Archive - 2010

September 5th

কোরক ও কিন্নরী

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ০৫/০৯/২০১০ - ৮:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
কবরস্থান একটু বেশী ছায়াময় হয়?
জরুরী নয়, তবু এরকম একটা জিজ্ঞাসায় আক্রান্ত হলো রাশেদ আনোয়ার, অক্টোবরের এক প্রায় শেষ হয়ে আসা বিকেলবেলা। মুলফটক দিয়ে বেশ ভিতরে এসে সে ঘুরে তাকাল। দেয়াল তখন অনেক দূরে, দেয়ালের বাইরের সড়ক তবু দৃশ্যমান। দৃশ্যমান সড়কের উপর নরোম রোদ, অথচ কবরস্থানে ছায়া ছায়া প্রায় অন্ধকার। সামিনার বলে দেয়া অনুযায়ী কবরটা এখানেই থাকার কথা। এইতো বড় একটা গাছ, গাছের পেছনে প ...


আয় তোর মুণ্ডুটা দেখি ফুটোস্কোপ দিয়ে-৩০

সুজন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুজন চৌধুরী (তারিখ: রবি, ০৫/০৯/২০১০ - ৮:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Noijjja
মালখুঢ় নৈজ্জার সাথে আমার দেখা হৈছিলো ২০০৮-এর শেষের দিকে ১ সন্ধ্যায় আজিজ মার্কেটে,তাও ১ঘন্টার জন্যে! ছিলেন অনেকেই, সবাই বাঘা বাঘা ব্লগার!তার মধ্যেই নজ্রুলিস্লাম-কে চোখে পড়ছিলো আলাদা করে, ২/৪টা কথাও হৈছিলো তার সাথে, দারুণ স্বপ্রতীভ ১টা পোলা!!


ওরা আসবে(?) সাতশ পৃষ্ঠার একটি উপন্যাসের ইতিকথা।

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: রবি, ০৫/০৯/২০১০ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাইরে এতো সুন্দর আবহাওয়া! এই বসন্তের শ্রেষ্ঠদিন আজ। মায়ের সাথে আঁচলকে পানির কাছে ছেড়ে আসলাম। ডুব-সাঁতার দিতে শিখুক মেয়েটা। সময় পাওয়া খুব কঠিন। এমন মূল্যবান সময় নষ্ট করে প্রায় আটশ পৃষ্ঠার বইটা পড়ে লেখকের প্রতি যে অশ্রদ্ধা এবং ক্ষোভ মনে জন্মেছে, তার কিছুটা আপনাদের সাথে ভাগ না করলে কমবে না।
 
সাধারণত বড় বই দেখলে ভয় পাই। পড়ার সাহস না থাকলেও এই বড় বইটা ঘরে দেখে মনে মনে খুশিই ছিলাম। ...


একছটাক কায়েস আহমেদ-১

অদ্রোহ এর ছবি
লিখেছেন অদ্রোহ [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৫/০৯/২০১০ - ২:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তাঁর সাথে আমার পরিচয় কোন এক ঘোরতর দাবদাহের দিনে। আজিজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, ঢুঁ মারার লোভটা বরাবরের মত সংবরণ করতে পারলামনা। দোকানে থরে থরে সাজিয়ে রাখা বইগুলোকে আলগোছে চেখে নিচ্ছিলাম। পকেটের অবস্থা তখন গড়ের মাঠপ্রায়, তাই চাখতেও হচ্ছিল রয়েসয়ে, পৃথুল বইগুলোর লোলুপ প্রলোভন এড়িয়ে ক্ষীণবপুগুলোর দিকে। হঠাৎ করেই হলুদ মলাটের একটি বইয়ের ওপর নজর আটকে গেল। বলে রাখা ভাল, খানিকটা অবাকই ...


আলকাতরা এবং প্রাডো

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: রবি, ০৫/০৯/২০১০ - ২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

taxfree

মাগনা পেলে বাঙালী নাকি আলকাতরা-ও খায়।

তো এই বাঙালী সকলের মহামান্য প্রতিনিধি যারা, তাহারা প্রাডো কিংবা ল্যান্ড ক্রুজারও খাইবেন, ইহাতে আর নতুন কী?

