(ঢাকা থেকে অনেক অনেক দূরে আছি। তবু দিন রাত চোখ এই চৌকো পর্দায়। সারা রাত স্লোগানে স্লোগানে লাইভ শুনি, আর পরের দিন সারাদিন আগের ধারণকৃত উল্লেখযোগ্য অংশ শুনি। শাহবাগে জড়ো হওয়া লাখো ভাই বোনদের এত কাছের মনে হয়! বিন্দু থেকে সিন্ধু বানিয়ে ফেলেছেন তারা সবার প্রাণের দাবীর জোরে। তাদের নিয়ে কিছু বলবো বলবো করে এই লেখার উৎপত্তি। ছন্দের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়েছেন সংসারে এক সন্ন্যাসী। স্বদেশ হোক পাপমুক্ত। জয় বাংলা।)
যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে নাখোশ পুরো ইসলামী উম্মা
বিচার ঠেকাতে প্রতিবাদ হয় নিয়মিত বাদ জুম্মা
আরব-বিশ্ব? তাদের তো খাড়া থাকেই ঈমানি জজবা
সব জেনেশুনে তাও তুমি এই তাগুতি বিচারে মজবা!
'মাওলানা'দের বেহাল দশায় যাদের বুকে কষ্ট
যাদের কাছে এই বিচারে জুলুমটা খুব পষ্ট
তাদের বলি— বাঁচতে হলে জানতে হবে ‘সাচ্চা’
কী ভয়ানক ছিল এসব রাজাকারের বাচ্চা!
স্বাধীনতার শত্রু, তোমার মিত্র হতে পারে না
(হয় যদি তা, এরচে’ খারাপ চিত্র হতে পারে না!)
গোলাম আযম, সাঈদী তোমার পক্ষ হতে পারে না
মীর জাফরের স্বার্থ, তোমার লক্ষ্য হতে পারে না
আন্দোলনের পন্থা তোমার জঙ্গি হতে পারে না
জামাত-শিবির ভুলেও তোমার সঙ্গী হতে পারে না
:একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ করছে অনেক লোকে
জামাত একা দায় নেবে ক্যান?
- ন্যায্য কথা, ওকে!
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একটি ভাঙচুরের মামলায় সরকার গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। গত সোমবার বিএনপির অবেরাধ কর্মসূচী শেষ হবার খানিক বাদেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপি বৃহস্পতিবারে আধবেলা হরতালের কর্মসূচী দেয়। গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়,বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবারে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে
সালেক খোকন
এক মুক্তিযোদ্ধার পায়ের ভেতর এখনো গুলি আছে। একচল্লিশ বছর ধরে শরীরের ভেতর বাসা বেঁধেছে সে গুলিটি। জোরে হাঁটতে কিংবা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে গুলিটি কামড়ে ধরে মাংসের ভেতরটায়। যন্ত্রণায় তখন ছটফট করেন তিনি। পাকিস্তানিদের গুলি মুক্তিযোদ্ধার দেহে। এটা মেনে নেওয়া সত্যি কঠিন। তাই নীরবে নিভৃতে কেটে যাচ্ছে ওই মুক্তিযোদ্ধার জীবন।
গতকাল মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটিয়েছে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষ এবং টিভি ক্যামেরার সামনে তারা কুপিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে বিশ্বজিৎ দাস নামের এক যুবককে। এখন প্রযুক্তির যুগ।তুমুল গতিতে এ সংক্রান্ত ছবি এবং ভিডিও বাংলাদেশের আনাচে কানাচে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে দেরী হয়নি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০১০ এর মাঝামাঝি সময়ে যা এখনও চলমান। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে এবং বাকি দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কাজ চলছে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে ২০০৮ সালে নির্বাচিত বর্তমান মহাজোট সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লেখিত এই বিচারের প্রতিশ্রুতিই মূলত তার নির্বাচিত হওয়ার কারণ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন মহাজোট যদি মনে কর