চ মাস্টার্স করতে এসেই সিধান্ত নিয়ে নিয়েছি, পিএইচডি করার মতন বোকামি করতে যাবো না! গুল্লি

লেখা পড়তে পড়তে হাসছি অনেক।।। তারপর নিজের কো-সুপার বইন যার [মেইন সুপার ছেলে, মানে বুড়ো ছেলে, সে ভালু, কিন্তু তার পিএইচডি স্টুডেন্ট ও আমার সুপার যার একটা পার্ট নিয়ে আমি কাজ করছি, সে মেয়ে, তাই বইন কইলাম] এর কথা মনে পড়ে যঅয়ায় চরম উদাস হয়ে গেলাম!!! চিন্তিত

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

চরম উদাস এর ছবি

ঘটনা খুইলে বলেন

নেপাল রায় এর ছবি

ওহ সরি, ভুল জায়গায় ভুল সময়ে ভুলে ঢুইকা গেসি।

এসব দেখি কানার হাট-বাজার।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

উচ্ছলা এর ছবি

মানুষ কতটা পোংটা আর জিনিয়াস হলে এমন লেখা লিখতে পারে?!
আপ্নি আসলেই এক্টা বস- ম্যান হাসি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
কিন্তু আপনার কাহিনী কি? নতুন লেখা কই?

সলিটারি এর ছবি

এক নিঃশ্বাসে পড়লাম।
এক কথায় অসাধারণ।
হাসি

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

রণদীপম বসু এর ছবি

লেখা পইড়া তো আমিই উদাস হয়া গেলাম ! ভাবতেছি এই জ্ঞান আমার কোন্ কাজে লাগিবে কিংবা এই জ্ঞান আমি কী কাজে লাগাবো !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

চরম উদাস এর ছবি

জ্ঞানের ব্যবহারের কি শেষ আছে? এই যেমন আমি ইয়োগা করিনা কিন্তু আপনার ইয়োগার পোস্টগুলা সব পড়ে শিখে রাখি। বলা তো যায় না কখন কোথায় কাজে লেগে যায় দেঁতো হাসি

nakim  এর ছবি

পরতে পরতে ঘুমাই গেচিলাম, উইঠা আবার পরা শুরু করছি কিন্তু স

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে, আসলেই দেখি অর্ধেক টাইপ করে ঘুমায়ে পড়ছে !

nakim  এর ছবি

পরতে পরতে ঘুমাই গেচিলাম, উইঠা আবার পরা শুরু করছি কিন্তু শেস হইবার চায় না।।।।
তয় শেস করতেও মন চাইতেছেনা, (শেস হইলেত শেস ই হয়া গেল)
পইরা মজার ঠেলায় (গুড়) খাইচি

TFN এর ছবি

চখাআআআআআআমমমম!!!!!!!!!!!!! বিলকুল আমার রিদয়ের বাত!!!!

চরম উদাস এর ছবি

হে হে

পরী  এর ছবি

মাস্টার্স শেষ কইরা ভাবছিলাম সাইটোজেনেটিক্স এর উপর এমফিল টা কইরাই ফালামু। কিন্তু কি মনে কইরা আর করা হইল না, কর্পোরেট লাইফে ঢুইক্কা গেলাম। আপনের লেখা পইড়া আবার স্টার্ট করবার মুঞ্চাইতেছে শুধু প্রফেসরগুলারে টাইট দিবার লাইজ্ঞা। মাস্টার্সেও কম ভুগি নাই। কোন এসাইনমেন্টই তেনাগো মনঃপুত হইত না। মন খারাপ
ঈশশশ!!! এতদিন কোথায় ছিলেন চিন্তিত

চরম উদাস এর ছবি

এতদিন গবেষণায় ব্যস্ত ছিলাম। করে ফেলেন আবার স্টার্ট, কি আশে জীবনে।

কল্যাণ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাহিত্যিক কো????? রেগে টং

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

চরম উদাস এর ছবি

আইছে আবার এতদিন পরে ঘুম ভাইঙ্গা। মিয়া থাকেন কুন চিপায়? সাহিত্যিক যে পাবলিশ হয়ে একটা নুবেল ও পায়া গেছে সেই খবর রাখেন?

কল্যাণ এর ছবি

হইছে, এইবার ধানাই পানাই রাখেন কামের (লেখালেখি বিষয়ক) কথা কন, আমি তো বাইর হয়া আইছি চিপা থিকা ঘুম ভাইঙ্গা কিন্তু আপনে সাহিত্যিকরে কোন চিপায় ঘুম পাড়ায়া রাখলেন? খালি পিছলায়া যাইতাছেন ঘটনা কি?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সাই দ এর ছবি

পিএইচডি শেষ কইরা লেখাটা দিছেন যাতে আপনার সমিস্যা না হয়
বুঝি ফেলচি চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

আবার জিগায়। আগে না নিজের ঘর ডিফেন্স, তারপরেই তো অফেন্সে নামছি খাইছে

রুমি এর ছবি

আমি মাত্র দেড় মাস হল পিএইচডি শুরু করেছি, এর মাঝে আমি বুঝেছি কিসের মাঝে আটকে গেছি। আপনার লেখা পড়ে আমি সাহস পাইছি যে আমি পিএইচডি শেষ করতে পারব, কারণ আমার আগে অনেকই এই ঝামেলার মাঝে গেছে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হাততালি

