Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

চিন্তাভাবনা

(টেলি)টক-ঝাল-তিক্ত কাব্য

রিসালাত বারী এর ছবি
লিখেছেন রিসালাত বারী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/০৭/২০১২ - ২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর সাতেক আগে প্রথম যখন টেলিটকের সিম বাজারে ছাড়া হলো, আমার বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই প্রায় চব্বিশ থেকে ছত্রিশ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে একটি সিম সংগ্রহ করেছিল। এমন না যে সেই সময় মোবাইল ফোন একটা দূর্লভ বস্তু ছিল, বা অন্য অপারেটরদের কল-রেট অনেক বেশি ছিল। তবে টেলিটকের একটা সংযোগ কেনার জন্য কেন এত ব্যাকুলতা? ফ্রি টিএন্ডটি ইনকামিং, অতিরিক্ত চার্জ না দিয়েই টিএন্ডটি আউটগোয়িং ইত্যাদি নানা কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু আমার কাছে যেটি সবচেয়ে বড় কারন মনে হয়েছিল তা হচ্ছে "এটা আমাদের ফোন!" সম্পূর্ণ দেশি এবং সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিজেদের ফোন! নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেম নিয়ে আমরা সহসাই প্রশ্ন তুলি। কিন্তু সেদিন লাইনে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছিল স্বার্থের পাশাপাশি দেশপ্রেমও একটা বড় কারন এই রাতভর অপেক্ষার!


ভারত বনধ - কিছু হচ্ছে কী?

জুন এর ছবি
লিখেছেন জুন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ৩০/০৭/২০১২ - ১:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ কিছুদিনের পত্রিকা দেখা হয়নি। একগাদা নিয়ে বসেছিলাম। তারিখ টুকে রাখিনি, হয়তো কিছু কিছু চোখ এড়িয়েও গিয়েছে; তারপরেও যেগুলো চোখে পড়ল তারমধ্যে কয়েকটা ছিল এরকম -

১) বিএসএফ মাঝরাতে বর্ডার পার হয়ে এসে এক গ্রামে হামলা চালায়। রীতিমত ঘরের দরজা ভেঙ্গে মহিলা ও শিশুদের মারধোর করে এবং পুরুষদের ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সবার মিলিত বাঁধায় শুধু পিটিয়ে আহত করে রেখে যায়।


হুমায়ূনের ভূত! প্লিজ চলে যান

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৭/২০১২ - ৭:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্যার, আপনাকে নিয়ে লিখবনা ভেবেছিলাম। সবাই তো লিখছে, নতুন করে আর কী লিখব? আপনার জন্যে ভালবাসা ছিল, শ্রদ্ধা ছিল, আপনার সহজ ভাষার যাদুকরী ক্ষমতায় মুগ্ধতা ছিল। আর এসব ছিল বলেই, আপনার প্রতি অনেক অভিযোগও ছিল, আক্ষেপ ছিল, মনে মনে অনেক দাবী ছিল। আপনি মারা গেলেন, এত আগে হয়ত না গেলেও চলত, হয়ত আমাদের আরও কিছু দিতে পারতেন, কে জানে!


জগাখিচুড়ি সচলজীবন

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৭/২০১২ - ১২:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আরে নাহ, শিরোনাম দেখে যা ভাবছেন তা নয়। জীবন এখনো খিচুড়ি পাকায়নি, সচলজীবন তো নয়ই। তাহলে এরকম নামকরণ কেন?


গ্লাস সিলিং

শাব্দিক এর ছবি
লিখেছেন শাব্দিক [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৫/০৭/২০১২ - ১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিজেকে ফেমিনিস্ট হিসেবে পরিচয় দিতে আমি খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না কখনো। এর কারণ হয়ত ছোটবেলা থেকে আমার বেড়ে উঠার পরিবেশ। যৌথ পরিবারের চাচাতো, ফুফাতো ভাইদের সংখ্যাধিক্য আলাদা করে মেয়ে হয়ে বড় হতে শেখায়নি আমাকে। আমার জন্মের পনের বছর পর আমাদের বাড়ির দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ততদিনে ভাইদের সাথে মারামারি, আড্ডাবাজি, ঘুরাঘুরি এমন কি সাত আট বছর বয়স পর্যন্ত মসজিদে জুম্মা বা ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়


