শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা নিয়ে বাংলাদেশের অনলাইন মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বেশ গরম। ঘটনাটা প্রথম দিকে আমার চোখ এড়িয়ে গেলেও এই ব্যাপক শীতে একটু গরম আঁচ গায়ে লাগায় একটু নাক গলালাম। তাতে যা দেখলাম, বাংলাদেশের আবহমান কালের ঐতিহ্য বজায় রেখেই ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে ইতিমধ্যে বেশকটি পক্ষ তৈরী হয়েছে এবং তারা নিঃসন্দেহে সরব।
আগে যেখানে থেমেছিলাম
“"এয়ারপোর্টে পৌঁছে চেক ইন সহ আরও কাজ শেষ করে উঠে গেলাম প্লেনে বিনা ঝামেলায়। সিটে বসতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ, চোয়াল ঝুলে মাটিতে। এ আমি কি দেখছি?? এও কি সম্ভব??"”
১৪
১৯৭১
মেহবুবা জুবায়ের
দুপুর দুটো বেজে এক মিনিট। বিজ্ঞাপন তরঙ্গে সময় হল বিবি লজেন্স সঙ্গীতমালার।
ঃ আমাকে যদি বেছে নিতে বলা হয় রোজকার ব্যবহৃত শব্দগুলোর মধ্য থেকে একটিমাত্র শব্দ যার মর্মার্থ আমাকে আগামীকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগাবে সেটি হল ‘ সুন্দর ’।
ঃ কিন্তু কী সুন্দর? কিসে সৌন্দর্য্য আসে? এই অনুভূতিও কি আপেক্ষিক নয়, মানে আমার কাছে যেটা সুন্দর সেটা তোমার কাছে সুন্দর নাও হতে পারে?
- তুমি কি মনে কর মায়ানরা বিজ্ঞানে উন্নত হলে পৃথিবী ধ্বংসের ঠিক ঠিক তারিখ বের করতে পারত?
- হ্যাঁ মনে করি। আমি মৃদু হাসলাম। বোঝাতে চাইলাম, ইয়ার্কি মারছি না।
- কীভাবে? সেই হিসেব করতে হলে বিজ্ঞানে কীরকম উন্নত হতে হবে? আমরা কী অতোটা উন্নত? তানভীর ভাই অনেকটা হুড়মুড় করে প্রশ্নগুলো করলেন।
- আমার মনে হয় আমরা অতোটা উন্নত। তবে এই ধারনাটা আমার নিজের। আপনি তো জানেনই আমি স্রেফ একজন ছাত্র।
- ছাত্র তো সবাই। তোমার হিসেবটা কীরকম বলো দেখি? পৃথিবী ধ্বংস হবে কীভাবে? উল্কা এসে পড়বে? নাকি যেরকম হওয়ার কথা, সূর্য ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তারপর? তানভীর ভাই আবার হুড়মুড় করে একগাদা প্রশ্ন করলেন।