চরম উদাস এর ছবি

হ, ঝুলে থাকেন। বিপদে পড়লে বা কেউ ঝাড়ি দিলে খালি মনে মনে জপবেন আমি ষাঁড়, আমি ষাঁড়, আমি ষাঁড় (দুনিয়ার বাকি সবাই বলদ) খাইছে

আশালতা এর ছবি

সর্বনাশ ! মন্তব্য করার জায়গাই তো পাওয়া যাচ্ছেনা দেখি। তবু ভিড়ের মাঝে হাত তুল্লাম। সেলাম। গুল্লি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

চরম উদাস এর ছবি

আরে দুর্ধর্ষ লেখিকার মন্তব্য সবার শেষে ! আরে লোকজন যেভাবে যত্ন করে মন্তব্য করতেছে আমার লেখায় ভাবতেছি আগামী বইমেলায় সব মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্য মিলায়ে "নির্বাচিত মন্তব্য সংকলন" নামে একটা বইই বের করে ফেলবো খাইছে

আশালতা এর ছবি

আর বলেন কেন, আজকাল পরীক্ষার প্রিপারেশন নামের একটা ফালতু কাজে সময় দিতে হচ্ছে। তাই সচল ফেসবুক এইসব দরকারি কাজে মন দিতে পারছিনা। রোজ দিনই চোখ বুলিয়ে যাই বটে তবে লগানো হয়না। কিন্তু আপনি আবার 'দুর্ধর্ষ লেখিকা' বলে গালি দিলেন ! রাগ্লে আমি কিন্তু চেইত্যা যাই। আবার এইরাম বললে খান কতক কিল ঘুষি পার্সেল করে দিব কিন্তুক। সাব্ধান ! রেগে টং

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

অমানুষিক বিনোদন পেলাম রে ভাই! লেখাগুলা বড় শুধু দেখতে, পড়তে না।
চালিয়ে যান।

কালো কাক এর ছবি

কতদিন পর আপনাকে দেখলাম !

চরম উদাস এর ছবি

এইবার আর ছাড়াছাড়ি নাই। লেখা দেন একটা কইলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাচাঁইলেন ভাই, ভয়ে ছিলাম।
জটিল টাইমে চুড়ান্তরকম জট্টিল লেখাটা পড়ে বুকে সাহস ফিরে আসলো দেঁতো হাসি নেক্সট মান্থ থেকে আপনার রুটিনখানা-ই আগামী পাঁচবছরের জন্য আদর্শ গুরু গুরু

শিশির

চরম উদাস এর ছবি

উপকারে লাগলে ৫ টাকা হাদিয়া দান বাক্সে দিয়ে যাইয়েন।

অতিথি লেখক এর ছবি

দানবাক্সটা কই ভাই ? চিন্তিত

আব্দুল খালেক  এর ছবি

অসাধারন একটা লিখা ।
অনেকের কাজে লাগবে কোন সন্দেহ নাই ধন্যবাদ আপনাকে ।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই জানুয়ারী থেকে MASc শুরু করতে যাচ্ছি, আপনার এই পোস্ট টা বিপুল পরিমান কাজে দিবে বলে আমি আশাবাদী। আমার PhD-এর final year এ খাবি খেতে থাকা বন্ধুকেও লেখাটা পড়তে দিব ভাবতেছি দেঁতো হাসি

তালগাছটা আপনাকে দিলাম

রক্তিম অমৃত

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
বিফলে মুল্য ফেরত

অতিথি লেখক এর ছবি

রিভিশন দিলাম!
আগে কমেন্ট করা হয় নাই। তখন ছিলাম নিরব পাঠক!!
খাইছে
আর লেখার জন্য গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সুবোধ অবোধ

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
চরম হয়েছে। কিছুদিন পরের গোলামী করে এখন আবার লেখাপড়াতে ফিরে যাচ্ছি। আপনার বুদ্ধিগুলো কাজে লাগবে।

[[কামনাশীষ]]

চরম উদাস এর ছবি

চোখ টিপি

দীপু  এর ছবি

ভাই আসাধারন লেখার জন্য ধন্যবাদ । আমি মালেসিয়া তে মাস্টার্স করতে এসে খুব ঝামেলায় পরেছি । আপনার লেখার সাথে গবেষণা জীবন এর কাহিনী মিলে গেছে । বাংলাদেশ এ ভাই ভাল ছিলাম এখন এইটা মনে হচ্ছে । এক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ ছিলাম শিক্ষক হিসেবে খুব সাধারন জীবন যেটা খুব ভাল ছিল। ভাই আরও কিছু উপদেশ দেন ।

চরম উদাস এর ছবি

উপদেশ একটাই ... ঝুলে থাকেন ... never give up . রিসার্চ করতে করতে এমনও দিন আসে যে মনে হয় এতদিন যা করছি সব বৃথা ... কোন কিছু মিলে না। কিন্তু সব কিছুরই শেষ আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো
ভাই কি লিখলেন? পুরাই হিট। অনন্ত জলীলের খোজ The Search এর মতো আপনার সুপারভাইজার নিয়ে খোজ The Search ও সুপার ডুপার হিট। যাইহোক, আমাদের ২ জন বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রী পিএইচডি করতে আসলো এক বাংলাদেশী সুপারভাইজারের অধীনে। তারা পিএইচডি শেষ তো করতে পারলোনা, দেশ ছাড়তে হলো, তারপর সেই শিক্ষককেও বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করতে হলো।

দেশ বন্ধু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।