- অনন্ত আত্মা
জীবনে প্রথম হলে গিয়ে সিনেমা দেখাটা অবশ্যই উত্তেজনাকর একটা মুহূর্ত, যদিও উত্তেজনারকর মুহূর্তটা ঠিক-ঠাক মনে পড়ছে না। সম্ভবত হলে গিয়ে দেখা প্রথম সিনেমার নাম ‘কসাই’। আমি তখন তিন বা চার; মা, ফুপু, বাবা, ভাইয়ার সাথে হলে গিয়েছি। আমাকে অবশ্য নিতে চাচ্ছিল না; জোরা-জুরি করে, ২০০/২৫০ মি.লি. চোখের জল বিসর্জন দিয়ে হলে গিয়ে ঢোকা। অন্ধকারে আর কতক্ষণ জেগে থাকা যায়; ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ...
বছর তিনেক আগে, ঢাকায় এক ছুটিতে এসে আমার বোনের বাসায় গেলাম। ভাগনা-ভাগনিরা আবদার করলো তাদের পিজা খাওয়াতে নিয়ে যেতে হবে। আমি তাদের সাথে কতক্ষন গাই-গুই করে না পেরে শেষে বসুন্ধরা সিটিতে নিয়ে গেলাম পিজা খেতে। আট তলায় একটা পিজার দোকানে পিজার অর্ডার দিলাম। প্রথমেই কাউন্টারে বিল দিতে হয়, তারপর তারা একটা টোকেন দেয় সেটা হাতে নিয়ে বসে থাকতে হয়। যখন তৈরী হয় খাবার তখন ডাক পড়ে এবং কাউণ্টার থেক ...
' তুই সবারে দাঁড় করায়া দিলি মা , তুই সাকসেসফুল মা তুই সাকসেসফুল।আগে সবাই ছিল তোর ওপর বোঝা। এখন তুই হইলি সবার ওপর বোঝা। তুই যা, এইখান থাইকা বাইর হইয়া যা।'-- যক্ষ্মায় আক্রান্ত মেয়েকে সংসারের কাছে, কারো কাছে মাথা নত হতে দিতে রাজি নয় অক্ষম বাবা।বাবা তাই সংসারের যাতাকলে পিষ্ট মেয়েকে মু্ক্ত দেখতে চায়। বাবা চেয়েছিল 'আহারে দিদিটা' বলে ছোট বোনের করুণার গতানুগতিক আস্ফালন যেন শুনতে না হয়, যে-ছো ...
টিপ্ টিপ্ টিপ্। কিংবা ঝক্ঝকে রোদ্দুর। প্রাত্যহিক কিংবা বিশেষ, দিনগুলো যেরকমই হোক, ঘরজুড়ে হৈ-হুল্লোড়। শুধু জমাট বাঁধতে যেটুকু সময় লাগে। এই যা। ডালিমের দানাগুলো একসাথে জমলে রসে টই-টুম্বর। আমরা সব-ডালিমের রসালো দানা।
ঈদ - পূজো - পরীক্ষা শেষ - অফিস বন্ধ - শবেবরাতের পর পর বুঝি শুক্র-শনি, ছুট্ ছুট্ ছুট্ ছুট্। জমে গেলাম আমরা। গুণে দেখতো, ক’টা প্লেট সাজাতে হবে। ছ’সাত মাসের গুল্টুসটাও যেন ...
কানে বাজছে- আমি একদিনও না দেখিলাম তারে… বাইরে বৃষ্টি।
যাচ্ছি বাসে, শহরের দিকে ঘুরতে। আমরা গ্রামেই থাকি, কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয় টি গড়ে তোলা হয়েছে নিতান্তই গ্রামে। যদিও এখানকার গ্রাম আর শহরের পার্থক্যে এটুকুই যে, শুধুমাত্র বিল্ডিং এর ঘনত্ব আর উচ্চতা একটু কম আর বেশি। যা হলে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, ইন্টারনেট ‘স্পীড’, ২৪ ঘন্টার দোকান, বার, পাব কোনো কিছুতেই কোনো পার ...
