আমাদের সবার জীবনেই অসংখ্য ঘটনা আছে, কিন্তু সবগুলো ঘটনা মনে ধরে রাখা সম্ভব নয়, আর তার প্রয়োজনও নেই। কিন্তু কিছু ঘটনা আছে যেগুলো মনে গেঁথে থাকে। সুযোগ পেলেই উঁকি মারে মনের দরজায়। কখনও উৎসাহ দেয় আবার কখনও বিরক্ত করে। এর সবগুলো সুখের নয় কিংবা দুঃখের নয়, উভয়ে মিলেমিশে একাকার। কিছু ঘটনা মনে পড়লে আনমনেই হেসে উঠি আর কিছু ঘটনায় হয়ে পড়ি বিষন্ন। এদের সংখ্যাটাও নিতান্ত কম নয়, এ...
ঝাড়ি
মুখবন্ধঃ অনেক হাবিজাবি লিখেছি এ কয় বছরে কিন্তু আমাদের ভাইবোনদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় অনুভূতিগুলোর কথা কোথাও কোনদিন লেখা হয়নি। লেখাটা পড়েছিল অনেকদিন আমার হার্ড ডিস্কে, ধূসর এর প্ররোচনায় এটা শেষ পর্যন্ত কেনো জানি তবু পোষ্ট করা হলো।
ঝাড়তে নাকি জানেনা কেউ কে বলেছে ভাই
এই দেখোনা কতো ঝাড়ির খবর বলে যাই......
ইয়ে ওয়ার্ল্ড হ্যায় না ওয়ার্ল্ড, ইস ম্য দো তারাকে ই...
বারান্দা দিয়ে দেখা যায় ক্ষুদ্র বনভূমি। পরিসরের অপ্রাচুর্য অবশ্য বুঝতে দেয় না সে, গাছে গাছে সৃষ্টি করে এমনই বিভ্রম। লতাপাতার ফাঁক দিয়ে দেখতে পাই জল, আর উপর থেকে খন্ডখন্ড আকাশ। দিনের বেলা হালকা হাওয়ায় সেই বল্লরীরা দোল খায় গাছের গলা জড়িয়ে, জোর হাওয়া দিলে ঢলে পড়ে এ ওর গায়ে।
সেই খেলাঘরের বনের পথে শুকনো পাতার কার্পেট, খচমচ করে পা ফেলে আমি জল ছুঁতে যাই, আমার পায়ের শব্দে...
[justify]
১.
বহুদিন ধরে লিখি না আমার প্রবাসজীবনের এই একঘেয়ে অণূপাখ্যান [অণু + উপাখ্যান]। লেখার মতো অনেক কিছু ঘটলেও হয়তো সেগুলো সব লেখার মতো নয়, কিংবা খুব দৌড়ের উপর ছিলাম, কিংবা ভেবেছি, লিখে কী হবে। সবকিছুই শেষ পর্যন্ত জলের ওপর দাগ কাটার মতো অর্থহীন, একটা অন্তহীন রসিকতার মাঝপর্যায়ে থাকা, যার পাঞ্চ লাইন মাঝে মাঝে বেল্টের নিচে হিট করে জানান দেয়, সে আছে আশেপাশেই।
২.
আমার ফ্ল্যাটমেট পাঠান স...
রাজচম্পা বা রাজচম্পক ফুলের বিজ্ঞানসম্মত নাম Magnolia grandiflora, একে হিমচম্পাও বলা হয়। আমেরিকার দক্ষিণাংশের স্থানীয় ফুল হলেও ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক জায়গাতেই দেখা যায়।
ফুল বড়ো আকারের, কাপের আকৃতির, সাদা রঙের, সুগন্ধী, মসৃণ ভেলভেটের মতো পাপড়ি ৮-১২ ইঞ্চি লম্বা। দীর্ঘ উল্লম্ব চিরহরিৎ বৃক্ষ গাঢ় সবুজ বড়োমাপের পাতায় (দশ ইঞ্চি অবধি লম্বা) ছেয়ে থাকে। বসন্তকালে পাতার তলার দিক বাদামি ব...
