বয়স্করা ডাকতেন গুলুবুবু। আমরা জানতাম নানির নাম গুলনাহার সরকার। এ খাস বাপের বাড়ি থেকে আনা নাম। সে আমলেও স্বামীর নামের শেষাংশ স্ত্রীর কুমারী কালের পদবীকে নাকচ করে দোর্দণ্ড প্রতাপে বসে যেতো। কিন্তু নানা এ নামটা অবিকৃতই রেখে দিলেন। সম্ভবত “সরকার” টাইটেলটার জন্যই। সে আমলে বেশ পয়সাওয়ালা না হলে সরকার পদবী হতোনা। নানির বাবা একরাম উদ্দীন সরকার বিস্তর পয়সা করেছিলেন ব্যবসাপাতি করে। নানার বাবা নাদের হোসেন ছেল
আফগানিস্তান এর গুহা কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের মাদ্রাসা থেকে নতুন ধর্ম উঠে আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তারবদলে এগুলা উঠে আসবে গবেষণাগার থেকে।
সাধারণত কাউকে আমরা যখন অমুকের আব্বা বা তমুকের মা সম্বোধনে ডাকি, সেটা বড় ছেলের বা বড় মেয়ের নামেই হয়।যেমন আমার বাবাকে অনেক আত্মীয় রাহাতের আব্বা নামে ডাকেন,এটা নিয়ে ছোট বেলায় আমার ছোট ভাইয়ের খানিকটা অনুযোগও ছিল।যাই হোক এখন যার কথা বলব তাকে আমার মা-বাবা বা আত্মীয়রা রিনার মা নামে ডাকতেন,মজার ব্যাপার হল রিনা সেই মহিলার তিন ছেলেমেয়ের সবচেয়ে ছোট। উনি আমাদের বাসায় কাজ করতেন,আমি আর আমার ছোটভাই উনাকে বুয়া না
জীবন এখনো আছে কষ্টের পাতালে বন্দী
কিন্তু অত কষ্ট নয় যে, তোমাকে ডেকে বলি
জানি, আমি অনেকের চেয়েই হয়ত খারাপ আছি
কিন্তু অতটা খারাপ নই যে, তোমায় ডেকে বলি!
এখনো প্রতিদিন সন্ধ্যায় ক্লান্ত চরণে আমি ঘরে ফিরি
কিন্তু অতটা ক্লান্ত নই যে, তোমায় ডেকে বলি
জানি, অনেকেই এগিয়ে গেছে জীবন পথে-- আমাকে করে একাকী
কিন্তু অতটা একা নই যে, তোমায় ডেকে বলি!
এখনো প্রতিটা ভোর এসে শুরু করে নতুন আলোর দিন
আমাকে ভাবায় অভিজিৎ রায়
এই দেশ নেয় না হত্যার দায়...
আমাকে ভাবায় অভিজিৎ রায়
মানুষের মানসের মুক্তির দায়
কাঁধে নিয়েছিল ঐ অভিজিৎ রায়
তাই তাকে ফালাফালা করে দিল হায়
এদেশের শেয়াল আর কুকুরের ছায়
আমাকে ভাবায় অভিজিৎ রায়......
আমাকে কাঁদায় অভিজিৎ রায়
বিষ্ফলা এদেশের মানুষের রায়
সকল সময়ে তার বিপক্ষে যায়
এই কথা জেনেও সে লিখে গেছে , হায়
আমাকে কাঁদায় অভিজিৎ রায়---
এ দেশ তো চায় নি অভিজিৎ রায়
রোহিঙ্গা ইস্যুটি প্রায়শই আমাদের জন্য বিশেষ গুরুতর হয়ে ওঠে, অতি সম্প্রতি যেমনটি হয়েছে । আমাদের অতি নিকট এই প্রতিবেশীদের সম্পর্কে যেমন আমদের তেমন একটা জানাশোনা নেই, তেমনই জানা নেই এই সঙ্কটের স্বরূপ। আমাদের টক শো গুলোতে খাপছাড়া গোছের কিছু তথ্য এবং মন্তব্য শুনে মেজাজটাও বিগড়ে গেল, তাই এ সম্পর্কে কিছুটা জানার চেষ্টা।
সে অনেক অনেক দিন আগের কথা, আমার বয়স তখন ছয় কি সাত। পাড়ার এক খালাম্মা এসেছেন আম্মার সাথে গল্প করতে। আমি একটা ভাঙা গাড়ি নিয়ে খেলতে খেলতে কান পেতে শুনছি তাঁদের কথা।
“আর বইলেন না আপা, আমাদের দেশের বাড়ির এক বউ বটি নিয়ে বসেছিলো কুমড়া কাটতে। তার শাশুড়ি 'আরে করস কি বউ করস কি’ বলতে না বলতেই বউ দিলো বটিতে টান। দুই মাস পরে যখন বাচ্চা হোলো তখন দেখা গেলো বাচ্চার উপরের ঠোটটা কাটা।”
'মহাভারত' আমাদের প্রায় সকলেরই অল্প-বিস্তর পঠিত। আর মহাভারতের চরিত্রগুলো নিয়ে নানামুখি বিশ্লেষণ আছে।
আজ তাই অন্য দৃষ্টিতে শকুনি চরিত্র সম্পর্কে যৎসামান্য বিশ্লেষণের প্রচেষ্টা।
শকুনি:
[justify]
২৫ সে জুলাই, ১৯৪৫
[justify] ক’দিন যাবৎ আমাকে পুরোনো গলিতে ঘোরার নেশায় পেয়েছে। গলিতে গলিতে ঘুরি। গলির লোকজনের সাথে কথা বলি। ছবি তুলি। গন্ধ নিই। গলিতে মিশে যাই, যেতে যেতে ফিরে যাই পুঁতিগন্ধময়, অন্ধকার, সমাজ থেকে হারিয়ে যাওয়া সেসব বুড়ো গলির যৌবনকালে। তখন জীবন ফিরে পায় সে গলি। গমগম করে ওঠে আমার চারপাশ— মানুষের হাঁকডাক, ঘোড়ায় টানা গাড়ির ক্যাচক্যাচ, দৌড়ে বেড়ানো শিশুদের কোলাহল আর তাদের মায়েদের সতর্ক ডাক। এ এক বিচিত্র ভাব। মৃত্যুশয্যায় শুয়ে থাকা কোনো বৃদ্ধের পেছন ফিরে তাকানোর গল্প। সে গল্পে আবেগ আছে, ইতিহাস আছে, আনন্দ আছে, আছে স্বপ্ন মিলিয়ে যাবার হতাশা। চলুন ঘুরে আসি তেমন এক গলি। যার নাম ‘রক্তের গলি’, ইংরেজিতে Blood Alley. কীভাবে গড়ে উঠলো এ গলি? কেমন করে গড়ে উঠলো এর ইতিহাস? চোখ মুদে চলুন একটু পেছন ফিরে তাকাই।