আবার বাড়ী বদলাতে হচ্ছে । দু’দিন আগেও ঘরের যেখানে যেটা থাকার কথা, তাই ছিল...এখন সব অগোছালো । বইয়ের শেলফগুলো হা হা শুন্যতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । কিচেনের কাউন্টারে স্তূপ করে রাখা জিনিস বাক্সবন্দী হওয়ার অপেক্ষায় । লিভিংরুমের মেঝেতে এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে নির্ঝরের পাজলের টুকরো...ছোট্ট রাবারের শার্ক...কবেকার কোন জন্মদিনের পার্টিতে পাওয়া না-খোলা লুটব্যাগ (সেখান থেকে উকি দিচ্ছে মোড়কসহ ললিপপ)...হলুদ
আজ বহুদিন পর ফজলুল করিম স্যারের কথা ভীষণ মনে পড়ছে। আমাদের এফ কে স্যার। বছরের শেষ দিকটায় তিন/চার দিন জুড়ে কলেজে যখন ক্রিকেটের ধুম মৌসুম, সে সময় আমরা এফ কে স্যারকে ব্যাটে-বলে মাঠে নেমে পড়তে দেখতাম প্রিয় ছাত্রদের সাথে। তাঁর চোখে-মুখে তারুণ্যের অরুণ আলোর ঝিলিক। তাঁর হৃদয়ে ধানের গুচ্ছের মতো সবুজ ভালোবাসার বন্যা। আমার সহপাঠীদের মধ্যে নাহিদ, সাব্বির, এনাম ক্ষুদে বয়সেই ছিলেন তুখোড় ব্যাটসম্যান। ফয
সঙ্গীত এমন একটি শাখা যেখানে আধুনিকতার নিত্য বসবাস। আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রযুক্তি সবসময়ই সঙ্গীতকে নতুন মাত্রা দিয়ে এসেছে। আর তাই সঙ্গীতের বিবর্তনে আধুনিক ইন্ট্রুমেন্টের চমৎকপ্রদ ব্যবহারই পারে নতুন ধারার জোয়ার এনে দিতে।
[justify]২০০৮ সাল, ২১ শে জুলাই, সড়কপথে জীবনে প্রথমবারের মত বরিশাল যাত্রা করলাম, ভোর থেকে বৃষ্টি। সফরসঙ্গী দুইজন, দুজনই সরকারী মানুষ, তাদের মধ্যে একজন যে আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের ‘রাঙা ভাই’ তা জানা ছিলোনা। গাড়ী নিয়ে দাঁড়িয়েছি তার বাসার সামনে, তিনি বের হলেন, বহুবছর পর সেই চেহারা, কিসের ফর্মালিটি কিসের কি, ‘রাঙা ভাইইইইই!
ঠিক দশ বছর আগে, এক নয়, দুই নয় এমনকি তিনও নয়, ঠিক দশ দশটি বছর আগে আমার আগমন ঘটেছিল মর্ত্যের অন্য প্রান্তে। বাংলাদেশ বিমানে চেপে কোলকাতা, সেই স্মৃতি আর মনে করতে ইচ্ছে করে না কখনো- বাবার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল ঢাকার বিমানবন্দরে- সাথে ছিল পরিবারের সবাই। কোলকাতা থেকে দিল্লী, সেখানে ভিসা নিয়ে ধস্তাধস্তি শেষ করে বাংলাদেশের মানুষ হবার জন্য প্রাপ্য হয়রানির কয়েকটা জঘন্য দিন পার করে এরোফ্লটে চেপে মস্কো
১
বিষয়টা নতুন না। সাইকেল চালানোর প্রথম দিন থেকেই বিষয়টা টের পাচ্ছি।
সাইকেল জিনিসটাও যথেষ্ট পরিমাণে সামাজিক মর্যাদা বহন করে। অন্তত মানুষের ব্যবহারে তাই বোঝা যায়।
সাইকেল হাতে খড়ি যদিও ছোটবেলায়, প্রাধান সড়কে সাইকেল চালানোটা তখনও অকল্পনীয় এক বিষয়। বালক বয়সের শেষের দিকে দেবব্রতের সাইকেলটা কিছুদিন মাঠে চালিয়েছিলাম, তাও স্কুল ছুটির পর ৫-১০ মিনিট।
উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির কোন তাল-ঠিকানা নেই, শীত-গ্রীষ্ম বলে কিছু নেই, এখানে হরদম বৃষ্টি হয়। এই এখন যেমন ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হলো। আমার অফিসের রুমটা ছয় তালায় একটা কোনায়, দুইপাশে দুইটা বারান্দা, চারপাশের বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায়, শুধু গাছ আর গাছ। উত্তরদিকে কনফারেন্স রুম এর যে বারান্দা তার সামনেই ছোট একটা সুপারি বাগান, কদম, লেবু, ছড়ানো-ছিটানো অসংখ্য নারিকেল গাছে নারিকেল, আর, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া আর
[বিশ্রামরত সিংহ। ছবিসূত্র]
আমার অনেকগুলো বন্ধু আছে যাদের বয়স ধরতে পারেন ১০-এর নিচে। বন্ধু হিসেবে ওরা অত্যন্ত চমৎকার, কিন্তু সমস্যা হয় বন্ধুত্ব শুরু করা নিয়ে। লাজিমার কথাই যদি বলি- তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়েছে অনেক কষ্টে। তখন তার বয়স মাত্র চার। উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে বসে কথা বলতে বলতে তাকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেয়ার পর সে কিছুক্ষণ চিন্তা করে উত্তর দিল- “তুমি আমাকে রাতে ফোন দিও। আমি তখন জানাবো”। রাতে তার মার মোবাইলে ফোন দেয়ার পর বললো, “উফ্, আমি তো এটা এখনো ভাবি নি। তুমি আমাকে কালকে ফোন দিও”। কী আর করা! পরেরদিন সকালে ফোন দেয়ার পর সে আরেকটু চিন্তা করে বললো, “ঠিক আছে, তুমি যখন বলছ, তখন আর কী করা!” সেই থেকে লাজিমা আর আমি বন্ধু। বন্ধুত্বের খাতিরে আমি তাকে মাঝেমাঝে ফোন করলেও তার দায়িত্ব শুধু ফোনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সেই তখন থেকেই সে মাঝেমধ্যে কার্ড পাঠায়। ফেসবুকেও যোগাযোগ আছে তার সাথে। আমার ফেসবুক প্রোফাইলে একজনই আছে আত্মীয় হিসেবে- সে আমার ভাগনী- লাজিমা।