কিছুক্ষণ আগে সোশাল মিডিয়ায় জানা গেছে ব্লগার নিলয় নীল (নিলয় চৌধুরী/নিলাদ্রী চ্যাটার্জি) কে রাজধানীর গোরানে নিজ বাসস্থানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অসমর্থিক খবর ভাড়াটে পরিচয়ে বাসায় ঢুকে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।
নিহত ব্লগার নিলয় ইস্টিশন ব্লগে লিখতেন এবং ফেইসবুক স্টাটাসের মাধ্যমে তার বক্তব্য জানাতেন।
প্লাতা নদীর ঘোলাজলে কোন কিশোর ছেঁড়া সাদা পাল তুলে ডিঙ্গি নিয়ে পাড়ি দিচ্ছিল না সেই সন্ধ্যায়, তবুও গোধূলি লগ্নে যখন আলো-আঁধারের জাদুময়তার সুষম কারসাজিতে থিরথির কেঁপে ওঠা মুহূর্তে পদ্মাপারে কৈশোর কাটানো একজনের চোখে প্লাতাকে মনে হল দু-কূল ছাপানো একটা সত্যিকারের নদী! যেমনটা মনে হয় বর্ষার পদ্মা, মেঘনা, যমুনা দেখলে।
মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানেরা চিরকালই মানসিকভাবে পরাধীন। খুব ছোটবেলা থেকেই বাপ-মা-জ্ঞাতি-গোষ্ঠী তাদের মাথায় খুব ভালোমত ঢুকিয়ে দেয় যে “বাপরে/মাগো , চব্বিশটা ঘন্টা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত মুখে রক্ত তুলে শুধু খাটছি তোকে লেখাপড়া করাব বলে। তুই-ই আমাদের একমাত্র আশা, ভরসা। তোর মুখের দিকে চেয়ে সব কষ্ট সহ্য করছি সোনা । আর কোন দিকে মন দিস না। আমাদের আর কোন ক্ষমতাই নাইরে বাপধন, একটা বিপদে পড়ে গেলে কেউ বাঁচাতে
ফুলটা, গাছটা ছোট বেলায় হঠাৎ হঠাৎ দেখেছি পতিত ঘেসো জমিতে। তবে খুব বেশি দেখিনি। যেখানে সেখানে এখন আর দেখা মেলে না। খুব ভালো করে দেখার সুযোগ পেলাম ২০১৪ সালে । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রজাপতি আর পাখির পেছনে ছুটতে ছুটতে পুকুর পাড়ে পেয়ে গেলাম তেজপাতার মতো দেখতে এই উদ্ভিদকে। পটাপট বেশকিছু ছবিও তুলে নিলাম।
তারপর আবার প্রজাপতি-ফড়িংয়ের পেছনে ছোটা। হঠাৎ দেখতে পেলাম ত্যাজপাতার মতো পাতাওয়ালা ওই ছোট ছোট গাছগুলোতে দারুণ সুন্দর একটা ফুল। এত সুন্দর ফুল বনে-জঙ্গলে বাসই দেখা যায়। সুতরাং আবারও ক্যামেরা তাক করতে হলো দাঁতরাঙ্গা নামের এই বুনোফুলের দিকে। দাঁতরাঙ্গা নামটা জানলাম বৃক্ষকথা গ্রুপে ফুলের একটা ছবি পোস্ট করে। পরে অবশ্য নওয়াজেশ আহমদ-এর ‘বাংলার বনফুল’ নামের বইটিতেও পেলাম ফুলটির বর্ণনা।
শীতের দুপুর অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক। কিন্তু আরামের মধ্যে বেশি থাকতে সাধ জাগে বলে আরামের স্থায়ীত্বও কম থাকে। এই কঠিন কথাটা বুঝতে রিপনের মাথা খাটাতে হয়নি, বরং কথাটা সে গায়ের চামড়া দিয়ে উপলব্ধি করেছে। তবে এই উপলব্ধি রিপনকে পরিণত না করে আরও কাবু আর ছোট করে ফেলেছে। রিপন অবশ্য বয়স ও লম্বায় ছোটই। তবে নয় বছরের তুলনায় ওর আকৃতি পাঁচ বছরের মনে হয়। সাথিরা ওকে ডাকে বাইট্টা ইপন। কবে যে এই ডাকের শুরু রিপনের মনে নেই।