চল বদলে যাই : পর্ব ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২২/০৭/২০১২ - ৯:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"চল বদলে যাই" কথাটা নতুন কিছু নয়| বহুবার এটা নিয়ে কথা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে, এমনকি টক-শো বাদ যায়নি বলেই আমার বিশ্বাস| আমি আমার প্রেক্ষাপট থেকেই ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করছি| চারপাশে আমি কি দেখছি, আমার চারপাশের মানুষগুলো কেমন, তারা কি ভাবছে, কি বলছে তা নিয়েই শুরু করতে চাই| প্রথমে বলে নেই আমার বয়স যেহেতু ২৪ এর কোঠায় আমি নিজেকে তরুণ বলতে পারি| আর আমাদের বর্তমান অবস্থা সাপেক্ষে তরুনদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে


প্রথম আলো, হুমায়ূন আহমেদকে শান্তিতে মরতে দেন

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শুক্র, ২০/০৭/২০১২ - ১০:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মৃতরা কী চায়? অদ্ভূত প্রশ্ন, কারণ জীবিতরা কী চায় এই প্রশ্নেরই উত্তর মিলে না। আর প্রশ্নটাও ঠিক অর্থপূর্ণও না। কত লোকে কত কিছু চায়। তার কী একটা উত্তর আছে? নাই। কিন্তু মৃতরা কী চায়, এমন প্রশ্নের পৃথিবীর সকল সংস্কৃতিতেই আবার একটা উত্তর পাওয়া যায়।

মৃতরা, কথিত আছে, চায় শান্তি। কিন্তু শান্তি জিনিসটাতো দৃশ্যমান না। মাপা কিংবা গোনাও যায় না। সুরতাং, বিবিধ সমাজের নিয়মনীতির দ্বারস্থ হলে জানা যাবে, মৃতরা চায় তাদের যথার্থ সৎকার হোক। নানা সমাজে নানা কালে সৎকারের বিচিত্র রীতি আছে। কিন্তু অন্তিমযাত্রা শান্তিপূর্ণ করবার দায়-দায়িত্ব মৃতর নিজস্ব সমাজের উপরই বর্তায়। প্রায় সমাজেই সাধারণত এটা সামাজিক দায়, কিন্তু আবার সমাজের সকল ব্যক্তির দায়িত্ব না। অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য সংখ্যার লোক পালন করলেই চলে। 'ফর্জে-কিফায়া' বলে মুসলমানদের ব্যাকরণে।


বিদায়, হুমায়ূন

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ২০/০৭/২০১২ - ৬:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিলেটে আমরা যে বাসায় থাকতাম, তার বারান্দায় টবে একটা বেলি গাছ ছিলো। সেই বাসা ছেড়ে আমরা যখন চলে আসি, আমরা পেছনে ফেলে আসি চারপাশের সুপারি গাছে সারি, বারান্দার আকাশ দখল করে রাখা কৃষ্ণচূড়া, রান্নাঘরের উল্টোদিকের পেয়ারা গাছ, স-মিলের জন্যে আনা কাঁচা কাঠের ঘ্রাণ, আমাদের তেরো বছরের জীবন, শুধু বোকার মতো সঙ্গে করে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম টববন্দী গাছগুলোকে। আমরা জানতাম না, ট্রাকে করে ফুলের টব দূরের শহরে আন


একটি প্রেমে বিষয়ক প্রবন্ধ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৭/২০১২ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভালোবেসে যদি সুখ নাহি
তবে কেন মিছে ভালোবাসা।
মন দিয়ে মন পেতে চাহি,
তবে কেন মিছে এ দুরাশা।


শৈশব ও কৈশোরের সেই দিনগুলি বনাম আমার ছেলে

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি
লিখেছেন প্রোফেসর হিজিবিজবিজ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৭/২০১২ - ৯:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে ভোকাট্টা ঘুড়ির পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে মাঠ ঘাট পেরিয়ে অজানা এলাকায় হাজির হওয়া বা একদল ছেলে মিলে সময় পেলেই পদ্মার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়া বা উজানে যাওয়া বালিবাহী নৌকা ধরে কিছুদুর গিয়ে আবার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে ফিরে আসা কিংবা শীতের সকালে গাছ থেকে সদ্য পাড়া খেজুরের রস খাওয়ার জন্য গ্লাস হাতে ভাইবোনদের সাথে লাইন দেয়া অথবা ঝড়ের মধ্যে মায়ের বারণ না শুনে আম কুড়োতে দৌড় - যাওয়া বা