২ এপ্রিল
১ এপ্রিল রাতটা ছিল আমার জীবনের সফলতম রাত। এখনো আনন্দে ধেই ধেই করে নাচতে ইচ্ছে করছে; বয়সের জন্য পারছি না। কাকতালীয়ভাবে ঘটে যাওয়া একটা রহস্যময় ঘটনার জের ধরেই রহস্যময় পাণ্ডুলিপিটার পাঠোদ্ধার করে ফেলেছি।
শুরুতেই বলি, একান্তই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে লেখা। যাঁদের সময় মূল্যবান, তাঁরা সময় অপচয়ের জন্য আমায় দায়ী করবেন না।
আজ ২০ মে, ২০১২ ইং তারিখে অ্যামহার্স্ট লিবারাল আর্টস কলেজ, অ্যামহার্স্ট, ম্যাসাচুসেটস এর ১৯১ তম কমেন্সমেন্ট অনুষ্ঠান। আমার বড় ছেলেটাও এই ২০১২ ক্লাশের একজন সদস্য।
৩.
ইতিহাসের খুব সুবিধে, একবার কোনরকম চলা শুরু করতে পারলেই হয় তারপর শুধু টাইম, প্লেস এবং আ্যাকশনের ঘষামাজায় ইউনিটি ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়া। সময়ে এর উপর নূতন নূতন উত্তেজনার পলেস্তারা যোগ হবে, কখনো তাকে ঘিরে আবর্তিত হবে রহস্য, কখনো তার উপর যুক্ত হওয়া ঘটনা ধোঁয়াশা হয়েই রইবে, শুধু খোলনলচে পাল্টাবে কিন্তু সমীকরন মেনে স্থিরতায় কখনোই পৌঁছুবেনা।
১
ঝকঝকে বিকাল।মাহদিন তাদের নতুন বাড়ি বানানো হচ্ছে তাই দেখছে।পুরান একটা বাগান সমেত বাড়ি কিনেছে মাহদিনের বাবা আলামগীর হোসেন।বাড়িটা বেশ পুরানো তাই ভেঙ্গে নতুন করে তৈরী করা হচ্ছে।বাবা মা দুজনের ইচ্ছা একমাত্র ছেলেকে ডাক্টার বানাবে কিন্তু মাহদিন চায় বড় গোয়েন্দা হতে।
চুমু
---------------
গোলাপি ঠোঁট ঘুমুচ্ছে।
প্রজাপতি ছুঁয়ে যাচ্ছে ছায়া-শরীর;
আয়নায় সব প্রাপ্তি স্পর্শহীন।
জানালায় জোড়া চোখে আজ শুধুই
অভিমান থাকবে;
ছাদে নব্য শালিক জুটি এক হয়ে
শরীর মেলায় আড়ালে।
শৈল্পিক সংজ্ঞা নেহায়াৎই অনুপস্থিত।
দ্য লাষ্ট কিং অফ স্কটল্যান্ড! কেমন অদ্ভুত নামের চলচ্চিত্র, স্কটল্যান্ডের আবার স্বাধীনতা হল কবে, রাজাই বা পেল কোথায়! আর সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রের পটভূমিই আফ্রিকায়! আর স্কটল্যান্ডের শেষ রাজা আসলে একজন আফ্রিকান!
মানুষের জয় হোক, ন্যায় হোক আর শুভ হোক।
আমি এক শিক্ষক, অতিশয় দরীদ্র লোক ।
চিরকাল শিখিয়েছি শুধু হয় সত্যের জয়
মানবের কাছে জানি দানবেরা মানে পরাজয়।
শিখিয়েছি গুরুজনে চিরকাল দিতে সম্মান
শিখিয়েছি মানবতা নম্রতা মমতার গান।
মানবজন্ম বৃথা যদি তাঁর নাহি থাকে দান—
শিখিয়েছি দেশ-মাটি-মানুষের কিসে কল্যাণ।
দারিদ্র্য আমাদের চেহারায় এঁকে দেয় ছাপ
পেশাটা মহান তবে এ পেশায় আসাটাও পাপ!
কমিক বানাবার ইচ্ছা অনেক দিন থেকেই। সেই ইচ্ছা থেকেই ছোট্ট একটা কাহিনী নিয়ে এক্সপেরিমেন্টালি বানানো কমিক ছায়া। একদম প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ তাই ভুল ত্রুটি থাকবেই। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবার অনুরোধ রইল। 

[justify]
স্থান, কাল অভিন্ন। পাত্ররাই আলাদা কেবল।
মানে সেই ক্যাফেটরিয়ার নিষ্কর্মা কর্ণার, বাইরে সেই বেলা বারোটার ঝিম ধরা কর্কশ দুপুর। কেবল পাত্রের সংখ্যা একজন বেশি। আমাদের চারমূর্তির সাথে যোগ দিয়েছেন কবিরের এক কাজিন, আদনান ভাই।
বাসা পাল্টানো ব্যাপারটা আমার খুব পছন্দের। এই জীবনে পছন্দের কিছু করাটা বারংবার দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই জীবনে কখনো বাসা পাল্টানো হয় নি। ছোটবেলায় অনেককেই শুনতাম বলতে –‘আমরা তো বাসা পাল্টে অমুক জায়গায় চলে যাচ্ছি’- শুনে খুব হিংসা হতো। আমি কখনো কাউকে এমন বলতে পারতাম না। আমাদের বাসাটা ছিল নীচ তলায়। সদর দরজা সারাক্ষণ বেহায়ার মতন হাট করে খোলা থাকতো। সারাক্ষণ কেউ না কেউ আসা-যাওয়া করতো। ঘর ছিল মোট