শিল্পকলার বিমানবিকরন বইটির ভূমিকায় হুমায়ুন আজাদ নিজেই লিখেছেন, যে বইটি ওর্তেগা ই গাসেতের ভাবানুবাদ। অনুবাদকর্মকে কুম্ভলকবৃত্তি, চোর্জবৃত্তি, প্লেইজারিজম বলা যায় কি? উত্তর হচ্ছেঃ না। তাই বইটি নিয়ে খুব বেশী লেখার আপাতত কোনও দরকার দেখছি না, তবে কিছু আলোচনার দরকার আছে।
শিবলি আজাদ লিখেছিলেন,
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০১৫ সালের খসড়া [১] প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনটি আগামী অগাস্টে মন্ত্রীসভায় পাশ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আইনটি নিয়ে জেলায় জেলায় সভা সেমিনার হচ্ছে। সরকার পক্ষ থেকে আইনটি সম্পর্কে মতামত সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছে। তাছাড়া এই আইন পর্যালোচনার জন্য সরকারের একজন সচিব ও বিজয় কিবোর্ডের মালিক মোস্তফা জব্বারকে নিয়ে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে।
[justify]
এটি বড় একটি ছবির অংশবিশেষ। আজ থেকে প্রায় আঠার/বিশ বছর আগে ছোট মামার ঘরে তোলা। ফেইসবুকে দেখলাম মামা স্মৃতিকাতর হয়ে সেই ছবিতে কমেন্ট করেছে। এই ঘরটা ছিল তার লিটল ওয়ারল্ড! ছবিটি থেকে কেটে এখানে শুধু শোকেসের অংশটা দিলাম কারণ এই শোকেস ঘিরে আমার ছেলেবেলার অনেক স্মৃতি। ছোটবেলার স্মৃতি আমার কথা বলার প্রিয় বিষয়। তার উপর আজকে ছোট মামার জন্মদিন তাই ভাবলাম সবার সাথে স্মৃতি-কথা গুলো ভাগ করে নেই। সেই ফাঁকে ছোট মামা কে জানাই তাঁর গোছানো প্রিয় ঘরটি নিয়ে এক অজানা কাহিনী!
এবার ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ধুলো লাগা সব বইপত্তর ঝেড়ে ঝুড়ে রাখছিলাম। আমার ছোটবেলার পুরনো বইয়ের আলমারি থেকে শুধু পুরনো বই নয় হাবিজাবি নানারকম জিনিস বের হচ্ছিল। আমার পেপার কাটিং জমানোর খাতা, স্টিকার জমানোর খাতা, সবুজ রঙের ভাঙা ইয়ো ইয়ো, কলেজের বায়োলজি ডিসেকশন বক্স আরো কত কি!
বিষণ্ণ দিনের একঘেয়ে ব্লগর ব্লগর।
কিংবা, আমারও লিখতে ইচ্ছে হল।
পর্ব চারঃ ব্লুবেরি
বিল।
গত ৩৫ বছর ধরে ব্লুবেরির চাষ করছে। প্রথমবার গাছ লাগানোর পর ৩ বছর লেগেছিল ফল ঘরে তুলতে। "মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ করিনি তখন। এতগুলো টাকা আর পরিশ্রম।"
"ভালবাসা আর ইচ্ছার কমতি ছিল না।" আমি উত্তরে বললাম। "ইয়াপ, প্যাসন অ্যান্ড উইল দ্যাটস অল আই হ্যাড।"
চৈতির মনে আজ দারুন আনন্দ। জীবনে প্রথমবারের মত স্বাধীনতার স্বাধ পেতে যাচ্ছে। ছোট বেলা থেকে হয় বাবা নয় বড়ভাই এই দুইজনের শাসনে কিছুই করতে পারে নি। স্কুলে পিকনিক হচ্ছে সবাই যাচ্ছে, শুধু চৈতি যাচ্ছে না। কারন বাবা বলেছে যাওয়ার দরকার নেই, নিরাপত্তা ভালো না। বড় হও তখন যেও। তারপর চৈতি বড় হল, কলেজে ভর্তি হল কিন্ত কোন কিছু পরিবর্তন হল না। প্রতিদিন কলেজে যাওয়ার সময় বাবা নামিয়ে দিত আর বিকেলে কলেজ শেষে ভাইয়া বা
দশ হাজার টেকা বেতনের কামলারে আশি হাজার টেকা ঋণ দিব কেডায়? তার উপরে জুম্মায় জুম্মায় আটদিন হয় নাই আসছে ঢাকায়; চাকরি এখনো অস্থায়ী। চাল নাই চুলা নাই; ধরার মতো ল্যাঞ্জা নাই; পরনের কাপড় বাদ দিলে এক বাকশো বইপত্র ছাড়া থাকার মধ্যে আছে কয়েকটা জিন্স ফতুয়া টি-শার্ট অ্যাশট্রে আর দুই জোড়া জুতা...
২০০২ সালের মাঝামাঝি ঢাকায় এসেই আমি ব্যাংক থেকে ব্যাংকে ঘুরি- একটা লোন চাই কম্পিউটার কিনব...
সেই কাঁচা বয়সের কথা, জলকুমারির কথা, অপূর্ব সুন্দর সেই দ্বীপের কথা, পচিশ একর ছায়া সুনিবিড় শান্তি আর নয়নাভিরাম সমুদ্র সৈকতের কথা, স্বর্ণহৃদয় রডরিক আর ল্যাম্পনির কথা। সেই সাথে যোগ দিল লোভ, পাপ এবং মৃত্যু- দুঃস্বপ্নের মত ভয়ংকর!
–
১
ক্যালিফোর্নিয়ায় গাড়ী চালানো শিখে ভার্জিনিয়ায় গাড়ী চালানো হচ্ছে ফাইটার বিমান চালানোর শিক্ষা দিয়ে রিকশা চালানোর মত ব্যাপার। ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় ৭০ মাইল স্পিড লিমিটের রাস্তায় লোকে অহরহই ৯০/৯৫ এ উঠে যাচ্ছে, রাস্তার দ্রুততম গাড়ী না হলে এই জন্য পুলিশ খুব একটা ধরেও না। কিন্তু ভার্জিনিয়ার গল্প অন্য, এমনিতে বেশিরভাগই মাত্র দুই লেনের রাস্তা, স্পিড লিমিটও ৬৫ এর বেশি খুব একটা উঠে না, আর পুলিশ স্পিড লিমিটের দশ উপরে উঠলেই প্রায় নিশ্চিত ভাবে টিকেট ধরিয়ে দেয়। আর ক্যাম্পাস টাউনে থাকি বলে শহরের ভেতরে বেশিরভাগ সময় ২৫ মাইলের আশে পাশে চালাতে হয়।