-২-
এখানে দাঁড়াও এসে চুপচাপ,
কান পাতো হাওয়ার গভীরে--
প্রাণ ভরে শোনো রুদ্র সমুদ্রের গান।
শ্যামের মুরলী আজি
কী লক্ষ্যে উঠিছে বাজি রাধার বিরহে,
কল্লোলিত সমুদ্র সমান।
এখানে দাঁড়াও এসে চুপচাপ,
বসো সমুদ্রবিরহী ভূমিতলে,
তারপর নেমে যাও, ধীরে ধীরে
নিজেকে নিক্ষেপ করো জলে।
ভেবো না আমার কথা,
সংসার- সমুদ্র থাক দূরে।
স্বার্থ-সঙ্কুচিত বন্দীজীবনের
প্রাত্যহি ...
[justify]হাসান ফেরদৌস প্রথম আলোতে নিয়মিত লেখালেখি করেন। সম্পাদকীয় পাতায় তাঁর লেখা কলামের নাম ‘খোলা চোখে’। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারের সাময়িকী অন্য আলোতে তাঁর ছোটখাট একটা রিভিয়্যু মতো কলাম ছাপানো হয়। নাম ‘অল্প কথায়’। এই কলামে প্রকাশিত লেখাগুলো তথ্য আকারের। মানে কোন বই পড়লাম। সেখানে কী কী জিনিস আছে। ফ্ল্যাপ পড়ে বা গুগল করে তথ্য পেতে যেটুকু সময় লাগে সেটা করার হাত থেকে বাঁচার জন্য লেখা হিসেবে মন্দ
অফিসের কাজের এক ফাকে মাথা ফাকা করার জন্য জেলপেন দিয়ে রাফভাবে উলভেরিনকে এঁকে ফেললাম। ১৮ মিনিটে করা। যারা ছবি আঁকাআঁকির সাথে যুক্ত বা ধারণা রাখেন তারা এই হাত চালু রাখার রাফ ড্রয়িং সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত।
--
মু. তারিক সাইফুল্লাহ
[নিজের লেখা হস্তাক্ষরে দেখি না অনেকদিন, শাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের হিটু ভাই হাতে লিখলেন ১৫ বছর পরে, তাও বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টার লেখার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে! লিখে আবার স্ক্যান করে সাথে সাথে পাঠালেনও! সৌভাগ্য আমার দুই দিক থেকেই! কৃতজ্ঞতা তাঁর প্রতি।
আমি কবি, এই পরিচয়টা অত্যন্ত গোপনীয়! অন্তত একজনের জন্য হলেও মাঝে মাঝে লিখি, তার জন্যই লেখা এই কবিতাটা ]
...
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
অন্তর শোবিজের প্রচারণা মারফৎ জানাগেল যে আগামী ১০ ডিসেম্বর ভারতের মেগাস্টার শাহ্রুখ খান আসছেন।সাথে থাকছেন রাণী মুখার্জি, অর্জুন রামপাল, প্রীতি জিনতা, মল্লিকা শেরাওয়াৎ সহ আরও অনেকে।এদের প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যপী কর্মকাণ্ড চলবে ঢাকাস্থ আর্মি স্টেডিয়ামে।অন্তর শোবিজ প্রায় ২০,০০০ টিকেট ছাড়ছে।এর মাঝে ন্যূনতম ৫,০০০ টাকা থেকে থাকছে ১০,০০০, ১৫,০০০ এবং ২৫,০০ ...
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
আরেকটি সকাল..
হারিয়ে গেল,
মরুভুমি উষ্ণতায়..
গাছের একটি পাতা-ও,
নড়ছেনা যেন আজ..
অলস সময় বয়ে যায়,
বালুঘড়ি নিয়মে..
দেয়ালে ঝোলান,
মরচে ধরা ঘড়ি..
সময় জানাবে কীসে?
সে তো,
কেবলি অতীতের গান গায়..
বন্ধ দরজায়,
মাথা কুটে মরে..
সুখ-রাংতা মোড়ানো;
হতাশায় বাঁধা,
বুনো গাংচিল..
তবু-ও;
জানালা গলে আসে,
এক ফালি রোদ্দুর..
অগোচোরে,
পড়ে থাকে..
চোখের আড়াল,
ভুলে যাওয়া ক্ষণ..
গাছের ফ ...
(১০ বছর আগে চেষ্টা করেছিলাম এই কবিতাটা লিখতে, লিখেছিলামও। তবে এটা কবিতা হয়েছে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয়। একময় গান লিখতাম, এখনও বন্ধুদের পিড়াপিড়িতে লিখতে হয়। তবে কবিতার ব্যাপারে আমি সবসময় ভীতু। ফেসবুকে কবিতাটা পোষ্ট করেছিলাম অনেকদিন আগে। আজ এখানে দেওয়ার লোভটাও সামলাতে পারলাম না। এটা সচলে আমার দ্বিতীয় কবিতা। সমালোচনা কাম্য।)
যতোই মাখো-না শরীর পললে মেঘলা রঙের শাড়ি
আজকাল ঢাকায় একটা চোখে পড়ার মত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। মানুষ যেন কেমন একটা ধর্মভিত্তিক মেরুকরণে বিভাজিত হয়ে যাচ্ছে। এই বিভাজন ক্রমশই স্পষ্ট ও প্রদর্শিত। আর একটু খোলাসা করে বলি। অফিস-আদালতে এখন প্রচুর মানুষজন দেখি টুপি,লম্বা আলখাল্লা,মাথায় কাপড় দেয়া এমনকি একেবারে পূর্ন বোরখা মানে খালি চোখ দেখা যায় আরকি। একই সাথে একই টেবলে দেখা যায় আবার স্যুট, শার্ট, উত্তেজক বক্তব্যধারী টিশার্ট ...
এ যেন ঠিক কোনো নির্দিষ্ট সৈকত নয়, বালি-ফেনায় মাখা গর্জনের নির্জনতায় এক ফালি সময়। তা লেখাও হয়েছিল সে সমুদ্রতটের কিশোরীবেলায়, আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে, ফলে এখনকার সঙ্গে হয়ত কোন মিলই নেই সেই অর্জনটুকু ছাড়া। এই সমুদ্র গায়ে মেখে জলপরী হয়ে যাই আমি, এই প্রথমবার৷
---------
হাওয়ায় উড়ুক চুল
জলোচ্ছাসে দেহের বল্কল
হোক এলোমেলো।
অন্তহীন অপেক্ষার শেষে
না হয় সমুদ্র আজ
...
ছুরির ধারে ক্ষতবিক্ষত করি তাঁর চিন্তা
কেটেকুটে দেখি কত অনুভূতি,
কত কথা,
কোথায়, কোনখানে..
কতটুকু, কার তরে..
তাঁর ক্লান্তি স্পর্শ করে
আমাদের,
আধো-আলো-ছায়ার এই লাশকাটা ঘরে।
উদাসীন চোখ তাকিয়ে থাকে তাঁর তবু
অন্ধকারে উঁকি দেয়
প্রেম ঘৃণা নির্বিশেষে
ভালবাসে, বাসাতে চায়
কী এক আশ্চর্য ভাবালুতায়..
আর আমরা হাফ ছেড়ে বাঁচি
অপেক্ষা করে থাকি
আরেকটা দিনের কাটাকুটির আশায়।