একটি লোকের কথা বলি। বেশ বয়েস তার, আর সেকারণেই হয়তো কথা খুব কম বলে সে। তার চেহারায় সারাক্ষণই এক ক্লান্তির ছাপ। সে ক্লান্তি এতো প্রকট যে, সেটি ছাপিয়ে রাগ বা আনন্দ, কোনোটাই প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। লোকটি ছোট্ট একটি শহরে, একটি রাস্তার শেষ মাথায়, চৌরাস্তার কাছাকাছি একটি বাড়ীতে বাস করে। আর সবার মতোই এতোটা সাদামাটা যে, আলাদা করে চোখে পড়েনা সে। তার মাথায় একটি ধুসর টুপি, পরণে ধুসর প্যান্ট আর ...
[অ্যালেন গিন্সবার্গ এর ‘After Lalon’ এর অনুকরণে ]
এক.
বড় বেশি পার্থিব হয়ে গেছি। ছোট বেলায় পরিবার পরিজনেরা সবাই বলতো পার্থিব হতে, বড় হতে, গাড়ি ঘোড়া চড়তে। লালন বলতো ভিন্নকথা, বলতো তাঁর ভাষায়- “সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তাঁর...মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার”, “পার্থিব মায়ায় আবদ্ধ হয়ো না”। বড় হওয়া কি জানি ...
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এটি একটি নির্দোষ মৌনপ্রিয় পদ্য। পাঠকেরা কল্পনার ডানায় ভাসিতে চাহিলে নিজ দায়িত্বে ভাসিবেন। পপাত ধরণীতলের জন্য পদ্যকার দায়ী থাকিবেন না।
অচল আনি সচল হবে পিষছে কলম জোরসে জোর
গদ্যজাত পদ্য লিখেই আনতে হবে নোতুন ভোর
দোলনা দোলা শিশুর মতোন থাকবে কদিন দুধভাতে?
শব্দস্রোতের উর্মিমালা খেই হারালো মাঝপথে
ভাবের খাতায় গাবের আঠায় আটকে রাখো লালিত্য
কুলীন হলে ছাড়তে হ ...
রাত্রি গভীর হলে নিঃসঙ্গতা জানালার শিক বেয়ে ওঠে, আহ্লাদ তার নিকট যাবার পূর্বে তীব্রকাঙ্ক্ষাগুলো সগৌরবে চাখে প্রেসারকুকারে; ইচ্ছেকথা একারে থাকে না হরণিয়া চোখে; তখনই শব্দের প্রতিযোগিতা শুরু… আলো-অন্ধকারের সাথে যদি ভেজারাত জলতেলহীন ফ্রাই হত তবে বলতাম ধরো দেওয়াল নাও, খোলো গোপন টান; রসাবেগ বেশ সুন্দর! সুনসান নিঃসঙ্গকাহন। কার ইচ্ছে আমাকে দাঁড়িয়ে রাখে? আর কতদূর এগুলে ব্যথাও নাক সিঁ ...
মিউজিক্যাল র্যাট লেখার তাড়না অনুভব করছি বটে। কিন্তু এরকম একটা লেখা নামাবার জন্য যে পরিমান ফিলিংস আর ইয়ের সম্মিলিত হাদুমপাদুমের দরকার হয় সেইটা এই মুহূর্তে বায়ুমণ্ডলে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভিন্ন পথে (কল্কির) নাও ছেড়ে দিলাম। আল্লাহ ভরসা।
'ব্ল্যাপ'। মানে, সোজা ভাষায় বললে, ব্লগের ফ্ল্যাপ। এইটা বাংলা ব্লগাতিহাসের নতুন সংযোজন।
চিন্তা করে দেখলাম, আমার তো আর ইহজী ...
