সিকিমে ঢুকতেই যে অংশ, তার নাম সম্ভবত রংপু (সম্ভবত বলছি, কারণ পুরোপুরি খেয়াল নেই)। আমরা গাড়িতে উঠেছিলাম শিলিগুড়ির কাছে সেবক নামের চমৎকার সুন্দর, তিস্তা ঘেষা এক জায়গা থেকে। সেই গাড়ি আমাদের সিকিম বর্ডার পার করেই রংপোতে নামিয়ে দিলো, কারণ এই গাড়িগুলির রুট পারমিট এতটুকুই। গ্যাংটক অর্থাৎ কী না, সিকিমের রাজধানী এখনো প্রায় ঘন্টাখানিকের পথ, আর এই পথটুকুর জন্য আমাদের গাড়ি পাল্টাতে হবে।
এ...
শিরোনামটাই বিভ্রান্তিকর। বাংলাদেশের গদ্য বলে আলাদা করে কিছু হয় কিনা। বাংলাদেশের মানুষের ভাষা বাংলা। সুতরাং, বাংলাদেশের মানুষ কর্তৃক লখিত গদ্য বাংলা গদ্যই হবে, বাংলাদেশের গদ্য না। আর বাংলা গদ্যতো লখিত হতে পারে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে বসবাসকারি বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষের দ্বারা। তাহলে বাংলাদেশের গদ্য বলে আলাদা করে কি আসলেই কিছু হয়। পন্ডিতেরা কি বববেন জানিনা, তবে আমারতো মনে হয় , ব...
অভিশপ্ত বিহারীদের জীবনধারণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে
বিহারীরা মুসলিম। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হিন্দু আধিপত্য থেকে বাঁচার জন্য তারা ভারত ত্যাগ করে পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিল। তারা উর্দূতে কথা বলে এবং অধিকাংশই বাঙালি জীবনাচারকে ঘৃণা করে। যুদ্ধের সময় তাদের অনেকেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছিল। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রায় ১ লক্ষ বিহারীর অধিকাংশই বাংলাদেশে ...
অনুবাদকের কথা
১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে এক দল সাংবাদিক এসেছিলেন। নতুন দেশের জনগণ একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও গণহত্যার প্রভাব কিভাবে কাটিয়ে উঠছে, তা দেখাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। সফর শেষে দেশে ফিরে গিয়ে উইলিয়াম এস এলিস এ নিয়ে একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিনের সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ সংখ্যায় এটি প্রকাশিত ...
জীবনের প্রতিটি ফেইসে যেন এক একটা মানুষ বড় আপন হয়ে যায়, ল্যান্ডার ওলাভারি আমার ঐরকমি একজন আপন মানুষ, সুহৃদ। একটু আগে অসহ্য স্টোমাক পেইন নিয়ে বাসায় ফিরে মেশিন অন করেই দেখি ওর অফ লাইন মেসেজ (ও তখনো অন লাইন),'ম্যান আই এম টোটালি ফাকড্ আপ। জাস্ট কেইম আউট ফ্রম কিউবা! আই নীড য়্যুর হেলপ্ বেডলী, আই ডোন্ট হেভ সিঙ্গ...
উৎসর্গঃ ফিলিস্তিন ও লেবাননের নিষ্পাপ সত্ত্বাদের...
মননে থমকে গেছে
বেঁচে থাকার সব ইচ্ছেগুলো
পাওয়া আর হারানোর বাসনা
আকাশ, সৃষ্টির অনুভূতি।
শুধু একটি বোধের ব্যথা
সে আগত শিশুর অনুভব
মাতৃজঠরে যার কাটছে দুর্বিষহ প্রহর
মায়ের মাংস পুড়ে যাওয়ার ক্ষোভ
ধ্বংসযজ্ঞে আগুন নিভানো অশ্রুঢল
রোদেলা আপনভূমে কুয়াশাচ্ছন্ন হাহাকার
গড়ে ওঠছে আরেক বিদ্রোহী সত্ত্বা-
হয়তো গতিহীন হবে অসভ্য গণহত্য...
১।
মস্ত সেই পাথরটা এখনও সেইরকমই ভাঙা-পাথরের উপরের সেই লালচে বাদামী আর মরিচা রঙের দাগগুলো আর নেই- কবেই জলে ধুয়ে গেছিলো সেসব। এখানে বৃষ্টি হতো নিয়ম করে, বেশ ঘন ঘন। তারপরে একসময় বৃষ্টি কমে গেল.....
ছোটো গুহাটা ঠিক এইরকমই ছিলো, গুহামুখ অপ্রশস্ত । ঝুঁকে পড়ে ভিতরে ঢুকে সোজা হয়ে দাঁড়ালো অবন্তী। ভেতরে অন্ধকার সেই একইরকম, আগের মতই। তখনও গুহা থাকতো অন্ধকার বেশীরভাগ সময়েই। অন্ধকার আর ....ওই ...
খুব ঠান্ডা মাথার মাথাগরম সৌরভকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা এককপি শুক্না কিমোনোসহ। তার ঘর ভরে উঠুক সেইরম সব জাপানী বালিকাদের কিচিরমিচিরে, এই শুভকামনাসহ শতায়ু কামনা করছি। সব বিষণ্ণতাকে এই ২০০৯ এ সায়োনারা জানিয়ে গোটা বছর কাটুক সশ্রম প্রেম-প্রীতি-পরকীয়ায়।
মগজের ভাঁজে ভাঁজে ইদানিং মৃত্যুর দুন্দুভি বাজে
হিমশীতল রাত্রির থাবা খামচে ধরে বুকের পাঁজর
বড়ো কষ্ট হয় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে, পরিশ্রান্ত দিনের নিটোল অবসরে।
সে কি জানে আমিও নিঃশেষ হচ্ছি অন্দরে কন্দরে
বৈরী বাতাস উড়িয়ে নিচ্ছে সুখের কনক নিকানো উঠোন থেকে!
রাতের আকাশটা বিদীর্ণ করে উড়ে যায় স্বপ্নের হাওয়াই জাহাজ
নিমেষে পাখনা মেলে এই মন সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে
স্বপ্নেরা এমনই দীর্...
সবকিছু ফুরালে বসে বাতাস গুনছি-- কোনটা তোমার কানের গা ঘেঁষে এল, কোনটা দূরের বাঁশি, কেশগুচ্ছ তার সুর পান করে বেঁচে থাকে
এই ভরা দুপুরবেলায় বাতাসের যত বাতচিৎ বাঁশঝাড় ঘেঁষে, কাছে দাঁড়ানো ছিলাম বলে ঝরাপাতাদের কাছে সেসবের ঠিকঠাক নোটিশ করেছি, তা না হলে পাতার বেদনা সব থেকে যেত তথ্য-অন্ধকারে, উড়ে উড়ে যেখানে পড়ত গিয়ে, সেখানেই ছড়াত যে, কোনোকালে মিথ্যার সুদীর্ঘ লেজে কেউ আগুন দেখে নি
কথিত গান...