আগের পর্বের লিংক
চাকতি জগতঃ জাদুর রঙ
চক্রাধামঃ জাদুর রঙ -পর্ব২
চক্রধামঃ মায়ারাগ - পর্ব ৩
চক্রধামাঃ মায়ারাগ (চলছে...) পর্ব-৪
এই ঘটনার কিছুদিন আগে কোন এক ভোরে আখ নদী বেয়ে একটা জাহাজ এসে মরপর্ক বন্দরের ঘোরপ্যাচওয়ালা অসংখ্য ঘাটের কোন একটায় নোঙর ফেলে। জাহাজের খোলে করে এসেছিলো গোলাপী মুক্তো, দুধবাদাম, ঝামা, এর নগরপিতার জন্য কিছু দাপ্তরিক চিঠিপত্র আঁখ এবং একজন মানুষ। এই মানুষটিই কানা হারুন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
একজন বালক আর তার শিক্ষক বন্ধু হলে সেই বন্ধুত্বটা কেমন হবে?
প্রোলগ
শেষ বিকেলের সূর্য দিগন্তের দিকে ঝাঁপ দিচ্ছে মাত্র। ঝাঁকের সামনের পাখিটা বাতাসের ঝাপটায় কিছুটা কাবু হয়ে আসে, তাকে স্বস্তি দিতে পিছন থেকে এগিয়ে আসে অন্য একটা পাখি। জায়গাবদল সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই উত্তরের আকাশ থেকে ভেসে আসে এক পশলা আগুনের ঝড়। ভি-শেইপের ঝাঁকটা থেকে টুপটুপ করে ঝলসানো পাখি পড়তে থাকে নীচে। মাটি স্পর্শ করার আগেই তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য এগিয়ে আসে একটা বিশাল জিভ।
ড্রগনের পায়ের দুইটা বিশাল আঁশের খাঁজে হাত রেখে কোনমতে ঝুলে আছে খালিসি, পাখি পুড়ানো আগুন পুরোটাই বয়ে যায় তার উপর দিয়ে। ড্রাগনব্লাড বলে তার শরীর অক্ষত থেকে গেলেও সোনালি চুল আর ভ্রু কিছুটা কালচে হয়ে আসে। ক্লান্ত, ক্ষুব্ধ খালেসি অনুনয়ের চোখে উপরের দিকে তাকান, তার দৃষ্টি মিলে ড্রগনের পিঠে বসা হাইস্প্যারোর চোখে। ড্রাগনের আগুনে পুড়ে খালেসির পোশাকের কিছুটা পুড়ে গেছে, আর তা দেখে চমকে উঠে "শেইম, শেইম" বিড়বিড় করতে করতে সুদূর দক্ষিণে চোখ সরিয়ে নেয় হাই স্প্যারো।
ব্যক্তিত্ব কি ছুঁয়ে দেখা যায়? অ্যাবস্ট্র্যাক্ট একটা বিষয় – ছুঁয়ে দেখতে পারার কথা না তো, তাই না? আমারও তাই ধারনা ছিল।
জিয়া স্যারের সাথে দেখা হবার আগ পর্যন্ত। মুক্তিযুদ্ধের সুন্দরবন সাব-সেক্টার কমান্ডার, মেজর জিয়াউদ্দিন আহমেদ। কর্নেল তাহেরের সহ-বিপ্লবী।
[justify] নিচে যে ছবিটি আমরা দেখবো, তার একটা গল্প আছে। শত বছরের পুরোনো সেই গল্প এতদিনে গল্প থেকে ইতিহাস হয়ে গেছে। আমি আজকে সেই গল্পটিই আপনাদের শুনাবো।
ট্রেনের নাম একতা এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে ছুটছে ময়মনসিংহের দিকে। ছুটছে কি আসলে? ১৯৮০ সাল, জীবন তখন এতোটা গতিশীল হয়ে ওঠেনি, ট্রেনেরও। এমনই ধীরগতি তার। দুষ্টু ছেলেরা মিষ্টি ছড়া কাটে, 'ঝিক্কিরঝিক্কির ময়মনসিং, ঢাকা যাইতে কতোদিন?'
গত কয়েকদিন ধরে বাচ্চার কথা ভেবে বাবা মাকে সবকিছু সহ্য করে নেয়ার উপর প্রচুর লেখাজোকা, বকবক পড়ে, শুনে মাথায় প্রশ্নটা আসল। একটা বাচ্চা সুন্দর ভাবে বড় করতে কি লাগে? একটা সুন্দর পরিবেশ, তাই তো? আসুন একটু চিন্তা করে দেখি তো, আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে কিরকম চমৎকার পরিবেশ দেই, দিচ্ছি?
ইদানীং ঘুম ভাঙলে অয়ন খুব আগ্রহ নিয়ে ঘরের সিলিং আর পর্দার ফাঁক গলে আলো আসা খোলা বারান্দার দিকে লোভাতুর হয়ে তাকিয়ে থাকে। খুব আপন মনে হয় সিলিংটাকে। যে ভীষণ যন্ত্রণা আর অস্থিরতায় তখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে সে, তাতে মনে হয় ঐ সিলিঙের বন্ধনে ঝুলে পড়ে আয়েশে দুলতে থাকলে একটু শান্তি মিলবে। কিংবা উঁচু বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় যে ক্ষণিকের মুক্তি মিলবে চিরমুক্তির আগে সেটাই বা কম কী!
অভীক আর নকুল এবার ভালো করে তাকালো ছায়ামূর্তির দিকে, এক পা ঘোড়ার রেকাবে আটকানো, অপর পা রাস্তা ধরে লাফাতে লাফাতে এগোচ্ছে।
"অগ্নিমূর্তি, হ্যাহ!?", অবশেষে মন্তব্য করলো অভীক।
" না।" বললো ফুরফুরা, "মানে, আসলে কি বলবো। এ হলো এমন লোক যে ঠাডা পড়া কি সেই কৌতুহল মেটাতে, ঝড় বৃষ্টির রাতে মাথায় তামার শিরোস্ত্রাণ চাপিয়ে কোন পাহাড়ের মাথায় খোদাতালাকে গালি গালাজ করতে রওনা হবে। ইয়ে, তোমাদের কাছে কোন খাবার হবে?"
" মুরগি আছে একটু।" বললো নকুল, "যদি তোমাদের কাহিনী খুলে বলো।"
অযুত-নিযুত গ্যালাক্সি পেরিয়ে একাকী এক সৃষ্টিস্তম্ভ (Pillar of Creation)। তার গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসা তারারা নিমেষেই বাষ্পীভূত হয়ে অস্তিত্বহীনতায় বিলিয়ে যায়। কোটি কোটি বছর পেরিয়ে গেলে এক দিন কার্যত বন্ধ্যা এই সৃষ্টিস্তম্ভের গর্ভের অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় একটি তারা।