হ্যালো, ইমরান!
শারমিন... এক্ষুনি ফোন দিতে যাচ্ছিলাম তোমাকে!
ইন্টারভিউ কেমন হল?
হে হে... দুর্দান্ত! চাকরিটা পেয়ে গেছি আমি!
সত্যি?
হা হা হা, ইয়েস ম্যাডাম, সত্যি! এইমাত্র সাইন করে আসলাম কাগজে, আমার পকেটে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার!
এত দ্রুত হয়ে গেল সব?
আরে আমাকে দারুণ পছন্দ করেছে ওরা... বেতন কত ধরেছে, জানো? তুমি শুনলে বিশ্বাসই করবে না!
কত বল না... প্লিজ... কত?
সত্তুর হাজার... বুঝলে? সত্তুর হাজার! আমার ত...
'আপা, আপনার কাপড় আমি নিব না।'
একদম মুখের উপর বলে লোকটা। ওর মুখের উপর টেনে একটা থাপ্পড় মারতে ইচ্ছা করে পলার। হারামজাদা তোর সমস্যা কি? পয়সা দিব তুই কাপড় বানাবি। দুই টাকার দর্জি তুই তোর এত সাহস! মনে মনে কয়েকটা গালি দেয় পলা।
ঢাকা শহরে মনে হচ্ছে ভাল দর্জি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আগে যেই লোকটা ওর কাপড় বানাতো সে ছিল একটা মহা ফাজিল। শেষ যে জামাটা ব্যাটা বানিয়েছিল; বাসায় ফিরে গজ ফিতে দিয়ে সেটা ...
ধানবাদ ছাড়িয়ে হাইওয়ে দিয়ে সাঁ সাঁ করে ছুটে যাচ্ছিল সোনালী রংয়ের মারুতি SX4. স্টিয়ারিংয়ে বসা রন্টার সামনে দিয়ে ছুটে পেরিয়ে যাচ্ছিল বিহারের একের পর এক মফস্বল শহর। একটু ক্লান্তও লাগছিল। কাল সারারাত ঘুম হয় নি। হতচ্ছাড়া বুড়োটা যে ঘোড়েল তা অবশ্য সে আগেই জানতো, কিন্তু এতোটা ঘাগু সে কল্পনাও করতে পারেনি।
মারুতিটা প্রথম যেদিন দেখে, সেদিন থেকেই মনে মনে স্বপ্ন দেখা শুরু করে সে। যাকে বলে, লা...
(০১)
হঠাৎ করিয়া একখান গায়েবী আওয়াজ হইলো- ‘ হে প্রাণীগণ, সৃষ্টির পুনর্বিন্যাসকাল আসন্ন। এবার প্রস্তুত হও। অনতিবিলম্বে তোমাদের মধ্যে পরস্পর লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়া দেওয়া হইবে।’
চিরিং করিয়া উঠিয়া বসিলো আক্কাছ। অজান্তেই বাম হাতখানা অভ্যাসবশত তলপেট বাহিয়া নিচে নামিতে লাগিলো। এইটা কী শুনিলো ! বৈচিত্র্যহীন ছুটির দিনের মধ্যাহ্ণভোজ সারিয়া ক্রমে ক্রমে গরম হইয়া ওঠা মাথাটাকে নতুন কভার...
সতর্ক চোখে আরেকবার আজগর চারপাশে চোখ বুলিয়ে নেয়। এই কাক-ডাকা ভোরে এখনো এই রাস্তায় লোক চলাচল শুরু হয়নি। এই জায়গাটাও বেশ নির্জন,প্রাতঃভ্রমণকারীদের দল এদিকটা আসে না খুব একটা। ভালো একটা জায়গা বেছে নিয়েছে- এই ভেবে আজগর নিজেকেই নিজে বাহবা দেয়।
দিনের পর দিন,মাসের পর মাস...পুরো দু'দুটা বছর। মফস্বল থেকে এই মহানগরীতে পা রাখবার পর থেকেই ওই লোকটা হয়ে উঠেছে তার এক ভীষণ আতঙ্ক। প্রথম প্রথম অন...
