আমি হয়তো আর কখনো লিখতামই না। না কলমে না কী-বোর্ডে। পুরনো জমে থাকা লেখাগুলি ২০০৬ এর ফেব্রুয়ারীতে আপলোড করেছিলাম কাফ্রী হিমুর প্ররোচনায়। গাত্রবর্ণের তীব্রতাই হয়তো এই রকম থিংক অ্যালাইকের যোগসূত্র। এর পরে চলছিল নানান রসিকতা খোঁচাখুঁচি তর্কাতর্কি এসবেই। নতুন কবিতা একেবারেই লিখিনি। এই সময় যা যা আপলোড করেছি সবই ১৯৯৭ থেকে ২০০২ এর মধ্যে লেখা। এই পর্যায়ে পরিচয় রাসেল আর তাঁর অসাধারণ ...আমি হয়তো আর কখনো লিখতা
(লেখাটি Paulo Coelho এর Like the Flowing River বইয়ের Thank you, President Bush থেকে অনুবাদ করা হয়েছে)
(এই আর্টিকেলটি প্রথম প্রকাশিত হয় ৮ মার্চ,২০০৩ একটি ইংরেজি ওয়েবসাইটে। এটি ইরাক আক্রমণের দুই সপ্তাহ আগের ঘটনা। সেই মাসে এটি ছিল যুদ্ধ বিষয়ে সর্বাধিক প্রচারিত কলাম, যা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পাঠকের কাছে পৌঁছেছে।)
ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট বুশ
**********************
ধন্যবাদ, মহান নেতা জর্জ ডব্লিউ বুশ।
ধন্যবাদ সবাইকে বুঝিয়ে দেবার জন্যে সাদ...
আসমা বীথি
আমার বন্ধুদের মধ্যে অনেকে দেশ ছেড়ে চলে গেছে,কেউ যাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুণছে। তাদের মধ্যে কেউ অত্যধিক ভাল জীবনযাপনের আশায় স্হায়ী নাগরিক হয়ে যাওয়ার জন্য প্রাণপণ লড়াই করছে,কেউ ডিগ্রি এবং অর্থ উপার্জন করে দেশে কিছু করবে,দেশেই ফিরে আসবে এরকমটা ভাবছে।দ্বিতীয় ভাবনাই কাম্য।
আজ আমার এক বন্ধুর চিঠি পেলাম।মনে হলো ছোট্ট এ-চিঠিটি নিছক ব্যক্তিগত হতে পারে না,
তাই হুবহু তুলে দিল...
.যতবারই দূর পাহাড়ে যাই, ততবারই কল্পনা চাকমাকে মনে পড়ে। মনে পড়ে হারিয়ে যাওয়া পাহাড়ি মেয়েটির কথা। আজও এই অপহরণের সুবিচার হয়নি। এতো বড় একটি মানববাধিকার লংঘনের দায় দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশ বহন করছে। আর ক্ষত বয়ে চলেছি আমরা, কল্পনার সতীর্থ পাহাড়ি-বাঙালিরা, ওই ১৩ বছর ধরেই।...
প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে স্মৃতি হাতড়ে বলছি, পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ম...
বাচ্চা ভূতটা হাড্ডিসার। মাথার খাপরি বের হয়ে এসেছে। চোখ দুটো গর্তে লুকানো। টর্চ লাইটের মতো তা ঠিকরে বের হচ্ছে। যেনো জয়নুলের দুর্ভিক্ষের সচল কোনো চিত্র। ‘আমরা এহান থেকে যাইগা মা’ বাচ্চা ভূত মা ভূতকে বলে।
‘যাবি’ বলে মা ভূতটা বিষন্ন দৃষ্টি মেলে।
মা ভূতটাও হাড়জিরজিরে। পাঁজরের সবগুলো হাড় গোনা যায়। পাটকাঠির মতো তা বের হয়ে আছে।
‘হ, যাইগ্যা। এহানে আর থাকা যাইবো না। সব গাছ কাইট্যা ফ...
রঙিন বেলুন...
একটা, দুইটা, তিনটা... সাতটা
উড়ে যায় ওরা ডানাহীন সাবলীলতায়
মাধ্যাকর্ষণকে ছাড়িয়ে আলিঙ্গন করবে আকাশকে..
চুপসানো বেলুন
উঠে চলে
উঠে চলে...
কখনো তাদের আকাশ ছোঁয়া হয়না।
বুয়েটে ডিবেটিং ক্লাবের কোন এক অনুষ্ঠানে একবার একটি প্রশ্ন উঠেছিল, ‘আমরা কেন সংগঠন করি’। এর উত্তরে এসেছিল অসংখ্য মতামতঃ সমাজের জন্য, মানুষের কাছে নিজের দায়বদ্ধতার জন্য, সাংস্কৃতিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য, ভাল কিছু করার জন্য ইত্যাদি ইত্যাদি।সেই সব মতামতের ভীরে যেটি আমার কাছে সবচাইতে যৌক্তিক মনে হয়েছিল তা হলো, ‘আমি সংগঠন করি আমার নিজের আনন্দের জন্য’। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি কিছুটা স্...
একে একে ঝরে গেছে জীবনের অনেক কটা দিন। হায়!
আসি ফিরে ফিরে বসি চুপটি করে, কি যেন অপরাধবোধ মনে নাড়া দেয়। শুধু চেয়ে দেখি জীবনের লেখা গুলো মৃদুল আহমেদ আমাকে বন্দি করে বন্দিশালায়-'আমার লেখায় কমেন্টস করেন'। তার সেই অনেক দিন ষ্টিকি হয়ে থাকা লেখায় কি আমি কিছু জানাতে পেরেছিলাম। না পারি নি। পারিনি উপস্থিত হতে ছবির হাটের আলোচনায় অথবা মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের আয়োজনেও। কি এমন ব্যস্ততা আমাকে যেন ...
শান্তি ব্যাপারটা বহুত আগে আমাকে ছেড়ে পালিয়েছে; যতটুকু রয়ে গেছে তার উপমা টানা যায় অবসরে জাবর কাটার মতো করে! যেমন আমার এক গোলাপী রঙের একখানা পুতুল ছিলো, যার আবার গানের গলা ছিলো সুপারভ্ (ওর কথা এখানে বাদ)! ভীষন জেদী এক বোন ছিলো আমার যাকে আদর না করে ঘর থেকে বের হলে সারাটা দিন ব্যর্থ হয়ে যেত! এখনো মনে পড়ে, ছোট বেলায় কদাচিৎ জ্বর-ফর হতো (জ্বরে পড়ার জন্য রীতিমতো দোয়া পড়তাম)হলে সোজা গিয়ে আমার প...
(মেলানকলি থেকে পালিয়ে বেড়ানোর একটা প্রবণতা গড়ে উঠেছে আশৈশব...মেলানকলি শব্দটা জানবার আগে..বুঝবার তো বটেই। অথচ একটা বয়সের পরে অথবা একটা বয়সে পৌঁছে ভাবনার খাটিয়া ভেঙে কবিতা তাড়া করে বসলো। দৌড়ে অনভ্যস্ত আমি ছুটেছি কবিতার নাগালসাধ্য ব্যবধানে। নিজেকে বাঁচাতে চাইলে হয়তো খড়িকঞ্চির ভরসায় সের্গেই বুবকা হতাম। তার বদলে হিটে আউট স্প্রিন্টার হয়ে আছি। অথচ মেলানকলির সম্ভাবনা দেখামাত্র শা...