বরাবরের মতই তোকে বাসে উঠিয়ে ফিরে যাচ্ছিলাম
বাসের গেটটা বন্ধ হতেই তুই দৌড়ে এলি
দরোজা ধরে অস্পষ্ট চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলি
কন্ডাক্টর বেশ বিরক্ত হল
একটা গালি তার গলা পর্যন্ত উঠে এসেছিল
নেহাৎ তুই বলেই হয়তো মুখ অব্দি এলো না
বাস থেকে নেমেই তুই আর আমি
মানে, আমরা---আবারো হাঁটা ধরলাম
নীলক্ষেত থেকে সংসদ ভবন
সংসদ থেকে নীলক্ষেত
রাউন্ড এ্যাণ্ড রাউন্ড, রাউন্ড এ্যাণ্ড রাউন্ড
[justify]মায়িশা তার সামনে বসা মানুষটার দিকে তাকাল।
লোকটা ফোনে কথা বলছে আর দাঁড়িতে হাত বুলাচ্ছে। লোকটার মুখভর্তি দাঁড়ি। মায়িশা দাঁড়িওয়ালা মানুষদের এমনিতেই পছন্দ করে না। তাদের ম্যাথ টিচার, দবিরউদ্দিন, ওই লোকটারও এরকম দাঁড়ি; অবশ্য খুবই কাটছাঁট করা। তার বন্ধুরা বলে, দবিরউদ্দিন চুলের থেকে দাঁড়ির পিছনে সময় বেশি খরচ করে।
[এই গল্পের যদি কোন ভাল দিক থেকে থাকে, তবে তা ষষ্ট পাণ্ডবের। তিনি একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ কী। আমি একে গল্প বানাতে চেষ্টা করেছি মাত্র। হয়নি বা কতটুকু হয়েছে বা হবে নির্ভর করছে আপনাদের মূল্যবান মতামতের উপর। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত কাহিনীর গল্পে উত্তরণ সহায়ক হবে। আমাদের জাতীয় কোন বিষয় নিয়ে কিশোর কিশোরীদের উপযোগী কোন গল্প কবি
আমাদের ল্যাবের টার্কিশ খুকির থেকে একটি সরল কিন্তু উপাদেয় চিকেন স্যুপের রেসিপি জোগাড় করেছি।
রাধাকৃষ্ণের নৌকাবিলাসে
জলের চোখের জলে
ভেসে যায় ঘর-ফেরা পাখিদের মিছিল।
আকাশের নিশ্চুপ মুখমণ্ডল দ্যাখে
সুহাসিনী সন্ধ্যারাত মিটিমিটি হাসে
এবং আমাকে বলে দ্যাখো দ্যাখো
মাটি ও মানুষের প্রেম দ্যাখো।
তোমাকে একবার বলেছিলাম
তুমি আমাকে দ্যাখাও -
পাথর আর আগুনের সঙ্গম
কুয়াশা জন্ম নেয়ার ঝাপসা দৃশ্য
এবং শরীরের অচেনা গতিপথ।
সুহাসিনী সন্ধ্যারাত আমায়
মাটি ও মানুষের প্রেম দ্যাখায়,
পঞ্জিকার হিসেব মত শরতকাল আসতে আরও তিন হপ্তা বাকি। বাগানে ঘাসের উপর শিশিরকণায় ভোরের আলোর বিচ্ছুরণ কিন্তু জানিয়ে দিচ্ছে কোথাও হিসেবে গোলমাল হচ্ছে, শরতকালটা বুঝি এবার চুপি চুপি বেশ আগেই এসে পড়ছে। আকাশে সাদা ধবধবে মেঘের খেলাও জমেছে বেশ আজকাল। বারান্দায় বসে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি কার্পাস তুলোর মত মেঘের দলের ছুটোছুটি নীল আকাশ জুড়ে।
গঙ্গার তীরে মুঙ্গেরের কোন এক জায়গা। সুবাদার শাহবাজ খাঁর কাফেলার তাঁবু।
সকাল।
তাঁবুর পাশে মাঠের চিপায় উবু হয়ে বসে মুর্গীর হাড্ডি কড়মড় করে চিবানোর পর থু থু করে করে ফেলে দিয়ে বিক্রম পাশে দাঁড়ানো পাইককে জিজ্ঞাসা করল, আর কতদিন এরম হাঁটাহাঁটি জানেন নাকি কত্তা?
অনেক অনেক দিন আগে গ্রীস দেশের পাফোস নগরীতে এক রাজা ছিলেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন সিনাইরাস, আবার কেউ কেউ বলেন তিনি ছিলেন থিয়াস। এখানে আমরা সিনাইরাসই বলবো। সময়টা তখন ট্রোজান যুদ্ধের আশেপাশে। রাজা সিনাইরাস প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যুদ্ধে পঞ্চাশটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠাবেন, কিন্তু প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে পাঠালেন মাত্র একটি। সে যাই হোক, স্মার্না নামে তার একজন খুব সুন্দরী কন্যা ছিলেন। এতোই সুন্দরী ছিলেন যে, আশে পাশে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিলো। স্মার্নার মা, সেই দেশের রানী, একদিন গর্ব করে বলেই ফেললেন, “আমার মেয়ে স্মার্না দেবী আফ্রোদিতির চেয়েও সুন্দর!” আফ্রোদিতি এই কথা শুনলেন, এবং স্বাভাবিকভাবে মোটেই খুশি হলেন না। নিজেকে অপমানিত বোধ করলেন। ঠিক করলেন এই কথার প্রতিশোধ নিবেন।
[justify]৯৫ কি ৯৬ সালের কথা, মতিঝিলের কলোনীপাড়ায় বসবাস। আমাদের কলোনীতে গাছপালার অভাব ছিল না। আম, কাঁঠাল, নারকেল, চালতা, বড়ুই, জাম, খেজুর ছাড়াও সন্ধ্যামালতি, মেহেদি, কৃষ্ণচূড়া আরো কত কি! ভাবছেন, বিশাল এলাকা জুড়ে আমাদের কলোনী?