বাবার সঙ্গে আমি প্রথম যে দিন নদীতে যাই, আমার বয়স তখন চৌদ্দ ।
মা অবশ্য অনেক দিন থেকেই গাঁইগুঁই করছিলেন, ‘জ্যাইল্লার পোয়া, জাল বাইবো না তো পন্ডিত অইবো ! ছমছু মাস্টার অইবো !’ তীক্ষ্ণ, তীব্র সেই উপহাস । বাবা গিলে ফেলতেন সেটা অনায়াসে । পন্ডিত হওয়া, নিদেন পক্ষে এই এলাকার একমাত্র শিক্ষক সামসুদ্দীন মাস্টার ওরফে সমসু মাস্টারের মতো মেট্রিক পাস দিয়ে আশপাশ আলোকিত করে ফেলাও যে ধীবরপুত্রের জন্...
তুলা মেঘের দিন। খুশী-খুশী পাতাওয়ালা গাছ। শিরশিরে হাওয়া শিরশিরে হাওয়া শিরশিরে হাওয়া......। এমন দিনেই কি সুখীদুখী রা তুলারাজার বাড়ী যেতো? তুলারাজার বাড়ী কোথায়? কে জানে ? কেউ কি জানে? আর সেই কমলাফুলি? সুজ্জিমামার টিয়ে?
আর চেনা চেনা লাগে তবু চিনি না সেই কাশফুল? শরতের মেঘে যখন রেলিং থাকে না, তখন যে ফুলের কথা মনে করে মনকেমন মনকেমন মনকেমন....
...
ছোটবেলা থেকেই সাইজে বেশ ছোটখাট ছিলাম আমি। ক্লাস ফোরে মাহতাব স্যার আমার সাইজ দেখে বলেছিলেন: "কি বাবা! এরকম মুরগির বাচ্চার মত হয়ে থাকলে চলবে নাকি?" ব্যাস, হয়ে গেল কাজ! ক্লাস টেন পর্যন্ত আমার নাম 'মুরগির বাচ্চা' বা সংক্ষেপে - 'মুরগি'।
ক্লাস সিক্স না সেভেন পর্যন্ত মহা চেততাম আমাকে কেউ মুরগি ডাকলে। অর্নব আশফাক নামে আমাদের ব্যাচের দুর্ধর্ষ এক দু্ষ্ট ছেলে অসাধারন দক্ষতার সাথে মুরগি বেচি...
মে ডে'র ছুটিতে বাটু কেইভস্ এ বেড়াতে গিয়েছিলাম। কে এল শহরের কাছেই পাথুরে পাহারের গায়ে কিছু গুহায় মন্দির। মালেশিয়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় জমায়েত হয় এখানে বছরের শুরুর দিকে। বেশ সুন্দর কারুকাজ চারদিকে, সাথে লর্ড মুরুগানের বিশাল মুর্তি। ২৭২ টা সিঁড়ি বেয়ে প্রধান গুহায় উঠতে গিয়ে প্রাণ প্রায় যায় যায় অবস্থা আমার আর অপুর। বাটু কেইভস্ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উইকির [url=http://en.wikipedia.org/wik...
( অনেকদিন সচলে ঠিক কিছু লিখা হয় না কিন্তু সেই সাথে সময়ের বড় অভাব। এদিকে আবার এস্যাইমেন্টের কাজ করতে গিয়ে কম্পুর হার্ড ডিস্কে আমার লেখা পুরাতন একটা গল্প পেয়ে গেলাম। এইটা আমার সবচেয়ে দূর্বল লেখা গুলোর একটা কিন্তু কেন যেন এইটার প্রতি আমার দারুন মায়া। হয়ত পুরাতন কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় বলে। ভাবলাম থাকুক এই গল্প সচলায়তনে। তবে সাধু সাবধান পূর্ণ সচল হবার স্বাধীনতা এই গল্পে ব্যবহৃত ...