প্রতি বছর এক কি দুই বার তোমার সাথে আমার দেখা হয়। কখনও যাই ডিসেম্বর মাসে, তখন তুমি খুব সেজেগুঁজে থাকো। চারদিকে বিজয় দিবসের জন্য আলোকসজ্জা, শুকনা খটখটা রাস্তা-ঘাট। আসন্ন বছরের উপলক্ষে কেমন উৎসব উৎসব আমেজ। তখন বেশি দিন থাকতে পারি না। কী করবো বলো, শীতের ছুটি তো অনেক ছোট। আবার ফেরত যাই বছরের মাঝামাঝি সময়ে। প্রচণ্ড গরম তখন, মাঝে মাঝে মুষল ধারে বৃষ্টি নামে। কী আরামই তখন হয়। ঢাকা, তুমি আমা...
আজ কবিতার দিন, ভেজা শাড়ি রোদে শুকাবে না।
করকরা রোদে শুকাবে বলে দড়িতে ঝুল খাচ্ছে আমার কাপড় চোপড়। শুকাচ্ছে না। মেঘের শাওয়ারে গোসল সারছে নগরতলী। আজ কী তবে কবিতার দিন?
#
টোয়ালাইট নিউ মুন হলের শো শেষে এক্সিট গেটের কাছে মানুষের ভীড়। চরিত্র দুজন দাঁড়িয়ে আছে মুখোমুখি, ঐখানেই সিনেমার শেষ। চরিত্রগুলোর কী সহযে ‘দি এন্ড’-এর সাথে ঘটনা থেকে ছুটি মিলে। আর যারা এত এ...
[justify]
নিজের মনে খুব ছোট একটা তালিকা আছে আমার। সেখানে খুব আপন কিছু মানুষের নাম লেখা আছে। সংখ্যায় বেশি না, এখন পর্যন্ত গোটা দশেক মাত্র।
দেশ ছেড়েছি প্রায় ছয় বছর হতে চললো। প্রবাসে এসে অবধি এখানে-সেখানে কাটছে যাযাবরের মতো। ইতোমধ্যে ভিন্ন স্বাদের তিনটি শহরে দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকা হয়ে গেছে, সাকুল্যে ডজন খানেক ঠিকানা হয়েছে। পশ্চিমের কিছু অঙ্গরাজ্য বাদ দিলে আমেরিকায় ঘুরে বেড়িয়েছি প্রায়...
জোনাকির কবর
খুব ছোটবেলায়, আমাদের ঘরের পেছনটায় যেখানে একসারি আনারস গাছের অবস্থান ছিলো, সন্ধ্যা হলেই কিছু অদ্ভুত আলোর ঝলকানি দেখতে পেতাম। ঠিক নীল না আবার সবুজও না। বরং এই দুয়ের মিলিত একটা উজ্জ্বল রং, একটা আলো, একটা বাতি, ক্ষণে ক্ষণে জ্বলে উঠেই আবার নিভে যেতো। যেখানে নিভতো ঠিক তার কাছেই আবার জ্বলে উঠতো। শুরুটা হতো এভাবে। তারপর একটা, দুইটা, চারটা, ছয়টা, আটটা— এরকম গুনে গুনে একসম...
যাঁরা পোস্টটি পড়ছেন, তাঁরা কি কষ্ট করে একটা কাজ করবেন? আপনার পরিচিত শিশু কিশোরদেরকে এই পোস্টের লিংক পাঠান, কিংবা পড়তে দেন। আগামী প্রজন্মের জানা দরকার, কাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন। পাঠ্যপুস্তকে অনেকেই বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যমের বা মাদ্রাসা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা এসব হয়তো পড়ে না -- বাংলা মাধ্যমেও এখন কতটুকু আছে ক...
