ঘটনাটা ঘটে ১৯৬২ সালে তানজানিয়ায় । শুরুটা একেবারেই নির্দোষ এক কৌতুক দিয়ে । ছাত্রী হোষ্টেলে এক ছাত্রী তার রুমমেটকে এক কৌতুক শোনায় । Jokes এর শুরু, পাত্রপাত্রী, পরিবেশনা যাই হোক- punch লাইনে গিয়ে হাসির একটা ব্যাপার থাকবে সেটাই স্বাভাবিক । কিন্ত এ কৌতুক জন্ম দিল অন্য আরেক কৌতুকের । যে শ্রোতা সেতো হাসলোই, অদ্ভূত ভাবে লক্ষ্য করা গেল দূরের একজন যে কিছু শোনেনি সেও বেঘোরে হাসতে লাগলো । এ দেখে হাসি শুর
…
(১)
ইদানিং মজার একটি বিষয় নিয়ে খুব শোরগোল শুরু হয়েছে দেশের সবক’টি পর্যায় থেকে। বিষয়টি আর কিছু নয়, নাস্তিক্যবাদ। তবে যারা এটিকে নিজেদের মতো করে উদ্দেশ্যমূলক নাড়াচাড়া করছেন, তা যে খুব খারাপ অর্থেই বা লক্ষ্য নিয়ে করছেন এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁদের বক্তব্য-বিবৃতি শুনে মনে হয়, কোন সংক্রামক ব্যাধির মতোই নাস্তিক্যবাদ নামের অতি জঘন্য একটি জিনিসের দ্রুত প্রাদুর্ভাব ঘটে এই দেশ এই জাতি বুঝি রসাতলে ডেবে যাচ্ছে। সত্যি কি তাই ?
অনেক দিন আগের কথা। আমি তখন ক্লাস এইটে। একদিন দেখি আমার এক চাচা ও তার বন্ধু 'লাল-সালু' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদের সংলাপগুলো আওরাচ্ছে আর হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আমার ঐ চাচা তখন ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী ছিল। আমার মনে আছে, আমার ঐ চাচা যখন বিএ (ডিগ্রি)র শিক্ষার্থী ছিল, তখন এমনি করেই একদিন সৈয়দ আবুল মনসুর আহমেদের 'হুযুর কেবলা' নিয়ে দারুণভাবে আমোদিত হয়েছিল। কিন্তু আমার সেই চাচা এখন আর মজিদ ব
গ্রীক পুরাণ পড়তে গিয়ে একটা ব্যাপারে শান্তি পেয়েছি এই জেনে যে, শুধু আমরা বাংলাদেশীরাই ইতিহাসের ব্যাপারে গিট্টু লাগাতে ওস্তাদ নই। এই ব্যাপারে আরো বহু ওস্তাদ আছেন। সেই গ্রীক আমলেরই এমন এক ওস্তাদোকা ওস্তাদ হলেন ওভিড। ওভিড গ্রীক পুরাণ রচয়িতাদের মধ্যে সেরাদের কাতারেই পরেন কিন্তু তার কিছু কাহিনী অন্যদের কাহিনীর বিপরীত দাবী জানায়। এই ওভিড একাই মজার এক কাহিনী বর্ণনা করলেন যেখানে পার্সিয়াস সেরিফাসে ফেরার পথ
সন্ধ্যা আসে আশ্চর্য লাল আর কমলা মেঘের ডানা মেলে, কিন্তু সে রঙ থাকে না, সব রঙ হারিয়ে ধূসর হয়ে যায় মেঘডানা। কী যেন একটা কথা আমার শোনার ছিল কার কাছে? কিছুতেই মনে পড়ে না তার মুখ, তার চোখ, তার নাম। সেই বা কেন বলে নি সেই কথাটা? এমনই এক সন্ধ্যেবেলা ছিল কি সেটা? বলি-বলি করেও যখন সে না বলে চলে গেল?
