আমার সহকর্মী ভারতীয় ছেলেটা আমাকে উত্তেজিত স্বরে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি গিয়েছিলে আজ, ফেডারেশন স্কয়ারে?
আমি কী একটা খুটখাট করছিলাম কম্পিউটারে। ওর দিকে তাকিয়ে বুঝলাম, ঘটনা খারাপ, পাশের চেয়ার দেখিয়ে বসতে বলে জানালাম, না যাইনি, আমি তো সকাল থেকেই এখানে। কী খবর বলো তো?
ও বেশ উঁচু গলায় হড়বড় করে অনেক কথা বলে গেলো। সারমর্ম এরকম, আজ নাকি প্রায় হাজার পাঁচেক ভারতীয় ছাত্র প্রোটেস্ট করেছে সেখানে...
ধনঞ্জয় রাজকুমার
আ মা র ক বি তা
এক.
নিজেদের নিষ্ঠুর যন্ত্রনার অস্তিত্ব আমরা অস্বীকার করতে পারিনা। এবার তো আমাদের হৃৎপিন্ড ফালি করা ফোটা ফোটা রক্ত দিয়ে কবিতা লেখবো। গভীর রাতে ঘুমের ভেতরে আমরা চিৎকার করে উঠি। কবিতা তুমি বিশুদ্ধ, তুমি পবিত্র, তুমি আমার ঘৃণা - মৃত্যু - পাপ - ঈশ্বর। ঈশ্বরের সাথে তুলনা করতে যেয়ে দেখি আমি কতখানি নিম্নজ, কতখানি অসহায়। আমাকে অংহকারী কর। আমি কবিতা লিখি, আমা...
বারান্দা ও বিছানা
এই ছবিটা অনেকদিন আগে দেখেছিলাম, একটা রিভিউও লিখেছিলাম। আজ একটু ফাঁকিবাজি করি, সেটাকেই বাংলায় লিখে দিই। রিভিউও হলো আবার অনুবাদেরও প্র্যাকটিস হয়ে গেলো।
ঠিক জানি না কী বলবো, কবিতার মতো একটা সিনেমা, নাকি স্রেফ একটা ফরাসি ব্যাপার। খাঁটি মিউজিক্যালের নিয়মেই এখানে চরিত্রেরা অধিকাংশ সময়ই গান গেয়ে কথা বলে, যখন তখন গেয়ে ওঠে গুনগুন...
সত্তুরের দশক। ছড়াকার হবার বিরাট স্বপ্ন-বাসনা আর বিশাল প্রজেক্ট-পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছি।একটাই কাজ সারা দিনমান—ছড়া পড়া, ছড়া লেখা আর ছড়া নিয়ে বিস্তর চিন্তা-ভাবনা করা।আমার পৃথিবীটা তখন ছড়াময়।কেউ কেউ ধরাকে সরা জ্ঞান করে,আর আমি ধরাকে ছড়া জ্ঞান করি।আমার সামনে পেছনে ডানে বাঁয়ে সর্বত্র ছড়ানো ছিটানো ছড়া আর ছড়া।আমি জেগে থাকি ছড়া নিয়ে।ছড়াও জেগে থাকে আমার সঙ্গে। আমি ঘুমুতে যাই ছড়া নি...
কালো বিড়ালটা শেষ পর্যন্ত মরেই গেলো।
অন্ধকারে,
এক বাক্সের ভেতর আটকে রাখা হয়েছিলো তাকে অনেকদিন।
মিউ মিউ করেও বোঝাতে পারে নি- গিনিপিগ আর বিড়ালের পূর্বপুরুষ কখনোই এক হতে পারে না।
অনুভূতির তারল্যের প্রাবল্যে আন্তঃপ্রাণীর ভাষা সবসময়ই অসম্ভব দুষ্কর, আর
তাই কালো বিড়ালটাকে থাকতে হয়েছিলো অন্ধকারের ভেতর।
বিড়ালটা মরেই গেলো শেষ পর্যন্ত।
একপাশে খানিকটা খাবার, আরেক পাশে শ্রোয়েডিঞ্জ...
১
মরি লো মরি আমায় বাঁশিতে ডেকেছে
কে চোখ রেখেছে শূন্যে
কার হাতে পদ্মগন্ধ
অদৃশ্য শিশির-সংকেত
সবুজ আকাশে লেখা সনাতন পৃথিবীর
অদেখা নদীর বাঁকে
গান গেয়ে ভেসে চলে গেছে
২
অর্ধঘুম ঝর্ণার জলের মতন বয়ে যায়
ছায়া পড়ে জলে
আকার প্রত্যাশী সেই ছায়ার শরীর
নিরাবেগ
অনচ্ছ আলোয় ভাসে জলের গভীরে
৩
সেই তো প্রথম সত্য, জাগ্রত এ চরাচর
নিত্যদিন বাসনার গান
অনন্ত এ খণ্ডকাল, প্রেমহীন অপরাহ্নব...
এও বহুদিন আগের কথা,সেই কোমলগান্ধারের সময়ের। তখনও সবকিছু হালকা, আলগা, উড়োউড়ো পালকমেঘের মতন। প্রজাপতিডানার রেণুধূলির মতন উড়ে উড়ে এসে লাগতো মুখে,চুলে,চোখের পাতায়। সেই সময়ের কথামালা এগুলো। কিছুদিন আগে ফের স্মৃতির ধূলা সরিয়ে সরিয়ে, প্রাচীন দেওয়ালের সবুজ দরোজাটা খুলে উঁকি দিয়ে দেখছিলাম, দানাদানা নুনচিনির উপরে রোদ্দুরের মতন ঝিকিয়ে উঠে মিলিয়ে যাচ্ছিল...
কারসাজির ক্যামেরাবাজি-৭
এই জায়গাতে এসে অনেক দামী লেন্স আর বাহারি ক্যামেরার কাঁধে কাঁধ ঘেষে দাঁড়াতে পারে সাধারণ একটি কম্প্যাক্ট ক্যামেরা। ...
অনুবাদ-- নীল
_____________________________________________
যে স্থানটিতে আমি মৃত্যুর শীতল স্পর্শ পেয়েছিলাম, সে সিমেন্ট ঢাকা জায়গায় আমার মৃতদেহ উপুড় হয়ে পড়েছিল, সেটি প্রায় চব্বিশ ঘণ্টার মাঝেই স্বাভাবিকতা ফিরে পেয়েছে। এখন আমি মৃত্যু নিয়ে কিছু বলার আগে আমার স্মৃতিতে ঝিলিক দিয়ে চলা কয়েকটি দৃশ্য নিয়ে কথা বলতে চাই। আসলে আমি এ দৃশ্যগুলো বর্ণনা করতে চাই। আর নিয়তি আসলে আমার ‘মৃত্যুর স্থান’ কে হঠাৎ করে উল...
সবুজ বাঘের গ্যাংটক নামের কবিতা পড়ে মনে পড়ল, তাকেই চ্যাটে গল্পটা বলছিলাম। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ( আমার ধারণা এইটা বাঘ মামার ইচ্ছাকৃত, আমার গল্প শুনে হয়তো তার ঘুম পাচ্ছিল) তিনি বিনা নোটিশেই উধাও হয়ে গেলেন। মামাকে কিচ্ছাটা আর শোনানো হলোনা। তাই ভাবলাম আরোও কতো সহৃদয় বাঘের বাচ্চারা আছেন সচলে তাদেরই শোনাই। ঘুম পেলে মূলোদার আদি রসাত্মক আঁকিবুকিতে ...