(১০ বছর আগে চেষ্টা করেছিলাম এই কবিতাটা লিখতে, লিখেছিলামও। তবে এটা কবিতা হয়েছে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয়। একময় গান লিখতাম, এখনও বন্ধুদের পিড়াপিড়িতে লিখতে হয়। তবে কবিতার ব্যাপারে আমি সবসময় ভীতু। ফেসবুকে কবিতাটা পোষ্ট করেছিলাম অনেকদিন আগে। আজ এখানে দেওয়ার লোভটাও সামলাতে পারলাম না। এটা সচলে আমার দ্বিতীয় কবিতা। সমালোচনা কাম্য।)
যতোই মাখো-না শরীর পললে মেঘলা রঙের শাড়ি
আজকাল ঢাকায় একটা চোখে পড়ার মত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। মানুষ যেন কেমন একটা ধর্মভিত্তিক মেরুকরণে বিভাজিত হয়ে যাচ্ছে। এই বিভাজন ক্রমশই স্পষ্ট ও প্রদর্শিত। আর একটু খোলাসা করে বলি। অফিস-আদালতে এখন প্রচুর মানুষজন দেখি টুপি,লম্বা আলখাল্লা,মাথায় কাপড় দেয়া এমনকি একেবারে পূর্ন বোরখা মানে খালি চোখ দেখা যায় আরকি। একই সাথে একই টেবলে দেখা যায় আবার স্যুট, শার্ট, উত্তেজক বক্তব্যধারী টিশার্ট ...
এ যেন ঠিক কোনো নির্দিষ্ট সৈকত নয়, বালি-ফেনায় মাখা গর্জনের নির্জনতায় এক ফালি সময়। তা লেখাও হয়েছিল সে সমুদ্রতটের কিশোরীবেলায়, আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে, ফলে এখনকার সঙ্গে হয়ত কোন মিলই নেই সেই অর্জনটুকু ছাড়া। এই সমুদ্র গায়ে মেখে জলপরী হয়ে যাই আমি, এই প্রথমবার৷
---------
হাওয়ায় উড়ুক চুল
জলোচ্ছাসে দেহের বল্কল
হোক এলোমেলো।
অন্তহীন অপেক্ষার শেষে
না হয় সমুদ্র আজ
...
ছুরির ধারে ক্ষতবিক্ষত করি তাঁর চিন্তা
কেটেকুটে দেখি কত অনুভূতি,
কত কথা,
কোথায়, কোনখানে..
কতটুকু, কার তরে..
তাঁর ক্লান্তি স্পর্শ করে
আমাদের,
আধো-আলো-ছায়ার এই লাশকাটা ঘরে।
উদাসীন চোখ তাকিয়ে থাকে তাঁর তবু
অন্ধকারে উঁকি দেয়
প্রেম ঘৃণা নির্বিশেষে
ভালবাসে, বাসাতে চায়
কী এক আশ্চর্য ভাবালুতায়..
আর আমরা হাফ ছেড়ে বাঁচি
অপেক্ষা করে থাকি
আরেকটা দিনের কাটাকুটির আশায়।
১
ভাসমান গোল টেবিল ঘিরে ছ'খানা চেয়ার শূন্যে ভাসছে, একে একে এসে বসলো তারা ছ'জন। এনখ, লমখ, এণা, গেয়া, তালিসা আর তামারিল। তাদের মুখে ভাবলেশহীনতার মুখোশ, ঠোঁট শক্ত করে চেপে বন্ধ, চোখ অর্ধনিমীলিত। একে একে সকলে ডান হাত এগিয়ে দেয় টেবিলের কেন্দ্রে, একে একে ছয়টি হাত একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়।
এবারে ছ'জনেই উজ্জ্বল ছ'জোড়া চোখ সম্পূর্ণ মেলে ধরে কেন্দ্রে যেখানে তাদের হাতগুলো মিলেছে সেদিকে ...