পুরান ঢাকায় কিছু টেম্পো চলে, লক্কড়-ঝক্কর মার্কা এই টেম্পোগুলো যখন তীরের বেগে ছুটতে থাকে, যাত্রীদের প্রায়ই মাথা ঠুকাঠুকি লেগে যায়! স্টপেজগুলিতে যাত্রী উঠানামা যেন আর এক বিভীষিকা! টেম্পোর সিট দখলের জন্য চর দখলের মতই যুদ্ধ চলে, চলন্ত রাস্তায় ছিটকেও পড়ে কেউ কেউ! আশ্চর্য হল, এই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রায়ই রেফারির দায়িত্ব দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় নয়-দশ বছরের কিছু শিশুকে।
ঘোড়াটির রং ছিল দুধ সাদা
শুধু লেজের দিকটা নীল
খেত সে যাই পেত এক গাদা
চিনি, চাল-গম-ভুসি তিল |
এক প্রত্যুষে সব ছেড়ে দিল
পেট ফুলে তার ঢোল
ডাক্তার এলো, হেকিমও জুটিল
হায় সেকি শোরগোল |
কেউ বলে গ্যাস কেউ কয় বায়ু
সকলেই হিমশিম
এই বুঝি শেষ হয় তার আয়ু ,
এই যা: এযে ডিম !
বাহিরিয়া এলো ডিমখানি ফেটে
উদ্ধত নব প্রাণ
সবি লেখা আছে সার্টিফিকেটে
ওটাই মোহামেডান |
কেয়া হাসছে, ওর দারুণ সুন্দর দাঁতগুলো সব দেখা যায়। কেয়া এমনিতেই অনেক সুন্দর, গালে টোল না পড়লেও ওর হাসিটা চমৎকার। উল্টোদিকের চেয়ার থেকে আমি কেয়ার হাসি দেখি, এক নজরে তাকিয়ে থাকার বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে আমি এদিক সেদিক তাকাই। রেস্টুরেন্টটা নতুন, এর আগে আসা হয়নি আমার। কাল সন্ধ্যায় কেয়া ফোনটা করেছিল বলে আজ আসা। বেশ সাজিয়েছে ভিতরটা, তার উপর নিরিবিলি।
আপডেট ২: বিশেষ বিবেচনায় শিশু অধিকার সপ্তাহটি আপাতত স্থগিত করা হলো। পরিবর্তী তারিখ শিঘ্রী ঘোষণা করা হবে। তবে অনুগ্রহ করে আপনারা শিশু অধিকার বিষয়ে লেখা চালু রাখুন।
------------------------------------------------
সাম্প্রতিক ব্লগার হত্যার ঘটনায় শিশু অধিকারের বিষয়টি মূল আলোচনা থেকে সরে যাওয়ায়, লেখার সময় আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয়া হলো। নতুন ডেডলাইন আগস্ট ২০, ২০১৫।
------------------------------------------------
প্রিয় পাঠক,
অতি সম্প্রতি সিলেটের শিশু রাজন এবং খুলনার কিশোর রাকিব হত্যাকান্ড সর্ম্পকে আপনারা অবহিত আছেন। এই দুটি হত্যাকান্ড নিয়ে প্রচুর আলোচনা হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় শিশু অবহেলা একটি নিত্যদৃষ্ট বিষয়। সচলায়তনে নারী সপ্তাহের আলোচনায় নারী ছাড়াও শিশু নিযার্তনের প্রসঙ্গও উঠে আসে। তাই এ বিষয়ে আমাদের একটি উদ্যোগ নেবার ইচ্ছা তখন থেকেই।