আগস্ট মাসের শুরুটা আমার পছন্দের। কারন ১ই আগস্ট আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষের মধ্যে একজনের জন্মদিন... আমার বাবার। কিন্তু তারপর থেকে সময় যত ১৫ তারিখের দিকে গড়াতে থাকে আমার মন ততই খারাপ হতে থাকে।
বিশ্রী একটা অনুভূতির বোঝা হঠাৎ চেপে বসে যখন ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি শহরটাকে ভিজিয়ে দেয় বিকেলের খানিক পর। মানুষগুলো তখন অসম্ভব ধন্দে পড়ে যায় আর একটু একটু করে রাস্তাগুলোয় জমে উঠে জঘণ্য কালো কাদা। এই ষোল তলা দালান থেকে দেখা যায় অদূরে ঝাপসা আরেকটা শহর। আসলে ঠিক অন্য শহর নয়, এ শহরেরই উপকন্ঠ। ক্লাসের দিকে এগুবো বলে যেই নীচে নেমে এসেছি, খেয়াল হল আমার বাদামী-সাদা প্যান্ট। সুতরাং পুরোটা এলিফ্যান্ট রোড আমি হেঁটে
গোলাম আজম কি একটা কারণে প্যারোলে বের হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মেজর গুলবদন খাঁ প্যারোলের কাগজ সাইন করে মুখ গোমড়া করে অফিসে বসে আছেন। এমন সময় গেটের ওদিক থেকে ধস্তাধস্তি আর মারপিটের শব্দে তিনি ভয় পেয়ে ছুটে গেলেন।
(গেটের বাইরে)
জেলার বাইরে এসে দেখলেন দুই কারারক্ষী প্রচন্ড জোরে একজন আরেকজনকে কিলঘুষি মারছে।
-রোল নাম্বার থার্টি টু।
-ইয়েস স্যার।
-কিরে গতকাল স্কুলে আসস্ নাই ক্যান?
-স্যার, বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল।
-ঐ হারামজাদা! শেখ মুজিব কবে তোর বাবা হইল! এদিকে আয়, ক কাইল কই আছিলি? সত্য বলবি নাইলে পিটাইয়্যা পিঠের ছাল তুইল্যা ফালামু।
-স্যার, সত্যি কাল আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী ছিল, গতবছর এইদিনে উনি মারা গেছেন।
-আগে কবিতো, যা বস্, মন খারাপ করিস না, বাবা কারো চিরদিন বাইচা থাকেনা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে কিছু পোস্টার প্রচেষ্টা...
০।
একটু আগে বৃষ্টি হচ্ছিল, আসলে সারা দিন ধরেই হচ্ছে। রুমের জানালায় একটু পর পরেই জোরে জোরে বৃষ্টির ফোটারা এসে পড়ে। বন্ধ রুমের ভিতর থেকে সেই শব্দ আর ভারী শোনায়। জানালায় কাঁচ দিয়ে বাইরে তাকালেই নিচের ঝাপসা হয়ে যাওয়া রাস্তাটার ব্যস্ততা চোখে পড়ে। পাশের মেডিকেল কোচিং থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় ছাত্র ছাত্রীদের দল গুলো বের হয়ে আসে। পাশের রুমে সামশাদ বেগমের গান বাজে, ষাটের দশকের হিন্দি গান।
সমুদ্রের নোনা ঢেউয়ে ঝলকায় মুহূর্ত,
হলদে আকরিকের তীব্রতায়, মধুর সোনালী জৌলুসে,
ঝঞ্ঝার বিক্ষোভ যার বরফি পাথুরে কেলাসকে
ভাঙতে পারেনি এতটুকু
সূর্যালোক, আগুনের শব্দে বেজে ওঠে চড়চড়,
মৌমাছির মত গুনগুন করে,
ব্যস্ত রাখে নিপুণ আঙুল, সবুজ পাতায় ঢেকে নেয় মুখ,
গাছের তামাম উচ্চতায় শিস দেয় ঝিলমিলে, ফিসফিসে রূপকথা।
আগুনের ক্ষুধা আর আঁচ নিয়ে, সামান্য পাতায়,
- তোর নাম ল্যাংড়া?
- আজ্ঞে
- ফাজলামি করিস নাকি আমার সাথে, ল্যাংড়া কারো নাম হয়?
- না স্যার, গরীব মানুষ ফাইজলামি করমু কেন? আসল নাম ছিল একটা কিন্তু সবাই ল্যাংড়া নামেই চিনে এখন।
- আগে পিছে কিছু নাই? সৈয়দ, রহমান, হক?
- না স্যার, ল্যাংড়ার আগে পিছে পদবী লাগায়ে পদবীর অপমান করুম নাকি।
আমার শিশুপুত্র আমার হাত চেপে ধরে অভিমানের সুরে বলে,
- আব্বু, এত জেরা করছ কেন? দাওনা কিনে আব্বু, দাওনা।
এক: মর্মান্তিক এক ফিকশন যেন
১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ : রাত ২.৪৫মিনিট - ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
ডিজিএফআই(প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা) প্রধান ব্রিগেডিয়ার রউফের কাছে একটা বিশেষ খবর নিয়ে এলেন ডিএমআই(সেনা গোয়েন্দা) প্রধান কর্নেল সালাহউদ্দিন।
খবরটা খুব খারাপ। আজ ভোরে মারাত্মক কিছু একটা হতে যাচ্ছে দেশে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্রাকে ট্রাকে সৈন্য আর আর্টিলারী ট্যাংক বহর বেরিয়ে গেছে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর প্রেসিডেন্টের বাড়ির দিকে। ভয়ংকর ব্যাপার। খবরটা সেনাপ্রধানকে জানানো উচিত।