জীবনের কিছু মুখ, কিছু মুখোশ, কিছু কথা, কিছু নিরবতা, কিছু ছন্দ, কিছু দ্বন্দ্ব সব মিলিয়েই তৈরি হয় একটি কবিতা। আমার চারপাশে যে মুখগুলো, মানুষগুলো আছে, তা যদি ভাবি দেখবো কেউ খোঁড়া,কেউ আবার চমৎকার দৌঁড়াতে পারে, হাতে হাত রেখে পাশাপাশি হাঁটে, কেউ আবার আড়চোখে তাকায়, বুকদোলে ওঠে কাঙ্খাও লোভায়…! কেউ মৃদুসুরে কথা বলছে, কেউ আবার কথার ফাঁকে-ফাঁকে হাসে, কখনো বোবা হয়, বোবার মতো তাকায়! কেউ থুতলায়। ত...
অনেকদিন ধরেই কোন কিছু লেখা হয়না। সময় হয় তো মুড থাকেনা, আর মুড থাকেতো ফুরসৎ মিলেনা। আজ তাই নিজেরে জোর করে কম্পুর সামনে বসিয়ে এই মাঝরাত্তিরে খোলামকুচির মতো কিছু শব্দ খরচ করে ফেললাম। পড়তে দিয়ে কারো ধৈর্যচ্যুতি হলে সেটা এই হতচ্ছাড়া লেখকের ততোধিক হতশ্রী লেখারই দোষ।
০১.
আজ রেডিওতে একটা খবর শুনে চমকে গেলাম। সামনের বছর থেকে তাইওয়ানেও বাচ্চা ফুটালে বেবী বোনাস দেয়া হবে। হয়তো ভাবছেন ধন...
[আমি একটি মুভি ক্ল্যাসিক সিরিজ লেখার চিন্তা করছি। যেখানে আমার পছন্দের কিছু মুভি নিয়ে আমার ধারণা গুলো লিখবো। আপনাদের মতামতের উপর নির্ভর করবে সিরিজটি চলবে কিনা।]
নাম : এ স্ট্রীট কার নেমড ডিযায়ার (A Street Car Named Desire)
পরিচালক : এলিয়া কাযান (Elia kazan)
কাহিনী/চিত্রনাট্য : টেনেসি উইলিয়ামস (Tennessee Williams )/ অস্কার সাউল (Oscar Saul)
অভিনয় : মারলন ব্রান্ডো(Marlon Brando), ভিভিয়েন(Vivien leigh), কিম হান্টার(Kim Hunter), কার্ল মেল্ডেন (Karl Malden) এবং...
আমার ছেলেবেলাটা কেটেছিল গ্রামে, শীতের সকালে খেজুরের রস আমার অনেক পছন্দের একটি জিনিস ছিল। দাদু এ ব্যপারটি লক্ষ্য করে আমাদের গ্রামেরই এক বুড়ো গাছিকে রোজ সকালে রস দিয়ে যেতে বলেন। দিনকয়েক যেতে না যেতেই আমার সাথে বেশ ভাব হয়ে যায় গাছি হারুন দাদুর। কোন কোন দিন খুব ভোরে শিশিরভেজা ঘাস বা গ্রামের আলপথে আমাকে তিনি নিয়ে গেছেন কোন একাকী খেজুর গাছের পাশে। গরম কাপড়ে আগাগোড়া আবদ্ধ আমি শুধু অব...
গপ্পো না কাব্য-
পরে বসে ভাববো ।
ভাবনার কেঠো নদী
অতীব অনাব্য ।
জল নেই জলাতে
যাই কলতলাতে
চার ফোঁটা ভাগ পেতে
ঝুলি কারো গলাতে ।
বেতালের শাসনে
বসে রাজ-আসনে
তিতকুটে ক্ষীর খাই
টকে যাওয়া বাসনে ।
ভেতো জিভে তেতো স্বাদ-
ক্ষীণ দেঁতো প্রতিবাদ ।
আবাল্য বেতো মনে
বায়বীয় বুনিয়াদ ।
সিলিকন স্বর্গে
যা খুশি কর্ গে ।
পাশ ফিরে পড়ে থাক্
শীতাতপ মর্গে ।
বুনোহাঁস