আঙ্গুলীয় আমেরিকা
আমেরিকাতে কাউকে বলতে শুনিনি যে তারা 'ডিজিটাল' দেশে বাস করে। আমি এ পর্যন্ত পৃথিবীর যে গোটা ২৫ দেশে যাবার সুযোগ পেয়েছি - সেখানে কোথায় শুনিনি 'ডিজিটাল' দেশের কথা। আসলে এ কথার কোন মানে হয় না। তবে সব কথার যে মানে থাকতে হবে এমন কি কোন কথা আছে? যাক, আজকে অবশ্য আমি 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' নিয়ে কিছু লিখতে আসিনি। আমার প্রতি দিনকার অভিজ্ঞতায় ব্যক্তি জীবনে 'অটোমেশন' ও কম্পুউটারের প ...
ঘেমে গেছে পথ - ঘাট, ইটের দালান, বাস-ট্যাক্সি, রিকশার সিট; বড্ড ক্লান্ত এ নগর। এক টুকরো স্নিগ্ধতা ঝুলে থাকে জানালার ওপারের বটগাছে। গাছ - যত বয়স তত যৌবন ধরে। সবুজে ভরাট যৌবন!!
গা গিরগির করে তোলা একটা পোকা ঢোকে গ্রিল পেরিয়ে। চিকন পশমসর্বস্ব প্রাণী, মায়া হয় হঠাৎ। কী ভীষণ একা বসে আছে সোফার কাভারে।
মগজজুড়েও পোকাদের কিলবিল বটে। মনজুড়েও কি? কোন কবিতা, কোন খন্ড-বিখন্ড গল্প নাকি ‘কথা’রা, কী এক ...
আমাদের শহরে একবার ভালুক এসেছিল। ভালুকের গা ভর্তি কালো চুল। চারপায়ে হাঁটতে পারে—দুপায়েও পারে। দশাসই ফিগার। তর তর করে গাছে চড়ে। ভালুকটিকে কেউ দেখে নি। গলায় একটি ঝুমঝুমি আছে। খবরটি তাজা।
শুনে আমার বন্ধু প্রতিক বরইগাছের কচি ডাল পুড়িয়ে চারকোল বানিয়ে নিয়েছে। আর জোগাড় করেছে বড় সড়ো কার্টিস পেপার। কাঁধে ঝোলা। আমাকে নিয়ে সারা শহরময় ঘুর ...
সঞ্জীব চট্টোপধ্যায়ের রাজনীতি নিয়ে একটা রম্য রচনা লিখেছিলেন। পরে সেটা একটু কাটছাট করে আসাদ্দুজামান নুর আবৃত্তি করেন। 'জিন্দাবাদ' নামের ওই আবৃত্তিটার কিছু লাইন এরকম:
".....তাহলে আমরা কিছু্ই পাবনা?
কেন পাবেননা? সবচেয়ে বড় জিনিস পাবেন, মজা, খেল খিলারিকা। আপনারা দর্শক, একবার ওদের বসাও, পাচ বছরে
আশা ভঙ্গ, আবার আমাদের বসাও, আবার ওদের, আবার আমাদের।"
এতদিন পর হঠাৎ স্মৃতি থেকে ওই রম্য রচনাট ...
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
বাসাটা কেমন যেন অচেনা লাগছে আজ,নিহা'র কাছে..
কেন জানি মনে হচ্ছে,কোথাও কেউ নেই..একদম-ই যে কেউ নেই,তা অবশ্য বলা যায়না।
বারান্দায় ইজিচেয়ারে বাবা শুয়ে আছে আর রান্নাঘরে মা বোধহয় চা বানাচ্ছে বাবার জন্য।
নিহার নিজের-ই জানা ছিলনা,ও যে এত শক্ত ধাতের মেয়ে।এই কয়েকদিন যে কী একটা দৌড়াদৌড়ি গেল..ভাইয়া তো দুবাই,ছুটি পায়নি বলে আসতেই পারলো না।সবকিছু বলতে গেলে নিহাকে ...