মিনার টাওয়ার খুঁজে পেতে মোটামুটি ঘাম বেরিয়ে গেলো।
মুহিতের ভাষ্যমতে, গুলশান-২ থেকে সোজা নাক বরাবর পাঁচ মিনিট হাঁটলেই ৮ নম্বর রোড। রোডের মাথায় সৌদি দূতাবাস। দূতাবাসের গার্ডদের জিজ্ঞেস করলেই নাকি মিনার টাওয়ার দেখিয়ে দেবে।
[justify]
সেই ছেলেবেলায় কবে কোন এক অপ্রকৃতগ্রস্ত মহিলা বলেছিল, আমার নাকি বিদেশযাত্রা নাই কপালে, শুনে যারপরনাই হতাশ হয়েছিলাম। কেন জানি হাত দেখতে পারে এমন কাউকে পেলেই জিজ্ঞেস করতাম আমার-বিদেশযাত্রা আছে কি না। এত কিছু থাকতে বিদেশযাত্রার কথাই কেন জানতে চাইতাম ঠিক নিজে ও বলতে পারবোনা। এই পাগলামি করেছি বুয়েটে পড়ার সময় ও, এক বন্ধু একবার বলেছিল তার কোন এক বন্ধু হাত দেখতে পারে, তার কথা নাকি বেশ ফলে ও যায়। কিন্তু তাকে হাত দেখাতে হলে আবার অমুক জায়গায় তার সময়মত যেতে হবে। সেখানে ও গিয়েছিলাম, সে ও নাই বলেছিল। সবাই কমবেশি নাই বলতো। এই না কে হা করতেই কি না জানিনা আমার বারবার ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। পাগলের মত খালি ঘুরতে ইচ্ছে করে। মনে হয় এই বিশ্বের এক ফালি জায়গা ও যেন বাদ না যায় যেখানে আমি পা ফেলি নাই।
# এনাটমি ডিসেকশন রুমের বুড়ো কংকাল আজ কেমন আছে? ক্যালসিয়ামের অভাবে ক্ষয়ে গিয়ে কী ঝরে পড়েছে মাটিতে? সুভাষ দাদু তার শত ব্যবহার্য ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলেছেন সব? ডিসেকশন রুমে ঢোকার মুখে বড় বড় তিনটা চৌবাচ্চার মতো বাথটাবে ফরমালিন গোসল কেমন হচ্ছে নাম না জানা মানুষগুলোর?
(প্রথম সাতটি পর্বে গ্রীক মিথলজি অনুযায়ী সৃষ্টিতত্ত্ব থেকে ডিওক্যালিয়নের প্লাবন পর্যন্ত ঘটনাপঞ্জী ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছিলো। গ্রীক মিথলজির এই লেখাকে আমি কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি। সৃষ্টিতত্ত্ব ছিলো প্রথম ভাগ। দ্বিতীয় ভাগে থাকবে বিভিন্ন দেবতাদের গল্প- যা অষ্টম পর্ব থেকেই শুরু হচ্ছে। তৃতীয় ভাগে থাকবে বিভিন্ন ডেমিগডদের গল্প, চতুর্থ ভাগে বিভিন্ন বীর এবং অভিযানের কাহিনীসমূহ এবং পঞ্চম ভাগে থাকবে ট্রয়ের যুদ্ধ থেকে রোম নগরীর প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত। এই কাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমার জন্য এই সিরিজটা ধৈর্য সহকারে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া আর পাঠকদের জন্য হচ্ছে শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রাখা। দেখা যাক, এই রাস্তার কোথায় শেষ হবে এবং শেষে কি আছে!)
অনেকদিন পানটান হয় না। বিয়ে করে ভেড়ুয়া হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। যা শালা! পুরোনো পানেরই স্মৃতিচারণ করি আজ।
আমার প্রথম মদ পান কলেজে ভর্তি হয়েই। সেবার খুব বেশি খাইনি। অষুধের চামচের এক চামচ মাত্তর! তাই নিয়ে কী কাণ্ডকীর্তি!
আজ থেকে প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে, হোর্হে লুইস বোর্হেস একবার চোখ বুজতেই ক্ষণিকের জন্য কিছু পাখি দেখতে পেলেন। যদিও সেই কল্পদৃশ্যটির স্থায়ীত্ব ছিলো মাত্র এক পলক, কিন্তু সেটা তার চিন্তাকে নিয়ে যায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব সংক্রান্ত এক অবশ্যম্ভাবী উপসংহারের দিকে। বাকিটা আমরা তার মুখেই শুনি, [1]
মিতা হক আমার প্রিয় শিল্পী নন। প্রিয় বক্তা তো মোটেই নন। তার গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীত আমার কোন একটা কারণে ভাল লাগে না ( আসলে কারণটা আমি জানি---তার গাওয়ার ভঙ্গীর মাঝে আমি কেন জানি তেমন গভীরতা খুঁজে পাই না--যেটা আমি ইফফাত আরা, পাপিয়া সারোয়ার প্রমুখদের গলায় পাই--একেবারেই ব্যক্তিগত অনুধাবন)। মিতা হক বেশ আগে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাম্প্রতিক দশা নিয়ে কথা বলতে
দাম্পত্য জীবন- স্বামী-স্ত্রী দুজন মানুষ, একটি জীবন। মানুষ দুজন দুজনকে হয়ত কখনও দেখেনি, হয়ত দেখা হয়েছে, কথাও হয়েছে কিন্তু সে তো পার্কের গন্ডিতে- কিন্তু সেই মানুষটিই হয়ে যাচ্ছে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত লাগে। নিজের বিয়ে হয়েছে- ভালোবাসি কাছের মানুষটিকে। তবুও অদ্ভুত লাগে।
১।
সচলের থ্রি-ডি কবি এই সিরিজকে বলেছেন বিজ্ঞানের গল্প। আসেন, আজকে বিজ্ঞানের গল্পই শুনি। হরতালের মূডে আছি, আজকে বিজ্ঞানও বাদ, আলোর গল্প হবে। খবরদার, কেউ আলোর সাথে বিজ্ঞান মেশাবেন না! আগের দিন আইনস্টাইনকে বকাবকি করে বড়ই শর্মিন্দায় ছিলাম, আজকে একটু তার গুনগান গাই। [হু হু বাবা, আমার কাছ থেকে সাবধানে থাকবেন, একেকদিন একেক কথা বলি কিন্তু। সকালে এক কথা বলে বিকালে আরেক কথা বলার অধিকার কি জামাতের একলার নাকি? যাকগে, খেলার সাথে রাজনীতি না মেশাই। চলেন গল্প শুনি।]