জালাল স্যারের মেয়ে মানু আমার সাথেই পড়ত, মানে একই ক্লাসে কিন্তু ভিন্ন স্কুলে। মানুর আসল নাম কী ছিল আমি জানিনা, হয়তো মনোয়ারা বা অন্য কিছু। আমি যখন জালাল স্যারের কাছে অঙ্ক করতে যেতাম তখন মানুও এসে বসত। আসলে স্বেচ্ছায়তো আর আসত না, স্যারের ভয়ে আসত। মেয়েটা অঙ্কে বড় কাঁচা ছিল, তার চেয়েও অঙ্ক ভীতি ছিল বেশি। চলিত নিয়মের অঙ্ক করতে গিয়ে এমন কোনো দিন নেই যেদিন স্যারের ঝাড়ি খায়নি বেচারি। একদি ...
গতকাল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে চেয়েছিলাম- ' এবারের ঈদের বিশেষ উপহার এ্যানথ্যাক্স এবং ভূমিকম্প'। কিন্তু কম্পুর গোলমালে দেয়া হল না। তবে আজ যদি স্ট্যাটাস দিতাম তাহলে যোগ হত আরো একটি উপহার- সড়ক দুর্ঘটনা। আজ সকালে ঈদ জামাত শেষে হাজার হাজার মানুষের সামনে নিরীহ এক বালকের অপমৃত্যু দেখে খুব মুষড়ে পড়লাম। নাহ্ , নানা কারণে এবারের ঈদের মধ্যে অলক্ষুণে ব্যাপার স্যাপার দেখতে পাচ্ছি। অবশ্য আম ...
চোখের সামনে সাদা কাগজ খুলে বসে আছি। বোতামে আঙুল। এক অদ্ভুত সংক্রান্তিতে কেটে যাচ্ছে সময়। বিষাদ আর আস্বাদের, জীবনের মধ্যে সন্নাস্যের, অভ্যাসের সাথে আচ্ছন্নতার সংক্রান্তি । কাল থেকে নিজকে খুব একা মনে হচ্ছে। জানি না কেন। কেন জানি না কোন আনন্দের উপলক্ষ হলেই আমার চারপাশে আততায়ীর মত বিষণ্নতাগুলো ঘুরঘুর করতে থাকে। এক ধরনের আত্মকুণ্ডলায়নের চক্রব্যুহে আমি আটকে গেছি মনে হচেছ। কিন্ত ...
গোটা মাস একদিনের জন্যেও কেনাকাটায় না গিয়ে শেষ মুহুর্তে সারাদিন বাজার কলকাতায়। কলিন লেনের শামীম ভাইয়ের দোকানের মাংস, নিউ মার্কেটের কাশ্মীরি হোসেন ভাইয়ের দোকানের জাফরান আর আরো আনুষাঙ্গিক টুকটাক এটা সেটা। প্রচন্ড ভীড়ে ঠেলে এই দোকান ওই দোকান ঘুরে ঘুরে বাজার। সন্ধেবেলায় বাড়ি ফেরার পথে একে তাকে ফোন, চাঁদ উঠল কী! এপাতায় ওপাতায় খোঁজ। জানা গেল, মসজিদে তারাবীর নামাজ চলছে। তার মানে একট ...
সবাইকে ঈদের দিনে পাঠক হিসেবে পাওয়া যাবে না। ফলে এই অফলাইন সামাজিকতার দিনে অনলাইনে যিনি লগ ইন করবেন,বুঝতে হবে তার জগতটা বদলে গেছে,অন্তত জানালা।ফলে তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল রকে বসে ঈদের আড্ডা হতেই পারে।
আজ আমজনতার বিরুদ্ধে কিছু কথা বলা দরকার,কারণ আজ আমজনতা ব্যস্ত। ভার্চুয়াল নির্বাণ পাওয়া কয়েকজন আমভার্চুর সঙ্গে সাহস করে আমজনতার ব্লান্ডার নিয়ে কথা বলা দরকার।
৯৬ থেকে ০১ আওয়া ...