ঈশ্বর একগাদা প্যাপিরাসের তোড়া লইয়া গলদঘর্ম হইতেছিলেন, সেলুকাইল আসিয়া লম্বা সেলাম ঠুকিয়া কহিল, "খোদাবন্দ! আমাকে তলব করিয়াছিলেন?"
ঈশ্বর প্যাপিরাসের তোড়া নামাইয়া রাখিয়া নাসিকা হইতে চশমাখানি নামাইয়া কহিলেন, "সেলুকাইল, পাটীগণিতে তোমার ব্যুৎপত্তি কেমন?"
সেলুকাইল ঢোঁক গিলিয়া কহিল, "গণিতে আমি বরাবরই কিঞ্চিৎ অপক্ক জাঁহাপন!"
ঈশ্বর বেজার হইয়া কহিলেন, "আমারও দীর্ঘকাল চর্চা নাই। যোগ- ...
আমরা কেবলই ঘুরে ফিরে আসি এই একই বধ্যভূমিতে
যেখানে একদা আমাদের অগ্রজেরা করে গিয়েছেন প্রাণপাত;
যে মাটির ঘাসেরা আজো ভুলে আছে সবুজের ঘ্রাণ।
ঘুরে ফিরে প্রতিবার এখানে এসেই ভুলে যাই কেন
আমাদের বাকি আছে আরো কাজ। তবুও আমরা
ধানের জমিতে আগাছা তোলার বদলে রুয়ে আসি বল্লমের ফলা।
সেঁচের বদলে দেখি সদ্য বিধবার আহাজারি, পিতৃহীনের অশ্রুপাত।
তবু ঘুরে ফিরে কেন এখানে কেবল? লোকালয়ে বাড়ছে হিংস্র ...
বঙ্গভঙ্গ রদ হলে পূর্ববাংলার মুসলমানরা ইংরেজ সরকার চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মনে করেছিলেন। তবে স্যার সলিমুল্লাহ এবং বিশিষ্ট অভিজাত নেতারা এই পরিবর্তনকে the mandate of the Emperor হিসাবে গণ্য করেছিলেন। ১৯১২ সালে জানুয়ারিতে একটি মুসলিম ডেপুটেশন তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের সঙ্গে দেখা করেন। ঐ ডেপুটেশন দেওয়ার ফলে পূর্ব বাঙলার মুসল ...
ধুদ ১টা ৩/-
মুরঘি ১টা ১৫/-
আঠা ১ সের...
আম্মা চোখ কুঁচকে আলোর লেখা বাজারের হিসাব পড়তে থাকেন। উর্ধ্বগামী খরচের চেয়ে বানান ভুলের প্রাবল্যই হয়ত তাঁকে বিচলিত করে বেশি। যেকোন ভুল বানান সংশোধন করাটা তাঁর প্রায় স্বভাবের অন্তর্গত হয়ে গেছে। তিনি ছিলেন বিস্ময়কর প্রতিভা, ইংরেজী, বাংলা, অঙ্ক, ভূগোল, সাহিত্য সব বিষয়েই তাঁর পান্ডিত্য ছিল অগাধ, একাধিক বিদেশি ডিগ্রি কুক্ষিগত করেছেন অনায়াস দক্ ...
সূর্যের তাপে ঘামে ভিজে দেহ ক্লান্তিতে পড়ে নুয়ে
মধ্য দুপুরে ঠেলা ঠেলে নিয়ে চলেছি এ পথ দিয়ে
সামনে আমি হাতা ধরে টানি পেছনে কিশোর ছেলে
গাড়ী সাইকেল রিক্সা পেরয় আমাদের পাছে ফেলে
রাজপথে জ্বলে লাল রঙ বাতি দু’দন্ড থামতে হয়
যন্ত্রের মতো ব্রেক চেপে থামা আমার কি শোভা পায়?
তবু ঘাম মুছে গতির লাগাম দুই পায়ে চেপে রাখি
ট্রাফিক পুলিশ রক্তচক্ষু আমি ভয়ে ভয়ে কাঁপি
কত বাসা-বাড়ী বদলী হলো, কত মন হলো ...