বিবৃতিগুচ্ছ ৩
সৈয়দ আফসার
তাকে পেলাম; শূন্যে জড়ো-করা ছায়ায়
প্রকাশ এটুকু... সুকীর্তি অন্য কিছু নয়
দু-চারটি অনুনয়, বিনুনয়
আমাকে চিনে রাখে বনবাড়ি থেকে হেঁটে আসা
রূপবতী নিমপাতা, মেথিশাক-ডাঁটা
এই ধরো-- তালু হাতে আমাকে ক্ষুদ্রাকৃতি করো
দেখো, তিন দিনের সবুরে ফুটে কয় দিনের মেওয়া
নিজ দখল যে উইড়্যা যায়, পিঞ্জিরার কাছে আত্না
নিজের ভেতর অজস্র বিস্মরণ; সেও অধরা
বেঁচে থাকার শোক, আশা-কৃতি ...
হাতের উপর মাথা রেখে শুয়ে শুয়ে কিছু একটা ভাবছিলাম। কিন্তু ভাবনা ভেঙ্গে দিলো কোথ্থেকে আসা কাঁচা মাছের গন্ধ! নাক কুঁচ্কে উহ্হু বলবার আগেই টের পেলাম গন্ধ আর কোথাও না, আমার হাত দুটি থেকেই আসছে। পরিচিত পুরানো গন্ধ। মুহূর্তেই ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গেলাম কয়েক বছর আগের একটি দিনে….সেদিন মা’কে আদর করে জাপ্টে ধরে পরমুহূর্তেই ছেড়ে দিয়ে বলেছিলাম “উহ্হু! তোমার গায়ে মাছের গন্ধ!” তারপর আরেক দু...
প্রিয় সচলগন (ইনক্লুডেড ফুল সচল, হাফ সচল এবং অতিথি সচল)
পত্রের প্রথমে আমার শুভেচ্ছা নিবেন। আজকে আমি আপনাদের দ্বারা তীব্রভাবে বিস্মিত এবং চমকিত হওয়ার মাধ্যমে কিঞ্চিৎ লজ্জাসহকারে অত্যন্ত খুশি হইয়া তব্দা মারিয়া গিয়াছি। সারাদিন সজ্ঞানে না থাকায় পত্রমারফত ব্যাপারটি জানাইতে দেরি হইয়াছে। প্রথমে ভাবিয়াছিলাম ওরে খাইছেরে বলিয়া একটা বিকট চিৎকার মারি। ছেলে পাগল হইয়া গিয়াছে বোধ করিয়...
৩
১৯৪১ সালের আট আগস্ট রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে দুটি লেখা ছাপা হয়েছিলো নিউ ইয়র্ক টাইমসে। একটি হলো খবর যে রবীন্দ্রনাথ মারা গেছেন। অন্যটি সম্পাদকীয়।
খবরটার শিরোনাম ধীমান পাঠকের জন্য আগ্রহোদ্দীপক : TAGORE DIES AT 80; NOTED INDIAN POET. ১৯৪১-এ এসে রবীন্দ্রনাথকে আর হিন্দু কবি বলা হচ্ছে না। তবে তাকে কবিও বলা হচ্ছে না কিন্তু। পত্রিকাটির ভাষায় তিনি ‘উল্লেখযোগ্য ভারতীয় কবি’। এবং শিরোনামটি লক্ষ...
[justify]
বাবা এটা কি ?
-সাইকেল
বাবা এটা কি ?
-সাইকেল
বাবা এটা কি ?
-সাইকেল
.......................
.......................
ছেলেকে নিয়ে প্রায়ই বাইরে হাঁটতে বের হই বিকেলে আর দুই বছরের এই ক্ষুদ্র মানুষটি আমাকে আশে পাশের কিছু দেখলেই জিজ্ঞেস করে এটা কি ? বার বার আমি একই উত্তর দেই ওর একই প্রশ্নের। প্রিয় পাঠক এই অনুভূতি বা অভিজ্ঞতাগুলো হয়ত সব বাবারই থাকে যার প্রকাশ ঘটেছে এই গ্রীক স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচিত্রে। ধরে নিচ্ছি ইত...
আমাদের পানশালা
ভাসাতে চেয়েছি নদী
দে না তোর বুক
আমাদের চিত্রাহরিণ
বসে আছে চুপচাপ
করেছে অসুখ।
আমাদের ভোর থেকে
ভাঙতে চেয়েছি আলো
দে না সম্মতি
আমাদের কামিনীবিকেল
কিনেছে নির্জনতা
এতটাই সংহতি!
আমাদের সাধগুলো
ভাঙতে চেয়েছি পথে
দেনা দু পা তোর
আমাদের সুচগুলো
আয়াসে হয়েছে বধূ
দে না সুতা তোর!
শেখ নজরুল, ঢাকা
"সেলিনা, ভাল্লাগে না!"
.........................................................
[sup][পাদটীকা: জীবনে বহুবার আমার এই লাইনটি চিত্কার ক'রে বলতে ইচ্ছে হয়েছে বহু বহু সেলিনাকে, কিংবা উদ্দেশ্যহীনভাবে নিজ একান্তেও। তবে, এই একপদী কবিতাটি আমার নিজের সৃষ্টি না। এটা আমার অগ্রজ সহোদর, অকালে আত্নঘাতী হওয়া (মানুষ বা প্রাণী হিসেবে না, কবি হিসেবে) কবি, সাইফুল মেহেদী (খান)'র। ১৯৯৯/২০০০ সালের দিকের। এটার অন্য কিছু সবিস্তারও আছে অবশ্য, ...
[justify]
ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে আবোলতাবোল হাবিজাবি লিখি। মাঝেমধ্যে দুয়েক্টা লাইক মারে দুয়েকজন। ভাব্লাম দুয়েক্টা তুলে দিই সচলে। কোনো জ্ঞানের কথা নাই। নেহায়েত ভাবনার ছিটমহল। লীলেন্দার কমকথার পোস্টের আব্দার প্রসঙ্গে এইগুলান জড়ো করার আইডিয়া মাথায় এলো।
বিতান স্টেশনে এসে বসে রোজ বিকেলবেলা। একটা লোহার বেঞ্চি আছে স্টেশনের মহুয়াগাছের নিচে, সে সেইখানে এসে বসে প্রত্যেক দিন। সারাবছরই ঐখানে। খুব বৃষ্টি হলে শুধু দৌড়ে আসে শেডের নিচে, বৃষ্টি থামলেই আবার বেঞ্চিটায় । মহুয়াগাছটাকে নিয়ে নাকি কে এক কবি কবিতা লিখেছেন, কে এক গায়ক গান গেয়েছেন। বিতান মাঝে মাঝে চেয়ে চেয়ে দেখে গাছটাকে, কি আছে গাছটার মধ্যে? আলাদা কিছু, অন্যরকম কিছু?
বেশি কথা লিখতে পারি না কষ্ট হয়
শব্দ জোড়া লাগে না বাক্য তেড়াবেকা হয়ে যায়
কামলাখাটার ফাঁকে বড়ো লেখা পড়তে পারি না
সচলের ডানে বামে অনেক জায়গা ফাঁকা
একটা জায়গায় সিঙ্গেল লাইন পোস্টের অপশন চালু করা হোক
দৌড়ের উপর লিখে দৌড়াতে দৌড়াতে পড়ে আবার দৌড় লাগাতে পারব কামলাখানায়...
যারা যারা দেখার কথা
দেখেন না একটু
সর্বোচ্চ ১৫ শব্দের একটা পোস্টের অপশন চালু করা যায় কি না