কার্টুনিস্ট আরিফের কথা আমি প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। দেশের বড় বড় কার্টুনিস্টদের তুলনায় আরিফ খুবই নস্যি একজন মানুষ। খুব সাধারন ছোটখাটো গড়নের এই ছেলেটিকে আমার খুব আহামরি কিছু মনে হয়নি তার আকাঁআকিঁতে। এরকম শত শত আরিফ শরিফ দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় কন্ট্রিবিউটর হিসেবে আছে, তারা লেখে , আঁকে এবং সে তুলনায় বিলও পায় একটা ছোটখাটো ধরনের। আমি নিজেও পূর্ণ সাংবাদিক হওয়ার আগে এরকম কন্ট্রিবিউট...
দীর্ঘকায় এ লেখাটিকে যদি কেউ বিজ্ঞাপন ভেবে বসেন তাহলে বোধ করি খুব একটা অন্যায় হবে না। ব্যাপারটা আপাতদৃষ্টিতে তেমন মনে হলেও ভিন্ন কিছু বলতে চাই বলে লেখাটি খানিকটা বিজ্ঞাপনীয় অবয়ব পেয়ে থাকতে পারে। কিন্তু আমার বলার ছিলো যে, গল্প-ঔপন্যাসিকের জীবনও যে তাঁর গল্প-উপন্যাসের বিষয় নয় তা অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতে চান না।
পাঠক কিংবা লেখক হিসেবে বলতে পারি যে, গল্প বা উপন্যাসের সবগুলোই কিন্...
[justify]
রাজনৈতিক পিন মারা সমসময় ভাল লাগেনা, তাই এবার অন্য কিছু হাসির খবর দেইঃ
আমাদের দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরা। সাধারণত বৃদ্ধবয়সে স্ত্রী মারা যাবার কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যেই আবার বিয়ে করার অপরাধে এইরকম উপাধী প্রাপ্তি ঘটত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বয়সে বিয়ের কারণ হিসেবে দেখানো হয় 'দেখভাল করার জন্য একজন লোক দরকার', যদিও মূল কারন থাকে 'অন্যকিছু' ।যাই হোক এ...
প্রথম সিগারেটে টান দিয়েছিলাম ক্লাস ফাইভে থাকতে। লুকিয়ে না, অতো সাহস ছিল না। আগ্রহী দৃষ্টি দেখে একদিন বাবাই হাতেখড়ি করালেন। কাশতে কাশতে এক বিশ্রী অবস্থা হল। ছ্যা, এই জিনিস বড়রা এত মজা করে খায় কিভাবে? কখনই খাব না আর। এর চাইতে তো লাল হলুদ পানিও ভাল, ওটার হাতেখড়িও কিছুদিন আগে হয়েছিল কিনা। শিক্ষক অভিন্ন।
হাতেখড়ি নিজহাতে করালেও বাবার একটা শর্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগ পর্যন্ত স...
এই গল্পে নামধামের ব্যাপারে আর কিছু কিছু ঘটনা ইত্যাদির ব্যাপারে বাঙালী নাম আর সংস্কৃতিকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে গল্পটার অনেকটাই রূপবদল ঘটে গেছে।
বহু বহুকাল আগে,এক দেশে এক রাজা ছিল। তার ছিল বিরাট ঝলমলে রাজপ্রাসাদ, হাতিশালে হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া। বিরাট সৈন্যবাহিনী। দেশ জুড়ে ছড়ানো অজস্র সম্পদ। রাজার রাজত্বে প্রজারা খুবই সুখে ছিল। তারা দু'বেলা রাজার গুনগান করতো।
রাজার ছিল ত ...
[justify]মা কেন জানি বাসায় নতুন এক স্যার নিয়ে এসেছে। সব কিছুতে মার বেশি বেশি। মার একদম নতুন বাতিক। স্যারের সাথে বেশি হেসে কথা বলা যাবে না। এই ওই। এতো মেপে সব করা যায় নাকি?
এইবার যদি রাজাকারদের বিচার না করা যায়, তাহলে আর কখনোই করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কারণ জামাতীরা যে ধারায় "রাজনীতি" করে, সেই "হাইটেক পলিটিক্স" করার সামর্থ্য (অর্থ বা চিন্তাধারা) আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কারোরই নেই। জামাতীরা একটা নির্দিষ্ট মতাদর্শে চলে, ওই মতের জন্য তারা জীবনবাজি রেখে "রাজনীতি" করে। মূলধারার আর কোন রাজনৈতিক দলেরই কোন নির্দিষ্ট মতবাদ আন্দাজ করা যায়না। অর্থাৎ আসলে কী নিয়...
এই যে শুনেন,ঘুরতে যাবেন?
শর্মা নাকি ফুচকা খাবেন?
রাজি হলে জলদি করেন,
টি শার্ট গায়ে বেড়িয়ে পড়েন।
তোমার দেয়া সেই জামাটা,
ভাবছি আজই পরব সেটা,
মনে পড়ে নীল চুড়িটা?
গত ঈদেই দিলে যেটা,
আরেক হাতে থাকবে ঘড়ি,
মাঝে মাঝেই সময় পড়ি।
দাঁড়াব সেই গলির মাথায়
রিক্সা নিয়ে আসবে সেথায়
ঝড় বাদলের এমন দিনে
ভিজতে হবেএসব জেনে,
আসার আগে মেসেজ দিব
ছাতা দুটো সঙ্গে নিব,
এবার বল কোথায় যাবে?
আইস্ক্রীম না কফি খা...
সেতু গ্লাভসের মত লাল নকশার এক জোড়া আল্পনা পরেছে দুই হাতে, সঙ্গে এক থোকা মানানসই লাল চুড়ি। মেহেদীর রঙ-সর্বস্ব প্রলেপের নিচে তার চামড়া কতোখানি মসৃণ ভাবতে থাকেন রেদওয়ান সাহেব। সেতুর চুলগুলো বাতাসে এদিক সেদিক উড়ছে, টানটান বাতাসে নৌকার পালের মত। রিক্সায় বসেও রেদওয়ান সাহেব সেই ছৈয়ের দোল খেতে থাকেন। রেদওয়ান সাহেবের চোখ, সেতুর চুলের লতাগুলো বেয়ে নিচে নামতে থাকে। অনেকটা নেমে কানের লম...
যেনতেন একটা চাকরী পেতেও কত যুদ্ধ, কতরকম নাকানিচুবানি খেতে হয় মানুষের। অথচ আমরা দুইবন্ধুতে মিলে সাড়ে তিনটাকা বাসভাড়া আর আড়াই টাকার কাগজ খামের খরচ দিয়ে চাকরী বাগিয়ে ফেলেছিলাম। শায়েস্তা খানের আমলে নয়, মাত্র সোয়াযুগ আগে নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে। তবে ছয়টাকা ব্যয় করে চাকরী পাওয়াও ব্যাপার ছিল না।
ব্যাপারটা হলো ওই চাকরীটা পেতে আমাদের আরো চুয়ান্ন টাকা খরচ করতে হয়েছিল। সেই বাড়তি চুয়া...