লামেহা অব্যয়বোঝাই ঝোলাটা কাঁধে তুলে নিয়ে রওনা দেয় সবুজ-জমি বালি-জমি পাথর-জমি পার হয়ে নীল পর্বতের দিকে। সে চলে, চলে আর চলে। ভোরবেলার কোমল টুকটুকে সূর্য ঝকঝকে রাগী হয়ে আকাশের কত উপরে উঠে গেছে, লামেহার চলা থামে না তখনো। অব্যয়গুলো তার ঝোলায় কোলাহল করে। আঁ আঁ আহ আহ ঈশ কিংবা সুতরাং এবং ইত্যাদিরা নানারকম সুরে গান ও কথা চালাতে থাকে। ঠিক দুপুরবেলায় ক্লান্ত লামেহা ঝোলা নামিয়ে শুয়ে পড়ে পান্থপাদপের ছায়ায়।
এর বেশি খুব একটা আশাও করিনি...
সময় সময়ের নিয়ম ভাঙ্গেনা,সময়ের পরিবর্তনে বিমূড় হয় স্থবিরতা আর চঞ্চলতার শেষ ঠাঁই হয় প্রয়াণে নয়ত মহাকালের অ্যালবামে।
তবে আমার দেয়ালের আয়তাকার কালো অংশটায় আধো আধো কাঁপাকাঁপা কোমল হাতের বানান ভুলে সমৃদ্ধ ছড়া-টা বোধ হয় সময়কে পাত্তা দিতে পুরোদস্তুর কৃপণ!
খুব সম্ভবত শেষ যে দিন-টায় ক্লাস হয়েছিলো সেদিন ছিলো এটার প্রকাশকাল।
[justify]
।।১।।
প্রবাসী হওয়ার অনেক হ্যাপা। সবচেয়ে বড় ঝামেলা হচ্ছে হাতে কোন সময় থাকে না। সর্বদাই ব্যস্ত থাকতে হয়। এইদেশে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে বসে দুদন্ড গল্প করার জো নেই – সব সময়েই তাড়াহুড়া। মার্কিন দেশ এক বিশাল বাজার বিশেষ, এইখানে আমরা সব সময়েই অদৃশ্য বাজারের থলি হাতে ঘোরাঘুরি করি।
আমরা দিন শুরু করি ফেসবুকে কয়টা নোটিফিকেশন আসলো তা দেখে - ব্রেকফাস্ট খেতে খেতে খবর পড়ি - শাহবাগীদের গালি দেই - অফিসে যেতে যেতে সরকারের কাজে হতাশ হই - অফিসে বসে বিএনপির নির্বুদ্ধিতায় নির্বাক হই - তারপর আবার বাসায় এসে মশামাছি মারি - আনন্দে ফেসবুকিং করি - টকশোতে রাজা উজির মারি - বান্ধুবান্ধবীদের হাই হ্যাল্লো বলি - প্রিমিয়ার লিগ আর লা লিগা দেখে স্ট্যাটাসের বন্যায় হোমপেজ ভাসাই - মাঝে মধ্যে দুপুরে ভরপেট খেয়ে ভুড়ি দুলিয়ে একটা পাওয়ার ন্যাপ নেই - উইকঅ্যান্ডে মুভি দেখি - তারপর রাতের আড্ডাতে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে দেশটা সম্ভাব্য কত প্রকারে রসাতলে গেল তা নিয়ে লম্বা বক্তৃতা দেই - দিতে দিতে কখন ভোর হয়ে যায় - সেই খেয়াল আর থাকে না - এরপর ঘুমের স্বল্পতার জন্য আবার শাহবাগীদের গালি দেওয়া শুরু করি।
হঠাৎ মনে হলো, সবাই মিলে কোরাসে জাতীয় সঙ্গীত গাইলে কেমন হয়?
[ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল খুব সহজ সরল ভাষায় এবং সহজবোধ্য করে ছোটদের জন্য “ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস” লিখেছেন। এই পদ্যটি সেই রচনাটির অনুকরণে রচিত।
তাঁকে সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ এটি পদ্য আকারে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন।]
এক
এই আমাদের সবুজ বাংলাদেশ
কী অপরূপ, শান্ত-স্নিগ্ধ বেশ!
জানো তোমরা যে দেশ মোদের প্রাণ
নাম ছিল তার পূর্ব পাকিস্তান!
"Discuss - Analyse - Strategise - Get Active" এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্রাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এর ধারাবাহিক কর্মশালার প্রথম কর্মশালাটি হয়ে গেল শনিবার ২৩শে মার্চ ২০১৩ লন্ডনের মন্টিফিওরি সেন্টারে। বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের সম্মানিত হাই কমিশনার জনাব মিজারুল কায়েস, লন্ডনের প্রিন্ট-বেতার-টিভি মিডিয়ার কর্মী এবং সঞ্চালকবৃন্দ, এবং নানা পেশা নানা বয়সের এক ঝাঁক কর্মী এবং সংগঠকের উপস্থিতি এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ তথ্য ও বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ এই অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে আরও যোগ দেন জার্মানী, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের কর্মী ও সংগঠকবৃন্দ যারা শাহবাগ পরবর্তী বিভিন্ন উদ্যোগগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।
বন্ধুর কাছ থেকে ধার করা একটি ছোট্ট চুটকি দিয়ে শুরু করা যাক। ক্রিস্টোফার কলম্বাস বাঙালি হলে কোনদিন আমেরিকা মহাদেশ যাত্রার সমুদ্রপথ আবিষ্কার করতে পারতেন না। সদর দরজা দিয়ে বেরুতে না বেরুতেই তো গিন্নির হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে হতো; কোথায় যাচ্ছ? কেন যাচ্ছ? দুনিয়াতে এত মানুষ থাকতে তোমাকেই কেন যেতে হবে? রাতে এসে খাবে তো?