.
[sup]
শাহ আব্দুল করিমের এই সাক্ষাৎকারটি গ্রহন করেছিলেন কবি বন্ধু টি এম আহমেদ কায়সার, ছোট কাগজ 'খোয়াব' এর পক্ষ থেকে। সময়কাল ১৯৯৭ এর সেপ্টেম্বর। হুমায়ূন আহমেদ এর এক প্যাকেজ প্রোগ্রামে ফুলবালাগনের নৃত্য ও শরীর প্রদর্শনের কল্যানে নাগরিকগন সবে মাত্র শাহ আব্দুল করিমের গানের সাথে পরিচিত হয়েছেন, তাঁর গানকে পছন্দের তালিকায় গ্রহন করে তারা ধন্য করেছেন প্রত্...
এখানে রোদ জমে আলোর নদী হয়ে যাচ্ছে। আমরা গতরাতের কুয়াশার চাদর খুলে ঝাঁপি দিই, ঝাঁপি দিই বিবস্ত্র শরীরে। জলের ওম লেগে আসে আস্তিনে, চোখে, মুখে, নাকে। আমরা হাঁপি খাই। মাছের ঘ্রাণ নিয়ে অটুট হয়ে আছে কয়েকটি শালুক। আমরা তাদের কাছে গিয়ে দাঁড়াই। রোদের গল্প শুনি।
আমরা শুভালক্ষ্মীর জলে সিনানে।
দূরবর্তী মাঠে স্তনমতো হয়ে আছে একটি বট; তাহার শাখাহাড়ে, পাতার গোপনে কতগুলো শালিক খেলা করে বাতাসের...
নিউ ইয়র্ক টাইমসে রবীন্দ্রনাথ :: নোবেল থেকে মরণ (প্রথম অংশ)
নিউ ইয়র্ক টাইমসে রবীন্দ্রনাথ :: নোবেল থেকে মরণ (দ্বিতীয় অংশ)
================================
৬
১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎকার/সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদন ছাপায় ব্যস্ত ছিলো নিউ ইয়র্ক টাইমস। তবে কোনো সাক্ষাৎকারই কবিতাকে ঘিরে বা ভিত্তি করে নয়। ২৭ জুন ছাপ হওয়া খবরে রবীন্দ্রনাথ বলছেন, ইওরোপের ...
তারপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল - ঠিক এখান থেকেই গল্পটা শুরু হয়। কারণ তাহাদের মধ্যে একটা ছোট্ট খটকা ছিল। তবে যেমনটা হয়ে থাকে একটা দুটো খটকাকে কেউ পাত্তা দেয়না। খোদ ডারউইন সাহেবই বলে গেছেন - টিকিয়া থাকিতে হইলে তাল মিলাইয়া চলিতে হইবে। অগত্যা, সবাই চেষ্টা করে তাল মিলিয়ে চলতে। কিন্তু ছন্দপতন ঠিকই কানে বাজে।
সুখ ও শান্তির সংজ্ঞা তাহাদের কাছে আলাদা ছিল। তাতো হবেই। কা...
কিছু দিন আগে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শশী থারুরের ‘গরু-ছাগলের শ্রেণী’ (ক্যাটল ক্লাশ) বিষয়ক বিতর্কের ব্যাপারে কেউ কেউ পড়ে থাকবেন আশাকরি। লেখক হিসাবে তাঁর গ্রেট ইন্ডিয়ান নভেল পড়েছিলাম সম্ভবত ২০০৪ সালের দিকে। ভাল লেগেছিল, তারপর প্রচুর কলাম পড়েছি তাঁর এবং তিনি লেখক হিসাবে আমার প্রিয় একজন ব্যাক্তি। ২০০৬ সালের শেষের দিকে জাতিসংঘের মহাসচিব পদের জন্য বান কি মুনের সাথে তাঁর প্রতিয...