“মা, কি লিখব বাবাকে?” চার বছরের কনর প্রশ্ন করে আমায়। জবাব দিলাম লিখে দাও “বাবা তোমাকে ভালবাসি”। ওইটুকু ছেলে আমার, সবে লিখতে শিখেছে। কতটা আনন্দেই না লিখে ফেলল বাবাকে লিখা তার প্রথম চিঠি। পরদিন পাঠিয়ে দিলাম ডাকে। কনরের সেই চিঠি তাঁর বাবার হাতে পৌছুলো লন্ডনে, ওর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কিছুদিন পড়ে। এরিকই খুলল সেই খামে ভরা চিঠি। কিছু মুহূর্ত পেরুলো নিঃশব্দে, যা কোনদিন ভুলবার নয়।
কলেজ থেকে ফেরার পথে মাঝেমধ্যে সার্সেন রোডের পথ দিয়ে ফিরতাম। শহরের সবচে সবুজ-শান্ত রাস্তার একটা ছিল এই পথটা। এই রাস্তায় চলার সময় চোখে পড়ত এক বাসার গেটের সামনের এক নামফলক, প্রফেসর ডঃ জামাল নজরুল ইসলামের নাম লেখা তাতে। আমাদের হাইস্কুলেরই ছাত্র ছিলেন তিনি, সেই সুবাদে স্যারদের মুখে উনার নাম শুনেছিলাম আগেই, জানতাম খুব উঁচুমাপের বিজ্ঞানী ছিলেন। নিভৃতে, অনেকটা আড়ালে থেকে বিজ্ঞানসাধনা করতেই বেশি ভালোবাসতেন
পত্রিকার পাতায়, ফেসবুকের দেয়ালে কিংবা মানুষের মনে এখন ভিটামিন এ ব্যাপারটি নিয়ে দারুন কৌতুহল। এই সংঘাতময় রাজনীতির দিনে সবথেকে বেশী খারাপ লাগে যখন দেখি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন ব্যাপারে মানুষ দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। কারো কাছে মনে হচ্ছে সরকার যা করছে তা চরমভাবে অগ্রহণযোগ্য কোন কাজ আবার একদল মনে করছে যা হচ্ছে সবই জামাতী-ছাগু কিংবা বিএনপি-র অপপ্রচার। ভিটামিন এ এর ক্ষেত্রেও তাই হল। ফেসবুকে দুইদল ভাগ হ
ব্লগ কী জিনিষ চিনিস ব্যাটা? ব্লগে কী হয় জানিস?
গাধার মত বললে কথা সবাই হাসে মানিস?
ব্লগার কারা? কাজ কী তাদের? বিন্দুমাত্র তোদের
নেই ধারণা; অজ্ঞ থেকেই পথ আগলাস ওদের!
ব্লগে সবাই লিখতে পারে নেই কোন তার বাধা
হোক সে মানুষ কিম্বা ছাগু কিম্বা গরু-গাধা।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার এক মাধ্যম এটা
ব্লগার মানেই নাস্তিক নয় শোন মুর্খের ব্যাটা।
যার যার মত প্রকাশ করে ব্লগে যে যার মত
স্বার্থের সমান পৃথিবীতে আর কিছু আছে?
বন্ধুর সংজ্ঞাতো সকলেই জানি
ঘুড়ির আকাশ কখনো অসীম নয়
বারবার বলা কথা তবুও বক্তব্য পাল্টায়
আড়ালে আবডালে
প্রাণ খুলে যে-কথা কোকিল বলে গেলো
কতজন কাক তার গূঢ়ার্থ বোঝে?
সৌজন্যবোধের শেকলে বাঁধা পড়ে থাকে ভদ্রসাধুজন
বাক্য-প্যাঁচ পিছলে বেরোয় বন্ধু-উকিলেরা
তোমার গলায় জড়ানো কী দারুণ ফাঁস!
তুমি বোঝো ব্যথা - দিকহারা সমস্ত কম্পাস।