 


বাংলাদেশের জন্য নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থার সন্ধানে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৫/০৯/২০১০ - ১:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ড: খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী
অধ্যাপক ও চেয়ারপার্সন,
বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রযুক্তি উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নতি হবে না, আর এ কাজটি অন্যেরা এসে আমাদের জন্য করে দিতে পারবেনা, এ উপলব্ধি থেকে ১৯৭৮ সনে মাইক্রো-ইলেকট্রনিক্সে পিএইচডি শেষ করেই সরাসরি দেশে চলে আসি, বাইরে চাকুরীর ভাল সুযোগ থাকা সত্বেও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞা ...


কানা লুকের আলুকছবি (তিক্কা মানে তিন)

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি
লিখেছেন অনুপম ত্রিবেদি (তারিখ: রবি, ০৫/০৯/২০১০ - ১২:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বহুদিন কিচ্ছু লেখিনা ... মাথার সব গোবর শ্যাষ, নয়া গোবরের চালান আনা লাগবো। কিন্তু হাত নিশপিশ করে - এমন একটা ভাব যে আমি বিশাল একজন লেখক, না লেখলে কি আর চলে? নিজেরে অনেক বুঝাইলাম - বাপধন, অফ যা ... কিন্তু ঐ যে, চোরায় না শোনে ধর্মের কিচ্ছা !!! তাই, যাও ছটাক খানেক গোবরের একটা ছুডো ইষ্টক আছিলো ঐটাই উগরায়া দিলাম। কারো কাছে 'ইয়াক থুইং' লাগলে ফুলের জলসায় বইসা আমি অন্যান্য কবিগো মতোন নীরবই থাকুম ...


আমি যখন

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: শনি, ০৪/০৯/২০১০ - ১১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি যখন ঘুমিয়ে পড়লাম- ভারমুক্ত আকাশের নিচে
স্থির বুকে গুঁজে থাকা ঠোঁট নিয়ে পাখিটা কি ভাবছিল
দিনের শেষ ছায়াটুকু? হলুদ খামে ভরা নদীর জলে
যেন কেবলই চিঠির মত ভেসে থাকা।  
 
আমাকে পেয়ে গান ধরলো এক বৈষ্ণব, আমি বললাম
আমাকে মাফ করুন, আমাকে বিশ্রাম নিতে দিন
আমার শোকের শেষ সঞ্চয়টুকু পান করতে দিন
দয়া করে ফেরত পাঠাবেন না কোনো নাগরিক গারদে।
 
আমাকে পেয়ে ভীড় জমালো কয়েকটা স্মৃতির রাজহাঁস ...


September 4th

নরতক্-এর (মিউজিয়ামে) হাঙর-দর্শন

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শনি, ০৪/০৯/২০১০ - ৫:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

 
__নিয়ম জানা আছে? বগা, নিয়ম জিগায়। জানোস নিহি? কইয়া দে জানি ।
দুইটা লোক চলে যায়। একজনের নাম বগা।
__যেতে হবে আমারও, যেতে যেতে এক পর্যায়ে বেরিয়ে যাব। ওই দূরে। হলের পর হল, দরজার পর দরজা। যেতে যেতে পেরিয়ে যাব। ওই দূরে মাঠ। রোদ খাবি খায়। গরু ঘাস। এইখানে না। এইখানে মিউজিয়ামে থকথক করে সবুজ বাতি। নিভে যায় সময়-সময়। পরিত্যক্ত পাবলিক টয়লেটের মতো। ঘিরে থাকে। ঘাড় চেপে ধরে দেখায় একেকটা ইউরিনাল। ...


ভিক্ষা চাইনা রাষ্ট্র, কুত্তা সামলাও

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: শনি, ০৪/০৯/২০১০ - ৫:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমজনতা সাইদুল,কৃষিকর্মী,থাকে আড়ানীতে।নিজের অল্পকিছু জমি আর অন্যের জমি।ফসল ফলিয়ে দিনমান আনন্দে কেটে যায়।সাইদুলের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারণ, আজকের নাগরিক বনাম রাষ্ট্র দুইপাক্ষিক চুক্তি উপপাদ্যের ক্যাচালের বিষয়।
 
এই সাইদুল প্রাইমারী স্কুলের পর দারিদ্র্যের চাপে আর এগোতে পারেনি। পৈতৃক কৃষি পেশা থেকে অন্ন বস্ত্র আসে। সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার নেই,ওষূধ ...