বছরের পর বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে দেখাশোনার আর কথা কওয়ার পরে যখন একদিন হঠাৎ করে সব থামিয়ে দিতে হল তানকে, পুরানো সবকিছু মুছে ফেললো বন্ধু, তখন তান চুপ করে গেল একদম। ওর মনে হলো ওর নিজের ত্রুটি, ও মানুষ চিনতে পারেনি। সে কাউকে দোষ দেয় নি, শুধু চুপ করে গেল সাগরতীরের পাথরখন্ডটির মতন। চারপাশে ফেনার ফুল ছড়িয়ে ঢেউয়েরা এসেছে গেছে, সে চুপ। সেই পাথরটায় এসেই তারা বসতো ...
[যারা কবিতা শুনতে জানে না, তারা অনেককিছুই জানে না, যেইটা জানে তা কমু না]
.
খেলাপির কৃষ্ণখাতায় সাক্ষরিত নামের বানানে ভুল ছিলো না,
ভুল ছিলো না স্তুপীকৃত বকেয়ার অংকেও-
অনেক ঘুমের দেনা পড়েছিলো তাঁর।
লালঘুম নীলঘুম চিকন সবুজ ঘুম
কতোশতো নাম আর রঙের বাহারে মোড়া
কলাপাতা চোখে চাওয়া কিশোরী কিশোরী ঘুম
কুয়াশার ঝাঁপ খুলে হঠাৎ বেরিয়ে আসা সতেজ তরুণীঘুম
হুক-খোলা যৌবনা দুধারে প্লাবন-ডাকা সর্ব...
[justify]
নজমুল আলবাব লুক্টাকে আমি ঠিক ভালু পাই না। সেই সামুযুগ থিকাই কেমুন কেমুন যেন লাগে তাকে। সাম্নাসাম্নি মুলাকাতের সুযোগ ঘটে নাই, নাহলে লুক্টা কত বড় পগেয়া পাজি, সেটা নিরূপণের আরো সরেস সুযোগ মিলতো। কিন্তু মোটা দাগের মাপে বলতে হয়, লুক্টা সুবিধার্না।
গুটক (অর্থাৎ গুগলটক, পৃথিবীর অন্যান্য মহৎ জিনিসের মতো গুগলের শুরুটাও গু দিয়ে)-এ এই দুরাচার আলবাবে...
আজ আমাদের ঈদ নয়
----------------------
আজ ইদ। কাল সন্ধেবেলায় ছাদের উপর থেকে চাঁদও দেখলাম। বহু বছর পরে। প্রতিবারেই তো সেই রাত এগারোটার পরে মসজিদ থেকে বলে দেওয়া হয়, অমুক জায়গায় চাঁদ দেখা গেছে, অতএব কাল ঈদ! মসজিদে মসজিদে তার বহু আগেই যদিও সারা হয়ে গিয়ে থাকে তারাবির নামাজ। কিন্তু কাল চাঁদ দেখা গেল আর আমিও দেখলাম। ঝকঝকে আকাশে একফালি চাঁদ। ঈদের চাঁদ। লোডশেডিংএর নীরবতায় দূরের মসজিদ থেকে মাইকের আওয়া...
সমুদ্রের কাছে উচ্ছ্বাস চেয়েছিলাম কিংবা নদীর কাছে ঢেউ
এমন সাক্ষী আমার বিরুদ্ধে কেউ
দিতে পারবে বলে আমি মানি না , মানি না আরো অনেক ঘোরবিশ্লেষণ
যেমন ---
প্রেমের বার্তা নিয়ে কোনো নীলখামের উড়াউড়ি
অথবা কোনো হস্তছাপে ভরা লালঘুড়ি
শুধুই ছড়াবে বিরহ !
তবে ভালোবাসার অন্যনাম কেন হয়নি , বেদনাগ্রহ
আর সেই নভোমন্ডলে
কিছুটা কৌতুক আর কিছুটা বনভোজনের ছলে
আমরাও বুনে যেতে পারতাম আরো কিছু দুঃখবীজ...