জ্বর এলে খোকাটে হয়ে যাই, উলট-পালট শুয়ে থাকি সারা বিছানা। আধ খোলা চোখে বিছানায় কাঁথা-কম্বলের রাজ্য বিস্তার দেখি! আমার সিথানে এক ফালি জানালা, খানিক উঁচুতে; পূর্বমুখী বলে বিকালের ঘ্রাণ টানার সময় আমি সাঁঝের কোমরের গন্ধ পাই- আমার সুখ হয়। আজ কেবল জ্বরের সংস্পর্শে ঘোর- নিউরনে ক্রমশ স্থান-দাবীদার একটি শিরীষের পত্র, আমি রেখা টানি তাতে; আমার সুখ হয়।
ঘরের তাপমাত্রা এই কড়াইয়ে-বেগুন-ভাজার মতো...
কপালে কে যেন হাত রাখলো। তিনি চোখ মেলে তাকালেন।
তার জন্যে হাসপাতালে কেউ আসেনা। এই সময়ে তো নয়ই। আত্মীয়স্বজনদের সাথে যোগাযোগ কোন কালেই তেমন ছিলনা। মাঝেমাঝে এক দূর সম্পর্কের ভাগনীই শুধু দেখা করতে আসে।
দুপুর বেলাটিতে হাসপাতালটি একদম চুপচাপ হয়ে যায়। তাই তিনি চোখ বন্ধ করে ভাবছিলেন এই দীর্ঘজীবনের কথা। কতকিছু দেখা হোল, কত হাসি কত গান কত বেদনা। আবার কত কিছুই দেখা হোলনা।
হাতের স্পর্...
[center]আধখানা চাঁদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললে, "এনে দেবে?"
এক গাল হেসে বললাম, "পরীক্ষা নিতে চাইছো?
আমার ভালোবাসার পরিমাপ করতে পারবে তুমি?"
তুমি কপট রাগ দেখিয়ে বললে, "এই যাহ,
মুখেই যত ভালোবাসা তোমার, পারলে দাওনা এনে..."
হাসি চেপে আমি বললাম, "তবে চোখ বন্ধ করে চুপটি করে বসে থাকো,"
খুঁজে নিলাম তোমার প্রিয় ছোট্ট হাত-আয়নাটা,
এনে ধরলাম তোমার মুখের সামনে। বললাম, "এবার চোখ খোল!"
তোমার বড় বড় চোখে তাকি...
অণুগল্প এক:
কোন এক স্বপ্নিল রাতে নাচঘরে রাজকুমারের হাত ধরে নেচে আনন্দে মাতোয়ারা রাজকুমারী। সে রাজকন্যার অনিন্দসুন্দর চেহারা, পোষাকের চমকের পাশাপাশি নাচঘরের হাজারো ঝাড়বাতিও পুরোপুরি ম্লান। রাজকুমারের পাণিপ্রার্থি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন যুবতীদের সাথে এককাতারে দাঁড়িয়ে তার সৎমা ও সৎবোনেরা। পরীর কৃপাধন্য এই রাজকুমারী আজ তাদের কাছে একেবারেই অপরিচিত। কোন দেশের ভাগ্যবতী এই রা...
এক:
ছেলে: মা, অপরাধ কাকে বলে?
মা: খারাপ কিছু করা হচ্ছে অপরাধ।
ছেলে: তিন্নি গত হাফইয়ার্লি পরীক্ষায় খাবাপ করেছে। ও কি অপরাধ করেছে মা?
মা: না তা হতে যাবে কেন? ও তো কাউকে মেরে ফেলেনি!
ছেলে: ও, তাহলে র্যাব, পুলিশ আর জেলখানান জল্লাদরা অপরাধী!
মা: না, অপরাধী তারা, যারা ইচ্ছে করেই যাদের কোন দোষ নেই, তাদেরকে খুন করে বা ব্যথা দেয়।
ছেলে: তাহলে কাল শামীম খেলার সময় টেনিস বল ছুড়ে পিঠে ব্যাথা দিয়েছে...